• মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ

    মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ

    মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে আরও ১৮ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কাজিপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

    বিজিবি কাজিপুর কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার হাবিবুর রহমান জানান, দুপুরে কাঁটাতারের বেড়া খুলে তাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকতে বাধ্য করে বিএসএফ। ভারত থেকে আসা ১৮ জন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগে তাদের আটক করে বিজিবি।

    আটককৃতরা জানান, বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। তাদের আটক করে কাজিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। তাদের বাড়ি খুলনা, যশোর, নড়াইল ও ঠাকুরগাঁও জেলায়।

    গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, বিজিবি থেকে তাদের হস্তান্তর করলে পরিচয় যাচাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

  • মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: আসামি সাগর গ্রেপ্তার

    মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: আসামি সাগর গ্রেপ্তার

    পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ) হাসপাতালের সামনে আলোচিত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যা মামলায় আরও এক আসামি মো. সাগরকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কোতয়ালী থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিন ভোর আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    কোতয়ালী থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাগরকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী থানার একটি চৌকস টিম।

    গত ৯ জুলাই বিকেল ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল দুর্বৃত্ত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রেরণ করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

    এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে পুলিশ ও র্যাব ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে ৯ জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    তালেবুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

     

  • হাসিনার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই, এখনও প্রতিশোধপরায়ণ: আসিফ নজরুল

    হাসিনার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই, এখনও প্রতিশোধপরায়ণ: আসিফ নজরুল

    এত বড় গণহত্যা চালিয়েও শেখ হাসিনার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই, সে এখনও প্রতিশোধপরায়ণ বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার বিষয়ে আলোচনা-তথ্য প্রদর্শনীতে তিনি এ কথা বলেন।

    আইন উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দোসররা যে অপরাধ করেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীও এত জঘন্য অপরাধ করেনি। মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা, আহত মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলা। আপনারা বলতে পারেন, ২৫ মার্চ কালো রাত হয়েছে। অবশ্যই ২৫ মার্চ কালো রাতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অন্যদেশের বাহিনী করেছে।

    তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে এমন কোনো ফুটেজ আমি দেখিনি। একজন গুলি খেয়েছে, তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তার বন্ধু, সেই অবস্থায় গুলি করেছে, এমন কোনো ফুটেজ বা কোনো বর্ণনা আমি কোনো মুক্তিযোদ্ধার মুখে শুনিনি।

    আসিফ নজরুল বলেন, এত বড় গণহত্যা চালিয়েও হাসিনার ও তার দলের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। মহাখুনি হাসিনার অডিওগুলো শুনলে দেখবেন এখনো সে প্রতিশোধপরায়ণ।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম রেগুলার আপডেট দিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাজুলের দক্ষতা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। হাজার কোটি টাকা দিয়েও তাজুলকে কেনা যাবে না। সে রাত ২টা পর্যন্ত কাজ করে, একটা এভিডেন্স পেলে দৌড়িয়ে এসে বলে, ‘স্যার ওমুক জিনিসটা পেয়েছি!’

    আইন উপদেষ্টা বলেন, যে প্রক্রিয়ায় বিচার এগোচ্ছো ইনশাআল্লাহ বিচার আপনারা পাবেন। এমন একটা ফাউন্ডেশন আমরা রেখে যাবো, অন্য সরকার এসে পরিবর্তন করতে পারবে না।

     

     

     

     

     

     

  • জুলাইয়ের সত্যকে কালেক্টিভ ন্যারেটিভে পরিণত করতে হবে: ফারুকী

    জুলাইয়ের সত্যকে কালেক্টিভ ন্যারেটিভে পরিণত করতে হবে: ফারুকী

    জুলাইয়ের সত্যকে কালেক্টিভ ন্যারেটিভে পরিণত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

    রোববার (২৭ জুলাই) রিসার্চ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড থট (আরআইটি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক জুলাই অভ্যুত্থান সম্মেলন আই সি জে আর-১, ২০২৫ এর সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, জুলাইয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা হচ্ছে সত্য। কিন্তু এই সত্যকে অবলম্বন করে যদি আমরা আমাদের ন্যারেটিভ নির্মাণ না করি, তাহলে একসময় আমাদের এ গল্পগুলো হারিয়ে যাবে। ফলে জুলাইয়ের সত্যকে আমাদের কালেক্টিভ ন্যারেটিভে পরিণত করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে ন্যারেটিভ তৈরির কাজগুলো আমরা সরকারের পক্ষ থেকে করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সেগুলো মোটেও সরকারিভাবে নয়। আপনারা যদি আমাদের কাজগুলো দেখে থাকেন, তাহলে আপনার এটি বুঝতে পারবেন।

    উপদেষ্টা বলেন, আমরা আমাদের কাজের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে অল্প সময়ে এতো কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের পরে যারা আসবেন তারা এই কাজ চালিয়ে যাবেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম।

    তিনি বলেন, জুলাই আমাদের সম্পদ। এই সম্পদ আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে।

    সাদিক কায়েম আরও বলেন, জুলাইকে সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং একাডেমিসহ সব অঙ্গনে টিকিয়ে রাখতে হবে। জুলাই নিয়ে ন্যারেটিভ নির্মাণ করতে হবে এবং আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে হবে।