• পুরুষের যৌ’ন হরমোন টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করে যে ১২টি খাবার!

    পুরুষের যৌ’ন হরমোন টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করে যে ১২টি খাবার!

    টেস্টোস্টেরনকে বলা হয় যৌন হরমোন। এটি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য, ভিটামিন এ ডিম, দুধ, মাংস, কমলা বা হলুদ ফল এবং শাকসবজি। ভিটামিন এ পুরুষ এবং মহিলা উভয় যৌন হরমোন উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য। এমনকি মহিলাদের মধ্যে স্বাভাবিক প্রজনন চক্রের জন্য, এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা অপরিহার্য।

    পুরুষদের জন্য, ভিটামিন এ শুক্রাণু উৎপাদন এবং পুরুষত্বের জন্য অত্যাবশ্যক৷ যদিও ভিটামিন সি সাধারণ সর্দি নিরাময়ের জন্য বেশি জনপ্রিয়, এটি আপনার যৌন জীবনকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে। সাইট্রাস ফল এবং শাকসবজি ভিটামিন সি এর একটি ভাল উৎস৷ স্ট্যামিনা এবং শক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, ভিটামিন ই ভাল রক্ত সঞ্চালনের জন্যও ভাল। আপনি এটি তৈলাক্ত মাছ, ডিম এবং দুগ্ধজাত পণ্যগুলিতে পেতে পারেন। এটিকে ‘সেক্স ভিটামিন’ও বলা হয় কারণ এটি আপনার যৌনাঙ্গে রক্ত প্রবাহ এবং অক্সিজেনের যোগান বাড়ায়৷ বাদামি চাল, সামুদ্রিক খাবার, সবুজ শাক, মাংস এবং গোটা শস্যের রুটিতে বি ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন বি 12-এর ঘাটতি ক্লাইম্যাক্সের সময়ে আনন্দের অভাবের জন্য অবদান রাখতে পারে৷ ভিটামিন বি৩, যা নিয়াসিন নামেও পরিচিত, শরীরের অনেক কার্যকারিতা সহজ করে। এটি এনজাইমকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে, যা শক্তিশালী যৌন কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    এছাড়াও, ভিটামিন বি৩ রক্তপ্রবাহ দ্রুত করতে সাহায্য করে, যা দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী তৃপ্তি দেয়। ভিটামিন ডি, যা সানশাইন ভিটামিন নামেও পরিচিত, সুস্থ হাড়, পেশি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও, এটি পুরুষদের যৌন কার্যক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ইম্পোটেন্স রিসার্চ-এর একটি গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রা পুরুষদের যৌন কার্যক্ষমতা হ্রাসের সাথে সম্পর্কিত এবং কর্মহীনতার তীব্রতা ঘাটতির মাত্রার সাথে সম্পর্কিত। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে এন্ডোথেলিয়াল কোষ তৈরি করার ভিটামিনের ক্ষমতার পাশাপাশি নাইট্রিক অক্সাইড তৈরিতে ভূমিকার কারণে হতে পারে। যারা মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধি, যেমন বিষণ্ণতা এবং উচ্চ মাত্রার চাপে ভুগছেন তাদের মধ্যে যৌন কর্মহীনতার হার বেশি। ভিটামিন ডি সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে, যা যৌন কার্যকলাপে আগ্রহের অভাবের কারণে যৌন ইচ্ছা হ্রাস করতে পারে।

    ভিটামিন ই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সুস্থ ত্বক এবং হরমোনের ভারসাম্যের চাবিকাঠি। তবে, আপনি হয়তো জানেন না যে টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে ভূমিকা রাখার এবং শুক্রাণুর কার্যকারিতা উন্নত করার ক্ষমতার কারণে এটিকে “সেক্স ভিটামিন”ও বলা হয়। ভিটামিন ই রক্ত প্রবাহ এবং অক্সিজেন বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যের কারণে, ভিটামিন ই বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীরগতির করে পুরুষদের জীবনীশক্তি এবং প্রাণশক্তিও উন্নত করে। জিঙ্ক একটি অপরিহার্য খনিজ যা শরীরের অনেক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়, যেমন হজম, বিপাকীয় কার্যকারিতা, কোষের বৃদ্ধি এবং টেস্টোস্টেরন উৎপাদন।

    প্রকৃতপক্ষে, একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘাটতিযুক্ত পুরুষদের মধ্যে জিঙ্ক সাপ্লিমেন্টেশন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। অতএব, আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ানোর উপায় খুঁজছেন, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় জিংক সাপ্লিমেন্ট করার চেষ্টা করুন।

  • জানিনা আমার পেটে কার সন্তান, স্বামী ও দেবর ছাড়াও অনেকে ছিলেন

    জানিনা আমার পেটে কার সন্তান, স্বামী ও দেবর ছাড়াও অনেকে ছিলেন

    আমার নাম লিমা। সারাদিন একা একা থাকি আর এসব ভাবি। আমি আসলেই কার সন্তান পেটে নিয়ে চলাফেরা করছি। দয়া করে আমার পরিচয় সকলের সামনে তুলে ধরবেন না। কারন, আমি আমার সংসারকে অনেক ভালোবাসি। আমার বিয়ে হয়েছে আড়াই বছর আগে। তখন আমি মাত্র এস এস সি পাশ করি। শশুর বাড়ির লোকজন খুব ভালো। তারা সকলেই আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমার শশুর বাড়ির কারো ইচ্ছে নেই আমি আরও বেশী লেখাপড়া করি।

    আমি সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। আমার স্বামী ছিল অশিক্ষিত। আমি বেশিদুর লেখাপড়া করলে হয়তো তাকে ছাড়তে পারি এই ভয়ে আর একটি কারন হলো তারা কখনই আমাকে চাকুরী করতে দেবে না আর কলেজটিও ছিল আমার শশুর বাড়ি থেকে অনেক দুরে। যাই হোক মূল কথায় আসা যাক। বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ির সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে, আদর করে। আমার দুটি দেবর আছে তারা একজন আমার সমবয়সী এবং অন্যজন ১০ম শ্রেণীতে পড়ে। একজনের নাম সুমন আর অন্য জনের নাম সুজা।

    সুমন শহরে থেকে লেখাপড়া করে আর সুজা বাড়িতেই থাকে। সুমন বাড়িতে আসলে একসাথে লুডু খেলা হয়। অনেক মজা হয়। এভাবে বছর খানেক কাটে। এদিকে, সুমন এইচ এসসি পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে এসেছে। সবাই মিলে সব সময় হাসাহাসিতেই কাটে।

    একদিন আমাদের এক দুর আত্মীয়ের কেউ পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। সেখানে সবাই চলে যায়। বাড়িতে শুধু আমি থাকি। এদিকে, সুমন তার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল। সে কারনে সবাই যাওয়ার কিছু পরেই সুমন বাসায় চলে আসে। আসার পর বাড়িতে কেউ নেই শুনে যেন তার ঈদ লাগে। তখন বুঝতে পারিনি বাসায় একা শুনে তার এতো আনন্দ কেন? রুমে গিয়ে লুডু খেলতে বসেছি দুজনে।

    সুমন শুধু মিথ্যে করে নিচ্ছিল, আমি তাই তার গালে একটা চিমটি কাটলে সে আমাকে জাপটে ধরে। আমি তখনও মনে করেছি এটা ইয়ার্কি; করছে। কিন্তু সে আমার উপর থেকে এক চুলও নড়ছে না। মেয়ে মানুষ আর কতক্ষন একটি ছেলের কাছে টিকতে পারবো?

    সে খুব পরিচিত হওয়ায় এক পর্যায়ে আমিও সায় দিলাম। আমার দেবর সুমনের সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়ে গেল। এরপর দুপুরের খাবারের পর সে আবারও একবার এসব করল আমার সাথে। আমি আর তাকে বাধা দিইনি। আমাকেও অনেক ভলো লেগেছিল।

    এরপর থেকে সে যখনই সুযোগ পেত তখনই এসব করত আমার সাথে। এভাবে চলে প্রায় দুই মাস। এরপর সুমনের রেজাল্ট হয় এবং সে আবার শহরে চলে যায়। তারপর ২-৩মাস পর বুঝতে পারি যে আমি প্রেগনেন্স হয়ে পড়িছি। এখন আমার ছয় মাস চলছে। সেই মূহুর্ত গুলো আমার এখন সারাক্ষন মনে পড়ে। আসলে আমার পেটের এই বাচ্চাটি কার?

    আমি মানসিকভাবে খুবই সমস্যায় রয়েছি। এসব কথা কখনও কারো সাথে শেয়ার করার আস্থা আমি পাই না। কথাগুলো বলার আমার একটাই উদ্দেশ্য আমার মতো খেলার ছলে এসব যেন আর কেউ না করে। এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিন। পরামর্শ: আপু আপনার জীবনে যা ঘটেছে তা যেন আর কারো জীবনে না ঘটে এটাই আমাদের কাম্য।

    তবে এখন আপনি নিজেকে এই সন্তানের বাবা হিসেবে আপনার স্বামীকেই প্রাধান্য দিন। তবেই আপনি মানসিকভাবে শান্তি পাবেন। হয়তো এসব ঘটনা অনেকের জীবনে ঘটে। আপনি আপনার সংসারের সকলকে নিয়ে সর্বদায় শান্তিতে থাকেন এটাই আমাদের চাওয়া। আর আপনার দেবরকে এসবে পরবর্তীতে পাত্তা দেবেননা এটাই আমরা আপনার কাছ থেকে আশা করব।

  • পায়খানায় এই ৪টি লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন, হতে পারে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার!

    পায়খানায় এই ৪টি লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন, হতে পারে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার!

    কোলোরেক্টাল ক্যান্সার এখন বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়তে থাকা এক জনস্বাস্থ্য সংকট। শুধু বয়স্ক নয়, তরুণদের মধ্যেও এ রোগের আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। সমস্যাটি আরও জটিল হয় কারণ শুরুর পর্যায়ে এই ক্যান্সার সাধারণত নিঃশব্দে থাকে, কিংবা এমন কিছু হজমজনিত পরিবর্তন দেখা দেয় যা সহজেই অন্য সাধারণ অসুস্থতার সঙ্গে মিলে যায়। জেএএমএ নেটওয়ার্ক–এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, কিছু উপসর্গ বিশেষভাবে প্রাথমিক পর্যায়ের কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত।

    নিচে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংকেত তুলে ধরা হলো, যেগুলো মলের মাধ্যমেই শরীর আগে থেকেই জানান দেয়।

    কেন আগেভাগে শনাক্ত করা এত গুরুত্বপূর্ণ?

    আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তথ্যে দেখা যায়, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার যদি রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগেই ধরা পড়ে, তাহলে ৫ বছরের সার্ভাইভাল রেট প্রায় ৯০ শতাংশ। কিন্তু রোগ ছড়িয়ে পড়লে এ হার কমে দাঁড়ায় আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রায় ৭৩ শতাংশ এবং দূরবর্তী অঙ্গ আক্রান্ত হলে মাত্র ১৩ শতাংশে নেমে আসে।

    অর্থাৎ সময়ের আগেই শনাক্ত করতে পারলেই চিকিৎসা সফলতার সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়ে এবং সম্পূর্ণ সেরে ওঠার সুযোগও তৈরি হয়।

    মলে দেখা দিলে যেগুলো হতে পারে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের প্রাথমিক সংকেত
    ১. পেন্সিলের মতো সরু বা ফিতা-আকৃতির মল

    হঠাৎ এবং স্থায়ীভাবে মল সরু, ফিতার মতো বা পেন্সিলের মতো পাতলা হয়ে গেলে তা সতর্কতার কারণ। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি জানায়, কয়েক দিনের বেশি এমন পরিবর্তন থাকলে তা অন্ত্রের ভেতরে টিউমারের কারণে পথ সংকুচিত হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। মেও ক্লিনিকের তথ্যমতে, কোলন বা রেকটামের ভেতর দেয়ালে টিউমার বড় হতে থাকলে মলের স্বাভাবিক পথ সঙ্কুচিত হয়, ফলে মল স্বাভাবিক আকৃতি হারায়।

    ২. মলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা

    অন্ত্র স্বাভাবিকভাবেই অল্প পরিমাণ শ্লেষ্মা উৎপন্ন করে যা কোলনের ভেতরকার অংশ লুব্রিকেট করতে সাহায্য করে। কিন্তু মলে চোখে পড়ার মতো পরিমাণে শ্লেষ্মা দেখা গেলে তা অন্ত্রের সমস্যার সংকেত হতে পারে। এনসিবিআই এর মেডিকেল নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত বা অতিরিক্ত শ্লেষ্মা নিঃসরণ হতে থাকলে তা গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

    ৩. মলে রক্ত

    উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় তারের মতো রক্ত উভয়ই কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের অন্যতম প্রাথমিক উপসর্গ। গবেষণা বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই কোনো না কোনোভাবে রেকটাল ব্লিডিং দেখা যায়।

    হেমোরয়েড, অ্যানাল ফিশার বা হজমজনিত সংক্রমণের কারণেও রক্ত দেখা দিতে পারে, তবে রক্তপাত যদি বারবার ঘটে বা অন্য সতর্ক লক্ষণও দেখা দেয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

    ৪. দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

    বারবার ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বা কখনো ডায়রিয়া আবার কখনো কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পরিবর্তন কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের শুরুতে দেখা দিতে পারে। মোফিট ক্যান্সার সেন্টারের তথ্যমতে, বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থায়ী মলত্যাগের পরিবর্তনকে আরও গুরুত্বসহকারে দেখা প্রয়োজন।

    যদিও খাদ্যাভ্যাস, সংক্রমণ বা আইবিএস অনেক বেশি সাধারণ কারণ, তবুও উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে কোলোনোস্কোপির মতো পরীক্ষার প্রয়োজন হয়।

    তরুণদের মধ্যেও বাড়ছে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি

    দ্য লানসেট অনকোলজি–তে প্রকাশিত বড় ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে ৫০টি দেশের মধ্যে অন্তত ২৭টি দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের হার বাড়ছে। জীবনযাপনও এই ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। এমডিপিআই এর গবেষণায় বলা হয়েছে, অল্প বয়সে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এবং স্থূলতা প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। গবেষকদের আশঙ্কা, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, শারীরিক কার্যক্রম কমে যাওয়া এবং মেটাবলিক রোগ বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা, আগেভাগে স্ক্রিনিং এবং জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলেই এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

    মলে ছোট ছোট পরিবর্তনও অনেক সময় বড় রোগের বার্তা দেয়। অবহেলা না করে সতর্ক থাকা, নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা এবং প্রয়োজন হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রাথমিক শনাক্তকরণের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

  • বী’র্য’পাত বন্ধ রেখে রাতভর কিভাবে স’হবাস করবেন জানালো স্বস্তিকা মুখার্জি

    বী’র্য’পাত বন্ধ রেখে রাতভর কিভাবে স’হবাস করবেন জানালো স্বস্তিকা মুখার্জি

    স্বামী স্ত্রী পবিত্র মিলনের মাধ্যমে সুখ লাভ করে। স্বামী স্ত্রীর মিলনকে স্বর্গের সুখের সাথে তুলনা করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে ও প্রামণিত যে অধিক সময় যাবত্‍ যৌন মিলন অত্যন্ত সুখের। তবে এই আনন্দ তখনই মাটি হয়ে যায় যখন দ্রুত বীর্যপাতন হয়ে যায়। অধিক সময় ধরে যৌন মিলন করার জন্য আপনার ডক্টর তিনটি পদ্ধতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে।

    মিলনে পুরুষের অধিক সময় নেওয়া পুরুষত্বের মুল যোগ্যতা হিসাবে গন্য হয়। যেকোন পুরুষ বয়সের সাথে সাথে সহবাসের নানাবিধ উপায় শিখে থাকে।

    এখানে বলে রাখতে চাই ২৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ সাধারনত অধিক সময় নিয়ে সহবাস করতে পারেনা। তবে তারা খুব অল্প সময় ব্যবধানে পুনরায় উত্তেজিত/উত্তপ্ত হতে পারে। ২৫-এর পর বয়স যত বাড়বে সহবাসে পুরুষ তত অধিক সময় নেয়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পুনরায় জাগ্রত (ইরিকশান) হওয়ার ব্যবধানও বাড়তে থাকে।

    তাছাড়া এক নারী কিংবা এক পুরুষের সাথে বার বার সহবাস করলে যৌন মিলনে অধিক সময় দেয়া যায় এবং সহবাসে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। কারন স্বরূপ: নিয়মিত সহবাসে একে অপরের শরীর এবং ভাল লাগা কিংবা মন্দ লাগা, পছন্দসই আসনভঙ্গি, সুখ দেয়া নেয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।

    পদ্ধতি ১: চেপে/টিপে (স্কুইজ) ধরা: অধিক সময় ধরে যৌন মিলন করার এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যাক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়? যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)। চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে।স্কুইজ পদ্ধতি এক মিলনে আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামীর প্রমাণ ছাড়া আর কিছু নয়।

    পদ্ধতি ২: সংকোচন (টেনসিং): অধিক সময় ধরে যৌন মিলন করার এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারনা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রসাব পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচুনী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হল এখনে আমরা খিচুনী প্রয়োগ করবো – চাপ নয়।এবার মুল বর্ননা – মিলনকালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কর্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। এবার ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনী দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন।সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে। আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।

    পদ্ধতি ৩: বিরাম (টিজিং / পজ এন্ড প্লে): এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত্‍। সাধারনত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলনকালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যত্‍ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন।যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পুর্ন নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করবেন না।

    পরিশিষ্ট: উপরের সবকয়টি পদ্ধতি আপনার সঙ্গীর তৃপ্তির উদ্দেশ্যে। অনেকের ধারনা নারী এ ট্রিকস্ গুলো অনুমান বা জানতে পারলে পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে সে লাভবান হওয়া। স্ত্রীরও উচিত স্বামীর প্রতি যত্নশীল হওয়া।