• আনারসের রসেই মিলছে ক্যানসার থেকে বাঁচার সহজ উপায়!

    আনারসের রসেই মিলছে ক্যানসার থেকে বাঁচার সহজ উপায়!

    সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, আনারসের রসে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান। এই ফলে থাকা ব্রোমেলিন নামের একটি বিশেষ এনজাইম প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ, যা শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও বিস্তার রোধে সহায়তা করতে পারে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রোমেলিন শরীরের প্রোটিন ভেঙে দেয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে অস্বাভাবিক বা ক্ষতিকর কোষগুলো সহজে টিকে থাকতে পারে না। পাশাপাশি, আনারসে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ও ম্যাঙ্গানিজ শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে—যা দীর্ঘমেয়াদি রোগ, বিশেষ করে ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম কারণ।

    নিয়মিত তাজা আনারসের রস পান করলে হজমশক্তি উন্নত হয়, শরীরের প্রদাহ কমে এবং বিষাক্ত উপাদান দূর হয়। এসব উপকার শরীরকে সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

    পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, চিনি ছাড়া তাজা আনারসের রসই সবচেয়ে উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অল্প পরিমাণ আনারস যুক্ত করলে প্রাকৃতিকভাবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দীর্ঘদিন সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

  • ষাটোর্ধ্ব পুরুষদের পছন্দ সানজিদার, ১৯ বছরে করেছেন ৪টি বিয়ে

    ষাটোর্ধ্ব পুরুষদের পছন্দ সানজিদার, ১৯ বছরে করেছেন ৪টি বিয়ে

    বিয়ে তার কাছে অর্থ উপার্জনের বড় হাতিয়ার। তাইতো ২০ দিন যেতে না যেতেই স্বামীর দেয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে পালিয়ে যান তিনি। পরে পাঠিয়ে দেন ডিভোর্স লেটার৷ বলছি, রংপুরের সানজিদা আক্তার স্মৃতির কথা। তাকে তার মাসহ গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, বর হিসেবে তার পছন্দ পঞ্চাশ কিংবা ষাটোর্ধ্ব কোনো পুরুষ। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিয়ে করেছেন চারটি।
    মোহাম্মদ আলী পেশায় ব্যবসায়ী। এটি তার ছদ্মনাম। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার চার বছর পর গত ২১ মার্চ তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কনে রংপুর জেলার বদরগঞ্জের সানজিদা আক্তার স্মৃতি। বিয়ের তিন মাসের মাথায় এক সন্ধ্যায় তার স্ত্রী ঘরে থাকা প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেন।

    ভুক্তভোগী জানান, তার বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু ভাইয়ের চাপে তিনি বিয়ে করতে রাজি হন। এরপরই এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

    কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ভুক্তভোগীর করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সানজিদাকে রংপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মাকে।

    কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দীন কবীর জুয়েল বলছেন, সংসার করার উদ্দেশ্যে নয়, সানজিদার বিয়ে করার একমাত্র লক্ষ্য অর্থ উপার্জন। এর আগেও বিয়ে করেছেন তিনটি৷ তিন স্বামীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

    সানজিদাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ আরও জানতে পেরেছে স্বামীর কাছ থেকে চুরি করা ১০ লাখ টাকায় রংপুরে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। আর তার মা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

    বাড়ি বন্ধক রেখে লোন করা টাকা চুরি করে স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে স্বামী মোহাম্মদ আলীর। তাই পুলিশের পরামর্শ, বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো করে খোঁজ খবর নিতে হবে। না হলে যে কেউ হতে পারে প্রতারণার শিকার।

  • দেখা মাত্রই এই মাছ মেরে ফেলার নির্দেশ!

    দেখা মাত্রই এই মাছ মেরে ফেলার নির্দেশ!

    যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রবিজ্ঞানীরা এমন এক বিপজ্জনক মাছের সন্ধান পেয়েছেন যা পানির বাইরে ডাঙায় উঠে বেঁচে থাকতে পারে। এই মাছটির নাম ‘স্নেকহেড ফিশ’ দেখতে সাপের মতো হওয়ায় এই নামকরণ হয়েছে।

    বিজ্ঞাপন

    ১৯৯৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নাডিনোর সিলভারহুড লেকে প্রথম এই মাছ ধরা পড়েছিল। যেখানে এর উৎপত্তি পূর্ব এশিয়া হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি জর্জিয়ায় আবারো এই মাছ পাওয়া যাওয়ায় বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য।

     

    বিজ্ঞাপন
    মেরিল্যান্ড প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই মাছের শ্বাসতন্ত্র এমনভাবে গঠিত যে এটি পানির বাইরে, বাতাস থেকে শ্বাস নিতে সক্ষম। ফলে এটি পানি ছেড়ে ডাঙায় উঠলেও বাঁচতে পারে, যদিও হঠাৎ পরিবেশ পরিবর্তনে কিছু সময়ের জন্য নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

    ‘স্নেকহেড ফিশ’ ছোট মাছ, জলাশয়ের অন্যান্য প্রাণী, এমনকি ছোট ইঁদুর পর্যন্ত খেতে পারে। এর আকার প্রায় তিন ফুট লম্বা এবং ওজন ১৮ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। ধারালো দাঁতের কারণে শিকারে এটি খুবই দক্ষ।

     

  • ৩০ বছর বয়সের মেয়েরা একদিনে কতবার দিতে পারেন

    ৩০ বছর বয়সের মেয়েরা একদিনে কতবার দিতে পারেন

    তিরিশ বছর একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। পেছনে সুখ-দুঃখের স্মৃতি যেমন থাকে আবার সামনেও থাকে স্বপ্নের গল্প। বর্তমান যুগে পুরুষদের থেকে কোনো অংশেই কম নয় নারীরা। পেশা থেকে শুরু করে জীবন চর্চা সব কিছুতেই স্বাধীন চিন্তা ও মননের স্বাক্ষর রাখে একটি মেয়ে। কাজের জগতে যেমন পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে এগিয়ে চলে সে তেমনই বাড়িতেও যে কোনো কাজেই আজ সে সমান স্বচ্ছন্দ।
    কিন্তু কথায় আছে মেয়েদের মন দায়! কারণ তারা রেগে থাকলেও অনেকসময় ব্যবহারে ও মনের দিক থেকে কোমল হয়ে থাকে। আবার এর অন্যথায় যে হয় না তা নয়। পুরুষের তুলনায় মেয়েরা অনেকক্ষেত্রেই বেশি অনুভূতিপ্রবণ হন।
    তবে বিভিন্ন বয়সে নারী পুরুষ উভয়েরই আচার আচরণে ও জীবন ধারায় যথেষ্ট পরিবর্তন চোখে পরে। যেমন ১৮ থেকে ২০ বছরের মেয়েরা একটি লাজুক হয়ে থাকে। যদিও এর ব্যতিক্রম কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়।
    সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, ২০ বছর একটি মেয়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বয়স। কিন্তু একটি মেয়ের ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
    ২০ বছরের মেয়েরা মানসিকভাবে অভিজ্ঞ হয় না। সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারে না কিন্তু ২০ বছরের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অনেক কিছু বুঝতে সক্ষম হয়। ৩০ বছরে যা অনেকটাই পূর্ণ হয়ে আসে। বেশ কয়েকটি কারণে মেয়েদের ৩০ বছর বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বয়স। এই বয়সে তারা সবার খেয়াল রাখতে পারেন। দায়িত্ব পালন করতে পারেন এবং তিরিশ বছর বয়সের কিছু বিশেষত্ব উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়, যে তথ্যগুলো আপনাকে চমকে দিতে পারে। কিন্তু এগুলো সত্যি।
    তিরিশ বছরকে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক অবাক করা কারণ। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সেই সব কারণগুলি জানাবো। আসলে ৩০ বছর বয়সে মেয়েদের মধ্যে তাদের ছোটবেলা ফুটে উঠে। এই বয়সে এসেই মেয়েদের বেড়াতে ভালো লাগে, নিজেদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে ভাবতেও ভালোবাসেন তারা। তারা এই বয়সে বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন। আবার কিছুটা হলেও সঞ্চয়ে মন দেন। খরচের মাত্রা কমিয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে শুরু করেন তারা।
    এই বয়সে মেয়েরা বেশীর ভাগ সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে ভালোভাবে নিতে পারে। আর এই বয়সে তারা সব কিছু সামলে নিতে পারে। পাশাপাশি সমীক্ষায় দাবি, এই বয়সে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস সব থেকে বেশি বেড়ে যায়।
    একইসঙ্গে এই বয়সে নারীরা অনেক ছোটো ছোটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া করার অভ্যাস ত্যাগ করেন। শুধু তাই নয়, এই বয়সে তারা তাদের ভুলগুলো বুঝে সেগুলোকে ঠিক করার কথাও ভাবেন।
    বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত তিরিশের নিচে মেয়েরা নিজেদের সব ভুল লুকিয়ে রাখেন। তাদের মধ্যে ভুল এড়িয়ে চলার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। অথচ ৩০ বছর বয়সের পরে তাদের সব কিছু বদলে যায়। আর এই বয়সে তাদের পোশাক-আশাকেও অনেক পরিবর্তন আসে, তারা সব কিছু একদম সঠিকভাবে বুঝতে থাকে কোনটি তাদের জন্য উপযুক্ত।
    তিরিশ বছরে পৌঁছে মেয়েরা একধাক্কায় অনেকটাই অভিজ্ঞ, সহনশীল ও বুদ্ধিদ্বীপ্ত হয়ে ওঠে যা পূর্বে তাদের মধ্যে দেখা যায় না সেভাবে।