• Untitled post 2924

    ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়ার। জীবনের সেই সবচেয়ে বড় স্বপ্নটাই শেষ পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের।

    সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে গুরুতর আহত হন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাগর। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    সাগরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণচন্দ্রপুরে।

     

    সাগরের মামা শওকত আলী জানান, ছোটবেলা থেকেই সাগরের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। পরিবারের ইচ্ছা ছিল তিনি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হবেন, কিন্তু নিজের স্বপ্নেই ছিলেন অটল। পড়াশোনায় ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত রাজশাহী সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলে লেখাপড়া করেন, এরপর ভর্তি হন পাবনা ক্যাডেট কলেজে এবং সেখান থেকেই উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।

    শওকত আলী আরও জানান, প্রায় এক বছর আগে সাগর সর্বশেষ গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর আর আসা হয়নি। কয়েক মাস আগে তার বিয়ে হয়। তার স্ত্রী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। তার শ্বশুরবাড়ি গাজীপুর। তৌকিরের শ্বশুর  জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক আবুল হোসেন।

    কোথায় দাফন করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান শওকত আলী। পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।

    আরেক মামা সেলিম জানান, প্রথমে এক সেনা কর্মকর্তার মাধ্যমে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। পরে তিনি ও ঢাকায় থাকা সাগরের দুই চাচা সিএমএইচ হাসপাতালে ছুটে যান। বর্তমানে তারা মরদেহ গ্রহণের অপেক্ষায় আছেন।

    সাগরের পরিবার বর্তমানে রাজশাহীতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তার বাবা তোহরুল ইসলাম আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং মা সালেহা বেগম একজন গৃহিণী। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

    উল্লেখ্য, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দগ্ধদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী।

  • বিমান বিধ্বস্ত: আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষকের ভয়াবহ বর্ণনা

    বিমান বিধ্বস্ত: আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষকের ভয়াবহ বর্ণনা

    রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভয়াবহ আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষক বলেছেন, ঘটনাটি এতটাই আকস্মিক ছিল যে কারোরই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগ ছিল না।

    বিমানটি যে ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে, সেই ভবনে থাকা শিক্ষার্থীরা ছুটির ঘণ্টা পড়ার পর ক্লাস থেকে বের হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল।

    ওই শিক্ষক বলেন, এটা ঠিক স্কুল ছুটির সময় ছিল। শিক্ষার্থীরা গেটে অপেক্ষা করছিল। কী ঘটছে তা বোঝার আগেই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ল। মুহূর্তেই দৃষ্টিসীমা কমে আসলো। আমি শুধু আগুন দেখতে পাচ্ছিলাম—তারপর ধোঁয়া।

    নিজের আঘাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার হাত পুড়ে গিয়েছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। আমার মুখ ও কান ঝলসে গেছে।

    এ অবস্থায় দ্রুত ওয়াশরুমে গিয়ে একটি ভেজা কাপড় নিয়ে এসে নিজের নাক ঢাকেন জানিয়ে ওই শিক্ষক বলেন, কাছে থাকা বাচ্চাদেরও আমি একই কাজ করতে বললাম। তাদের অনেকের শার্টে ততক্ষণে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমি তাদের নিচু হয়ে থাকতে এবং মুখ ঢাকতে বললাম।

    ওই শিক্ষকের সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী সেখান থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তাদের ভেতর গুরুতর দগ্ধ একজনকে সিএমএইচ-এর বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়।

    তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর শরীরের কিছু অংশে চামড়া উঠে গিয়েছিল। আমি আমার পরা কাপড় দিয়ে তাকে মুড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। আমি নিজেও যন্ত্রণায় কাতর ছিলাম। কিন্তু আমি নিজেকে স্থির রেখে অন্যদের শান্ত রাখার চেষ্টা করলাম।

     

  • ১ মণ গাঁজাসহ গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

    ১ মণ গাঁজাসহ গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

    এক মণ গাঁজাসহ এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের র‌্যাব। তার নাম জাফর আহমেদ। তিনি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি।

    রোববার চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯ কেজি গাঁজা ও নগদ অর্থসহ তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার আরো তিন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তার অপর ব্যক্তিরা হলেন- চট্টগ্রামের সাগর সর্দার, রুবেল সর্দার ও শাহাদাত হোসেন রিপন। তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

    12

    র‍্যাব-৭, সিপিসি-১-এর স্কোয়াড্রন লিডার মিজানুর রহমান বলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাফর ও তার সহযোগীরা চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিল। এ তথ্য পেয়ে অভিযানে নামে র‌্যাব। এক পর্যায়ে র‍্যাব-৭-এর হাটহাজারী, ফেনী ও চান্দগাঁও ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে অপরাধীরা।

    স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাফরকে বহিষ্কার

    মাদক কারবার করার দায়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাফরকে বহিষ্কার করেছে তার সংগঠন। গতকাল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হওয়া জাফরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • এবার চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশ সদস্য ধরা

    এবার চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশ সদস্য ধরা

    পঞ্চগড়ে অভিযানের নামে চাঁদা দাবির অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন আটক হয়েছেন। পরে স্থানীয়দের খবরে তাদের আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।

    রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী।

    আটকৃতরা হলেন- পঞ্চগড় সদর থানার কনেস্টবল মিজানুর রহমান (২৬)। তার বাড়ি দিনাজপুর বিরলের বৈদ্যনাথপুর এলাকায়। মিজানুর নিজেকে এসআই পরিচয় দেন। তার সহযোগী ভুয়া পুলিশ সদস্য সদরের সাতমেরা পেলকুজোত এলাকার শরিফুল ইসলাম (৩০)। শরিফুল নিজেকে ডিবি পুলিশের কনেস্টেবল পরিচয় দেন।

    জানা যায়, শনিবার রাতে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া গ্রামে স্থানীয়দের হাতে আটক হন তারা।

    পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, শনিবার রাত ১১টার পর তারা বলেয়াপাড় এলাকায় আসেন। সে সময় নিজের বাড়ির পাশে ৩ কিশোর রাস্তার পাশে বসে মুঠোফোন চালাচ্ছিল। সেখানে নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগ তুলে ১ লাখ টাকা দাবি করে এক কিশোরকে হাতকড়া পরান ওই পুলিশ সদস্য। সঙ্গে সঙ্গে তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দুজনকে আটক করে রেখে পঞ্চগড় আর্মি ক্যাম্প ও সদর থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নেয়।

    এ বিষয়ে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে