Author: News Live

  • স’হবাসের সময় আযান দিলে কি করবেন? ইসলাম যা বলছে

    স’হবাসের সময় আযান দিলে কি করবেন? ইসলাম যা বলছে

    প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয়ঃ সহবাসের সময় আযানের জবাব দেওয়া যাবে কিনা….? যদি এমনটি হয় আযানের সময় আযানের দোয়া জবাব দেওয়া হচ্ছে, এমন সময় স্ত্রীকে তার স্বামী ডাকলো অথবা ফোন কল আসলো তখন তার জন্য উত্তম কোনটা হবে….? আযানের জবাব দেওয়া নাকি স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া…? এর উত্তর হলোঃ যদি মনে হয় স্বামীর কল ধরতে বিলম্ব হলে তিনি রাগ করবেন বা মন খারাপ করবেন তাহলেই আযানের জবাব বাদ দিয়ে তার সাথে কথা বলা জরুরী।
    আর স্বামীর আশেপাশে থাকা অবস্থায় স্বামী ডাকলে তার ডাকে সাড়া দেওয়ার মধ্যেও আযানের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা ভালো যদি সম্ভব হয়। কারণ কারো সাথে টুকটাক কথা বলার ফাঁকে বা কাজ করা অবস্থায় মুখে আযানের জবাব দেওয়া সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, আযানের জবাব দেওয়া ফরজ বা ওয়াজিব নয় বরং মুস্তাহাব। আর স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া ফরজ। সুতরাং স্বামীর হক আগেই। এ বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

    আযান শ্রবণকারীও মৌখিকভাবে আযানের উত্তর দেওয়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন →যখন তোমরা আযান শুনবে এর জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরুপ তোমরাও বলবে। (সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৬১১)

    আযানের সময় চুপ থাকা সুন্নত। একান্ত প্রয়োজন না হলে সাধারণ দ্বিনি ও দুনিয়াবী কথা বা কাজে লিপ্ত থাকা অনুচিত। বক্তৃতা বা সেমিনার চলাকালীন আযান হলে সাময়িকভাবে স্থগিত রাখবে। ওয়াজ বা কোন দ্বীনি মাহফিল চলাকালেও সাময়িক বন্ধ রেখে সবাইকে আযানের জবাব দেওয়া উত্তম। মনে রাখতে হবে, একজন আযানের জবাব দিলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায় না। কেননা আযানের জবাব দেওয়া শ্রবণকারী সব মুসলিমের জন্য সুন্নত। আরো আযানের জবাব দেওয়া সুন্নতে কেফায়া নয়। ( ফাতহুল কাদির ১/২৪৮, রদ্দুল মুহতার ১/৩৯৯, ফাতাওয়া মাহামুদিয়া ৫/৪২৭)।

    আযানের পর দরুদ শরীফ ও দোয়া পাঠ করা সুন্নত। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেছেন →যে ব্যক্তি আযানের পর আযানের দোয়া পাঠ করবে তার জন্য আখিরাতে আমার সুপারিশ অবধারিত।( বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৬১৪)

    অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তোমরা মোয়াজ্জিনের অনুরূপ শব্দে আযানের জবাব দাও, অতঃপর দরুদ পাঠ করো, এরপর আমার জন্য বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান এর জন্য দোয়া করো, আশা করি আল্লাহ আমাকে সেই স্থান দান করবেন। যে ব্যক্তি এ দোয়া করবে তার জন্য আখিরাতে আমার সুপারিশ অবধারিত। ( মুসলিম হাদিস নাম্বার ৩৮৪)

    কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো সহবাসের সময় আযান দিলে করণীয় কি…? এক্ষেত্রে প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে, স্বামী স্ত্রী মিলনের সময় আযানের জবাব দেওয়া ঠিক নয়, কারণ প্রস্রাব অথবা পায়খানা বা সহবাসে অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জিকির পছন্দ করতেন না। তবে সহবাসের আগে দোয়া পড়ার কথা বলেছেন।( বুখারী ৪৭৮৭, আবু দাউদ, তিরমিজি, আদাবুয যিফাক ৯৮ পৃঃ)

    আর রাসূল (সাঃ) প্রস্রাব পায়খানার সময় প্রয়োজনে ছাড়া কথা বলা মাকরুহ বলেছেন। ( সূত্র আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ১৪)

    সহিহ মুসলিমের আরেকটি হাদীসে রাসূলে করীম সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন → ইস্তিঞ্জা করার সময় কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির করা মাকরূহ। এবং আযানের উত্তর দেওয়াও এক প্রকার আল্লাহর জিকির।( সহিহ মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৫৫৫)

    সুতরাং এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম নবওবী রহমতুল্লাহি বলেন →হাজত পূরণের জন্য অর্থাৎ (প্রস্রাব পায়খানার জন্য) বসা অবস্থায় কোন ধরনের আল্লাহর জিকির করা মাকরূহ অর্থাৎ অপছন্দনীয় কাজ। সুতরাং এ অবস্থায় তাসবিহ তাহলিল পাঠ করবে না, সালামের জবাব দিবেনা, হাঁচির জবাব দিবে না, হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ পড়বেনা এবং মুয়াজ্জিনের অনুরূপ শব্দ উচ্চারণ করে আযানের জবাব দিবেনা। ফকিহগণ আরও বলেছেনঃ স্বামী স্ত্রী মিলনের সময়ও এসব জিকির-আজকার উচ্চারণ করবে না। তবে এই অবস্থায় হাঁচি দিলে মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করবে।

    কিন্তু জিহ্বা নেড়ে তা উচ্চারণ করবে না এবং প্রস্রাব পায়খানা ও সহবাসের সময় জিকির পাঠ করার যে মাকরূহ বা অপছন্দনীয় হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হলো এটি হলোঃ এটা মাকরূহে তানযিহী; মাকরূহে তাহরীমী নয়। সুতরাং কেউ যদি ভুলে এমনটি করেও ফেলেন তাতে সে গুনাহগার হবে না

  • মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৯ হাজার কোটি টাকার মালিক এক বাঙ্গালী ! কে এই তরুণী ?

    মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৯ হাজার কোটি টাকার মালিক এক বাঙ্গালী ! কে এই তরুণী ?

    মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৯ হাজার কোটি টাকার মালিক এক বাঙ্গালী তরুণী! মাত্র সাতাশ বছর বয়সে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন এক বঙ্গতনয়া। তাঁর নাম অঙ্কিতি বসু। ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ২১ লক্ষ টাকা নিয়ে। মাত্র চার বছরে তা ফুলেফেঁপে দাঁড়াল ৯ হাজার ৮০০ কোটিতে। কোনও সংস্থার ব্যবসা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পেরোলে, কাল্পনিক জন্তুর নাম অনুসারে ইউনিকর্ণ তকমা জোটে। অঙ্কিতির ফ্যাশন ই-কমার্স সংস্থা জিলিঙ্গো ইতিমধ্যেই তা পেয়ে গিয়েছে। তার জেরে কনিষ্ঠতম ভারতীয় মহিলা নির্বাচিত হলেন অঙ্কিতি, যিনি কোনও ইউনিকর্ণ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।
    বাঙালি পরিবারে জন্ম হলেও, বাংলার বাইরেই বেড়ে ওঠা অঙ্কিতি বসুর। ২০১২ সালে মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে অর্থনীতি ও গণিত নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। তার পর চাকরি শুরু করেন মার্কিন কনসাল্টিং সংস্থা ম্যাকিনজির মুম্বই শাখায়। সেখান থেকে যোগ দেন অন্য একটি মার্কিন সংস্থা সেকোয়া ক্যাপিটালসের বেঙ্গালুরু অফিসে। তেইশ বছর বয়সে বেঙ্গালুরুতেই বছর চব্বিশের ধ্রুব কপূরের সঙ্গে আলাপ তাঁর। আইআইটি গুয়াহাটি থেকে পড়াশোনা সেরে গেমিং স্টুডিয়ো কিউয়ি আইএনসি-তে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন ধ্রুব।
    চাকরি ছেড়ে নিজের মতো কিছু করার স্বপ্ন ছিল দুজনেরই। প্রথমেই ই-কমার্স সাইট খোলার কথা মাথায় আসে তাঁদের। কিন্তু ভারতে তখন ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো সংস্থা জাঁকিয়ে বসে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠা যাবে না বুঝেছিলেন তাঁরা। তাই চিন্তাভাবনা জারি থাকে।
    সে বছরই ব্যাঙ্কক বেড়াতে গিয়ে চোখ খুলে যায় অঙ্কিতির। সেখানকার চতুচক বাজারে ঢুকে স্থানীয় ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক, জুতো, ব্যাগ এবং অ্যাকসেসরিজ ইত্যাদি নজর কাড়ে তাঁর। ভাষাগত সমস্যা থাকায়, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষে সেগুলি বাইরের লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না বুঝতে পারেন তিনি। তখনই মাথায় আইডিয়া আসে। দেশে ফিরে ধ্রুবের সঙ্গে আলোচনা সারেন অঙ্কিতি। চাকরি ছেড়ে ২১ লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে কাজে লেগে পড়েন তাঁরা।
    তবে যাত্রা সহজ ছিল না। মার্কেট রিসার্চ সারতেই প্রায় একবছর লেগে যায় তাঁদের। ব্যাঙ্ককের বাজারে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনলাইন ব্যবসায় আগ্রহ গড়ে তুলে শুরু করেন অঙ্কিতি। বেঙ্গালুরুতে বসে প্রযুক্তিগত দিকটা সামলাতে শুরু করেন ধ্রুব। দক্ষিণ এশিয়ার বাজার দখল করতেই আগ্রহী ছিলেন তাঁরা। সেই মতো কাজ শুরু করেন। গত চারবছরে সিঙ্গাপুর,ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, চিন, কোরিয়া এবং কম্বোডিয়ার বাজার দখল করতে সফল হয়েছে জিলিঙ্গো। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়াতেও লেনদেন শুরু হয়েছে।
    একসময় যে সেকোয়া সংস্থার কর্মী ছিলেন অঙ্কিতি, আজ তারাও জিলিঙ্গোয় ২২ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগ রয়েছে সিঙ্গাপুরের তামসেক হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেডের। এই মুহূর্তে জিলিঙ্গোর সিইও অঙ্কিতি। সিঙ্গাপুরে সংস্থার সদর দফতর সামলান তিনি। বেঙ্গালুরুতে ১০০ জন কর্মীকে নেতৃত্ব দেন ধ্রুব। তিনি সংস্থার প্রযুক্তিগত প্রধান (সিটিও)।
  • সিনিয়র আপু বিয়ে করলে ক্যা’ন্সা’রে’র ঝুঁকি থাকে কম

    সিনিয়র আপু বিয়ে করলে ক্যা’ন্সা’রে’র ঝুঁকি থাকে কম

    গবেষণাটি চালানো হয় ক্রেজি ক্যাপশনদের একদল সৃষ্টিশীল সদস্য দ্বারা, এই কমিটির তথ্য অনুযায়ী, সিনিয়র আপুদের বিয়ে করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় এমন প্রমাণ পেয়েছেন তারা। গবেষণার ভাষ্যমতে, এটির কারণ হতে পারে মানসিক চাপের হ্রাস ও জীবনের আনন্দময়তা বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখা।

    তদন্ত কমিটির মুখপাত্র ডা. রাবিয়া হোসেন জানান, “সিনিয়র আপুদের বিয়ে মানেই তাদের জীবনে নতুন এক অধ্যায় শুরু করা, যেখানে তারা পরিবারের সহায়তায় নিয়মিত জীবনযাপন করে থাকে। এছাড়া নতুন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তারা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।” গবেষণার এক পর্যায়ে আরও বলা হয়েছে যে, সিনিয়র আপুরা বিয়ে করে সুখী সংসারে মগ্ন হলে শরীর থেকে স্ট্রেস হরমোন কমে এবং হাসিখুশি থাকার ফলে ক্যান্সারের কোষগুলোর বৃদ্ধিও বাধাগ্রস্ত হয়।

    এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিয়ের প্রস্তাবগুলো সিনিয়র আপুদের ইনবক্সে লাইন ধরে অপেক্ষায় আছে। তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতে, সিনিয়র আপুদের চা-কফির অভ্যাসও ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে, কারণ বিয়ের পর তারা বন্ধুদের সঙ্গে কফি খাওয়ার পরিবর্তে স্যুপ, ফলের রস ও স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝোঁকে।

  • হাসিনা বাদ! আ’লীগের নতুন দায়িত্ব পেলেন দুই নেতা,জেনে নিন তাদের নাম

    হাসিনা বাদ! আ’লীগের নতুন দায়িত্ব পেলেন দুই নেতা,জেনে নিন তাদের নাম

    গুলিস্তানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্যানার লাগিয়েছে ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামের একটি সংগঠন। দুই-একদিনের মধ্যে এখানে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এর কয়েকজন সদস্য।

    অন্যদিকে রবিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকর্মী কার্যালয়টি দখলে নিয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। দলটির সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানহ কতিপয় নেতাকর্মীর ফেসবুক পেজ থেকেও এমন প্রচারণা চালানো হয়। এ খবর শুনে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় সেখানে ছুটে যান কথিত জুলাই যোদ্ধাদের কয়েকজন। যদিও তারা কাউকে খুঁজে পাননি।

    রবিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ভবনটির পাঁচতলায় একটি বড় ব্যানারে লেখা ‘জুলাই যোদ্ধাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়’। ব্যানারটির এক পাশে রয়েছে রংপুরের শহীদ আবু সাঈদ এবং অপর পাশে ঢাকার শহীদ মীর মুগ্ধের ছবি।

    আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলছে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ব্যানার

    কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত কয়েকজন নিজেদের জুলাই যোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেন। এর মধ্যে হোসাইনুজ্জামান নামে একজন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সেখানে তারা ব্যানার লাগিয়েছেন। এ সময় আশপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিষ্টিও বিতরণ করা হয়।

    তিনি বলেন, জুলাই যোদ্ধা নামের সংগঠনের অসংখ্য সদস্য রয়েছে। কার্যালয় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিন দেখতে পাবেন। অবশ্য এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বে কারা রয়েছেন তা তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

    আরেক সদস্য মিনহাজুল জানান, ভবনটিতে লোকজন মল-মূত্র ত্যাগ করার কারণে তারা ভেতরে যান না। তবে কতিপয় মাদকসেবী ও যৌনকর্মী আসা-যাওয়া করে থাকে।

    আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন তারা

    তিনি আরও জানান, আজ থেকে তাদেরও ঢুকতে দেবেন না এবং দুই একদিনের মধ্যেই এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হবে।

    অন্যদিকে সন্ধ্যায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখলমুক্ত করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা। বলা হয়, তারা নাকি মিছিল নিয়ে সেখানে গিয়ে কার্যালয়টি নিজেদের আয়ত্তে নেন।

    নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের ফেসবুক থেকে পোস্ট করা হয়, ‘আলহামদুলিল্লাহ আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস দখলমুক্ত করেছে কয়েকজন জেলা-মহানগর ইউনিটের ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এখনও দালালি বাদ দেন। সত্যকে সত্য বলতে শিখুন। আওয়ামী লীগ মানেই ছাত্রলীগ। প্লিজ নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং করবেন না। দখলমুক্ত করছেন ছাত্রলীগ নেতারা। যুবলীগের নাম দেবেন না। পার্টি অফিসের সামনে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য কেউ যায়নি।’

    কার্যালয় ঘিরে মানুষের ভিড়

    এমন বিভিন্ন পেজ থেকে এ প্রচারণা চললেও এর সত্যতা মেলেনি। আশপাশের ব্যবসায়ীরাও তা জানেন না বলে জানান। তবে লোকজন যারা আসছেন তারা আওয়ামী লীগের কেউ নন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান একাধিক ব্যবসায়ী। তাদের ধারণা, এরা নব্য দখলদারদেরই লোক।

    প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সর্বশেষ গুলিস্তানে স্থানান্তরিত হয় ১৯৮১ সালে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ৮ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা সম্প্রসারিত ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১০ কোটি টাকা। যার পুরোটাই ছিল দলীয় তহবিলের টাকা। ২০১৮ সালের ২৪ জুন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিনেই ভবনটিতে আগুন দেয় জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-জনতা। সেই থেকেই পরিত্যক্ত ভবনটি গণশৌচাগার ও মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।