• সোনার আজকের বাজারদর, ভরিতে কত?

    সোনার আজকের বাজারদর, ভরিতে কত?

    সোনা যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে দাম প্রায় প্রতিনিয়তই ওঠানামা করতে থাকে। এই দাম বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সবশেষ ২৪ জুলাই রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ায় বাজুস। সেই দামেই আজ (মঙ্গলবার) বিক্রি হচ্ছে সোনা।

    বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা কিনতে গেলে দাম পড়বে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    চলতি বছর মোট ৪৫ বার দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা হয়। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৯ বার, আর কমেছে মাত্র ১৬ বার।

    এ ছাড়া ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

     

  • ৩৬ ঘণ্টা পর টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার

    ৩৬ ঘণ্টা পর টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার

    টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি (২৮) নামে এক নারী। ৩৬ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর শালিকচুড়া বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি যে ড্রেনটিতে পড়েছিলেন সে ড্রেনের পানি টঙ্গীর ওই বিলটিতে গিয়ে নামতো। সকালে ওই বিলে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে তার মরদেহটি পাওয়া যায়।

    ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা। তিনি মৃত ওলিউল্লাহ আহাম্মদ বাবলুর মেয়ে। জ্যোতি হোসেন মার্কেট এলাকায় বাস করতেন ও একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ঘটনার সময় তিনি ওষুধ সরবরাহের কাজে টঙ্গী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টঙ্গী ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে থাকা ড্রেনের একটি স্থানে স্লাব না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত ছিল। সেখানে কর্তৃপক্ষ কোনো স্লাব বসায়নি, এমনকি সতর্কতা মূলক কোনো সাইনবোর্ডও ছিল না। হেঁটে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত ওই নারী খোলা ড্রেনের ভেতর পড়ে যান। একপর্যায়ে পানির প্রবল স্রোতে তিনি নিখোঁজ হন।

    ঘটনার পরপরই গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।

    উল্লেখ্য, রোববার (২৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ড্রেনে পড়ে যান তিনি।

     

  • এসি থেকে নয়, দুর্নীতির নথি পোড়া তেই বিয়াম ভবনে আগুন দেয়া হয়: পিবিআই

    এসি থেকে নয়, দুর্নীতির নথি পোড়া তেই বিয়াম ভবনে আগুন দেয়া হয়: পিবিআই

    রাজধানীর হাতিরঝিলে বিয়াম ফাউন্ডেশনের অগ্নিকাণ্ড কোনও দুর্ঘটনা ছিল না, বরং পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অফিসের দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া। পিবিআই-এর তদন্তে উঠে এসেছে, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে অফিস সহায়ক আব্দুল মালেক ও গাড়িচালক ফারুক একটি বদ্ধ এসি রুমে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। আগুন লাগানোর সময় হঠাৎ একটি বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল মালেক নিহত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুকের মৃত্যু হয়। সিসিটিভি ফুটেজ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশ করে পিবিআই।

    পিবিআই জানায়, এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড জাহিদুল ইসলাম তার পূর্বপরিচিত আশরাফুল ইসলামকে ব্যবহার করে পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দারা বলছেন, অফিসের রুমটি ছিল একটি ছোট, বদ্ধ এবং এসি-চালিত কক্ষ। পেট্রোল ঢালার ফলে ঘরের ওপরে দাহ্য গ্যাস জমে গিয়েছিল, যা আগুন লাগাতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে রূপ নেয়। যদি এসি বিস্ফোরণের কারণ হতো, তাহলে এসির ইনডোর ইউনিটের মুখ ক্ষতিগ্রস্ত হতো, কিন্তু সেটি অক্ষত থাকায় বোঝা গেছে এটি এসি বিস্ফোরণ ছিল না।

    পিবিআই আরও জানায়, নথিপত্র ধ্বংস করে আর্থিক লেনদেন গোপন করাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য, যা অনেক দিনের পরিকল্পনার অংশ। কোন একটি আর্থিক অনিয়ম বা “ডিসক্রিপেন্সি” উত্থাপনের পর থেকেই জাহিদুল ইসলাম এই পরিকল্পনা করেন। এই অনিয়ম কবে কীভাবে উত্থাপিত হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তদন্তে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম একই জেলার এবং পূর্বপরিচিত ছিলেন। আশরাফ ঢাকায় থাকতেন, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই জাহিদ এই কাজটি করান। গোয়েন্দারা বলছেন, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা এবং এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে কারা লাভবান হয়েছে—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করলেই ঘটনার আরও গভীর লিংক বেরিয়ে আসবে।

  • সভা শেষেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হাসনাত আব্দুল্লাহ, জানুন সর্বশেষ পরিস্থিতি

    সভা শেষেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হাসনাত আব্দুল্লাহ, জানুন সর্বশেষ পরিস্থিতি

    ময়মনসিংহ নগরীর পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে সোমবার সন্ধ্যার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

    এদিন সন্ধ্যার পর তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানে তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ক্লিনিক থেকে বের হয়ে টাঙ্গাইলের পথে রওনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    হাসনাত আব্দুল্লাহর বড় কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মৃদুল কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘জ্বর, সর্দি, কাশি ও বমি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রিপোর্ট ভালো পাওয়া গেছে। প্রায় ২ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থেকে তিনি বেরিয়ে যান।

    এনসিপির কয়েকজন স্থানীয় নেতা জানান, কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিক কর্মসূচির কারণে কিছুটা অসুস্থবোধ করছিলেন তিনি। জ্বর-সর্দি ও কাঁশিতে ভুগছিলেন।