• দেখা মাত্রই এই মাছ মেরে ফেলার নির্দেশ!

    দেখা মাত্রই এই মাছ মেরে ফেলার নির্দেশ!

    যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রবিজ্ঞানীরা এমন এক বিপজ্জনক মাছের সন্ধান পেয়েছেন যা পানির বাইরে ডাঙায় উঠে বেঁচে থাকতে পারে। এই মাছটির নাম ‘স্নেকহেড ফিশ’ দেখতে সাপের মতো হওয়ায় এই নামকরণ হয়েছে।

    বিজ্ঞাপন

    ১৯৯৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নাডিনোর সিলভারহুড লেকে প্রথম এই মাছ ধরা পড়েছিল। যেখানে এর উৎপত্তি পূর্ব এশিয়া হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি জর্জিয়ায় আবারো এই মাছ পাওয়া যাওয়ায় বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য।

     

    বিজ্ঞাপন
    মেরিল্যান্ড প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই মাছের শ্বাসতন্ত্র এমনভাবে গঠিত যে এটি পানির বাইরে, বাতাস থেকে শ্বাস নিতে সক্ষম। ফলে এটি পানি ছেড়ে ডাঙায় উঠলেও বাঁচতে পারে, যদিও হঠাৎ পরিবেশ পরিবর্তনে কিছু সময়ের জন্য নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

    ‘স্নেকহেড ফিশ’ ছোট মাছ, জলাশয়ের অন্যান্য প্রাণী, এমনকি ছোট ইঁদুর পর্যন্ত খেতে পারে। এর আকার প্রায় তিন ফুট লম্বা এবং ওজন ১৮ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। ধারালো দাঁতের কারণে শিকারে এটি খুবই দক্ষ।

     

  • ৩০ বছর বয়সের মেয়েরা একদিনে কতবার দিতে পারেন

    ৩০ বছর বয়সের মেয়েরা একদিনে কতবার দিতে পারেন

    তিরিশ বছর একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। পেছনে সুখ-দুঃখের স্মৃতি যেমন থাকে আবার সামনেও থাকে স্বপ্নের গল্প। বর্তমান যুগে পুরুষদের থেকে কোনো অংশেই কম নয় নারীরা। পেশা থেকে শুরু করে জীবন চর্চা সব কিছুতেই স্বাধীন চিন্তা ও মননের স্বাক্ষর রাখে একটি মেয়ে। কাজের জগতে যেমন পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে এগিয়ে চলে সে তেমনই বাড়িতেও যে কোনো কাজেই আজ সে সমান স্বচ্ছন্দ।
    কিন্তু কথায় আছে মেয়েদের মন দায়! কারণ তারা রেগে থাকলেও অনেকসময় ব্যবহারে ও মনের দিক থেকে কোমল হয়ে থাকে। আবার এর অন্যথায় যে হয় না তা নয়। পুরুষের তুলনায় মেয়েরা অনেকক্ষেত্রেই বেশি অনুভূতিপ্রবণ হন।
    তবে বিভিন্ন বয়সে নারী পুরুষ উভয়েরই আচার আচরণে ও জীবন ধারায় যথেষ্ট পরিবর্তন চোখে পরে। যেমন ১৮ থেকে ২০ বছরের মেয়েরা একটি লাজুক হয়ে থাকে। যদিও এর ব্যতিক্রম কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়।
    সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, ২০ বছর একটি মেয়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বয়স। কিন্তু একটি মেয়ের ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
    ২০ বছরের মেয়েরা মানসিকভাবে অভিজ্ঞ হয় না। সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারে না কিন্তু ২০ বছরের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অনেক কিছু বুঝতে সক্ষম হয়। ৩০ বছরে যা অনেকটাই পূর্ণ হয়ে আসে। বেশ কয়েকটি কারণে মেয়েদের ৩০ বছর বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বয়স। এই বয়সে তারা সবার খেয়াল রাখতে পারেন। দায়িত্ব পালন করতে পারেন এবং তিরিশ বছর বয়সের কিছু বিশেষত্ব উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়, যে তথ্যগুলো আপনাকে চমকে দিতে পারে। কিন্তু এগুলো সত্যি।
    তিরিশ বছরকে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক অবাক করা কারণ। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সেই সব কারণগুলি জানাবো। আসলে ৩০ বছর বয়সে মেয়েদের মধ্যে তাদের ছোটবেলা ফুটে উঠে। এই বয়সে এসেই মেয়েদের বেড়াতে ভালো লাগে, নিজেদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে ভাবতেও ভালোবাসেন তারা। তারা এই বয়সে বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন। আবার কিছুটা হলেও সঞ্চয়ে মন দেন। খরচের মাত্রা কমিয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে শুরু করেন তারা।
    এই বয়সে মেয়েরা বেশীর ভাগ সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে ভালোভাবে নিতে পারে। আর এই বয়সে তারা সব কিছু সামলে নিতে পারে। পাশাপাশি সমীক্ষায় দাবি, এই বয়সে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস সব থেকে বেশি বেড়ে যায়।
    একইসঙ্গে এই বয়সে নারীরা অনেক ছোটো ছোটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া করার অভ্যাস ত্যাগ করেন। শুধু তাই নয়, এই বয়সে তারা তাদের ভুলগুলো বুঝে সেগুলোকে ঠিক করার কথাও ভাবেন।
    বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত তিরিশের নিচে মেয়েরা নিজেদের সব ভুল লুকিয়ে রাখেন। তাদের মধ্যে ভুল এড়িয়ে চলার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। অথচ ৩০ বছর বয়সের পরে তাদের সব কিছু বদলে যায়। আর এই বয়সে তাদের পোশাক-আশাকেও অনেক পরিবর্তন আসে, তারা সব কিছু একদম সঠিকভাবে বুঝতে থাকে কোনটি তাদের জন্য উপযুক্ত।
    তিরিশ বছরে পৌঁছে মেয়েরা একধাক্কায় অনেকটাই অভিজ্ঞ, সহনশীল ও বুদ্ধিদ্বীপ্ত হয়ে ওঠে যা পূর্বে তাদের মধ্যে দেখা যায় না সেভাবে।
  • নারীর গো/প/না/ঙ্গের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়

    নারীর গো/প/না/ঙ্গের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়

    নারীর গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
    নারীদের গোপনাঙ্গ থেকে একধরনের সাদা তরল নির্গত হয়। একে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বলে। এই তরল যোনিকে তৈলাক্ত রাখে এবং ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। তবে মাঝেমধ্যে এই যোনিরস থেকে আসা গন্ধ অস্বস্তির কারণ হয়। এটি যৌনজীবনেও ব্যাঘাত ঘটায়।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত সাদাস্রাব, মেটালিক বা দুর্গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব অস্বাস্থ্যকর ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জেরই কারণ। তবে এই সমস্যা নিয়ে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। কিছু ঘরোয়া উপায়ে গোপনাঙ্গের এই দুর্গন্ধ দূর করা যায়। চলুন এমন কিছু উপায় জেনে নিই-

    vagina

    নিম পাতা 

    নিম পাতায় রয়েছে জীবাণুরোধী উপাদান যা জীবাণু তৈরি হওয়া আটকায়। এটি গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখে। দিনে দুইবার নিম পাতা ফোটানো পানি ঠান্ডা করে তা দিয়ে যোনি পরিষ্কার করুন। দুর্গন্ধ দূর হবে।

    মেথি 


    শরীরের জন্য বেশ উপকারি মেথি। কয়েকদিন মেথি ভেজানো পানি পান করুন। মেথি পানি দেহের ভিটামিন ও মিনারেলের যোগান দেয়। এটি হরমোনও নিয়ন্ত্রণে রাখে যা দুর্গন্ধ সৃষ্টির একটি বড় কারণ।

    turmeric

    হলুদ 

    হলুদ মেশানো পানি দিয়ে যোনি পরিষ্কার করুন। এটি জীবাণু মেরে ফেলে ও ইমিউনিটি বাড়ায়। কয়েকদিন হলুদ পানি ব্যবহার করলে যোনির দুর্গন্ধ দূর হবে। সেই সঙ্গে ত্বকও উজ্জ্বল হবে।

     

    ল্যাভেন্ডার অয়েল 

    ঘরে ল্যাভেন্ডার অয়েল থাকলে সেটিই ব্যবহার করুন যোনির দুর্গন্ধ দূর করতে। এটি যোনিতে হওয়া দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি চুলকানিও কমাবে। ল্যাভেন্ডার তেল মেশানো পানি দিয়ে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করে নিন।

    vagina

    লেবুজাতীয় ফল 

    যোনিতে দুর্গন্ধ হলে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন লেবুজাতীয় ফল বা ফলের রস। এই ধরনের ফল বা ডিটক্স ওয়াটার দেহের পিএইচ লেভেল ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে জীবাণুরোধী হিসেবেও কাজ করে।

     

    এসব ঘরোয়া উপায় কাজে লাগালে যোনির দুর্গন্ধ চলে যাবে। এরপরও যদি না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

  • ৩ টি লক্ষণ থাকলে কখনো সন্তান হবে না

    ৩ টি লক্ষণ থাকলে কখনো সন্তান হবে না

    সন্তান জন্মদানে সক্ষমতা নারী ও পুরুষ উভয়ের শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ বা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করলে প্রজনন সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

    ১. নারীদের গর্ভধারণে ঝুঁকির ৩ প্রধান লক্ষণ

    নারীর দেহে এই তিনটি লক্ষণ দীর্ঘমেয়াদী হলে তা প্রজননতন্ত্রে বড় সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে:

    ১. দীর্ঘমেয়াদী তলপেটে ব্যথা:

    তলপেটে ক্রমাগত বা দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা অনুভব করা, বিশেষত সেই ব্যথা যদি পায়ুপথ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়—তাহলে তা জরায়ুতে কোনো সমস্যা, যেমন ‘এন্ডোমেট্রিওসিস’ বা অন্য কোনো রোগের কারণে হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা জরায়ুর কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

    ২. পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) এর লক্ষণ:

    হঠাৎ করে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি, মুখে পুরুষের মতো লোম গজানো (হিরসুটিজম), ঘাড় ও বগলের নিচের অংশ কালো হয়ে যাওয়া, এবং ব্রণ বৃদ্ধি—এগুলো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) এর লক্ষণ। PCOS ডিম্বাণু নিঃসরণে বাধা দেয় এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

    ৩. অনিয়মিত ঋতুচক্র (পিরিয়ড):

    যদি কোনো নারীর ঋতুচক্র ২১ দিনের কম সময়ে বা ৪০ দিনের বেশি সময়ে হয়, অথবা পিরিয়ড একেবারেই অনিয়মিত হয়, তবে তা হরমোনের গুরুতর ভারসাম্যহীনতার (যেমন—এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন, এফএসএইচ, এলএইচ হরমোনের পরিবর্তন) লক্ষণ। অনিয়মিত ঋতুচক্র ডিম্বাণুর গুণগত মান ও পরিমাণ হ্রাস করে, যা গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

    ২. পুরুষদের প্রজনন সক্ষমতা হ্রাসের লক্ষণ

    পুরুষদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানে প্রধান বাধা হলো শুক্রাণুর সমস্যা। তবে কিছু বাহ্যিক লক্ষণ এই সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে:

    ১. তলপেট বৃদ্ধি ও পেশীর শিথিলতা:

    হঠাৎ করে তলপেটে মেদ জমা, দ্রুত ওজন বৃদ্ধি এবং পেশী (মাসেলস) দুর্বল বা শিথিল হয়ে যাওয়া (লুজ হওয়া)। এই লক্ষণগুলো প্রায়শই টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত।

    ২. অণ্ডকোষে ব্যথা বা ফুলে যাওয়া:

    বিশেষ করে অণ্ডকোষে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা বা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেওয়া, যা শুক্রাণুর উৎপাদন বা গুণগত মানকে প্রভাবিত করতে পারে।

    ৩. যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস ও চুল পড়া:

    স্ত্রীর প্রতি আকাঙ্ক্ষা বা যৌন মিলনে আগ্রহ কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস দেখা দেওয়া এবং অস্বাভাবিক হারে চুল পড়া বা দাড়ি কমে যাওয়া। এগুলো শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নির্দেশ করে এবং পুরুষের প্রজনন সক্ষমতা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।

    ৩. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও করণীয়

    উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

    * নারীদের জন্য: অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন। দ্রুত গর্ভধারণের জন্য চেষ্টা করলে তিন মাস আগে থেকে ফলিক এসিড, ভিটামিন ই ও ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, পর্যাপ্ত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও পানি পান অপরিহার্য।

    * পুরুষদের জন্য: স্ত্রীর পিরিয়ড স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও ৬ মাস নিয়মিত চেষ্টার পরেও যদি সন্তান না হয়, তবে সিমেন অ্যানালাইসিস (Semen Analysis) পরীক্ষা করে শুক্রাণুর পরিমাণ ও গতি যাচাই করা যেতে পারে। পুষ্টিকর খাদ্য (ভিটামিন ই, ডি, জিঙ্ক) গ্রহণ, ধূমপান ও মধ্যপান পরিহার করা, এবং রাতের খাবারে ভাতের পরিবর্তে প্রোটিন (ডিম/মাংস/মাছ) ও ফলমূল রাখা শুক্রাণুর মান উন্নত করতে সহায়তা করে।