• ১৬ বছরের যুবতীকেও হার মানাবেন শ্রাবন্তী

    ১৬ বছরের যুবতীকেও হার মানাবেন শ্রাবন্তী

    টলিউড কুইন শ্রাবন্তীর যেন বয়স বাড়ে না, কিংবা বয়স বাড়লেও রূপ যেন কমে না। দিনদিন তার রূপের টাটকা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন ধরাচ্ছে। নেটদনিয়ায় মানুষ যতই শ্রাবন্তীর পিছনে কেচ্ছা করুক না কেন, অভিনেত্রীর এক টুকরো মিষ্টি ছবি দেখার জন্য ভিড় জমান সোশ্যাল মিডিয়ার হ্যান্ডেলে।

    টলি পাড়ার মিষ্টি মেয়ে হল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তার হাসির জাদুতে ফিদা স্কুল বয় থেকে কাকু, জ্যাঠুরা। যারা মাঝে মধ্যে অভিনেত্রীর বিয়ে ও ডিভোর্স নিয়ে কেচ্ছা করেন তারাও কিন্তু শ্রাবন্তীর রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে থাকেন।

    তৃতীয় বিয়ে ভাঙার মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয় টলি কুইন শ্রাবন্তীর নতুন প্রেম নিয়ে। বিনোদন দুনিয়ায় এই অভিনেত্রীর ব্যাক্তিগত জীবনে কেচ্ছা একেবারেই হয় কেক। মানুষ জানতে চায় শ্রাবন্তী কেন বারবার বিয়ে করছেন আর কেন ডিভোর্স? তাহলে কি অতি বর গৃহিণী না পায় ঘর, অতি বড় সুন্দরী না পায় বর!

    সম্প্রতি, এক গণমাধ্যমে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এও বলেন যে অভিরূপ তার বিশেষ বন্ধু, যার সঙ্গে সব কিছু শেয়ার করা যায়। অভিনেত্রীর এমন কথায় গুঞ্জন আরো জোরদার হয়েছে। অনেকের ধারণা হয়তো অভিনেত্রী চতুর্থবার বিয়ে করতে চলেছেন। যদিও এইবার খুব ভেবে চিন্তে পা ফেলবেন শ্রাবন্তী সেই ব্যাপারে আগে থেকেই স্পষ্ট করেছেন।

  • সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে কাঁচাই খেয়ে ফেললেন আরেক সাপুড়ে

    সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে কাঁচাই খেয়ে ফেললেন আরেক সাপুড়ে

    সাপ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে প্রাণ গেল এক সাপুড়ের। সাপুড়ের প্রাণনাশী সেই সাপ আবার কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে। এরকম চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নে।

    বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়ার সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন পাশের ইউনিয়ন কালিগঞ্জের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে সাপ ধরতে যান। ইমরান আলীর বাড়ির পাকের ঘরে একটি ইঁদুরের গর্তে বাসা বাধে একটি কিং কোবরা সাপ। সাথে ছিলো ১৫-১৬টি সাপের বাচ্চা। খাল খুড়ে সাপের বাচ্চাগুলো ধরার পর বড় সাপটি ধরে ফেলেন সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন। সাপটি বস্তায় ঢোকানের আগেই হাতে ছোবল দেয় সেটি।

    প্রথম দিকে সাপের বিষে কিছু না হলেও বাড়িতে এসে বিষক্রিয়ায় নিস্তেজ হতে থাকেন তিনি। দ্রুত ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ বাড়িতে আনার পর একে একে আসতে থাকে কয়েকজন ওঝা ও সাপুড়ে। তারাও এসে বলেন রুগী মারা গেছেন। মোজাহার নামক একজন ওঝা বড় সাপসহ বাচ্চাগুলো নিয়ে নেন। পরে গাবতলা বাজারে এসে বড় সাপটি কাচায় চিবিয়ে খান তিনি। এসময় গাবতলা বাজারে তার সাপ খাওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রচুর লোক ভিড় জমান।

    মোজাহারের বাড়ি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া বাজার এলাকায়। এলাকায় মোজাহার সাপ খাওয়া মোজাহার নামে পরিচিত। তিনিও সাপ ধরেন ও সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

    মোজাহার জানান, বয়েজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেয়ার আগে তিনি খবর পান এবং সাপের পরিচয় পাওয়ার পর বলেছেন তিনি বাঁচবেন না। হাসপাতাল থেকে তাকে ফেরত আনার পর মোজাহারকে ফোনে ডেকে আনেন বয়েজ উদ্দিনের স্বজন। এখানে এসে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে বয়েজ উদ্দিনের ধরা সাপের বাচ্চাসহ বড় সাপটি তারা আমাকে দেন। এগুলো নিয়ে এসে এই বাজারে বড় সাপটি মেরে রক্ত মাংস খাই। আর ছোট বাচ্চাগুলো ছেড়ে দিবো।

    তিনি আরও জানান, কাচা সাপ খাওয়া তার পুরোনো অভ্যাস। এদিকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করার পরও বয়েজ উদ্দিন বেচে আছে সন্দেহে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝাড়ফুঁক চলছে বলে জানা যায়।

    এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম আবু সায়েম জানান, সাপে কাটলে ঝাড়ফুঁকে কোন কাজ হওয়ার কথা না। সাপে কাটার সাথে সাথে হাসপাতালে আনতে হবে। আমাদের কাছে এন্টিভেনম মজুদ আছে। লোকজনকে আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বেশি। সাপে কাটলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আনতে হবে।

     

  • মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ, ২০ বছর পর ফিরলেন নিজ গ্রামে!

    মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ, ২০ বছর পর ফিরলেন নিজ গ্রামে!

    মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ২০০৫ সালে নিখোঁজ হন সালাউদ্দিন ফরাজি (৬০) নামে এক বৃদ্ধ। এর ২০ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরলেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তার পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    নিখোঁজ হওয়া সালাউদ্দিন ফরাজির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন কলমী ইউনিয়নের নংলাপাতা গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই গ্রামের জয়নাল ফরাজির ছেলে বলে জানা গেছে। তার স্ত্রীসহ ৫ ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ যুগ আগে কাজের উদ্দেশ্য স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান সালাউদ্দিন। সেখানেই তিনি রিকশা চালিয়ে উপার্জন করতেন। বসবাস করতেন মোহাম্মদপুর এলাকায়। ২০০৫ সালে মেঝ মেয়ের বাড়ির বাড়ি ঢাকা গাজীপুরে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। এরপর থেকে আর তার কোনো সন্ধ্যান পায়নি পরিবার। মাঝখানে কেটে যায় প্রায় ২০ বছর। ৪০ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে অর্থাৎ ৬০ বছরের বৃদ্ধ হয়ে ফিরে এলেন নিজ গ্রামে। তবে কিভাবে নিজ গ্রামে ফিরে আসলেন বা এতো বছর কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি তার থেকে।

    সালাউদ্দিন ফরাজির বড় মেয়ে রেখা বেগম বলেন, বাবা ২০০৫ সালে আমাদের মেঝ বোনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে বাবা নিখোঁজ হন। বহু খোঁজাখুঁজির পরও বাবাকে আর ফিরে পাইনি। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম বাবা বেঁচে নেই। কিন্তু অবশেষে বাবাকে ফিরে পেয়েছি। বাবা বর্তমানে কথা বলতে পারছে না। অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন,তবে দীর্ঘ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে আমরা খুশি। বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর ফিরে পাওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। পরে শশিভূষণ থানায় থানায় জিডি করেছি। বাবার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বাবাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি।

    শশিভূষণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকায় সালাউদ্দিন ফরাজি নামে এক ব্যক্তি হারিয়ে গিয়েছিল। তার মেয়ে থানায় জিডি করেছে। সম্প্রতি স্থানীয় মায়া নদী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় লোকটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেলে পরিবারের সদস্যরা উক্ত ব্যক্তিকে নিখোঁজ থাকা সালাউদ্দিন ফরাজি বলে দাবি করেছেন। তার পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গতকাল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট

    পেলে পরিচয় নিশ্চিত হতে পারব।

     

  • বাড়ীর ছাদের টবে ড্রাগন ফল চাষের দুর্দান্ত উপায়, হবে বাম্বার ফলন

    বাড়ীর ছাদের টবে ড্রাগন ফল চাষের দুর্দান্ত উপায়, হবে বাম্বার ফলন

    ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে আমাদের দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। নরম শাঁস ও মিষ্ট গন্ধ যুক্ত গোলাপি বর্ণের এই ফল খেতে অনেক সুস্বাদু আর তার সাথে এই ফল ভিটামিন সি, মিনারেল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং ফাইবারের উৎকৃষ্ট উৎস।

    ড্রাগন ফ্রুট গাছ ক্যাকটাস সদৃশ্য এবং ছোট গোলাকার ফলের ভিতরের অংশ সাধারনত লাল ও সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলের ভিতরের অংশে ছোট ছোট নরম বীজ থাকে। আমাদের দেশের আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযুক্ত এবং এখন পর্য

    ন্ত পরিক্ষামূলক চাষেও ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। আপনি চাইলে বাড়ির ছাদ বাগানে বড় টবে বা ড্রামে ড্রাগন ফল চাষ করে শখ পুরণ ও পুষ্টি আহরণ দুটোই করতে পারেন। নিম্নে ছাদ বাগানে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো।

    কখন ড্রাগন ফল চাষের উত্তম সময় :
    ড্রাগন ফল সাধারণত সারা বছরেই চাষ করা যায়। এটি মোটামুটি শক্ত প্রজাতির গাছ হওয়ায় প্রায় সব ঋতুতেই চারা রোপন করতে পারেন। তবে ছাদে ড্রাগন ফল চাষ করে ভালো ফলন পেতে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে চারা রোপন করলে আপনি অবশ্যই সুফল পাবেন।

    ছাদে চাষের উপযোগী পাত্র কেমন হবে :
    আপনার ছাদ বাগানে ড্রাগন ফল চাষ করতে পারেন মাটির টবে বা ড্রামে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ২০ ইঞ্চি আকারের ড্রাম বেছে নেন। কারণ এই আকারের ড্রামে চারা ভালোভাবে শিকর ছড়াতে পারবে আর তাতে ফলন অনেক ভালো হবে।

    কেমন মাটি প্রয়োজন হবে :
    যদিও প্রায় সব রকমের মাটিতে ড্রাগন ফল সহজেই চাষ করা সম্ভব। কিন্তু ভালো ফলন চাইলে আপনি অবশ্যই উৎকৃষ্ট জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে দোঁআশ মাটিই বাছাই করবেন। শুরুতেই আপনাকে বেলে দোআঁশ মাটি সংগ্রহ করে ভালো ভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে। তারপর পরিমান মত গোবর, ৫০ গ্রাম পটাশ সার ও ৫০ গ্রাম টি,এস,পি, সার সংগ্রহ করা মাটির সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিবেন। সার ও মাটির মিশ্রনে পরিমান মত পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এখন আপনার বাছাই করা ড্রামে সকল উপকরণ গুলো ১০ থেকে ১২ দিন রেখে দিন। তারপর ড্রামের মাটি ভালো করে খুন্তি দিয়ে ঝুরঝুরে করে আরো ৪ থেকে ৫ দিন রেখে দিন। মাটি কিছুটা শুষ্ক হয়ে উঠলে ভালো জাতের কাটিং চারা ড্রামে বা পাত্রে রোপন করুন।

    সেচ ও পরিচর্যা কি করতে হবে :
    ড্রাগন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ফলন ভালো হবেনা। যদিও ড্রাগন ফল গাছে তেমন একটা রোগ বালাইয়ের আক্রমন হয়না তবে পারিপার্শ্বিক অন্যান্য যত্ন নিয়মিত নিতে হয়। চারা লাগানোর পর ড্রাম টি রোদ যুক্ত স্থানে রাখুন। এটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ বলে চাষে খুব বেশি পানি দিতে হয়না। চারায় পানি দেয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন যেন গোড়ায় পানি না জমে। ড্রামের ভিতরের বাড়তি পানি সহজেই বের করে দেবার জন্য ড্রামের নিচের দিকে ৪ থেকে ৫ টি ছিদ্র করে দিন মাটি ভরাট করার পুর্বেই। ড্রাগন গাছের ডালপালা লতার মত হওয়ার কারনে গাছের হালকা বৃদ্ধির সাথে সাথেই খুঁটির সাথে বেঁধে দিবেন এতে করে গাছ সহজেই ঢলে পরবেনা।

    ড্রাগন ফল সংগ্রহ করুন :
    ড্রাগন ফলের কাটিং চারা রোপনের ১ বছর থেকে ১৮ মাস বয়সে ফল সংগ্রহ করা যায়। গাছে ফুল ফোঁটার মাত্র ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়।