• সালমান খান যেসব নায়িকাদের ইচ্ছামত ভোগ করে দূরে ঠেলে দিয়েছেন

    সালমান খান যেসব নায়িকাদের ইচ্ছামত ভোগ করে দূরে ঠেলে দিয়েছেন

    “সালমান খান” পরিচিতির জন্য এই নামটুকুই যথেষ্ট। পুরো ভারতবর্ষে তিনি ‘ভাইজান’ নামে সমধিক পরিচিত, আবার তাকে নিয়ে নানা সময়ে উঠে আসা বিভিন্ন রকম বিতর্কেরও কোন কমতি নেই। বলিউডের সফল তারকাদের মধ্যে একজন হলেন সালমান খান।

    এর সাথে তার ফ্যানবেসও নজরকাড়ার মতো‌। বি টাউনে এমন কোনও অভিনেত্রী নেই যে ‘বলিউডের ব্যাড বয়’এর সাথে কাজ করতে আগ্রহী নন। নিজের বয়সের অর্ধেক বয়সী হিরোইনদের সাথেও চুটিয়ে রোমান্স করতে দেখা গেছে তাকে। আজ এমন কয়েকজন বলিউড ডিভার কথা বলবো যাদের সাথে বয়সের অসামঞ্জস্যতা থাকা সত্ত্বেও পর্দায় অবলীলায় জুটি বেঁধেছেন তিনি।

    ১) সোনাক্ষি সিনহা : দাবাং ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন সোনাক্ষি সিনহা। ভাগ্যক্রমে নিজের প্রথম ছবিতেই কো-স্টার হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন বলিউডের ব্যাড বয় সালমান খানকে। যখন দাবাং ছবি শুট করা হয় সেই সময় সালমান খানের বয়স ছিলো ৪৫ বছর। জেনে অবাক হবেন সেই সময় সোনাক্ষির বয়স ছিলো মাত্র ২৩ বছর।

    ২) আয়েশা টাকিয়া : বলিউড এবং টলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই এই সুন্দরীর ফ্যান ফলোয়িং আকাশছোঁয়া। ওয়ান্টেড ছবিতে সালমানের বিপরীতে কাজ করেছিলেন আয়েশা। ছবিটি যখন মুক্তি পায়, তখন সালমান ও আয়েশার কেমিস্ট্রি বেশ নজরকাড়ে দর্শকদের। বক্স অফিসে ছবিটি সুপারহিটও হয়। এই ছবির শুটিংয়ের সময় আয়েশার বয়স ছিল ২৩ বছর অপরদিকে সালমানের বয়স ছিল তখন ৪৪ বছর।

    ৩) সোনম কাপুর : ২০১৫ সালে মুক্তি পায় সালমান খান এবং সোনম কাপুর অভিনীত ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’। বলাইবাহুল্য ছবিটি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিলো। প্রসঙ্গত সোনাম কাপুর বলিউডের ভাইজানের থেকে ২০ বছরের ছোটো।

    ৪) সাই মাঞ্জকার : বলিউডের বিখ্যাত তারকা মহেশ মাঞ্জরেকরের মেয়ে সাই মাঞ্জরেকার এবং সালমান খানের জুটি দেখা গিয়েছিলো ‘দাবাং 3’-এ। বয়সের নিরিখে সালমান ৩৩ বছরের বড়ো সাই’এর থেকে।

    ৫) দিশা পাটানি : বলিউডের অন্যতম হট নায়িকা দিশা পাটানি। নিজের বোল্ড এবং হট অবতারের কারণে সবসময়ই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন দিশা। সম্প্রতি দিশা এবং সালমানকে ‘রাধে’ ছবিতে রোমান্স করতে দেখা গেছে। জেনে অবাক হবেন দিশা এবং সালমানের বয়সের পার্থক্য ২৭ বছর।

    ৬) অনুশকা শর্মা : ২০১৬ সালে সালমান খানের সঙ্গে ‘সুলতান’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনুশকা। সুলতান যখন মুক্তি পায় সেই সময় অনুশকার বয়স ছিলো ২৮ বছর যেখানে সালমান তখন ৫১ পার করেছেন।

    ৭) স্নেহা উল্লাল : বলিউড তারকা স্নেহা উল্লাল ২০০৫ সালের লাকি-নো টাইম ফর লাভ চলচ্চিত্রে সালমান খানের সাথে পর্দায় হাজির হন। এই ছবিটি যখন মুক্তি পায় তখন সালমান খানের বয়স ছিল ৪১ বছর এবং স্নেহার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।

     

  • শুধু বুকে ব্যথা নয়, এই লক্ষণগুলোও হার্ট অ্যাটাকের সতর্ক সংকেত

    শুধু বুকে ব্যথা নয়, এই লক্ষণগুলোও হার্ট অ্যাটাকের সতর্ক সংকেত

    প্রায় প্রতিদিনই হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তবে কিছু মানুষ এর লক্ষণগুলো নিয়ে সতর্ক থাকলেও বেশিরভাগই অবহেলা করে। কেবল বুকে ব্যথা করলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে ছোটে তারা। কিন্তু বুকে ব্যথা ছাড়াও বেশি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ রয়েছে হার্ট অ্যাটাকের, যেগুলোর দিকে নজর না দিলেই বিপদ।

    চিকিৎসকদের মতে, যখন হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি হয়, ফলে হৃদপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখনই হার্ট অ্যাটাক করেন রুগি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলা হয়। এটি আকস্মিকভাবে দেখা দিলেও অনেক সময় ধীরে ধীরে শরীরে লক্ষণ ফুটে ওঠে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা অনেকেই সেই লক্ষণগুলো গুরুত্ব দিই না, ফলে ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

    আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

    ১. বুকের মাঝখানে অস্বস্তি, ব্যথা, চাপ ধরা, ভারী লাগা, জ্বালাপোড়া বা সংকোচন অনুভূতি হতে পারে।
    ২. শরীরের অন্য অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি; দুই বাহু, পিঠ, গলা, চোয়াল বা পেটের ওপরের অংশেও ব্যথা হতে পারে।
    ৩. শ্বাসকষ্ট; বুকের ব্যথার সাথে বা আলাদা ভাবেই দেখা দিতে পারে।
    ৪. অতিরিক্ত ঘাম ও দুর্বলতা, বমি ভাব, মাথা ঘোরা, হৃৎস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা—এসবও হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে।
    ৫. নারীদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী লক্ষণ: পুরুষদের মতো নারীরাও বুকের ব্যথা অনুভব করেন, তবে অনেক সময় তাদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো হয় কম স্পষ্ট। যেমন: যদি রোগী নিশ্বাস না নেন তাহলে সিপিআর দিন। প্রশিক্ষণ না থাকলেও শুধু বুক চেপে ১০০–১২০ বার প্রতি মিনিটে চাপ দিন।

    হার্ট অ্যাটাক হলে হাসপাতালে নেওয়ার আগে যে পদক্ষেপগুলো জীবন বাঁচাতে পারে

    ১. যদি চিকিৎসক আগে থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাহলে অ্যাসপিরিন দিন। এটি রক্ত জমাট বাঁধা রোধে সাহায্য করে।
    ২. একই ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ থাকল নাইট্রোগ্লিসারিন সেবন করুন। এটা রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে।
    ৩. যদি রোগী নিশ্বাস না নেন তাহলে সিপিআর দিন। প্রশিক্ষণ না থাকলেও শুধু বুক চেপে ১০০–১২০ বার প্রতি মিনিটে চাপ দিন।

    চিকিৎসকদের মতে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য যা করতে হবে:

    ১. ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যে ‘না’ বলুন
    ২. দুশ্চিন্তা কমান, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
    ৩. রক্তচাপ, সুগার ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করে রাখুন
    ৪. প্রতিদিন হালকা-গভীর ব্যায়াম করুন
    ৫. লবণ ও চর্বি কম খাবার গ্রহণ করুন
    ৬. অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

     

  • এবার ঢাকায় মেয়র পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হিরো আলম

    এবার ঢাকায় মেয়র পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হিরো আলম

    আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। যাকে নিয়ে আলোচনা করা যায়, কিন্তু তাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আলোচনা-সমালোচনার তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

    রাজনীতিতে অনেকদিন ধরেই সক্রিয় হিরো আলম। বেশ কয়েকবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। তবে এবার তিনি ভাবছেন মেয়র পদে নির্বাচন করবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার ডিশ ব্যবসায়ী থেকে আলোচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হওয়া হিরো আলম।

    গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরো আলম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে নির্বাচন করবো। সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটির মানুষদের সঙ্গে কথা বলছি, মতবিনিময় করছি। সময় হলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবো।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কতটা কঠিন হবে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, কোনো নির্বাচনই সহজ নয়। আমি আমার মতো কাজ করে যাচ্ছি। তবে সব কিছুই নির্ভর করে জনগণের ওপর। যদি তারা চায় তাহলে জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নেবো। আপাতত মেয়র নির্বাচন নিয়েই ভাবছি। অনেকে ফোন দিচ্ছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন। আলোচনা চলছে। আমি মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ চাই।

    হিরো আলম এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটগ্রহণের দিন তার ওপর হামলা হয়। পরে তিনি ভোট বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন।

    এ ছাড়া ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বগুড়া-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান বিজয়ী হন।

     

  • বিএনপির বিপরীতে জামায়াত-এনসিপির ভোট কত, জানাচ্ছে জরিপ

    বিএনপির বিপরীতে জামায়াত-এনসিপির ভোট কত, জানাচ্ছে জরিপ

    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে এখন কেবলই ভোটের হিসাব। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরব হয়ে উঠেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এ অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সর্বশেষ পরিস্থিতি কি, তা উঠে এসেছে এক জনমত জরিপে।

    ‘গণ ভাবনা’ নামের একটি অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গত জুন মাসে এই জরিপটি পরিচালনা করে। এতে ওই আসনের ২ হাজার ১৩৯ জন বৈধ ভোটার অংশ নেন। যার মধ্যে ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ছিলেন।

    জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই আসনের শতকরা ৫৩ ভাগেরও বেশি মানুষ মনে করেন বিএনপি বিজয়ী হবেন। ২২ ভাগ মনে করেন জামায়াত ও সাড়ে ৩ ভাগ মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিজয়ী হবেন।

    ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর প্রতিটিতেই বিএনপি জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে।

    এদিকে জরিপে প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোটার মনে করেন, আওয়ামী লীগের ভোটাররা বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার দিকে ঝুঁকতে পারেন। এসব ভোটারদের প্রধান চাহিদা অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ।

    অন্যদিকে ৭২ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, তারা কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের মতামত অনুসরণ করেন না।