• সরকারি চাকরীজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কিনা জানা গেল

    সরকারি চাকরীজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কিনা জানা গেল

    অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ভাতা সংক্রান্ত নথি পাঠালে সায় না দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।

    অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানা যায়, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

    অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, মহার্ঘ ভাতার বাড়তি অর্থায়নের হিসাব করা হয়েছে চলতি বাজেটের বরাদ্দের ভিত্তিতে। তবে প্রতিবছর বাজেটে বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ ৬ থেকে ৮ শতাংশ বাড়ে। সে হিসাবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দাঁড়াতে পারে প্রায় সাড়ে ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা বাবদ যোগ হতো আরও প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় হতো প্রায় সাড়ে ৯৬ হাজার কোটি টাকা।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করার কথা বলা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এখনই মহার্ঘ ভাতা দেওয়াটা যৌক্তিক সময় নয়।

    বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পক্ষে অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এমন তো নয় যে সরকারি কর্মচারীরা খুব কম বেতনে চাকরি করছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীর বেতন বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। উপসচিব হলেই বিনা সুদে গাড়ির ঋণ এবং সেই গাড়ি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসে বাড়তি ৫০ হাজার করে টাকাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া থেকে সরে আসাটাই যৌক্তিক।

    উল্লেখ্য, সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর একটি নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করার কথা। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাইয়ে অষ্টম বেতন কাঠামো কার্যকর হয়। সে সময় নতুন কাঠামোর সুপারিশ না করলেও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার প্রস্তাব ছিল বেতন কমিশনের। তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের আগপর্যন্ত প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে আসছিলেন। পরে বাড়তি মূল্যস্ফীতির কথা বলে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এ পরিস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে তা কার্যকর না হলেও বিশেষ সুবিধা হিসেবে বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের পাশাপাশি মূল বেতনের আরও ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়। ফলে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন।

    এদিকে, মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে আবারও মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনার জন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। তথ্যসূত্র : সমকাল

  • সোনালী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা করলেই পাবেন ৩ লক্ষ টাকা

    সোনালী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা করলেই পাবেন ৩ লক্ষ টাকা

    এবার অভিনব একটি স্কিম নিয়ে এসেছে সোনালী ব্যাং সোনালী ব্যাংকের ট্রিপল বেনিফিট স্কিম দিচ্ছে এই সুবিধাঠিক কীভাবে পাওয়া যাবে এই তিনগুণ মুনাফা সেটা এবার দেখে নেয়া যাক।এই স্কিমে টাকা জমা রাখতে হবে কমপক্ষে ৫০ হাজার বা এর গুণিতক হিসেবে।প্রাপ্য মুনাফার হার থাকবে ৯ শতাংশ (চক্রবৃদ্ধি হারে)।

    পূরন মেয়াদে অর্থাৎ ১২ বছর ৯ মাসে এই স্কিমের টাকার পরিমাণ হবে তিনগুণ। ট্রিপল বেনিফিট স্কীম (TBS) Triple benefit scheme: সময় কাল: মুনাফার হার ৯.০০% (চক্রবৃদ্ধি) ৬ মাস পূর্তিতে ৩.০০% সরল মুনাফা।১ বছর পূর্তিতে ৩.৫০% সরল মুনাফা।২ বছর পূর্তিতে ৪.০০% সরল মুনাফা। ৩ বছর পূর্তিতে ৪.৫০% সরল মুনাফা। ৪ বছর পূর্তিতে ৫.০০% সরল মুনাফা।

    ৫ বছর পূর্তিতে ৫.৫০% সরল মুনাফা।তবে সময়ের সাথে সাথে মুনাফার হারও বাড়তে থাকবে। ৬ বছর পূর্তিতে ৬.০০% সরল মুনাফা। ৭ বছর পূর্তিতে ৬.৫০% সরল মুনাফা। ৮ বছর পূর্তিতে ৭.০০% সরল মুনাফা। ৯ বছর পূর্তিতে ৭.৫০% সরল মুনাফা।১০ বছর পূর্তিতে ৮.০০% সরল মুনাফা।

    ১১ বছর পূর্তিতে ৮.৫০% সরল মুনাফা। ১২ বছর পূর্তিতে ৯.০০% সরল মুনাফা । ১২ বছর ৯ মাস পূর্তিতে ৯.০০% চক্রবৃদ্ধি মুনাফা। এই স্কিমে টাকা রেখে তিনগুণ টাকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্য বেশ কিছু শর্তও রয়েছে। সরকারী নিয়মানুসারে উৎসে কর এবং আবগারী শুল্ক আমানতকারীর হিসাব হতে কর্তন করা হবে।অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, হিসাব খোলার নিয়মাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ পূর্বক প্রতিষ্ঠানের নামেও এ হিসাব খোলা যাবে।

  • যাদের শরীরে এই ৫টি চিহ্ন আছে, তারা ভবিষ্যতে কোটিপতি হবেই

    যাদের শরীরে এই ৫টি চিহ্ন আছে, তারা ভবিষ্যতে কোটিপতি হবেই

    হিন্দু ধর্মে মানব দেহের প্রত্যেক অংশের এক নিজস্ব পরিচয় আছে। সমুদ্রশাস্ত্র(Samudrasastra) অনুযায়ী মানুষের দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গের নিজের নিজের কিছু গুরুত্ব(Importance) রয়েছে। এটি সম্পর্কেই আজকের আলোচনা। বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিদিনই জিনিসের দান বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবন যাপন করা খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। গরীব মানুষেরা কীভাবে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকবে সেটাই ভেবে পাচ্ছেনা।

    ধনী হতে কে না চায়? সকলেই চায় বেশি টাকা(Money) রোজকার করতে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কিছু চিহ্নকে অত্যন্ত শুভ বলে মানা হয়। এই ধরনের চিহ্ন থাকলে তা ভাগ্য(Fate) পরিবর্তনের সংকেত বলে মনে করা হয়।

    ১) হাতের তালুর মাঝখানে যদি টমর, রথ, চক্র, তীর বা পতাকা চিহ্নিত থাকে তবে তারা খুব ভাগ্যবান(Lucky) হয়। এরা ব্যবসায়িক দিক থেকে শুরু করে চাকরি, সব কিছুতেই সফল হয়। তাদের বিবাহিত জীবন সব সময় প্রেমময় হয়। তারা যে কাজই শুরু করুক না কেন তাতেই তারা সাফল্য(Success) লাভ করে। পরিবারের সবার কাছে এরা ভীষণ প্রিয় হয়।

    ২) মানুষের শরীরে তিল থাকা খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। যদি এই তিল আপনার হাতের তালুতে উপস্থিত থাকে তাহলে এটি আপনার জন্য খুব উপকারী। তালুর মাঝখানে তিল থাকা ব্যাক্তিরা খুব ধনী(Rich) হয়। তারা সমাজে সম্মানিত এবং প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের জীবনে অনেক সংগ্রাম করতে হত আর তারা সফল হয়। তাদের সঙ্গীর প্রতি তাদের আলাদাই স্নেহ থাকে।

    ৩) যাদের পায়ে পদ্ম চিহ্ন বা চক্র চিহ্ন থাকে তাদের ধনসম্পদের কোন ক্ষতি হয়না। এই মানুষেরা প্রচুর ধন সম্পদ ও জমি জায়গার সুখ(Happiness) ভোগ করে। তারা শিশুদের খুব ভালোবাসে, এরা অন্য মানুষের উপর নিজের আদেশ চালানো পছন্দ করে। এরা খুব ভালো মনের মানুষ হয় এবং খুব অল্প সময়ে কারোর হৃদয় জয় করতে পারে।

    ৪) যাদের পায়ের তলায় তিল থাকে তাদের সেরা শাসক বলে মনে করা হয়। এই মানুষরা জীবনে সব ধরনের সুখ পায়। এরা জীবনে স্বাধীন(Independent) ভাবে চলতে ভালোবাসে।

    ৫) তারা নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য অনেক কঠোর পরিশ্রম(Hard work) করতে ভালোবাসে। টাকার ক্ষেত্রে এরা খুব ভাগ্যবান হয়। এরা নিজেদের পিতামহ এবং মাতামহের কাছ থেকে অনেক সম্পদ আশীর্বাদ রূপে পেয়ে থাকে।

    সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

  • রাষ্ট্রপতির বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো উপদেষ্টা পরিষদে

    রাষ্ট্রপতির বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো উপদেষ্টা পরিষদে

    রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা বা না–থাকার বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’ এদিকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে কয়েকদিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। সর্বশেষ আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’ এরপরই শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে ওই মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ওঠে।