• এসির সামনে চিকিৎসকের ঘুম, রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু

    এসির সামনে চিকিৎসকের ঘুম, রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু

    সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সুনীল এক ব্যক্তি স্ট্রেচারে শুয়ে যন্ত্রণায় কাঁদছিলেন এবং রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। কর্তব্যরত দুই জুনিয়র চিকিৎসক ভূপেশ কুমার রাই ও অনিকিত ঘুমাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে আহত ব্যক্তিটি রক্তক্ষরণে মারা যায়। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দুই জুনিয়র চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মিরাটে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ৭টায় সুনীলের মৃত্যু হয়।

    পরিবারের অভিযোগ, বিলম্বে চিকিৎসার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে জিন্দাল দাবি করেছেন, রোগী আগে থেকেই গুরুতর অবস্থায় ছিলেন।

    নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, লালা লাজপত রায় মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ঘুমাচ্ছেন। রোগী তখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সুনীল নামের এক ব্যক্তিকে লালা লাজপত রায় মেমোরিয়াল (এলএলআরএম) মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসে পুলিশ। জরুরি বিভাগে ভর্তি করার সময় সুনীলের শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল বলে জানা গেছে।

    ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন চিকিৎসক এসির সামনে টেবিলে পা ছড়িয়ে ঘুমাচ্ছেন। একজন নারী একটি শিশু ও প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে চিকিৎসককে জাগানোর চেষ্টা করছেন। পাশেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন সুনীল, তার পা থেকে রক্ত ঝরছে।

    ঘটনার সময় ডিউটি ইন-চার্জ শশাঙ্ক জিন্দাল হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। তবে তদন্তের সময় জিন্দাল জানান, অবহেলা ও পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জানার পরপরই তিনি হাসপাতালে এসে রোগীকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেন।

    এলএলআরএম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আর সি গুপ্ত বলেন, একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন জুনিয়র চিকিৎসক ঘুমাচ্ছেন, যখন একজন রোগী সাহায্য চাচ্ছিলেন।

    মিরাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • শেখ পরিবারের নামে থাকা ৪ কলেজ ও ২১ ভবনের নাম পরিবর্তন

    শেখ পরিবারের নামে থাকা ৪ কলেজ ও ২১ ভবনের নাম পরিবর্তন

    দেশের চারটি সরকারি কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি ভবন ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। মূলত, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, শেখ কামালসহ আওয়ামী লীগ ঘরানার বেশ কয়েকজনের নাম সরিয়ে দিয়ে নতুন নামকরণ করা হয়েছে।

    সোমবার (২৮ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৪ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়েছে, মোট চারটি সরকারি কলেজের নাম এবং ২১টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ স্থানে পূর্বের নাম থেকে রাজনৈতিক ও পারিবারিক অভিঘাত মুছে দিয়ে নিরপেক্ষ বা ভৌগোলিক ভিত্তিক নাম যুক্ত করা হয়েছে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির চিঠির আলোকে এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার পরামর্শ অনুযায়ী।

    যেসব কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে-

    ‘শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল’ এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল’। ‘সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা’ হয়েছে ‘খুলনা সরকারি কলেজ, খুলনা’, ‘জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ, ভৈরব’ হয়েছে ‘ভৈরব সরকারি মহিলা কলেজ’ এবং ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ, ইটনা’ হয়েছে ‘ইটনা সরকারি কলেজ’।

    নাম পরিবর্তন হয়েছে যেসব স্থাপনার-

    প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিভিন্ন কলেজে স্থাপিত ছাত্রাবাস, একাডেমিক ভবন ও ছাত্রীনিবাসের নাম থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রাসেল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ডা. ওয়াজেদ মিয়াসহ অনেকের নাম।

    এরমধ্যে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের ‘শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস’ এখন থেকে শুধুই ‘বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রীনিবাস’ নামে পরিচিত হবে। একইভাবে ঢাকা কলেজের ‘শেখ কামাল হল’ হয়েছে ‘বিজয় ২৪’ এবং ‘শেখ জামাল একাডেমিক ভবন’ হয়েছে ‘জুলাই ৩৬ একাডেমিক ভবন’। শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ‘শেখ রাসেল ছাত্রাবাস’ বদলে হয়েছে ‘শহীদ মামুন ছাত্রাবাস’। তিতুমীর কলেজের ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন’ এখন ‘নতুন বিজ্ঞান ভবন’ নামে চালু থাকবে।

    এ ছাড়া বিভিন্ন কলেজের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’-এর নামও একাধিক ক্ষেত্রে বদলানো হয়েছে। রাজবাড়ী সরকারি কলেজে এটি হয়েছে ‘তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাস’, আর দিনাজপুর সরকারি কলেজে ‘বঙ্গমাতা শেখ

    ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ নামটি সরিয়ে ‘ছাত্রীনিবাস-৩’ নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

    নরসিংদী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, পাবনা ও সন্দ্বীপের সরকারি কলেজগুলোর বিভিন্ন ভবনেও একই ধরনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

     

  • টিকটকে প্রেম, মাদারীপুরে এসে তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

    টিকটকে প্রেম, মাদারীপুরে এসে তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

    টিকটকে পরিচয় ও ইউটার্চে চার মাসের প্রেম তাদের। অতঃপর চীন থেকে বাংলাদেশের মাদারীপুরে এসে তরুণীকে বিয়ে করেছেন সিতিয়ান জিং (২৬) নামের এক যুবক। বিয়ের পর সিতিয়ান জিং শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন।

    রোববার (২৭ জুলাই) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষের চরের কনের বাড়িতে পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।

    সিতিয়ান জিং চীনের সাং হাই শহরের সি জিং নিংয়ের ছেলে। তারা দুই ভাই। সাং হাই শহরে তার রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে। কনের নাম সুমাইয়া আক্তার। তিনি উত্তর মহিষেরচর এলাকার সাইদুর মুন্সির মেয়ে।

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সিতিয়ান জিংয়ের সঙ্গে টিকটকে পরিচয় হয় সুমাইয়ার। পরে ইউটার্চের মাধ্যমে কথা আদান-প্রদান হয়। উভয়ই সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান-প্রদান করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক হয়।

    চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২৪ জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন সিতিয়ান জিং। একদিন ঢাকায় থেকে ২৬ জুলাই মাদারীপুর মহিষের চরের সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন তিনি। সুমাইয়া, সুমাইয়ার বাবা ও তার দুই আত্মীয় ঢাকা থেকে তাকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদান-প্রদান করেন সিতিয়ান জিং। পরে ২৭ জুলাই তারা বিয়ে করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে আশপাশের মানুষ ভিড় করতে থাকেন।

     

    এ বিষয়ে সুমাইয়া আক্তার বলেন, চার মাসের প্রেমের সূত্রে চীন থেকে বাংলাদেশ চলে আসবেন এটা কখনও ভাবিনি। প্লেনে ওঠার সময় তিনি বলেছেন আমি বাংলাদেশে আসতেছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করেনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি। ও তার মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। ওরাও মুসলিম। ওর মা বলেছেন আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই সিতিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন। এরমধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। ও এক মাস বাংলাদেশে থাকবে। এরমধ্যে আমার সব কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।

    সিতিয়ান জিং বলেন, বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে। তবে অনেক গরম। আর অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে। আমার ভয় লাগে। আমি ভালোবেসে চীন থেকে এখানে এসেছি। সুমাইয়াকে বিয়ে করেছি। এখন ওর কাগজপত্র রেডি করে চীনে নিয়ে যাব। আমার পরিবার সব জানে।

    প্রতিবেশী একজন বলেন, চীন দেশের এক নাগরিক এখানে এসে আমার প্রতিবেশী বোন সুমাইয়াকে বিয়ে করেছেন। আমরা এতে খুব খুশি। তাছাড়া তাকে দেখার জন্য আশপাশের মানুষজন ভিড় করছে।

    পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, কয়েকদিন আগে চীন থেকে এক ছেলে এখানে এসেছেন। তার সঙ্গে আমাদের এলাকার সুমাইয়ার বিয়ে হয়। প্রথমে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। পরে সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। শুনেছি চীনে ওই ছেলের ব্যবসা আছে। কিছুদিনের মধ্যে সুমাইয়াকেও নিয়ে যাবে।

     

  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ

    মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ

    মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে আরও ১৮ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কাজিপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

    বিজিবি কাজিপুর কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার হাবিবুর রহমান জানান, দুপুরে কাঁটাতারের বেড়া খুলে তাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকতে বাধ্য করে বিএসএফ। ভারত থেকে আসা ১৮ জন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগে তাদের আটক করে বিজিবি।

    আটককৃতরা জানান, বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। তাদের আটক করে কাজিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। তাদের বাড়ি খুলনা, যশোর, নড়াইল ও ঠাকুরগাঁও জেলায়।

    গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, বিজিবি থেকে তাদের হস্তান্তর করলে পরিচয় যাচাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।