• স্বপ্নে কে;য়া;মত হতে দেখে তওবা করে অভিনয় ছেড়েছি : আন্না

    স্বপ্নে কে;য়া;মত হতে দেখে তওবা করে অভিনয় ছেড়েছি : আন্না

    এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নাহিদা আশরাফ আন্না। দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় থেকে দূরে আছেন প্রায় অর্ধশত সিনেমায় অভিনয় করা এই নায়িকা। সংসারের পাশাপাশি ব্যবসা নিয়েই এখন তার ব্যস্ততা।

    হঠাৎ সিনেমা ছাড়া প্রসঙ্গে আন্না জানান, স্বপ্নে কে;য়া;;মত হতে দেখে এক রাতের মধ্যেই অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে তওবা করেছি, আর কখনও অভিনয় করব না।

    তিনি যোগ করেন, অভিনয়কে আমি সবসময় ভালোবাসি। হয়তো কারণবশত আমি কাজটা ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে পার্লার বিজনেস নিয়ে আমি খুবই হ্যাপি। কারণ, আমি এখানে শুধু মেকআপ নিয়ে কাজ করছি না, নারী উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করছি।

    সিনেমায় অভিনয়ের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আন্না জানান, আমি মান্না ভাই, ডিপজল সাহেবের সঙ্গে বেশি কাজ করেছি। এছাড়াও শাকিব, রিয়াজ, ফেরদৌস ভাইয়ের সঙ্গেও কাজ করেছি। বলতে পারেন, জায়েদ ভাই থেকে শুরু করে সবার সঙ্গেই কাজ করেছি। একদিক থেকে আমি অনেক লাকি। সবাই আমাকে অনেক ভালোবেসেছে এবং সবাইকে আমি সম্মান দিয়েছি। আমার কোনো শত্রু নেই, আলহামদুলিল্লাহ্‌।

    তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে সাবেক এই নায়িকার ভাষ্য, যখন আমি আমার কোনো সহকর্মীর নামে বাজে কথা শুনি, তখন খুব খারাপ লাগে। আগে তারকাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে মানুষ তেমন জানতে পারত না। কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে কিছু হলেই সবাই জেনে যায়, সমস্যাটা এখানেই। আমার একটাই চাওয়া, সিনিয়র-জুনিয়র সবাই তাদের ব্যক্তিগত জীবন হাইডে রাখুক। সবাই প্রোফেশনটাকেই হাইলাইট করুক। সবার জন্য আমার শুভকামনা।

    এ সময় আন্না’স মেকওভার প্রসঙ্গে তিনি জানান, পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে আন্না’স মেকওভার অ্যান্ড স্কুল অব বিউটিফিকেশন কাজ করে যাচ্ছে। এটাকে আমরা একটা স্কুলের মতো করেছি। বাচ্চারা যেভাবে স্কুলে শেখে, এখানেও সেভাবেই মেকআপের স্কুলিংয়ের মতো করেছি। এই প্রফেশনে এসে আমি খুবই হ্যাপী। ছোটবেলা থেকেই মানুষকে সাজাতে পছন্দ করি।

  • ৫২ বছরের শিক্ষকের প্রেমে মজে বিয়ে করলেন ২০ বছরের ছাত্রী

    ৫২ বছরের শিক্ষকের প্রেমে মজে বিয়ে করলেন ২০ বছরের ছাত্রী

    তাদের বয়সের ব্যবধান ৩২ বছরের। তবে এই ব্যবধান দু’জনের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তাই তো বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে একে অপরের হাত ধরেছেন ৫২ বছর বয়সী শিক্ষক ও ২০ বছরের প্রেমিকা।

    পাকিস্তানের এই দম্পতির প্রেমকাহিনি নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। খবর আজতাকের।

    জোয়া নুর বি.কমের ছাত্রী। সাজিদ আলি তার শিক্ষক। পড়তে পড়তেই শিক্ষককে মন দিয়ে ফেলেন জোয়া। সাজিদের ব্যক্তিত্ব আকৃষ্ট করে তাকে। তাই বয়সের পার্থক্যকে তুড়ি মেরে প্রেমের জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দেন এই তরুণী।

    তবে হুট করেই জোয়ার প্রেমে পড়েননি পঞ্চাশোর্ধ্ব সাজিদ। তিনি প্রথম দিকে ছাত্রীর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু জোয়ার প্রেমের টানে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি সাজিদ। তারপরই দু’জনের চার হাত এক হয়। এক ইউটিউবারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের প্রেমের কাহিনি শুনিয়েছেন জোয়া ও সাজিদ।

    জোয়া জানিয়েছেন, কলেজেই সাজিদকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমে তা প্রত্যাখ্যান করেন সাজিদ। জোয়াকে সাজিদ বলেছিলেন, ‘আমাদের মধ্যে ৩২ বছরের পার্থক্য। আমরা বিয়ে করতে পারি না।’ তবে মনের মানুষকে কাছে পেতে নাছোড়বান্দা মনোভাব ছিল জোয়ার। তাই প্রাথমিকভাবে তার প্রস্তাব সাজিদ ফিরিয়ে দিলেও তিনি ভেঙে পড়েননি। আবার ছাত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে সাজিদেরও কোনো গোঁড়ামি ছিল না। সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সাজিদ।

    বিয়ের বিষয়ে দু’জনের পরিবার থেকেই আপত্তি ওঠে। কিন্তু কোনো বাধাই তাদের প্রেমে পরিণতি ঠেকাতে পারেনি। বর্তমানে সুখেই সংসার করছেন তারা।

  • ৬ মাসের যমজ শিশুসহ মাকে হাজতে আটক, ওসি প্রত্যাহার 

    ৬ মাসের যমজ শিশুসহ মাকে হাজতে আটক, ওসি প্রত্যাহার 

    ছয় মাসের যমজ শিশুসহ মাকে থানা হাজতে আটকে রাখার ঘটনায় ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার।

    পুলিশ সূত্র জানায়, কিছুদিন ধরেই নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে ৬ মাসের যমজ শিশুসহ মাকে থানা হাজতে রাখেন। অন্যদিকে একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহতের বাবা মামলা করতে না চাইলেও তাকে থানায় ডেকে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখেন। এ কারণে নিহত ছেলের জানাজা পড়তে পারেননি বাবা।

    সূত্র জানায়, গত ৯ জুলাই উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের নিজবানাইল গ্রামের মো. বায়োজিদের স্ত্রী নিশিদ আক্তারকে গভীর রাতে আটক করা হয়। ওই সময় ওই গৃহবধূ ৬ মাসের শিশুদের নিয়ে যেতে না চাইলেও জোর করে থানায় নিয়ে হাজতে আটকে রাখা হয়। পরদিন দুই শিশু সন্তানসহ ওই নারীর ছবি তুলে থানার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করা হয়। এতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

    পরে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার তদন্তে সত্যতা পেয়ে ওসিকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন।

     

  • ভুয়া র‍্যাবকে ধাওয়া দিলো আসল র‍্যাব, সন্দেহে দুই পক্ষকেই পেটাল জনতা

    ভুয়া র‍্যাবকে ধাওয়া দিলো আসল র‍্যাব, সন্দেহে দুই পক্ষকেই পেটাল জনতা

    একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাসকে ধাওয়া করছিল আরেকটি মাইক্রোবাস। বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় সড়কে গাছ ফেলে প্রথম মাইক্রোবাসকে থামান স্থানীয়রা। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের র‍্যাব পরিচয় দিলে কারও গায়ে র‍্যাবের পোশাক না থাকায় সন্দেহ থেকে তাদের আটকে মারধর শুরু করেন স্থানীয়রা।

    এমন সময়ে সেখানে পৌঁছায় দ্বিতীয় মাইক্রোবাসটি। তারা নিজেদের র‍্যাব পরিচয় দিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কয়েকজনের গায়ে ইউনিফর্ম না থাকায় তারাও পিটুনির শিকার হন। একপর্যায়ে থানা থেকে পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকেই উদ্ধার করেন।

    সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চর যশোরদী ইউনিয়নের জয় বাংলার মোড় এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

    নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আমীরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, জনতার হাত থেকে র‍্যাব ও ভুয়া র‍্যাব সদস্যদের উদ্ধার করে নগরকান্দা থানায় নিয়ে আসা হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের নিয়ে ফরিদপুর র‍্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

    মারধরের শিকার ভুয়া র‍্যাব পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা হলেন, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ছাব্বিশপাড়া গ্রামের স্বপন খান (৪৫), চাঁদপুর সদরের মদনা গ্রামের মিন্টু গাজী (৪৫), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কুনসিবাড়ি গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আন্ডারচর এলাকার মো. জামিল (৩২) এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা গ্রামের দিদার (২৯)।

    র‍্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার তারিকুল ইসলাম বলেন, র‍্যাব-১০–এর হেডকোয়ার্টার থেকে একটি টিম ডাকাত দলকে ধাওয়া করে আসছিল। স্থানীয় লোকজন ভুল বুঝে উভয় পক্ষের ওপর চড়াও হন। কিছু র‍্যাবের সদস্যরা সাদা পোশাকে থাকায় উত্তেজিত লোকজন তাদেরও মারধর করেন।