• ১৮ ঘণ্টা পরেও উদ্ধার হয়নি ৩০ ফুট গভীরে আটকে পড়া সেই শিশু

    ১৮ ঘণ্টা পরেও উদ্ধার হয়নি ৩০ ফুট গভীরে আটকে পড়া সেই শিশু

    প্রায় ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের প্রায় ৩০ ফুট গভীরে পড়ে আটকে পড়া শিশুটিকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় ভেকু আসার পর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এর আগে, দুপুর ১টার দিকে তানোর উপজেলার কোয়েলহাট গ্রামে মায়ের সাথে খেলতে এসে গভীর নলকূপের খোলা মুখ দিয়ে ভেতরে পড়ে যায় শিশু সাজিদ (২১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

     

    খবর পেয়ে দুপুর পৌনে ২টা থেকে ফায়ার সার্ভিস একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছায়। তবে ভেকু না থাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারছিল না।

    সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এবং ভেকুর সম্বন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে।

    ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী জেলার সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত শিশুটি জীবিত আছে বলে মনে হচ্ছে। তাকে অক্ষত উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

    তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজে নিয়োজিত আছে। গর্ত তৈরি করার পর এখন সুরঙ্গ খোঁড়া হচ্ছে। এরপর সুরঙ্গ দিয়ে মইয়ের সাহায্যে শিশুর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। আল্লাহ যেন শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন।

  • মি’লনে সুখ পেতে সকাল বেলা এই ৬টি কাজ অবশ্যই করুন

    মি’লনে সুখ পেতে সকাল বেলা এই ৬টি কাজ অবশ্যই করুন

    মা-বাবার পরই যে মা’নুষটির সাথে আমরা সবচাইতে বেশী ঘ’নিষ্ঠ থাকি, তিনি হচ্ছেন জীবন স’ঙ্গী। জীবন স’ঙ্গীর সাথে প্রে’মের আ’নন্দ ও শা’ন্তি ধরে রাখা যতটা সহজ, দা’ম্পত্যে ততটাই কঠিন? নিজের দা’ম্পত্য স’ম্পর্কে সু’খী হতে চান।

    জেনে নিন এমন ৬টি কাজের কথা যেগুলো প্রতিদিন সকালে করতে পারলেই সু’খী থাকবেন সারা জীবন। ১ জেগে ওঠার ব্যাপারটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ –হ্যাঁ, সকালে সবারই খুব তা’ড়াহু’ড়া থাকে এবং ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খান। বলাই বাহুল্য যে মে’জাজও খিঁ’চরে যায়। তবে সকালে নিজের স্বা’মী বা স্ত্রী’কে কখনোই ধম’ক দিয়ে বা রা’গ করে ঘুম ভা’ঙাবেন না।

    ২ সকালে যৌ’ মি’লন – স’ম্পর্ক বি’ষয়ে অভি’জ্ঞ যে কোন গবেষকরাই বলেন যে সকালে যৌ’মি’লন দা’ম্পত্যকে অনেক বেশী ম’ধুর করে তোলে। যেসব দম্পতিরা সকা’লে যৌ’ মি’লন করেন, তাঁদের প’রস্প’রের প্রতি ম’মতা বেশী হতে দেখা যায়।

    রোজ না হোক, ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সপ্তাহে ২/৩ বার সকালে ভা’লবাসুন প্রিয় মানুষটিকে। দেখবেন দিন জুড়েই দারুণ রো’ম্যান্টিক থাকবে স’ম্পর্ক। ৩ এক সাথে স্বা’স্থ্য সচেতনতা –খুবই ভালো হয় যদি দুজনে মি’লে সকালে ম’র্নিং ওয়াক করতে পারেন। সংসারের য’ন্ত্রণা থেকে দূরে সকালে কিছুটা সময় পাশাপাশি হাঁট’লেন দুজন। এতে স্বা’স্থ্য রক্ষা তো হলোই, সাথে নিজেরা একটু নিরিবিলি কথা বলার ও সময় কা’টানোর সুযোগ পেলেন। দেখবেন এতে অনেক মনের কথাই জানা হবে প’রস্পরের।

    ৪ নাস্তা হওয়া চাই অবশ্যই একত্রে –যতই ব্য’স্ততা থাকুক না কেন, ১০ মিনিট সময় বের করে একত্রে নাস্তা করুন সকালে। একজন নাস্তা করবেন, আরেকজন ঘুমিয়ে থাকবেন এমনটা যেন না হয়। স’ন্তানদের সাথে নিয়েই বসুন দুজনে। ৫ অ’প্রীতিকর সবকিছু বাদ – সকাল বেলায় সংসারের কম ঝামে’লা নিয়ে আলোচনা করবেন না, গত রাতের ঝ’গড়াও সকালে টেনে আনবেন না। দোষা’রোপ করা, রা’গারা’গি করে ইত্যাদি সব সকালে ভু’লে যান।

    ৬ বিদা’য়ের আগে মিষ্টি ভালোবাসা – সকালের পর বেশিরভাগ দ’ম্পতিই অনেকটা সময়ের জন্য আলাদা হয়ে যাচ্ছেন। তাই বিদায়টা নিন সুন্দর করে। একটু চু”মু, একটু আ’লি’ঙ্গন, একটু আ’দর ইত্যাদি ছোট ব্যাপার গুলো বাকি দিন ঘরে ফিরে আসার তা’গিদ ধরে রাখবে প’রস্পরের মাঝে।

  • ২ বছর স*হ*বাস করার পর জানতে পারলেন প্রেমিক তারই ভাই

    ২ বছর স*হ*বাস করার পর জানতে পারলেন প্রেমিক তারই ভাই

    নৈশভোজ সারার পর প্রেমিকের মা তাঁদের একটি পুরনো ফোটো অ্যালবাম নিয়ে বসেন। একটি ছবি দেখিয়ে প্রেমিকার মা জানান যে, তিনিই তরুণের পিতা। ছবিটি দেখে চমকে ওঠেন তরুণী।

     

    দু’বছরের সম্পর্ক তরুণ-তরুণীর। ভবিষ্যতে একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন তাঁরা। তাই প্রেমিকের পরিবারের সঙ্গে পরিচয়পর্ব সারতে গিয়েছিলেন তরুণী। নৈশভোজের পর পরিবারের ফোটো অ্যালবাম নিয়ে বসেন তরুণের মা। তখনই মাথায় বাজ পড়ে তরুণীর। প্রেমিকের মা যাঁকে তাঁর সন্তানের পিতা হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন, সে আসলে তরুণীরই পিতা। দু’বছর সম্পর্কে থাকার পর এই সত্য জানতে পেরে চমকে ওঠেন তরুণী। কী করবেন তা বুঝতে না পেরে সমাজমাধ্যমের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।

    সম্প্রতি রেডিটে পোস্ট করে তরুণী লেখেন, ‘‘দু’বছর সম্পর্কে থাকার পর আমি জানতে পারি যে আমার প্রেমিক আসলে আমার সৎভাই।’’ তিনি জানান, প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন তরুণী। প্রেমিকের মায়ের সঙ্গে ভালই ভাব হয়ে যায় তাঁর। নৈশভোজ সারার পর প্রেমিকের মা তাঁদের একটি পুরনো ফোটো অ্যালবাম নিয়ে বসেন। একটি ছবি দেখিয়ে প্রেমিকার মা জানান যে, তিনিই তরুণের পিতা। ছবিটি দেখে চমকে ওঠেন তরুণী।

    তরুণীর দাবি, ওই ছবিতে যাঁকে দেখানো হয়েছে তিনি আসলে ওই তরুণীর পিতা। অর্থাৎ, তাঁর প্রেমিকই তাঁর সৎভাই। দু’বছর সম্পর্কে থাকার পর এই সত্য উদ্‌ঘাটিত হওয়ার ফলে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। কী করবেন তা বুঝতে না পেরে নেটব্যবহারকারীদের কাছে পরামর্শ চান তিনি। নেটাগরিকদের একাংশ মন্তব্য করেছেন, ‘‘তুমি তোমার প্রেমিকের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে দেখতে পারো।’’ আবার কয়েক জন নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘তুমি বোলো না কিছু। না হলে সব আরও জটিল হয়ে যাবে।’’

  • পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কি বলে

    পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কি বলে

    ইসলামে শরীরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। নবী করিম (সা.) বগলের নিচ, নাভির নিচ এবং গোপনাঙ্গের পশম পরিষ্কার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে আনাস ইবনে মালেক (রা.)-এর একটি হাদিস সহিহ মুসলিম, সুনানে নাসাঈ এবং মুসনাদে আহমদ-সহ বহু হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, যেখানে রাসূল (সা.) এসব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চল্লিশ দিনের মধ্যে করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।পায়খানার রাস্তার লোম (যেগুলো নাভীর নিচে এবং গোপনাঙ্গের আশেপাশে) কাটা বা পরিষ্কার করা জায়েজ আছে।

    এক্ষেত্রে ব্লেড, কাঁচি, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম—যে কোনো উপায় গ্রহণযোগ্য। শরীয়ত এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করেনি। যে পদ্ধতিতে নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশম অপসারণ সম্ভব, তা ব্যবহার করা জায়েজ।

     

     

    তবে ৪০ দিনের বেশি সময় এসব পশম না কাটলে তা গুনাহের কারণ হতে পারে। কিন্তু এ কারণে সালাত বাতিল বা অগ্রহণযোগ্য হবে—এমন কোনো প্রমাণ সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় না। নামাজের বিশুদ্ধতা নির্ভর করে সালাতের ফরজ ও শর্ত সঠিকভাবে আদায় করার ওপর।

    এছাড়া অনেকে প্রশ্ন করেন—চুল ও নখ কাটার পর তা টয়লেটে ফেললে গুনাহ হয় কি না। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এটা গুনাহ নয়, তবে শরীরের অংশ হিসেবে এগুলোকে অপমানজনক স্থানে ফেলা অনুচিত। সাহাবিদের মধ্যে কেউ কেউ তা মাটির নিচে পুঁতে রাখার অভ্যাস করতেন। মাটি চাপা দেয়া উত্তম হলেও যদি কেউ তা ডাস্টবিনে ফেলে দেন, তবে গুনাহগার হবেন না—তবে এটি অনুত্তম কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

    সর্বোপরি, ইসলাম শরীর ও আত্মার উভয়ের পবিত্রতায় গুরুত্ব দেয়। তাই দৈনন্দিন জীবনে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার বিষয়টিকে অবহেলা না করে গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব।