• দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে আর সেদিন থেকেই ঘুমাতে পারিনা

    দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে আর সেদিন থেকেই ঘুমাতে পারিনা

    সারারাত ঘুম হয়নি।নতুন বিয়ে হয়েছে। বিয়েটা পরিবার থেকেই হয়েছে।দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে আর সেদিন থেকেই ঘুমাতে পারিনা। অথচ এই বিয়ে নিয়ে কত্ত স্বপ্ন দেখতাম!! ছিমছাম, সুঠাম দেহের হ্যান্ডসাম রাজপুত্রের মতো দেখতে একটা ছেলের সাথে আমার বিয়ে হবে। কত রোমান্টিক কথা বলবে, একসাথে কত্ত মধুর স্মৃতি, কত্ত জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাবে!! তার সাথে রাত জাগারও প্ল্যান ছিল।

    কিন্তু সেই রাত জাগা আর এখনকার রাত জাগার মধ্যে অনেক তফাৎ। ইচ্ছে ছিল আমরা একসাথে রাতের বেলা বেলকনিতে বসে কফি খাবো আর জোৎস্না দেখবো, কোন কোন দিন রাতে ছাদে শুয়ে শুয়ে চাঁদের আলো গায়ে মাখবো, হয়তোবা কখনো কখনো তারা গুনবো। একটা সিনেমা সিনেমা ফিলিংস থাকবে।কিন্তু কি পেলাম আমি?? পেলাম তো এক ভুড়িওয়ালা কালো চামড়ার বিরক্তিকর লোককে,

    যে সারারাত নাক ডেকে ডেকে ঘুমোয়।ঘুমের ঘোরে সে অনবরত হাত পা ছুঁড়তে থাকে। আমাকে সে মাঝে মাঝে এমন ভাবে কোলবালিস বানিয়ে ঘুমোয় যে আমার নিঃশ্বাস আটকে যেতে চায়।।। আর আমাকে জেগে থাকতে হয়। প্রথম প্রথম খুব মেজাজ খারাপ হতো, রাগ লাগতো নিজের ভাগ্যের উপর।কিন্তু এখন আরএকটুও খারাপ লাগেনা। দিন যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে এই বিষয়টা আমি ইনজয় করছি। দিনকে দিন আমার ধারণা, ভালো লাগা- খারাপ লাগার ধরণ চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। আমার বরের নাম সোহানুর রহমান। আমি এখনও সামনাসামনি নাম ধরে ডেকে উঠতে পারিনি। ২০-২১ বছরের একটা মেয়ের পক্ষে ৩২-৩৩বছরের একটা ভুড়িওয়ালা লোকের নাম ধরে ডাকা কি সম্ভব?? আমি সোহানকে এখনো আপনি করেই ডাকি।। তুমি বলতে অস্বস্তি লাগে। সোহান একটা প্রাইভেট জব করে

    সোহানকে স্পেশালি আমার বাবার খুব পছন্দ। বাবার পছন্দের কারণেই আমার বিয়েটা করা। বয়সের এত্ত গ্যাপ থাকার কারণে এবং প্রথম অবস্থায় সোহানকে পছন্দ না হওয়াতে আমি অনেক আপত্তি করেছিলাম বিয়েতে। কিন্তু ওই যে কপালের লিখন না যায় খন্ডন।বিয়েটা হয়েইগেলো।

    সোহান অফিস যাওয়ার পর শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। এমন সময়ে দরজায় কলিং বেল বাজলো ২ বার। চোখ খুলে দেখলাম ১১.২৫ বাজে।এই সময় আবার কে আসবে ভাবতে ভাবতে গেট খুলে দেখি সোহান। একি আপনি?? এই সময়? কিছু হয়েছে কি?? আপনি তো এই সময় আসেননা।দাঁড়াও দাঁড়াও এত প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দেবো কি করে?? এক গ্লাস পানি দাও আগে।। আর হ্যাঁ শোন পানিতে বরফ দিও একটু। আমি পানি নিতে এগুতে এগুতে বললাম দরজাটা লাগিয়ে দিন।। তারপর একগ্লাস নরমাল পানি দিলাম তাকে।একি পানিতে বরফ দাওনি? পানিটা তো গরম হয়ে আছে।। ওইটা খেয়ে তৃপ্তি হবেনা।না হলে না হবে। ভুলে গেলেন কয়েকদিন আগে ঠান্ডা পানি খেয়ে কি অবস্থা হয়েছিল?? আজব যেটা খেলে সমস্যা হয় সেটা খান কেন?? ওরে বাবা! ঠিকআছে ঠান্ডা পানি আর খাবোনা যাও। কিন্তু আমার বৌ-টা রাগ করলে তো আরো সুন্দর লাগে?? দেখি একটু কাছে আসো তো!আহ্ কি করছেন কি বলুন তো? ভীমরতি ধরেছে নাকি??

    যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। আমি চা বানাচ্ছি।।ঠিক আছে! যাচ্ছি। ইয়ে মানে বলছিলাম কি চায়ে একটু চিনি বেশী দিও কেমন??এই লোকটাকে প্রথম প্রথম খুব বেশি বিরক্ত লাগতো, যদিও মুখে প্রকাশ করিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে মনে হয় একটু একটু ভালো ও লাগছে। নাহ একটু না, অনেক বেশী ভালো লাগছে। প্রথম প্রথম যেগুলা অসহ্য লাগতো এখন সেগুলাই ভালো লাগছে। আচ্ছা আমি কি ওনার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি নাকি??এই যে নিন আপনার চা।।আদা চা করেছি আর হ্যাঁ, চিনি ছাড়া। এটাই খেয়ে নিন। আপনার এখন থেকে কিছু কিছু জিনিস কন্ট্রোল করতে হবে। এ নিয়ে আর কোন কথা বলা যাবেনা। ইয়ে এক চামুচ তো দিতে পারো তাইনা?এক চিমটি ও না। ওটাই খেয়ে নিন। এখন বলুন তো এত্ত আগে কেন আসলেন আজকে?? কিছু হয়েছে??আজ একটা কাহিনী ঘটেছে। আমার এক কলিগের বড় বোনের জন্য রক্তের দরকার ছিল। কোথাও পাচ্ছিলনা,আর আমার সাথে মিলে গেলো তাই আমি ডোনেট করলাম।

    এই জন্য আজ বস ছুটি দিয়ে দিল।মানে কি? আপনি ব্লা;ড ডোনেট করে এসেছেন? আর আমি কিছুই জানিনা? আমাকে বলার প্রয়োজন মনে করেননি??না, তা না। আসলে ভাবলাম তুমি যদি টেনশন করো! বয়েই গেছে আমার টেনশন করতে। আচ্ছা স্যালাইন খেয়েছেন? আর ডাব খেয়েছেন কি? বাসায় তো কোনটাই নেই। আচ্ছা এতো অস্থির হচ্ছো কেন?? স্যালাইন খাইনি তবে জুস দিয়েছিল জুস খেয়েছি। আর আসার সময় একটা ডাব খেয়েছি।। ধুর! জুস খেয়ে কি হবে? সব কেমিক্যাল।ডাব টা কাজে লাগবে। দাড়ান এককাজ করি! পানি, চিনি আর লবণ দিয়ে স্যালাইন বানিয়ে আনি। আর একটা ডিম সেদ্ধ আনি।এই শোন শোন, এখন দরকার নেই। আসো, আমার পাশে একটু বসো, গল্প করি।।বসতে পারবোনা। আপনি ওয়েট করুন, আমি আসছি এখনি। ডিম সেদ্ধ, আর স্যালাইন বানিয়ে এনে দেখি “ও” ঘুমিয়ে পড়েছে। ওকে জাগাতে ইচ্ছা করছেনা।

    কেন জানিনা ওর ঘুমানো দেখতে ভালো লাগছে। মানুষটার উপর কেন জানিনা মায়া পড়ে গেছে। কালো একটা মানুষ যে এত্ত সুন্দর হতে পারে আগে বুঝিনি।কালো অনেক মানুষ আছে যারা অনেক সুন্দর হয়। কিন্তু তারা কেউ আমার বরের মতো সুন্দর না। কি আজব যেই মানুষটাকেই কয়েকদিন আগে কুৎসিত মনে হতো তাকেই আজ সবচেয়ে সুন্দর পুরুষ মনে হয়। তাকে কেউ খারাপ বললে সহ্য করতে পারিনা। আচ্ছা এটাই কি প্রেম?প্রেমে পড়েছি আমি?? কেন জানিনা ইচ্ছা করছে ওর কোলবালিশ হয়ে যাই।ও ঘুমোবে আর আমি দেখবো।।কখন যেন ঘুমিয়ে গেছিলাম নিজেও জানিনা। উঠে দেখি ২.৩৮ বাজে। কয়েক সেকেন্ড মনে হলো সব ভূলে গেছি। তারপর মনে হলো সোহান তো বাড়িতে আছে। একি! দুপুরেতো রান্নাই করিনি আজকে। ও খাবে কি?? আমি কখন কি করবো?

    এমনিতে সকালে মানুষটাকে রাতের বাঁসি রুটি-তরকারি খেয়ে অফিসে যেতে হয়েছে। আবার দুপুরেও একটু খাবার রান্না করে দিতে পারলামনা?কিন্তু ও ই বা কোথায় গেলো? রান্না ঘরের দিকে গিয়ে দেখি মশায় রান্না করছেন।ওমা! একি!! আপনি? কি করছেন? আমাকে ডাকেননি কেন??তুমি ঘুমিয়ে পরেছিলে। তাই ডাকিনি। টি- টেবিলে স্যালাইন আর ডিম রাখা ছিল খেয়ে নিয়েছি। তারপর ভাবলাম আজ তোমাকে না ডাকি। একদিন না হয় আমি রান্না করে খাওয়াই নিজের বৌ- কে। ব্যাচেলর থাকতে তো মাঝেমাঝেই রান্না করে বন্ধুরা মিলে খেতাম।মনে মনে যে খুশি হয়েছি সেটা কিছুতেই প্রকাশ করা যাবেনা। আমি একটু চেঁচিয়ে বললাম, আপনি তো সব কিছু অগোছালো করে দিলেন। আমার সব কাজ বাড়িয়ে দিয়েছেন। কে করতে বলেছে আপনাকে এসব? আমাকে ডাকলেই তো হতো। সবসময় আমি- তুমি, আমি- তুমি ভাবো কেন বলতো? আমরা ভাবতে পারোনা? আমি তুমি আলাদা না ভেবে দুইটা যোগ করে আমরাভাববেকেমন? শোন দুইজন মিলেগুছিয়ে রাখবো।। আর তোমার থেকে আমি অনেক বড়। আমি তোমার স্বামী।

    মনে মনে যে খুশি হয়েছো এইটা প্রকাশ করতে দোষের কিছু নেই। ছোট মেয়ে ছোট মেয়ের মতই থাকবা। এখন এদিকে আসো, দেখো তো রান্না কেমন হয়েছে? ভাত, মুরগীর মাংস আর ডাল। চলবেনা??রান্নাটা মজা হয়েছে। কিন্তু চলবেনা।কেন? আর কিছু লাগতো? নাহ আসলে চলবেনা কারণ দৌঁড়াবে। মজা করালাম একটু আর কি।শব্দ করে হেসে হুম মাঝে মাঝে মজা করবা। ভালো লাগে আমার। চল খেতে বসি অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে।ও নিজেই খাবার সার্ভ করছিল, তখন খেয়াল করলাম হাতে একটু ফোসকা উঠেছে।একি? রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেছেন? বাহ্ খুব ভালো।৷ আমাকে ডাকলে সমস্যা কোথায় ছিল? লেকচার তো ভালোই দিলেন, আমি তুমি মিলে আমরা। কিন্তু নিজের বেলায় আলাদা তাইনা?ও কিছু না। সামান্য একটু…চুপ। দাড়ান মলম লাগিয়ে দিচ্ছি। আর শুনুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি আপনাকে। ওই হাত দিয়ে খেতে হবেনা। কিহ্!! সত্যি? তাহলে তো আমি ১০০ বার হাত পুড়িয়ে ফেলতে রাজি আছি।অমনি না?? থামুন। আর একটা ও কথা বলবেননা । আজকের দিনটা ও শেষ হয়ে গেলো। রাতে শুয়ে ছিলাম দুইজনই। আমি ওনাকে বললাম – শুনুন, একটা কথা বলবো??হ্যাঁ বলো।না থাক না না বলনা কিছুনা।

    সে হঠাৎ আমার মাথাটা তার বুকের মধ্যে নিয়ে বলল ভালোবাসি কথাটা অতটাও কঠিন না পাগলীটা। তাছাড়া আমি তোমার স্বামী।আমাকে যখন যা খুশি তাই বলতে পারো। এত সংকোচ করোনা।।আমি আর কোন কথা বলিনি৷ চোখ টা বন্ধ করে থাকলাম। হয়তো আজো ঘুম হবেনা।এই জেগে থাকাটা ফিল্মের মতো না৷ কিন্তু এতে সত্যিকারের ভালোবাসা আছে। তাই এটা আরো বেশী সুন্দর। আগে বুঝতামনা। কিন্তু এখন ঠিকি বুঝি। ভালোবাসি “ও”কে। এরমধ্যেই ও” ঘুমিয়ে গেছে। নাক ডাকা শুরু হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে হাত পা ছুঁড়বে কিছুক্ষণের মধ্যেই ৷ ওর ভূড়ি আমার শরীর স্প;র্শ করে আছে। কিন্তু আমার খুব ভালো লাগছে৷ ওর গায়ের গন্ধ ভালো লাগছে।৷জেগে থেকে ওর ঘুম দেখতে ভালো লাগছে ।।গল্পঃ আমি, তুমি মিলে আমরালেখাঃ সাদিয়া রহমান দৃষ্টি

  • লিভার ড্যামেজের যেসব লক্ষণ ফুটে ওঠে ত্বকে

    লিভার ড্যামেজের যেসব লক্ষণ ফুটে ওঠে ত্বকে

    লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যখন লিভার ঠিকমতো কাজ করে না, তখন শরীরের নানা অঙ্গই প্রভাবিত হতে শুরু করে। আধুনিক জীবনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে লিভার সংক্রান্ত সমস্যা অনেকেরই হয়। বিশেষ করে ফ্যাটি লিভার এবং লিভার সিরোসিসের মতো জটিল রোগ। এসব রোগের সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না হলে লিভার পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।

    লিভারে সমস্যা হলে শরীর প্রথমেই সংকেত দেয়, আর সেই সংকেতগুলোর মধ্যে ত্বকের পরিবর্তনগুলো সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো। এই সংকেতগুলো সময়মতো চিনে নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে গুরুতর সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

    ত্বক ও চোখে হলুদ ভাব:
    লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে বিলিরুবিন নামক পদার্থ জমা হতে থাকে। এর ফলে ত্বক ও চোখ হলদেটে হয়ে যায়, যা জন্ডিস নামে পরিচিত। এটি লিভারের গুরুতর সমস্যা বোঝায়। এই লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।

    ত্বকে চুলকানি ও জ্বালা:
    লিভারের কার্যকারিতা কমে গেলে শরীরে টক্সিন জমা হতে থাকে। এছাড়া পিত্তরস সঠিকভাবে বের না হলে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি বা জ্বালা অনুভূত হতে পারে। যদি এই সমস্যা বারবার বা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তবে তা লিভার সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

    ত্বকে ফুসকুড়ি বা ফোঁড়া:
    লিভার দুর্বল হলে রক্ত সঞ্চালনে বিঘ্ন ঘটে, যার প্রভাব ত্বকে পড়ে। ছোট ফুসকুড়ি, ফোঁড়া বা লাল দাগ দেখা দিতে পারে। যদি এসব ফুসকুড়ি সাধারণ ওষুধে সেরে না ওঠে, তাহলে লিভার পরীক্ষা করানো জরুরি।

    মুখ ও চোখ ফুলে যাওয়া:
    লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে মুখ ও চোখ ফোলার সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠলে যদি এই ফোলা ভাব অনুভব করেন, তা লিভারের দুর্বলতার ইঙ্গিত হতে পারে।

    লিভার সুস্থ রাখতে করণীয়

    সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খান: ফল, শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার লিভারকে স্বাস্থ্যবান রাখে।
    প্রচুর পানি পান করুন: প্রতিদিন ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
    ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন। এই অভ্যাসগুলো লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
    নিয়মিত ব্যায়াম করুন: হালকা যোগব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি বা অন্যান্য ব্যায়াম লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
    লিভারের সমস্যা যদি ত্বকের মাধ্যমে সতর্কতা দেয়, তা কখনোই উপেক্ষা করবেন না। সময়মতো চিকিৎসা নিলে গুরুতর অসুস্থতা এড়ানো যায় এবং লিভার সুস্থ রাখা সম্ভব।

     

  • জামানত ছাড়াই ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন, কিস্তি মাত্র ২,০৭৬ টাকা!

    জামানত ছাড়াই ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন, কিস্তি মাত্র ২,০৭৬ টাকা!

    বাংলাদেশ সরকারের নেয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—বেকারদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন লোন প্রদান। এই প্রকল্পটি দেশের বেকার সমস্যা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।Authentic Bangladeshi souvenirs

    Bank

    বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে এই লোন প্রদান করা হচ্ছে। এই লোন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বিদেশি নাগরিকরা এই সুবিধার আওতায় পড়েন না।

    কে কে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন?
    বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর
    হতে হবে বেকার বা অর্ধবেকার (অর্থাৎ, চাকরি করেন না, তবে টুকটাক আয় করেন এমন)
    আপনি বা আপনার জামিনদারকে লোন গ্রহণকারী শাখার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে
    Authentic Bangladeshi souvenirs
    লোনের পরিমাণ, মেয়াদ ও সুদের হার
    সর্বোচ্চ লোন পরিমাণ: ২ লক্ষ টাকা
    মাসিক কিস্তি (উদাহরণ): ২,০৭৬ টাকা (২ লক্ষ টাকা, ১০ বছরের মেয়াদ ধরে)
    সুদের হার: সাধারণত সিঙ্গেল ডিজিট, অর্থাৎ ৯% এর কম (লোনের পরিমাণ ও মেয়াদের ওপর নির্ভরশীল)
    কোন ব্যবসার জন্য লোন নেবেন?

    যেহেতু এটি একটি উদ্যোক্তা লোন, তাই আপনাকে অবশ্যই কোনো ব্যবসার উদ্দেশ্যে লোনটি নিতে হবে। ব্যাংকের ওয়েবসাইটে অনুমোদিত ব্যবসার তালিকা রয়েছে, যেমন:

    কৃষি
    হস্তশিল্প
    ক্ষুদ্র ব্যবসা
    অনলাইন ভিত্তিক উদ্যোগ ইত্যাদি
    শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে?

    এই লোন পেতে উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা আবশ্যক নয়। আপনি যদি সাধারণভাবে ডকুমেন্ট পড়ে বুঝে সিগনেচার করতে পারেন, তাহলেই যথেষ্ট।

    প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
    জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
    ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
    ঠিকানা প্রমাণ (ভোটার আইডির ঠিকানা যথেষ্ট)
    ব্যবসার সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা
    জামিনদারের তথ্য (যদি প্রযোজ্য হয়)
    আবেদনের পদ্ধতি

    ১. নিকটস্থ বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন
    ২. আবেদন ফর্ম পূরণ করুন
    ৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিন
    ৪. যাচাই-বাছাই শেষে লোন অনুমোদন হলে টাকা ট্রান্সফার করা হবেAuthentic Bangladeshi souvenirs

    কে কে এই লোন পাবেন না?
    বিদেশি নাগরিকরা
    লোন ডিফল্টাররা (যারা পূর্বে অন্য ব্যাংকে লোন নিয়ে ফেরত দেননি)
    বিশেষ পরামর্শ
    নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করুন, ভবিষ্যতে আরও বড় লোন পেতে সুবিধা হবে
    ডিফল্ট বা দেরি করলে জরিমানাসহ লোন বাতিল হতে পারে
    হয়রানির শিকার হলে ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ করতে পারেন

    এই লোন প্রকল্পের মাধ্যমে হাজারো বেকার তরুণ-তরুণী আত্মকর্মসংস্থানে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক।

  • বিমানবন্দর থেকে বের হতেই ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট

    বিমানবন্দর থেকে বের হতেই ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট

    বিমানবন্দর থেকে বের হতেই রাজধানীতে ডিবি পরিচয়ে লন্ডনপ্রবাসীর ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিনতাই হয়েছে। প্রবাসীর পরিবারটির কাছ থেকে টাকা, সোনা, ডলার ও আইফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বনানী থানার পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে বনানী কবরস্থান এলাকায় পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। পরে বনানী থানায় মামলা করেছে প্রবাসীর পরিবার। তবে ছিনতাইকারীরা তাদের জিম্মি করে ভয় দেখিয়েছে। তাই তারা এখনও ট্রমা থেকে বের হতে পারেননি। এ কারণে তারা পরিচয় প্রকাশ করতে চান না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    ছিনতাইয়ের কবলে পড়া প্রবাসীর পরিবারের বরাত দিয়ে বনানী থানার পুলিশ জানায়, ছিনতাইকারীরা পরিবারটির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, কিছু নগদ টাকা এবং ডলার নিয়ে গেছে।

    এই ঘটনায় মামলা হয়েছে নিশ্চিত করে পুলিশ জানায়, প্রবাসী পরিবারটিকে ছিনতাইকারীরা বিমানবন্দর থেকেই অনুসরণ করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার জানান, ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন ওই প্রবাসী পরিবারটিকে বহনকারী মাইক্রোবাস থামায়। সাধারণ পুলিশ যে ধরনের লাইট ব্যবহার করে গাড়ি থামানোর সংকেত দেয়, ছিনতাইকারীরা একই লাইট ব্যবহার করে গাড়িটি থামিয়েছিল। তারপর ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।