• স্ত্রীকে ভিডিওকলে রেখে নিজেকে শেষ করে দিলেন প্রবাসী

    স্ত্রীকে ভিডিওকলে রেখে নিজেকে শেষ করে দিলেন প্রবাসী

    স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে লাইভে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন রুমন নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী। বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১২টায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ওমানের সালালাহ এলাকায়।

    স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে লাইভে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন রুমন নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী। বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১২টায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ওমানের সালালাহ এলাকায়।

    রোববার (২৭ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন।

    নিহত রুমন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্র গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভায়রা ও একই ফ্যাক্টরির সহকর্মী ওবায়দুল হক।

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে খালাতো বোন পান্না আক্তারের সঙ্গে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র চার মাস পরই জীবিকার সন্ধানে রুমন ওমানে চলে যান। তাদের সংসারে রয়েছে এক কন্যাসন্তান। ঘটনার দিন স্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দেন রুমন।

    নিহতের ভাই আবদুল মমিন জানান, বিয়ের পর ভাই শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ভাই প্রবাসে থাকার সুযোগে ভাবির আচরণ নিয়ে আমরা বহুবার শঙ্কিত হই। কিন্তু স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মহলের কারণে কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি।

    রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, ওই মুহূর্তে আমি অসহায় হয়ে পড়ি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মামাতো বোনের স্বামী ওবায়দুলকে বিষয়টি জানাই। যিনি কাছেই কাজ করছিলেন। তিনি গিয়ে রুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

    নিহতের মা বলেন, আমি নিজেই বোনের মেয়েকে শখ করে বউ করে ঘরে এনেছিলাম। বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। আমার খোঁজখবর রাখতো না। পরে শুনি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়েছে। যদি এ কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

    এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন বলেন, প্রবাসীর আত্মহত্যার ঘটনাটি মোবাইল ফোনে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর অনশন

    নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর অনশন

    ভোলার চরফ্যাশনে প্রেমিক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন এক কিশোরী। নিজেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহসমন্বয়ক দাবি করা ওই কিশোরী গত পাঁচ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই অনশনে বসে আছেন।

    ঘটনাটি ঘটেছে চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদরাজ ইউনিয়নের চর আফজাল গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় সূত্র বলছে, ওই কিশোরী দীর্ঘদিন ধরে ভোলা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্দোলনের সময়েই ছাত্রলীগ নেতা যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এখন বিয়েতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন প্রেমিক।

    রোববার (২৭ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি।

    কিশোরীর দাবি, প্রেমিক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই অনশনে বসেছেন তিনি। এ দিকে পাঁচদিন ধরে চলা এই অনশনের কারণে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কিশোরী জানান, সে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তবে ব্যাবহারিক পরীক্ষা না দেওয়ায় সে অকৃতকার্য। তার দাবি, তার প্রেমিক (কিশোর) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তাদের পরিচয়। পরে বন্ধুত্ব ও প্রেমে রূপ নেয় তাদের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠও হয়েছে বলেও অভিযোগ কিশোরীর।

    এ দিকে ওই কিশোরের মা-বাবা তাদের ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমাদের ছেলে নির্দোষ। একটি মহলের ইন্দনে অহেতুক ফাঁসাতে এই ষড়যন্ত্র চলছে।

    এ বিষয়ে ভোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন, ওই তরুণী থানায় বা উপজেলায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

  • ছাত্রীকে ভালোবেসে লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন শিক্ষিকা, পেতেছেন সংসার

    ছাত্রীকে ভালোবেসে লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন শিক্ষিকা, পেতেছেন সংসার

    ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পেতে কত কিছুই করে মানুষ। সম্প্রতি ভারতের রাজস্থান রাজ্যের এক নারী শিক্ষিকার ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার অভিনব এক গল্প সামনে এলো।

    রাজস্থান টিচার চেঞ্জেস জেন্ডার টু ম্যারি: ”এভরিথিংক’স ফেয়ার ইন লাভ” শীর্ষক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানায়, ছাত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন রাজস্থানের ভরতপুরের ওই শিক্ষিকা। প্রেমের সম্পর্ক এতটাই গভীর হয়ে যায় যে, ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন তিনি। অনেক বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে এখন জুটি বেঁধেছেন শিক্ষিকা-ছাত্রী। তবে ঘটনাটি অন্যরকম।

    পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সরকারি স্কুলের শারীরবিদ্যার শিক্ষিকা মীরা। কল্পনা ছিল সেই স্কুলেরই ছাত্রী। খুব ভাল বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মীরা ও কল্পনার মাঝে। বছর দুয়েক বন্ধুত্বের পর কল্পনাকে ভালবাসতে শুরু করেন মীরা। শেষমেশ কল্পনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন তিনি। কল্পনারও সেই সম্পর্কে কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু দুজনের পরিবার এতে মোটেও রাজি ছিল না। সামাজিক রীতি অনুযায়ী, রাজি হওয়ার কথাও নয়।

    ডিএনএ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেমের কারণে মীরা এখন আরভ। কল্পনাকে বিয়ে করার জন্য মীরা অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন। এক সাক্ষাৎকারে কল্পনা বলেন, ‘আমি ওকে প্রথম থেকেই ভালবাসতাম। অ;স্ত্রোপচার না করলেও আমি আরভকে বিয়ে করতাম। আরভের অস্ত্রোপচারের সময়ও ওর পাশে ছিলাম।’

    ইন্ডিয়া ডটকম জানায়, ২০১৯ সালে মীরা স্থির করেন, তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করবেন। ওই বছর তার প্রথম অস্ত্রোপচার হয়। অবশেষে গত ৪ নভেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আরভ-কল্পনা। পরে আরভ বলেন, ‘নিজের ইচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছি। ভালবাসার জন্য এই কাজ আমার কাছে তুচ্ছ।

  • এইমাএ পাওয়া: দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, উল্টে গেছে বগি

    এইমাএ পাওয়া: দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, উল্টে গেছে বগি

    লালমনিরহাটে বুড়িমারী কমিউটার ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে লালমনি এক্সপ্রেসের ২টি বগি উল্টে গেছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। সোমবার (২৮ জুলাই) শহরের বিডিআর গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আবু মোস্তফা আলম।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে একটি লোকাল ট্রেন লালমনিরহাট স্টেশনে প্রবেশ করছিল। একই সময়ে ঢাকা অভিমুখী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি পরিষ্কারের জন্য ওয়াসফিটের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

    এ বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আবু মোস্তফা আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ভুল সিগনালের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।