• স্মার্ট এনআইডি বিতরণ শুরু! আপনার কার্ড এসেছে কি না, ঘরে বসেই জেনে নিন

    স্মার্ট এনআইডি বিতরণ শুরু! আপনার কার্ড এসেছে কি না, ঘরে বসেই জেনে নিন

    ২০২৫ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় আবারও শুরু হয়েছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট এনআইডি) বিতরণ কার্যক্রম। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলবে ধাপে ধাপে, এবং অগ্রাধিকার পাচ্ছেন ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভোটার হওয়া নাগরিকরা।

    কিভাবে জানবেন আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে কি না?

    আপনার স্মার্ট এনআইডি কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা তা জানার জন্য খুব সহজেই অনলাইনে চেক করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে www.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Smart Card Status Check’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

    এরপর, আপনার বর্তমান এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ এবং প্রদত্ত ক্যাপচা কোড দিয়ে ফর্মটি পূরণ করে সাবমিট করুন।

    যদি দেখা যায় “স্মার্ট কার্ডের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি”, তাহলে বুঝতে হবে আপনার কার্ডটি এখনো তৈরি হয়নি এবং আপনি এই ধাপে স্মার্ট কার্ড পাচ্ছেন না।

    আর যদি স্ট্যাটাসে “Completed” লেখা আসে এবং একটি বক্স আইডি নম্বর দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত।

    কোথা থেকে ও কিভাবে সংগ্রহ করবেন?

    যদি আপনার স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত থাকে, তাহলে দুটি উপায়ে আপনি তা সংগ্রহ করতে পারবেন:

    নির্ধারিত তারিখে নির্ধারিত স্থানে
    নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময় ও তারিখে স্থানীয় স্কুল, মাদ্রাসা বা উন্মুক্ত স্থানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চালাবে। ঘোষিত সময় অনুযায়ী সেখানে গিয়ে এনআইডি কার্ড বা ডেলিভারি স্লিপ দেখিয়ে কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।

    উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সরাসরি
    কেউ চাইলে সরাসরি নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড বা ডেলিভারি স্লিপ সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

    শেষ কথা

    স্মার্ট এনআইডি কার্ড এখন শুধু পরিচয়পত্র নয়, বরং নাগরিক সেবা গ্রহণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। তাই সময়মতো নিজের কার্ডের অবস্থা জেনে নেওয়া এবং নির্ধারিত সময়ে সংগ্রহ করা সবার জন্যই জরুরি।

  • পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মা/র/ধ/র, ভিডিও ভাইরাল…

    পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মা/র/ধ/র, ভিডিও ভাইরাল…

    পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ফেনীর পরশুরামে ব্যবসায়ী সুমন হোসেনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্থানীয় এক যুবদল নেতা এ মারধর করেছেন বলে জানা গেছে।

     

    শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ভুক্তোভোগীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

    ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, যুবদল নেতা সায়েম ও তার ভাতিজা ফয়সালসহ কয়েকজন ওই ব্যবসায়ীকে টানাহেঁচড়া করছেন। একপর্যায়ে টানতে টানতে তার গায়ের পোশাক খুলে ফেলা হয়। তাকে মারধর করা হয়। বার বার টেনে সুমনকে দোকান থেকে বের করার চেষ্টা করা হয়।

    পরশুরাম উত্তর বাজারের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সুমন অভিযোগ করে বলেন, বকেয়া টাকা চাওয়াতে দক্ষিণ কোলাপাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. সায়েম ও তার ভাতিজা ফয়সালসহ কয়েকজন আমাকে মারধর করেন। রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। বর্তমানে আমি পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

    এ দিকে অভিযুক্ত যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি মো. সায়েমকে গত ২৫ জুন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে পরশুরাম পৌর যুবদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

    পরশুরাম পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তফা খোকন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিছফাকুছ ছামাদ রনি ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আবছার চৌধুরী কমল সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেনী জেলা যুবদলের নির্দেশক্রমে পরশুরাম পৌর যুবদলের ৫ নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মো. সায়েমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

    পরশুরাম পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তফা খোকন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ সায়েমকে ২৫ জুন অর্থাৎ ১৭ দিন আগে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

     

     

  • এবার একাদশে ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা

    এবার একাদশে ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা

    একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবার থেকে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা পাবেন এই বিশেষ কোটা। এরইমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এমন একটি সুপারিশ পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে ২০২৫ সালের একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম থেকেই কার্যকর হবে এই বিশেষ কোটা। 

    বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ এই কোটা প্রস্তাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে শহীদদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের। বর্তমানে কলেজ ভর্তির নীতিমালায় মোট ৭ শতাংশ কোটা রয়েছে, যার মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরের জন্য বরাদ্দ। আবার কলেজ পর্যায়ে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। নাতি-নাতনিদের কোটাও উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে। তাই বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার বাস্তবতা পর্যালোচনা করে একে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হচ্ছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক পরিদর্শক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা এখন কলেজ পর্যায়ে তেমন নেই বললেই চলে। বাস্তবসম্মত ও ঐতিহাসিক ভিত্তিতে নতুন কোটার দরকার ছিল। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় আরও বেশ কিছু সংস্কার আসতে যাচ্ছে। 

    আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২৫ সালের একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় বেশ কিছু বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। কোটাব্যবস্থা, মেধাক্রম অনুযায়ী অগ্রাধিকার, মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া এবং বেসরকারি কলেজগুলোর সংকট বিবেচনায় খসড়া তৈরি করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

    এছাড়া, নতুন নিয়মে ভর্তি কার্যক্রমে সময়সীমা নির্ধারণ, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার প্রতি উৎসাহ এবং কমমানের কলেজগুলোর সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

    ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। ব্যানবেইস ও শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণির জন্য আসন রয়েছে প্রায় ২২ লাখ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে আরও ৯ লাখ আসন রয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪১ হাজার আসন। সব মিলিয়ে দেশে একাদশে ভর্তিযোগ্য আসনের সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ ২৫ হাজার। ফলে দেখা যাচ্ছে, এবার কলেজ পর্যায়ে সাড়ে ২০ লাখেরও বেশি আসন খালি থাকবে। 

    শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহেই শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ। তিনটি ধাপে আবেদন ও মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

  • আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা…

    আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা…

    অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে আজকে থেকেই দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

    উপদেষ্টা বলেন, খুন, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মব সহিংসতা, মাদক চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যে কোনো সময় চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণসহ সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। 

    কবে থেকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা শুরু আজ থেকেই। জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যে কোনো কার্যক্রম কঠোর হাতে দমন করবে সরকার।

    এছাড়া পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

    তিনি বলেছেন, মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। 

    এই হত্যা মামলায় রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও  সাফ জানিয়ে দেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।