• দুবাই গিয়ে লটারিতে ১৬ লাখ টাকা জিতলেন বাংলাদেশি

    দুবাই গিয়ে লটারিতে ১৬ লাখ টাকা জিতলেন বাংলাদেশি

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় লটারি বিগ টিকিটে প্রথমবার অংশ নিয়েই ৫০ হাজার দিরহাম জিতে নিয়েছেন  বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৬ লাখ টাকারও বেশি।

     

    আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    গালফ নিউজ বলছে, ২২ বছর বয়সী খোরশেদ পেশায় একজন পনির বিক্রেতা। গত চার বছর ধরে আরব আমিরাতের শারজায় কাজ করছেন তিনি। এত দিন স্বপ্ন দেখলেও কখনো বিগ টিকিট কেনার সাহস হয়নি। অবশেষে গত জুলাইয়ে সাহস করে ২০ জনের একটি দল গঠন করে অংশ নেন বিগ টিকিটের সিরিজ ২৭৭-এ। আর প্রথম চেষ্টাতেই বাজিমাত।

    বিগ টিকিট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক ই-ড্রতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার সময় উপস্থাপক বুশরা প্রথমে খোরশেদের ফোনে দুটি কল করেছিলেন। কিন্তু দুইবারই তিনি ফোন ধরেননি। পরে অবশ্য যোগাযোগ হলে পুরো ঘটনা জানতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন খোরশেদ।

    বিজয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় খোরশেদ বলেন, আমি খুবই খুশি। এত বড় পুরস্কার পাব, কল্পনাও করিনি। ভাগ্য যদি সহায় হয়, তাহলে সবই সম্ভব। যেহেতু দলীয়ভাবে টিকিট কেনা হয়েছিল, তাই পুরস্কারের টাকা ২০ জনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেওয়া হবে।

    ভবিষ্যতে আবার চেষ্টা করবেন কি না—জানতে চাইলে খোরশেদ বিনা দ্বিধায় বলেন, অবশ্যই আবার চেষ্টা করব। জীবনে একবার হলেও সুযোগ নেওয়া উচিত। কারণ, ভাগ্য যে কোন মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। স্বপ্ন দেখুন, চেষ্টা করুন।

    Copied from: https://rtvonline.com/

  • ৫% সুদে ৩০ লাখ টাকা লোন, কিস্তি শুরু দেড় বছর পর

    ৫% সুদে ৩০ লাখ টাকা লোন, কিস্তি শুরু দেড় বছর পর

    পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনায় জামানত ছাড়াই ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ঋণ দেবে ব্যাংক। এই ঋণের সুদহার পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ছয় শতাংশ।

    ২৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা সার্কুলারে পরিবেশবান্ধব খাতে বিদ্যমান ৪০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় ফ্ল্যাট কেনায় ঋণের বিষয়টি নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনার ঋণে ১৮ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছর মেয়াদে ঋণ পাবেন। অর্থাৎ কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে দেড় বছর পর থেকে। ব্যক্তির পাশাপাশি ক্ষুদ্র ইউনিট সমন্বিত বহুতল বিশিষ্ট পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণেও ঋণ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আবাসন কোম্পানি ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। কোম্পানির জন্যও সুদহার, ঋণের মেয়াদ ও গ্রেসপিরিয়ড হবে অভিন্ন।

    সার্কুলারে আরও বলা হয়, পরিবেশবান্ধব খাতে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এতদিন চার শতাংশ সুদে তহবিল পেত। এখন পাবে তিন শতাংশ সুদে। ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়ে পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ছয় শতাংশ সুদে ঋণ দেবে।

    এক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম মেয়াদি ঋণে সর্বোচ্চ সুদ হার হবে পাঁচ শতাংশ, পাঁচ থেকে আট বছরের কম মেয়াদে সাড়ে পাঁচ শতাংশ এবং আট বছরের বেশি মেয়াদে ছয় শতাংশ।

    এছাড়া পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় বনায়ন (সামাজিক, সমন্বিত বা কৃষি), ছাদের কৃষি বা উল্লম্ব চাষ বা বাগান, বায়োফ্লক মাছ চাষ, জৈব চাষ, খাঁচায় মাছ চাষ, কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদনেও ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো।

  • পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্টের প্রধান ৫ কারণ, সতর্ক হোন এখনই…

    পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্টের প্রধান ৫ কারণ, সতর্ক হোন এখনই…

    পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট বা বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কম হওয়া। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএসের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, যে দম্পতিদের সন্তান হয় না, তাদের এক-তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্বামীর শুক্রাণুর মান নিম্ন ও সংখ্যা কম হওয়া।

    চিকিৎসকদের মতে, প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণুর সংখ্যা ১৫ মিলিয়ন বা দেড় কোটির কম হলেই প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। জীবনযাত্রার ভুল অভ্যাসের কারণে পরিণত বয়সে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে, তরুণ বয়সে সেগুলো নিয়ে মানুষের সচেতন থাকে না। এমন ৫টি অভ্যাসের কারণে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে—

    ধূমপান
    ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ধূমপায়ী-অধূমপায়ী উভয়ই অবগত। ধূমপানে অন্যান্য ক্ষতির পাশাপাশি প্রজনন ক্ষমতাকে মারাত্মক হারে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেকের ধারণা যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, শুধু তারাই ক্ষতির শিকার হন। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, কালেভদ্রে ধূমপান করা, এমনকি ধূমপায়ীর আশপাশে থাকার কারণে পরোক্ষ ধূমপানও প্রজনন ক্ষমতার ক্ষতি করে। এর ফলে পুরুষের বীর্জের মান কমে যায়।

    রাসায়নিকের ব্যবহার
    বাতাসের বিভিন্ন দূষিত উপাদান, কীটনাষক ইত্যাদিতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান প্রজনন ক্ষমতা কমাতে ভুমিকা রাখে। রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে গর্ভধারণের ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে ২৯ শতাংশ। এজন্য গৃহস্থালীর যেকোনো পণ্য কেনার সময় দেখতে হবে তাতে ‘পিসিবি’, ‘থ্যালেটস’, ‘ফুরান’ ইত্যাদি আছে কি না। এই উপাদানগুলোই বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির জন্য দায়ী। ঘর পরিষ্কার করার অনুসঙ্গ ও প্রসাধনীতে এর উপস্থিতি দেখা যায়।

    মানসিক চাপ
    মানসিক চাপ নিয়ে নানান কথা বলা হলেও খুব কম মানুষই তা সামাল দিতে পারেন কিংবা চেষ্টা করেন। আধুনিক জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘মেন্টাল স্ট্রেস’। প্রজনন ক্ষমতা বাড়ার পথেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য বাধা। কারণ মানসিক চাপগ্রস্ত অবস্থায় শরীরের যে হরমোনগুলো নিঃসৃত হয়, সেগুলো প্রজনন ক্ষমতাকে দমিয়ে রাখে। নারী-পুরুষ উভয়ই শিকার হন। ফলে গর্ভধারণ জটিল হয়ে ওঠে।

    যৌনসঙ্গম সংক্রান্ত সমস্যা
    অনিরাপদ যৌনসঙ্গমের কারণে ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ’-এর আশঙ্কা থাকে। এই সংক্রামক রোগগুলো নিজের জীবনের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি পৃথিবীতে নতুন জীবন নিয়ে আসার জন্যও ক্ষতিকর। বেশিরভাগ যৌনরোগের প্রাথমিক অবস্থায় কোনো উপসর্গ থাকে না। ফলে চিকিৎসা নেওয়া হয় না সময় মতো। ফলে তা প্রজনন তন্ত্রকেই নষ্ট করে ফেলে।

    অতিরিক্ত কফি পান
    চা কফি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে দিনে তিন থেকে চার কাপের বেশি কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা এখনই কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ‘ক্যাফেইন’ শরীরে প্রবেশ করলে তা শুক্রাণুর উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই দিনে দুই কাপ বা ২৫০ মি. লি. গ্রাম কফির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।

     

  • বেতন নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর…

    বেতন নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর…

    সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণের জন্য পে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে। এই কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

     

    বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

    বর্তমানে ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন–ভাতা পান। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ।

    দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এতে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে নতুন পে কমিশন গঠন করা হলো।