• ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার: কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী 

    ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার: কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী 

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা আরও ২ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) রাষ্ট্রপতির আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা সারাদেশে এ ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৯৯৮ এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সম-পদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সম-পদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) সারাদেশে এই ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন।

    প্রজ্ঞাপনে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ অনুযায়ী ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এসব ধারা অনুযায়ী সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

    আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে-

    ধারা ৬৪
    নির্বাহী বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তিনি গ্রেপ্তার ও জামিন দিতে পারবেন। অর্থাৎ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়ায় এখন দায়িত্ব পালনের সময় সেনা কর্মকর্তাদের সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের সরাসরি গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

    ধারা ৬৫
    অধিক্ষেত্র এলাকায় কাউকে গ্রেপ্তার বা গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে পারবেন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। অর্থাৎ, সেনা কর্মকর্তাদের সামনে অপরাধ সংঘটিত না হলেও, সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

    ধারা ৮৩
    অধিক্ষেত্রের বাইরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন সেনা কর্মকর্তারা। আর ৮৪ ধারা অনুযায়ী, অধিক্ষেত্রের বাইরে পরোয়ানা কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশও দিতে পারবেন। আর ৯৫ ধারা অনুযায়ী, পরোয়ানা বা ডকুমেন্টস বা চিঠিপত্র আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে পোস্টাল বা টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে পারবেন।

    ধারা ১০০
    বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যেকোনো স্থানে তল্লাশি করতে পারবেন। অর্থাৎ, কাউকে অপহরণ বা জোর করে কোথাও আটকে রাখার খবর পেলে সেনা কর্মকর্তারা সেখানে তল্লাশি করতে পারবেন।

    ধারা ১০৫
    সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যেকোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।

    ধারা ১০৭
    শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

    ধারা ১০৯ 
    ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

    ধারা ১১০ 
    অভ্যাসগত অপরাধীর কাছ থেকে সদাচরণের জন্য মুচলেকা গ্রহণ করতে পারবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। 

    ধারা ১২৬
    সদাচরণের নিশ্চয়তা প্রদান করা ব্যক্তির মুচলেকা বাতিল করে সমন বা গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবেন।

    ধারা ১২৭
    সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। ফৌজদারি কার্যবিধির এই ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পাঁচ বা তার অধিক ব্যক্তির বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এই ধারা অনুযায়ী সেনা কর্মকর্তারাও যেকোনো ধরনের বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন।

    ধারা ১২৮
    সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে বেসামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ, চাইলে তারা পুলিশ বা অন্যান্য বেসামরিক বাহিনীর সহায়তা নিতে বা নির্দেশ দিতে পারবেন। 

    ধারা ১৩০
    সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনীয় সেনা কমান্ডিং অফিসারদের দায়িত্ব দিতে পারবেন।

    ধারা ১৩৩
    স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করতে পারবেন।

    ধারা ১৪২
    এই ধারার আওতায় জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের।

    উল্লিখিত ধারাগুলোর ক্ষমতা ছাড়াও যেকোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

    এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা ২ বছরের বেশি হবে না।

    \

  • সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দিল আওয়ামী লীগ!

    সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দিল আওয়ামী লীগ!

    জুলাই অভ্যুত্থানে পতনের পরও থেমে নেই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র। নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত দলটি। ফেব্রুয়ারি মাসে হরতাল অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তারা। এ ব্যাপারে ১৪ দলসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে গোপনে আলোচনা চলছে। দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে এসব কথা জানালেন দলটির পলাতক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম।

    গণহত্যার দায় মাথায় নিয়ে বেশিরভাগ নেতা কর্মী পালিয়ে থাকায় সরকারবিরোধী এই কর্মসূচি কীভাবে সফল হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জনগণ তাদের সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করেন নাসিম। তবে তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাতে তিনি অপারগতা জানান।

    জুলাইয়ের ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুগত সদস্যরা। প্রাণ হারান প্রায় দুই হাজার ছাত্রজনতা। আহত হন হাজার হাজার মানুষ। দেড় দশকের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, গুম, খুন আর নানা অপকর্মের পর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত পাঁচ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে দলটির বিভিন্ন স্তরের অসংখ্য নেতা কর্মী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়। যারা দেশের ভেতরে আছেন তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এখনো গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতা কর্মীরা। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। চৌদ্দ দলের নেতাদেরও নেই কোনো হদিস। এমন বাস্তবতায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশব্যাপী হরতাল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালনের চিন্তা করছে দলটি।

    এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, আমরা কর্মসূচি তৈরি করেছি, আলাপ আলোচনার জন্য। দল সহ অন্যান্য জেলায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার আছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমজীবী, মেহনতি মানুষ, শ্রেণি পেশা আছে। তাদের সাথে আমাদের এই কমিউনিকেশন হচ্ছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখেই। আগেই আমরা কর্মসূচিগুলো একে একে পালন করি এবং একপর্যায়ে আমরা সর্বাত্মক হরতালের আহ্বান জানাব দেশবাসীকে।

    এ কল দিয়ে বাহাউদ্দিন নাসিম দাবি করেন, আওয়ামী লীগের যুগ ছিল দেশের স্বর্ণযুগ। বর্তমানে দেশের মানুষ অনেক কষ্টে আছে বলে মনে করেন দলটির পলাতক এই নেতা। তবে পালিয়ে থাকা নেতা কর্মীরা কীভাবে আন্দোলন সফল করবে সেই প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে।

    যে কর্মসূচি নিয়ে আসবেন তো মাঠে তো কর্মীদেরকে থাকতে হবে কর্মসূচি বাস্তবায়নে। সেটি কীভাবে করবেন প্রশ্নের জবাবে নাসিব বলেন,জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। জনগণের অংশগ্রহণেই হবে।

    গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার উপর চালানো হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে নাসিম আরো বলেন, কীভাবে এদেরকে হত্যা হয়েছে তার জন্য তো তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। তো আন্তর্জাতিকভাবে আসার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা করেছিলেন তাদেরকে সহযোগিতা করার কথা। আসার জন্য সব কাজই তো সম্পন্ন করার পরও। এমনকি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন করা হয়েছে সেগুলোকে কারা বাদ দিয়েছে? কেন বাদ দেওয়া হয়েছে?

    ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে দম্ভোক্তি করেন এই নেতা। তবে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনকার যে পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতি থেকে উনি ফিরে আসবেন?

    জবাবে নাসিম বলেন, গরিব মানুষের, কর্মজীবী মানুষের, তৃণমূলের, মানুষের, কৃষক স্বার্থ আজকে সংরক্ষিত হচ্ছে। এরাই দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

    এই মুহূর্তে তিনি দেশে নাকি দেশের বাইরে আছেন জানতে চাইলে এভাবেই তার জবাব দেন।আমরা আত্মগোপনে আছি। সেই পাঁচ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে নিধন, হত্যা, গণগ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, শত শত মামলা। আমার বিপক্ষে কতগুলো মামলা দেওয়া হয়েছে।

    দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ আবারও একদিন ফিরে আসবে বলে দাবি করেন সাবেক এই এমপি।

  • শেখ হাসিনা সহ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না যারা

    শেখ হাসিনা সহ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না যারা

    জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে নতুন শর্ত আরোপের সুপারিশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, গুরুতর দুর্নীতি, অর্থ পাচার বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগিত ব্যক্তিরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এমনকি এসব ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক দলের সাধারণ সদস্য বা নেতৃত্বে থাকার সুযোগও পাবেন না।

    বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া কমিশনের প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। এতে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

    কাদের জন্য প্রার্থীতা নিষিদ্ধ?
    প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, দুর্নীতি বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধে অভিযুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আদালতে চার্জশিট গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই তারা নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

    এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, দুর্নীতি দমন কমিশন বা গুম কমিশন কর্তৃক অভিযুক্ত হলেও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার বিধান চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মামলার অবস্থা
    বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুম-খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর জন্য শেখ হাসিনাসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং স্থানীয় আদালতগুলোতে মামলা হয়েছে। এসব মামলার চার্জশিট আদালত গ্রহণ করলেই অভিযুক্তরা নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।

    নির্বাচনী সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব
    নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে প্রতিবেদনে আরও উল্লেখযোগ্য কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে:

    ‘না’ ভোটের বিধান চালু: কোনো প্রার্থী ৪০% ভোট না পেলে পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা চালু হবে।
    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিষিদ্ধ: কোনো প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারবেন না।
    প্রবাসীদের ভোটাধিকার: অনলাইন ভোটিং এবং পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা।
    একাধিক আসনে প্রার্থীতা বন্ধ: একজন ব্যক্তি একাধিক আসনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
    নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা: সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান।

    ইভিএম বাতিল ও প্রতিরক্ষা বিভাগ অন্তর্ভুক্তি
    ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করে, নির্বাচনকালীন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

    দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিতকরণ
    একই ব্যক্তি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এছাড়া একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।

    উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব
    সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ১০০ আসনের সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভোটের হারের ভিত্তিতে আসন বণ্টন এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    সংসদ সদস্যদের সুবিধা কমানো
    সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি, আবাসন সুবিধা, প্রটোকল এবং ভাতা পর্যালোচনা করে তা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়নের সুপারিশও করা হয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের বক্তব্য
    সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “গত কয়েকটি নির্বাচনে যারা নির্বাচনব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জবাবদিহিমূলক নির্বাচনব্যবস্থা গড়ে তোলা।”

    তিনি আরও বলেন, “ইসির স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়িত ও দায়বদ্ধ করার বিধান রাখার চেষ্টা করেছি। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতন্ত্র নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।”

    নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে। তবে এসব প্রস্তাব কার্যকর করতে রাজনৈতিক ইচ্ছা ও দৃঢ় পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ।

  • রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করাই খুশি বি এন পি

    রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করাই খুশি বি এন পি

    বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।


    তিনি লিখেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে কিছু অপপ্রচার হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি রিজাইন (পদত্যাগ) করেছেন বলে যে খবর আমার ছবি ব্যবহার করে প্রচার হচ্ছে- তা ভুয়া।’

     
    এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হওয়া হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
     
    বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অভিযোগকারী আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থা বুধবার রাত থেকে তদন্ত শুরু করেছে।

    এর আগে বুধবার শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবির।
     
    তার পক্ষে বুধবার দুপুরে সংস্থাটির প্রধান কো-অর্ডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম এ আবেদন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনকে এই অভিযোগে দায়ী করার আর্জি জানানো হয়েছে।