Author: News Live

  • জুবায়েদ হত্যা নিয়ে এবার সামনে এলো নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য

    জুবায়েদ হত্যা নিয়ে এবার সামনে এলো নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য

    পুরান ঢাকার আরমানিটোলাতে পানির পাম্প গলিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে তার বাসার নিচেই হত্যার শিকার হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জুবায়েদের ছাত্রী বর্ষা ও তার প্রেমিক মাহীর রহমানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রী বর্ষাকে নিরাপরাধ মনে হলেও এবার সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    বিজ্ঞাপন
    পুলিশ জানায়, জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ছাত্রী বর্ষা ও মাহীর রহমান। হত্যার দিনে মাহীরের সঙ্গে তার আরও দুই বন্ধু ছিল। হত্যার জন্য তারা নতুন দুটি সুইচ গিয়ার কেনে। মাহীরকে হত্যার জন্য বলে বর্ষা।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এটা বর্ষা ও মাহীরের পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে আবার বর্ষা জুবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় বর্ষা মাহীরকে না করে দেয়। এবং সে জুবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিন্তু কিছুদিন পরই বর্ষা তার বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানায় যে, জুবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহীর।

    বিজ্ঞাপন
    তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জোবায়েদকে হত্যার এই পরিকল্পনা স্বীকার করেনি বর্ষা। পরে মাহীর ও বর্ষাকে মুখোমুখি করলে সব সত্যতা জানা যায়। জুবায়েদকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা করে তারা। এখন পর্যন্ত বর্ষাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার শেষ প্রস্তুতি চলছে।

    উল্লেখ্য, এক বছর ধরে বাসায় গিয়ে বর্ষাকে ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন জুবায়েদ। বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। অন্যদিকে জুবায়েদ কুমিল্লার হোমনার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।

    বিজ্ঞাপন
    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এই শিক্ষার্থীকে সোমবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

     

  • মাথা নিচে পা উপরে দিয়ে নতুন স্টাইলে করলেন শ্রাবন্তী, ভিডিওর লিংকসহ

    মাথা নিচে পা উপরে দিয়ে নতুন স্টাইলে করলেন শ্রাবন্তী, ভিডিওর লিংকসহ

    টলিপাড়ার অভিনেত্রীদের নিয়ে কম চর্চা হয়না, সবসময়েই তাঁরা চর্চার তুঙ্গে থাকেন। তবে দর্শকদের সবসময়ই অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত জীবনের সম্বন্ধে নানারকম খবর জানার কৌতুহল থাকে। টলিউডের সবচেয়ে চর্চিত অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি।তাঁকে নিয়ে প্রায় প্রতিনিয়ত চর্চা চলতে থাকে।

    তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে পেশাগত জীবন সবটাই মানুষের চর্চার মূল বিষয়। বিশেষ করে শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই মাথাব্যাথা সকল দর্শকদের, কারণ তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এখন সমাজের অধীনে। প্রেম, বিয়ে সবটাই সোশ্যাল মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন তিনি। পর পর তিন তিনটি বিয়ে করেছেন তিনি, কিন্তু কোনওটাই টেকেনি।

    রাজীব, কৃষ্ণ ভরদ্বাজ, রোশন তাঁর তিন প্রাক্তন স্বামী নাম। শুধু রাজীব ছাড়া কারুর সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। যদিও রোশনের সঙ্গে তাঁর এখনও ডিভোর্স মামলা চলছে। শ্রাবন্তী প্রায় প্রতি মাসে প্রায় ৭ লাখ টাকা করে অ্যালুমিনি চেয়েছেন রোশনের থেকে। উল্টে রোশনও শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে মিথ্যে নথি দায়ের করার অভিযোগ এনেছেন।

    অন্যদিকে শোনা যাচ্ছিল, নায়িকার জীবনে চতুর্থ প্রেম ডানা মেলেছে। তবে সেটিও চুকে গিয়েছে। কোনও কিছুতেই নায়িকাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি। এদিকে অত্যধিক স্ট্রেসের কারণে দিনে দিনে শারীরিক ওজনও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে তিনি মাঝে মধ্যেই ছোট্ট ছোট্ট পোশাকে ধরা দিয়ে অশ্লীল কটাক্ষের শিকার হন। তবে তিনি এখন শুরু করেছেন ওয়ার্কআউট।

    প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের যোগার পাশাপাশি কার্ডিও করেন তিনি। কিন্তু শ্রাবন্তী এবার যা করলেন তা দেখে একেবারে চোখ কপালে উঠল সবার। সম্প্রতি শ্রাবন্তী তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যাতে দেখা গিয়েছে, তিনি ক্যালিসথেনিক প্র্যাকটিস করছেন। এটি একটি বিশেষ ধরনের ওয়ার্কআউট। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। তবে এই ওয়ার্কআউটটি তিনি ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে করেছেনশ্রাবন্ত। ছবিতে শ্রাবন্তীকে দেখা গিয়েছে, মাটি থেকে সামান্য উপরে মাথা নিচে ও পা উপরে করে দড়িতে ঝুলছেন অভিনেত্রী।

    তাঁর পরনে কালো রঙের টি-শার্ট ও কালো-গোলাপি জেগিংস ছিল। ছবির ক্যাপশনে শ্রাবন্তীর ট্রেনার অরিজিৎ লিখেছেন, কখনও হার মানা উচিত নয়। শ্রাবন্তীর ছবির কমেন্ট বক্সে অনেকেই এই ওয়ার্কআউটটি করার উপায় জানতে চেয়েছেন। নেটিজেনদের পছন্দ হয়েছে শ্রাবন্তীর অধ্যবসায়। তবে বহুদিন পর নায়িকার ছবিতে কোনও নেতিবাচক কমেন্ট চোখে পড়েনি।

  • ‎আলোচিত সেই পর্ন তারকাকে নিয়ে যা বললেন এলাকাবাসী

    ‎আলোচিত সেই পর্ন তারকাকে নিয়ে যা বললেন এলাকাবাসী

    বান্দরবান থেকে আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

    সিআইডি সূত্রে ওই নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে পাওয়া যায় আলোচিত ওই নারী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা।

    ‎এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে হরিরামপুরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হরিরামপুর উপজেলার বয়রা ইউনিয়নের জনৈক এক ব্যক্তির সঙ্গে। ওই ‎স্বামী মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

    বিয়ের প্রায় দুই বছর পরে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। পরে ১ লাখ টাকা নিয়ে অন্য আরেকটি ছেলের সঙ্গে চট্টগ্রাম চলে যায়। তারপর ওই নারী ফরিদপুরে নানির কাছে আসেন। সেখানে কিছুদিন থাকার পরেই সে আবার লাপাত্তা হয়ে যায়। আর কোনো দিন এ অঞ্চলে তাকে দেখতে পায়নি এলাকাবাসী।

    ‎উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের ট্রলার চালক হাশেম মাঝি জানান, আজ থেকে আট বছর আগে এ নারীর ডির্ভোস হয়। ওই সময় কাবিনের বাবদ ১ লাখ টাকা নিয়ে গেলেও তার স্বামীর প্রায় ৫ লাখ টাকা নষ্ট করে। ওই নারীর কারণে প্রথম স্বামী নিঃস্ব হয়ে যায়। তারপর থেকে আমরা আর ওই মেয়ে এলাকায় দেখিনি। সোমবার সংবাদ প্রকাশের পর তাকে চিনতে পারি।

    ‎তবে স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর বাবা এখনো দুর্গম চরাঞ্চল লেছড়াগঞ্জে বসবাস করেন। তিনি পেশায় একজন জেলে।

    দুর্গম এলাকায় বসবাস করায় ওই নারীর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

    এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বসেই আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকার অভিযোগ ওঠে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ‘মডেল’ বলে পরিচয় দিতেন। তারা বিশ্বের অন্যতম বড় ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন।

    গবেষণামূলক অনুসন্ধানভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাস থেকে অনলাইনে সক্রিয় হন। এক বছরের মধ্যে তারা শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে বিপুল দর্শক ও অনুসারী অর্জন করেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, যুগলটি শুধু একটি ওয়েবসাইটেই নয়, কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও কনটেন্ট প্রকাশ করছেন। সেসঙ্গে টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও নিজেদের কার্যক্রম প্রচার করছেন। ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলা হয়, যেখানে কয়েক হাজার সদস্য রয়েছেন। সেখানে নতুন ভিডিওর লিংক ও তাদের আয়ের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়।

    অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, তরুণদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখানো হতো। কিছু অনলাইন পোস্টে দেখা গেছে, ‘নতুন ক্রিয়েটর যুক্ত করুন, অর্থ উপার্জনের সুযোগ পান’— এমন বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

  • অবশেষে জানা গেল জুবায়েদ হত্যার নির্দেশদাতার নাম

    অবশেষে জানা গেল জুবায়েদ হত্যার নির্দেশদাতার নাম

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা এক মাস আগে থেকেই করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেজন্য নতুন দুটি সুইচ গিয়ার চাকুও কিনা হয় এবং সেটি দিয়েই এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে জুবায়েদকে হত্যা করা হয়।

    বিজ্ঞাপন
    মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, জুবায়েদকে হত্যার নির্দেশ দেয় তারই ছাত্রী বর্ষা। প্রেমিক মাহীরকে বর্ষা বলেন, জুবায়েদকে না মারলে তুমি আমাকে পাবা না। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। হত্যার দিন বর্ষার প্রেমিক মাহীরের সঙ্গে তার দুই বন্ধুও ছিলেন।

    বিজ্ঞাপন
    রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে আবার বর্ষা জুবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় বর্ষা মাহীরকে না করে দেয়। এবং সে জুবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিন্তু কিছুদিন পরই বর্ষা তার বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানায়, জুবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহীর।

    তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জুবায়েদকে হত্যার এই পরিকল্পনা স্বীকার করেনি বর্ষা। পরে মাহীর ও বর্ষাকে মুখোমুখি করলে সব সত্যতা জানা যায়। এখন পর্যন্ত বর্ষাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার শেষ প্রস্তুতি চলছে।

    বিজ্ঞাপন
    উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার আরমানিটোলাতে পানির পাম্প গলিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে তার বাসার নিচেই হত্যার শিকার হন জুবায়েদ। ঘটনার দিন বিকেল ৪টায় বর্ষাকে পড়াতে গেলে তার বাসার নিচে জুবায়েদকে সুইচগিয়ার দিয়ে আঘাত করেন মাহির। এ সময় তার সঙ্গে ছিল বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। জুবায়েদের অবস্থানসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করেন ওই ছাত্রী।

    এক বছর ধরে বাসায় গিয়ে বর্ষাকে ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন জুবায়েদ। বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। অন্যদিকে জুবায়েদ কুমিল্লার হোমনার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।

     

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এই শিক্ষার্থীকে সোমবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।