• সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের জরুরি বার্তা

    সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের জরুরি বার্তা

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং যুদ্ধসক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের সংযোজনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কার্যক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার্স ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।

    চট্টগ্রাম সেনানিবাসের শহীদ এম আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১৭তম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ অভিষেক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এ কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ঐতিহ্যবাহী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নতুন অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, “ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব হবে তাদের পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করা এবং দেশের প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকা।” তিনি আরও বলেন, এই রেজিমেন্ট একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতিতে অগ্রগামী থাকবে।

    সকাল বেলায় প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাপ্রধানকে সামরিক রীতিতে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয়। এরপর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি বিশেষ দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। অভিষেকের পরে তিনি রেজিমেন্টের ৩৭তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে সেনাসদর, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের প্রতিনিধিরা, স্থানীয় ফরমেশন, এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    সেনাপ্রধানের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বদা এগিয়ে যাচ্ছে এবং এটি জাতির নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

  • শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতাকে

    শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতাকে

    ভোজপুরি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক সুদীপ পাণ্ডে আর নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ে গত বুধবার সকাল ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই তরুণ অভিনেতা। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু ভোজপুরি শিল্প জগতকে গভীর শোকের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছে।

    ভোজপুরি চলচ্চিত্রে সুদীপ পাণ্ডে ছিলেন এক প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতা এবং প্রযোজক। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তাঁর চলে যাওয়ায় তাঁর পরিবার, সহকর্মী এবং ভক্তরা অত্যন্ত মর্মাহত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে। এক ভক্ত লিখেছেন, “আরআইপি, আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি,” অন্য একজন জানিয়েছেন, “খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন।”

    সুদীপ পাণ্ডে ভোজপুরি চলচ্চিত্রে ‘ভোজপুরিয়া ভাইয়া’ দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। তার পরবর্তী সময়ে, ‘পেয়ার মে’, ‘বালওয়া’, ‘ধরতি’-এর মতো সফল ছবিতে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নেন। তার অদম্য আকর্ষণ এবং অ্যাকশন ধারার অভিনয়ে ভোজপুরি চলচ্চিত্রে তার অবদান অসীম।

    এছাড়া, ২০১৯ সালে তিনি হিন্দি ছবিতে ‘ভি ফর ভিক্টর’-এ অভিনয় করেছিলেন এবং সম্প্রতি ‘পারো পাটনা ওয়ালি’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্বের শুটিং শুরু করেছিলেন।

    সুদীপের মৃত্যুতে ভোজপুরি বিনোদন জগতের একজন উজ্জ্বল তারকা হারাল। তাঁর প্রতিভা ও অভিনয় দর্শকদের মনে চিরকাল বেঁচে থাকবে। এই বিশাল শূন্যতা কখনো পূর্ণ হবে না, এবং সুদীপ পাণ্ডে চিরকাল তার ভক্তদের হৃদয়ে জীবিত থাকবেন।

  • সরকারি চাকরীজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কিনা জানা গেল

    সরকারি চাকরীজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কিনা জানা গেল

    অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ভাতা সংক্রান্ত নথি পাঠালে সায় না দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।

    অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানা যায়, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

    অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, মহার্ঘ ভাতার বাড়তি অর্থায়নের হিসাব করা হয়েছে চলতি বাজেটের বরাদ্দের ভিত্তিতে। তবে প্রতিবছর বাজেটে বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ ৬ থেকে ৮ শতাংশ বাড়ে। সে হিসাবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দাঁড়াতে পারে প্রায় সাড়ে ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা বাবদ যোগ হতো আরও প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় হতো প্রায় সাড়ে ৯৬ হাজার কোটি টাকা।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করার কথা বলা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এখনই মহার্ঘ ভাতা দেওয়াটা যৌক্তিক সময় নয়।

    বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পক্ষে অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এমন তো নয় যে সরকারি কর্মচারীরা খুব কম বেতনে চাকরি করছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীর বেতন বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। উপসচিব হলেই বিনা সুদে গাড়ির ঋণ এবং সেই গাড়ি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসে বাড়তি ৫০ হাজার করে টাকাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া থেকে সরে আসাটাই যৌক্তিক।

    উল্লেখ্য, সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর একটি নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করার কথা। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাইয়ে অষ্টম বেতন কাঠামো কার্যকর হয়। সে সময় নতুন কাঠামোর সুপারিশ না করলেও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার প্রস্তাব ছিল বেতন কমিশনের। তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের আগপর্যন্ত প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে আসছিলেন। পরে বাড়তি মূল্যস্ফীতির কথা বলে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এ পরিস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে তা কার্যকর না হলেও বিশেষ সুবিধা হিসেবে বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের পাশাপাশি মূল বেতনের আরও ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়। ফলে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন।

    এদিকে, মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে আবারও মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনার জন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। তথ্যসূত্র : সমকাল

  • সোনালী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা করলেই পাবেন ৩ লক্ষ টাকা

    সোনালী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা করলেই পাবেন ৩ লক্ষ টাকা

    এবার অভিনব একটি স্কিম নিয়ে এসেছে সোনালী ব্যাং সোনালী ব্যাংকের ট্রিপল বেনিফিট স্কিম দিচ্ছে এই সুবিধাঠিক কীভাবে পাওয়া যাবে এই তিনগুণ মুনাফা সেটা এবার দেখে নেয়া যাক।এই স্কিমে টাকা জমা রাখতে হবে কমপক্ষে ৫০ হাজার বা এর গুণিতক হিসেবে।প্রাপ্য মুনাফার হার থাকবে ৯ শতাংশ (চক্রবৃদ্ধি হারে)।

    পূরন মেয়াদে অর্থাৎ ১২ বছর ৯ মাসে এই স্কিমের টাকার পরিমাণ হবে তিনগুণ। ট্রিপল বেনিফিট স্কীম (TBS) Triple benefit scheme: সময় কাল: মুনাফার হার ৯.০০% (চক্রবৃদ্ধি) ৬ মাস পূর্তিতে ৩.০০% সরল মুনাফা।১ বছর পূর্তিতে ৩.৫০% সরল মুনাফা।২ বছর পূর্তিতে ৪.০০% সরল মুনাফা। ৩ বছর পূর্তিতে ৪.৫০% সরল মুনাফা। ৪ বছর পূর্তিতে ৫.০০% সরল মুনাফা।

    ৫ বছর পূর্তিতে ৫.৫০% সরল মুনাফা।তবে সময়ের সাথে সাথে মুনাফার হারও বাড়তে থাকবে। ৬ বছর পূর্তিতে ৬.০০% সরল মুনাফা। ৭ বছর পূর্তিতে ৬.৫০% সরল মুনাফা। ৮ বছর পূর্তিতে ৭.০০% সরল মুনাফা। ৯ বছর পূর্তিতে ৭.৫০% সরল মুনাফা।১০ বছর পূর্তিতে ৮.০০% সরল মুনাফা।

    ১১ বছর পূর্তিতে ৮.৫০% সরল মুনাফা। ১২ বছর পূর্তিতে ৯.০০% সরল মুনাফা । ১২ বছর ৯ মাস পূর্তিতে ৯.০০% চক্রবৃদ্ধি মুনাফা। এই স্কিমে টাকা রেখে তিনগুণ টাকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্য বেশ কিছু শর্তও রয়েছে। সরকারী নিয়মানুসারে উৎসে কর এবং আবগারী শুল্ক আমানতকারীর হিসাব হতে কর্তন করা হবে।অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, হিসাব খোলার নিয়মাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ পূর্বক প্রতিষ্ঠানের নামেও এ হিসাব খোলা যাবে।