• রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করাই খুশি বি এন পি

    রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করাই খুশি বি এন পি

    বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।


    তিনি লিখেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে কিছু অপপ্রচার হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি রিজাইন (পদত্যাগ) করেছেন বলে যে খবর আমার ছবি ব্যবহার করে প্রচার হচ্ছে- তা ভুয়া।’

     
    এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হওয়া হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
     
    বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অভিযোগকারী আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থা বুধবার রাত থেকে তদন্ত শুরু করেছে।

    এর আগে বুধবার শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবির।
     
    তার পক্ষে বুধবার দুপুরে সংস্থাটির প্রধান কো-অর্ডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম এ আবেদন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনকে এই অভিযোগে দায়ী করার আর্জি জানানো হয়েছে।
  • হাসনাত আবদুল্লাহকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও প্রচার, যা জানা গেল

    হাসনাত আবদুল্লাহকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও প্রচার, যা জানা গেল

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে দাবিটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে দাবিটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

    এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘কথাcom’ নামক ইউটিউব চ্যানেলের গত ২৭ জানুয়ারি আপলোডকৃত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবির প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

    ভিডিওটির বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানে একইদিনে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘পরিস্থিতি শান্ত করতে এসে বিপাকে হাসনাত’ শিরোনামে একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওর বিস্তারিত অংশ থেকে জানা যায়, এটি হাসনাত আবদুল্লাহর সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করতে যাওয়ার ভিডিও।

    অর্থাৎ, এটি একটি পুরোনো ভিডিও, যার সাথে হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তুলে নেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূলধারার গণমাধ্যম ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুলে নেয়ার কোনো ঘটনার তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তুলে নেয়ার দাবিতে হাসনাতের গত জানুয়ারিতে ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করতে যাওয়ার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

  • লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দাবি, জানুন সত্যতা

    লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দাবি, জানুন সত্যতা

    যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসা শেষ। এখন তিনি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে অন্যান্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছেন। দেশে ফেরা নির্ভর করছে তার সিদ্ধান্তের ওপর। ফেরার আগে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার চূড়ান্ত চেকআপ করানো হবে। গত ৭ জানুয়ারি রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।

    জানা যায়, ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনির সঙ্গে আনন্দে সময় পার করায় মানসিক অবস্থা বেশ ভালো খালেদা জিয়ার। শিগগির দেশে ফিরতে চান তিনি। তবে তারেক রহমান চাচ্ছেন, ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মাকে কাছে রাখতে।

    এদিকে সম্প্রতি ‘মারা গেলেন খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায়’ ও ‘বেগম খালেদা জিয়া আর পৃথিবীতে নেই’ শীর্ষক দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে বিষয়টি সত্য নয়। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এ বিষয়ে শনিবার (১ মার্চ) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

    তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার মৃত্যুর সংবাদটি সত্য নয়। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Jalal Uddin Wasim নামক ফেসবুক প্রোফাইলে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। সেই পোস্টের একটি ছবির সঙ্গে আলোচিত ছবির মিল রয়েছে।

    পোস্টের ছবিটির বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম Jalal Uddin Wasim এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, “ছবিটি তার মায়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সময়ের এবং তার মা মারা যাওয়ার কিছু দিন পূর্বে ছবিটি তোলা হয়।”

    উল্লেখ্য, ছবিটি ব্যবহার করে ২০২১ সালে একই ধরণে দাবি প্রচার করা হলে তখন রিউমর স্ক্যানার এ বিষয়ে ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার ছবি নয় এটি’ শিরোনামে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অর্থাৎ, আলোচিত দাবিতে ব্যবহৃত ছবির ব্যক্তি খালেদা জিয়া নন।

    পরবর্তীতে, আলোচিত দাবিতে থাকা অডিও ক্লিপ পর্যবেক্ষণ করলে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ৮ জানুয়ারি ‘খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার সর্বশেষ তথ্য’ শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেই ভিডিওর অডিও বার্তার সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির অডিও বার্তার মিল রয়েছে।

    ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটির ০০:০১ থেকে ০০:১৭ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে মূল ভিডিওর ০০:০৩ থেকে ০০:১০ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি যেখানে ‘‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনের পথে রয়েছেন। তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।” বলা হয়েছে সেখানে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ অংশটি প্রতিস্থাপন করা হয়।

    যার ফলে আলোচিত ভিডিওতে এটি ‘‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২ টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষায়িত এয়ার এম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়েন তিনি” হিসেবে দেখা যায়।

    খালেদা জিয়ার সন্তান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো প্রকার তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

    এই প্রতিবেদনটি লিখার সময় পর্যন্ত গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে খালেদা জিয়ার একটি ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়। তিনি এখন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। সুতরাং, লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুর তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

    সুত্রঃ

  • রাজনৈতিক দল গঠন না করে ছাত্রদের উচিত তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া: জয়নুল আবেদীন

    রাজনৈতিক দল গঠন না করে ছাত্রদের উচিত তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া: জয়নুল আবেদীন

    এডভোকেট জয়নুল আবেদীন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা বিভাজন সৃষ্টি চাই না, আমরা চাই বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে চলুক।

    বাংলাদেশের মানুষ এই বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করেছে এবং সারা তৃণমূলের জনগণও এতে অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বক্তব্য রেখেছেন এবং খালেদা জিয়া, যিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, তবুও দেশের মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা জানিয়েছেন।”

    তিনি আরও বলেন, “এই বর্ধিত সভাটি দীর্ঘ ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো, ২০১৮ সালের পর এটি প্রথম বর্ধিত সভা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার কারণে এত বছর আমরা কিছু করতে পারিনি। কিন্তু আজ, তার মুক্ত অবস্থায়, বাংলাদেশের মানুষ এই সভায় অংশগ্রহণ করেছে। বেগম জিয়া চায় যে, দল আরও শক্তিশালী হোক।”এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, “এ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আমরা বিভাজনমূলক বিএনপি নয়, আমরা ঐক্যবদ্ধ বিএনপি থাকতে চাই।” সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দল গঠন না করে ছাত্রদের উচিত তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া।