• প্রকাশ্যে উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের সিসিটিভি ফুটেজ

    প্রকাশ্যে উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের সিসিটিভি ফুটেজ

    রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৫টিই শিশু বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

     

    এদিকে, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের একদিন পর এর সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। স্কাই ফোর্স নামের একটি ফেসবুক পেইজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১২ মিনিটে দ্রুত গতিতে যুদ্ধবিমানটি ছুটে এসে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই কালো ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়।

    প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

     

  • পাইলটস তৌকির সম্পর্কে, বেরিয়ে এলো নতুন গোপন তথ্য

    পাইলটস তৌকির সম্পর্কে, বেরিয়ে এলো নতুন গোপন তথ্য

    ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়ার। জীবনের সেই সবচেয়ে বড় স্বপ্নটাই শেষ পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের।

    সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে গুরুতর আহত হন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাগর। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    সাগরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণচন্দ্রপুরে।

     

    সাগরের মামা শওকত আলী জানান, ছোটবেলা থেকেই সাগরের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। পরিবারের ইচ্ছা ছিল তিনি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হবেন, কিন্তু নিজের স্বপ্নেই ছিলেন অটল। পড়াশোনায় ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত রাজশাহী সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলে লেখাপড়া করেন, এরপর ভর্তি হন পাবনা ক্যাডেট কলেজে এবং সেখান থেকেই উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।

    শওকত আলী আরও জানান, প্রায় এক বছর আগে সাগর সর্বশেষ গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর আর আসা হয়নি। কয়েক মাস আগে তার বিয়ে হয়। তার স্ত্রী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। তার শ্বশুরবাড়ি গাজীপুর। তৌকিরের শ্বশুর  জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক আবুল হোসেন।

    কোথায় দাফন করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান শওকত আলী। পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।

    আরেক মামা সেলিম জানান, প্রথমে এক সেনা কর্মকর্তার মাধ্যমে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। পরে তিনি ও ঢাকায় থাকা সাগরের দুই চাচা সিএমএইচ হাসপাতালে ছুটে যান। বর্তমানে তারা মরদেহ গ্রহণের অপেক্ষায় আছেন।

    সাগরের পরিবার বর্তমানে রাজশাহীতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তার বাবা তোহরুল ইসলাম আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং মা সালেহা বেগম একজন গৃহিণী। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

    উল্লেখ্য, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দগ্ধদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী।

  • Untitled post 2924

    ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়ার। জীবনের সেই সবচেয়ে বড় স্বপ্নটাই শেষ পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের।

    সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে গুরুতর আহত হন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাগর। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    সাগরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণচন্দ্রপুরে।

     

    সাগরের মামা শওকত আলী জানান, ছোটবেলা থেকেই সাগরের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। পরিবারের ইচ্ছা ছিল তিনি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হবেন, কিন্তু নিজের স্বপ্নেই ছিলেন অটল। পড়াশোনায় ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত রাজশাহী সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলে লেখাপড়া করেন, এরপর ভর্তি হন পাবনা ক্যাডেট কলেজে এবং সেখান থেকেই উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।

    শওকত আলী আরও জানান, প্রায় এক বছর আগে সাগর সর্বশেষ গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর আর আসা হয়নি। কয়েক মাস আগে তার বিয়ে হয়। তার স্ত্রী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। তার শ্বশুরবাড়ি গাজীপুর। তৌকিরের শ্বশুর  জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক আবুল হোসেন।

    কোথায় দাফন করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান শওকত আলী। পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।

    আরেক মামা সেলিম জানান, প্রথমে এক সেনা কর্মকর্তার মাধ্যমে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। পরে তিনি ও ঢাকায় থাকা সাগরের দুই চাচা সিএমএইচ হাসপাতালে ছুটে যান। বর্তমানে তারা মরদেহ গ্রহণের অপেক্ষায় আছেন।

    সাগরের পরিবার বর্তমানে রাজশাহীতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তার বাবা তোহরুল ইসলাম আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং মা সালেহা বেগম একজন গৃহিণী। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

    উল্লেখ্য, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দগ্ধদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী।

  • বিমান বিধ্বস্ত: আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষকের ভয়াবহ বর্ণনা

    বিমান বিধ্বস্ত: আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষকের ভয়াবহ বর্ণনা

    রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভয়াবহ আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষক বলেছেন, ঘটনাটি এতটাই আকস্মিক ছিল যে কারোরই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগ ছিল না।

    বিমানটি যে ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে, সেই ভবনে থাকা শিক্ষার্থীরা ছুটির ঘণ্টা পড়ার পর ক্লাস থেকে বের হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল।

    ওই শিক্ষক বলেন, এটা ঠিক স্কুল ছুটির সময় ছিল। শিক্ষার্থীরা গেটে অপেক্ষা করছিল। কী ঘটছে তা বোঝার আগেই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ল। মুহূর্তেই দৃষ্টিসীমা কমে আসলো। আমি শুধু আগুন দেখতে পাচ্ছিলাম—তারপর ধোঁয়া।

    নিজের আঘাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার হাত পুড়ে গিয়েছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। আমার মুখ ও কান ঝলসে গেছে।

    এ অবস্থায় দ্রুত ওয়াশরুমে গিয়ে একটি ভেজা কাপড় নিয়ে এসে নিজের নাক ঢাকেন জানিয়ে ওই শিক্ষক বলেন, কাছে থাকা বাচ্চাদেরও আমি একই কাজ করতে বললাম। তাদের অনেকের শার্টে ততক্ষণে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমি তাদের নিচু হয়ে থাকতে এবং মুখ ঢাকতে বললাম।

    ওই শিক্ষকের সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী সেখান থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তাদের ভেতর গুরুতর দগ্ধ একজনকে সিএমএইচ-এর বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়।

    তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর শরীরের কিছু অংশে চামড়া উঠে গিয়েছিল। আমি আমার পরা কাপড় দিয়ে তাকে মুড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। আমি নিজেও যন্ত্রণায় কাতর ছিলাম। কিন্তু আমি নিজেকে স্থির রেখে অন্যদের শান্ত রাখার চেষ্টা করলাম।