• বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ের যেসব টেস্ট জরুরি

    বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ের যেসব টেস্ট জরুরি

    বিয়ে জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দুজন মানুষ শুধু সামাজিকভাবে নয়, শারীরিকভাবেও কাছাকাছি আসেন। তাই বিয়ের আগে হবু জীবনসঙ্গীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জানা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বের অনেক দেশে এ নিয়ে সচেতনতা থাকলেও আমাদের দেশে এখনও তা তেমন গড়ে ওঠেনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা দু’জনেরই করানো উচিত। আসুন জেনে নিই সেই পরীক্ষাগুলো কী কী।

    ১. রক্তের গ্রুপ ও আরএইচ ফ্যাক্টর পরীক্ষা
    বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর রক্তের গ্রুপ জানা খুবই জরুরি। বিশেষ করে আরএইচ পজেটিভ বা নেগেটিভ বিষয়টি না জানলে ভবিষ্যতে সন্তানের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে স্ত্রী নেগেটিভ এবং স্বামী যদি পজেটিভ গ্রুপের হলে সন্তান হতে পারে নেগেটিভ বা পজেটিভ রক্তের গ্রুপের। সন্তান নেগেটিভ গ্রুপের হলে সমস্যা নেই, তবে পজেটিভ হলেই বিপদ। যদিও এক্ষেত্রে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কম। সন্তান প্রসবের সময় সন্তানের রক্ত মায়ের শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্নভাবে। ফলে মায়ের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়। এ এন্টিবডি মায়ের শরীরে বাসা বাঁধে। পরবর্তীতে আরেকটি সন্তান যদি পজেটিভ গ্রুপের হয় তবে সেই এন্টিবডিপ্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রুণে প্রবেশ করে তার রক্তকণিকাগুলো ধ্বংস করে ফেলে। তখন গর্ভস্থ শিশু গর্ভেই মারা যেতে পারে। কিংবা জন্মের পর মারাত্মক জন্ডিস, মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন। স্ত্রীর নেগেটিভ ও স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ হলেও ভয়ের কিছু নেই। এমনটি হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর তার রক্ত পরীক্ষা করান। সন্তান পজেটিভ হলে মায়ের শরীরে এন্টি-ডি ইনজেকশন দিয়ে নিতে হবে, অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শে।

    ২. মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা
    মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে দাম্পত্য জীবনে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হবু বর বা কনের কোনো মানসিক রোগ আছে কি না তা জেনে নেওয়া এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি কেউ আগে মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকলেও তা জানিয়ে দেওয়া উচিত।

    ৩. এইডস ও যৌনবাহিত রোগ পরীক্ষা
    এইডস ছাড়াও সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি ও সি, গনোরিয়ার মতো যৌনবাহিত রোগ একে অপরের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। তাই বিয়ের আগে দুজনেরই এসব রোগের পরীক্ষা করানো নিরাপদ।

    ৪. বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত পরীক্ষা
    নারী বা পুরুষ যে কারও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে সিমেন বিশ্লেষণ, আর নারীর ক্ষেত্রে হরমোন পরীক্ষা (এফএসএইচ, এলএইচ, টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন, প্রোল্যাকটিন) এবং পেলভিক আলট্রাসনোগ্রাম করানো ভালো।

    ৫. ওভারি পরীক্ষা (নারীর ক্ষেত্রে)
    বর্তমানে অনেক নারী উচ্চ বয়সে বিয়ে করেন। জীবনযাত্রার প্রভাবে ওভারিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা সন্তান ধারণে জটিলতা তৈরি করে। তাই বিয়ের আগে ওভারি পরীক্ষা করানো উচিত।

    ৬. জেনেটিক বা বংশগত রোগ পরীক্ষা
    হবু বর-কনের বংশগত বা জেনেটিক রোগ আছে কি না তা জানা গেলে ভবিষ্যতের ঝুঁকি এড়ানো যায়। তাই জেনেটিক পরীক্ষা করানো জরুরি।

    ৭. থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা
    থ্যালাসেমিয়া একটি গুরুতর বংশগত রোগ। বর-কনে দুজনই থ্যালাসেমিয়া বাহক হলে সন্তান গুরুতর আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বিয়ের আগে এ পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি।

    ৮. রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) পরীক্ষা
    বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে রক্তস্বল্পতা থাকলে গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মের সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই রক্তস্বল্পতা আছে কি না তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

    সুস্থ দাম্পত্য জীবনের জন্য আগে থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। বিয়ের আগে এসব পরীক্ষা দুজনেরই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

     

  • দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে আর সেদিন থেকেই ঘুমাতে পারিনা

    দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে আর সেদিন থেকেই ঘুমাতে পারিনা

    দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে আর সেদিন থেকেই ঘুমাতে পারিনা
    সারারাত ঘুম হয়নি।নতুন বিয়ে হয়েছে। বিয়েটা পরিবার থেকেই হয়েছে।দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে আর সেদিন থেকেই ঘুমাতে পারিনা। অথচ এই বিয়ে নিয়ে কত্ত স্বপ্ন দেখতাম!! ছিমছাম, সুঠাম দেহের হ্যান্ডসাম রাজপুত্রের মতো দেখতে একটা ছেলের সাথে আমার বিয়ে হবে। কত রোমান্টিক কথা বলবে, একসাথে কত্ত মধুর স্মৃতি, কত্ত জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাবে!! তার সাথে রাত জাগারও প্ল্যান ছিল। কিন্তু সেই রাত জাগা আর এখনকার রাত জাগার মধ্যে অনেক তফাৎ।

    ইচ্ছে ছিল আমরা একসাথে রাতের বেলা বেলকনিতে বসে কফি খাবো আর জোৎস্না দেখবো, কোন কোন দিন রাতে ছাদে শুয়ে শুয়ে চাঁদের আলো গায়ে মাখবো, হয়তোবা কখনো কখনো তারা গুনবো। একটা সিনেমা সিনেমা ফিলিংস থাকবে।। কিন্তু কি পেলাম আমি?? পেলাম তো এক ভুড়িওয়ালা কালো চামড়ার বিরক্তিকর লোককে, যে সারারাত নাক ডেকে ডেকে ঘুমোয়।

    ঘুমের ঘোরে সে অনবরত হাত পা ছুঁড়তে থাকে। আমাকে সে মাঝে মাঝে এমন ভাবে কোলবালিস বানিয়ে ঘুমোয় যে আমার নিঃশ্বাস আটকে যেতে চায়।।।আর আমাকে জেগে থাকতে হয়। প্রথম প্রথম খুব মেজাজ খারাপ হতো, রাগ লাগতো নিজের ভাগ্যের উপর। কিন্তু এখন আর একটুও খারাপ লাগেনা। দিন যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে এই বিষয়টা আমি ইনজয় করছি। দিনকে দিন আমার ধারণা, ভালো লাগা- খারাপ লাগার ধরণ চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।

    আমার বরের নাম সোহানুর রহমান। আমি এখনও সামনাসামনি নাম ধরে ডেকে উঠতে পারিনি। ২০-২১ বছরের একটা মেয়ের পক্ষে ৩২-৩৩ বছরের একটা ভুড়িওয়ালা লোকের নাম ধরে ডাকা কি সম্ভব?? আমি সোহানকে এখনো আপনি করেই ডাকি।। তুমি বলতে অস্বস্তি লাগে।। সোহান একটা প্রাইভেট জব করে। সোহানকে স্পেশালি আমার বাবার খুব পছন্দ। বাবার পছন্দের কারণেই আমার বিয়েটা করা। বয়সের এত্ত গ্যাপ থাকার কারণে এবং

    প্রথম অবস্থায় সোহানকে পছন্দ না হওয়াতে আমি অনেক আপত্তি করেছিলাম বিয়েতে। কিন্তু ওই যে কপালের লিখন না যায় খন্ডন। বিয়েটা হয়েই গেলো। সোহান অফিস যাওয়ার পর শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। এমন সময়ে দরজায় কলিং বেল বাজলো ২ বার। চোখ খুলে দেখলাম ১১.২৫ বাজে।এই সময় আবার কে আসবে ভাবতে ভাবতে গেট খুলে দেখি সোহান। একি আপনি?? এই সময়? কিছু হয়েছে কি?? আপনি তো এই সময় আসেননা।

    দাঁড়াও দাঁড়াও এত প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দেবো কি করে?? এক গ্লাস পানি দাও আগে।। আর হ্যাঁ শোন পানিতে বরফ দিও একটু। আমি পানি নিতে এগুতে এগুতে বললাম দরজাটা লাগিয়ে দিন।। তারপর একগ্লাস নরমাল পানি দিলাম তাকে।একি পানিতে বরফ দাওনি? পানিটা তো গরম হয়ে আছে।। ওইটা খেয়ে তৃপ্তি হবেনা।

    না হলে না হবে। ভুলে গেলেন কয়েকদিন আগে ঠান্ডা পানি খেয়ে কি অবস্থা হয়েছিল?? আজব যেটা খেলে সমস্যা হয় সেটা খান কেন?? ওরে বাবা! ঠিকআছে ঠান্ডা পানি আর খাবোনা যাও। কিন্তু আমার বৌ-টা রাগ করলে তো আরো সুন্দর লাগে?? দেখি একটু কাছে আসো তো!আহ্ কি করছেন কি বলুন তো? ভীমরতি ধরেছে নাকি?? যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। আমি চা বানাচ্ছি।।

    ঠিক আছে! যাচ্ছি। ইয়ে মানে বলছিলাম কি চায়ে একটু চিনি বেশী দিও কেমন??এই লোকটাকে প্রথম প্রথম খুব বেশি বিরক্ত লাগতো, যদিও মুখে প্রকাশ করিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে মনে হয় একটু একটু ভালো ও লাগছে। নাহ একটু না, অনেক বেশী ভালো লাগছে। প্রথম প্রথম যেগুলা অসহ্য লাগতো এখন সেগুলাই ভালো লাগছে। আচ্ছা আমি কি ওনার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি নাকি??এই যে নিন আপনার চা।। আদা চা করেছি আর হ্যাঁ, চিনি ছাড়া। এটাই খেয়ে নিন। আপনার এখন থেকে কিছু কিছু জিনিস কন্ট্রোল করতে হবে। এ নিয়ে আর কোন কথা বলা যাবেনা।

    ইয়ে এক চামুচ তো দিতে পারো তাইনা?এক চিমটি ও না। ওটাই খেয়ে নিন। এখন বলুন তো এত্ত আগে কেন আসলেন আজকে?? কিছু হয়েছে??আজ একটা কাহিনী ঘটেছে। আমার এক কলিগের বড় বোনের জন্য রক্তের দরকার ছিল। কোথাও পাচ্ছিলনা, আর আমার সাথে মিলে গেলো তাই আমি ডোনেট করলাম। এই জন্য আজ বস ছুটি দিয়ে দিল।মানে কি? আপনি ব্লাড ডোনেট করে এসেছেন? আর আমি কিছুই জানিনা? আমাকে বলার প্রয়োজন মনে করেননি??না, তা না। আসলে ভাবলাম তুমি যদি টেনশন করো!

    বয়েই গেছে আমার টেনশন করতে। আচ্ছা স্যালাইন খেয়েছেন? আর ডাব খেয়েছেন কি? বাসায় তো কোনটাই নেই। আচ্ছা এতো অস্থির হচ্ছো কেন?? স্যালাইন খাইনি তবে জুস দিয়েছিল জুস খেয়েছি। আর আসার সময় একটা ডাব খেয়েছি।। ধুর! জুস খেয়ে কি হবে? সব কেমিক্যাল।ডাব টা কাজে লাগবে। দাড়ান এককাজ করি! পানি, চিনি আর লবণ দিয়ে স্যালাইন বানিয়ে আনি। আর একটা ডিম সেদ্ধ আনি।

    এই শোন শোন, এখন দরকার নেই। আসো, আমার পাশে একটু বসো, গল্প করি।।বসতে পারবোনা। আপনি ওয়েট করুন, আমি আসছি এখনি।ডিম সেদ্ধ, আর স্যালাইন বানিয়ে এনে দেখি “ও” ঘুমিয়ে পড়েছে। ওকে জাগাতে ইচ্ছা করছেনা। কেন জানিনা ওর ঘুমানো দেখতে ভালো লাগছে। মানুষটার উপর কেন জানিনা মায়া পড়ে গেছে। কালো একটা মানুষ যে এত্ত সুন্দর হতে পারে আগে বুঝিনি। কালো অনেক মানুষ আছে যারা অনেক সুন্দর হয়। কিন্তু তারা কেউ আমার বরের মতো

    সুন্দর না। কি আজব যেই মানুষটাকেই কয়েকদিন আগে কুৎসিত মনে হতো তাকেই আজ সবচেয়ে সুন্দর পুরুষ মনে হয়। তাকে কেউ খারাপ বললে সহ্য করতে পারিনা। আচ্ছা এটাই কি প্রেম?প্রেমে পড়েছি আমি?? কেন জানিনা ইচ্ছা করছে ওর কোলবালিশ হয়ে যাই। ও ঘুমোবে আর আমি দেখবো।।কখন যেন ঘুমিয়ে গেছিলাম নিজেও জানিনা। উঠে দেখি ২.৩৮ বাজে। কয়েক সেকেন্ড মনে হলো সব ভূলে গেছি।

    তারপর মনে হলো সোহান তো বাড়িতে আছে। একি! দুপুরেতো রান্নাই করিনি আজকে। ও খাবে কি?? আমি কখন কি করবো? এমনিতে সকালে মানুষটাকে রাতের বাঁসি রুটি-তরকারি খেয়ে অফিসে যেতে হয়েছে। আবার দুপুরেও একটু খাবার রান্না করে দিতে পারলামনা? কিন্তু ও ই বা কোথায় গেলো? রান্না ঘরের দিকে গিয়ে দেখি মশায় রান্না করছেন।

    ওমা! একি!! আপনি? কি করছেন? আমাকে ডাকেননি কেন??তুমি ঘুমিয়ে পরেছিলে। তাই ডাকিনি। টি- টেবিলে স্যালাইন আর ডিম রাখা ছিল খেয়ে নিয়েছি। তারপর ভাবলাম আজ তোমাকে না ডাকি। একদিন না হয় আমি রান্না করে খাওয়াই নিজের বৌ- কে। ব্যাচেলর থাকতে তো মাঝে মাঝেই রান্না করে বন্ধুরা মিলে খেতাম।মনে মনে যে খুশি হয়েছি সেটা কিছুতেই প্রকাশ করা যাবেনা। আমি একটু চেঁচিয়ে বললাম, আপনি তো সব কিছু অগোছালো করে দিলেন। আমার সব কাজ বাড়িয়ে দিয়েছেন। কে করতে বলেছে আপনাকে এসব? আমাকে ডাকলেই তো হতো।।

    সবসময় আমি- তুমি, আমি- তুমি ভাবো কেন বলতো? আমরা ভাবতে পারোনা? আমি তুমি আলাদা না ভেবে দুইটা যোগ করে আমরাভাববে কেমন? শোন দুইজন মিলেগুছিয়ে রাখবো।। আর তোমার থেকে আমি অনেক বড়। আমি তোমার স্বামী। মনে মনে যে খুশি হয়েছো এইটা প্রকাশ করতে দোষের কিছু নেই।

    ছোট মেয়ে ছোট মেয়ের মতই থাকবা। এখন এদিকে আসো, দেখো তো রান্না কেমন হয়েছে? ভাত, মুরগীর মাংস আর ডাল। চলবেনা??রান্নাটা মজা হয়েছে। কিন্তু চলবেনা।কেন? আর কিছু লাগতো? নাহ আসলে চলবেনা কারণ দৌঁড়াবে। মজা করালাম একটু আর কি।শব্দ করে হেসে হুম মাঝে মাঝে মজা করবা। ভালো লাগে আমার। চল খেতে বসি অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে।

    ও নিজেই খাবার সার্ভ করছিল, তখন খেয়াল করলাম হাতে একটু ফোসকা উঠেছে।একি? রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেছেন? বাহ্ খুব ভালো।৷ আমাকে ডাকলে সমস্যা কোথায় ছিল? লেকচার তো ভালোই দিলেন, আমি তুমি মিলে আমরা। কিন্তু নিজের বেলায় আলাদা তাইনা?

    ও কিছু না। সামান্য একটু…চুপ। দাড়ান মলম লাগিয়ে দিচ্ছি। আর শুনুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি আপনাকে। ওই হাত দিয়ে খেতে হবেনা। কিহ্!! সত্যি? তাহলে তো আমি ১০০ বার হাত পুড়িয়ে ফেলতে রাজি আছি।অমনি না?? থামুন। আর একটা ও কথা বলবেননা । আজকের দিনটা ও শেষ হয়ে গেলো। রাতে শুয়ে ছিলাম দুইজনই। আমি ওনাকে বললাম – শুনুন, একটা কথা বলবো??হ্যাঁ বলো।না থাক না না বলনা কিছুনা।

    সে হঠাৎ আমার মাথাটা তার বুকের মধ্যে নিয়ে বলল ভালোবাসি কথাটা অতটাও কঠিন না পাগলীটা। তাছাড়া আমি তোমার স্বামী। আমাকে যখন যা খুশি তাই বলতে পারো। এত সংকোচ করোনা।।আমি আর কোন কথা বলিনি৷ চোখ টা বন্ধ করে থাকলাম। হয়তো আজো ঘুম হবেনা। এই জেগে থাকাটা ফিল্মের মতো না৷ কিন্তু এতে সত্যিকারের ভালোবাসা আছে। তাই এটা আরো বেশী সুন্দর। আগে বুঝতামনা। কিন্তু এখন ঠিকি বুঝি। ভালোবাসি “ও”কে। এরমধ্যেই

    ও” ঘুমিয়ে গেছে। নাক ডাকা শুরু হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে হাত পা ছুঁড়বে কিছুক্ষণের মধ্যেই ৷ ওর ভূড়ি আমার শরীর স্পর্শ করে আছে। কিন্তু আমার খুব ভালো লাগছে৷ ওর গায়ের গন্ধ ভালো লাগছে।৷ জেগে থেকে ওর ঘুম দেখতে ভালো লাগছে ।।
    গল্পঃ আমি, তুমি মিলে আমরা

  • তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নোরা ফাতেহি

    তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নোরা ফাতেহি

    বলিউড নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহিকে বর্তমানে নাচ, অভিনয়, রিয়েলিটি শো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। নোরা ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন নৃত্যশিল্পী হিসেবে। শুরুর দিকে বেশ কিছু সিনেমায় আইটেম নাম্বারে নেচেছিলেন। ‘সত্যমের জয়’ সিনেমাতে ‘দিলবার’ গানের সঙ্গে নেচে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়ে যান নোরা। এই গানের সঙ্গে পারফর্ম করার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নোরা ফাতেহি। নাচের জন্য তাকে নাকি খুব ছোট ব্লাউজ পরতে বলা হয়েছিল।

    নোরা বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি আমাকে যৌন আবেদনময়ী দেখাতে এই কাজটি করতে চাচ্ছেন। দেখুন, আমাকে জোর করে যৌন আবেদন আনতে বলবেন না। যা আমার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই আছে। জোর করে সেটাকে অশ্লীল রূপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।’ এরপর নোরার জন্য নতুন পোশাক তৈরি করা হয়। নোরা জানিয়েছেন, ওই পোশাকে তিনি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন। এবং নাচও হিট হয়েছে।

    ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে বিপাকে অভিনেত্রী, নেটপাড়ায় তুমুল আলোচনা

    নোরা আরেকটি তথ্য জানিয়েছেন, ‘দিলবার’ গানের সঙ্গে নেচে রাতারাতি জনপ্রিয়তা মিলেছে। কিন্তু এই নাচের জন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিক পাননি। নোরা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম, অর্থ উপার্জন করার সময় এখন নয়। নিজেকে প্রমাণ করে আগে খ্যাতি অর্জন করতে হবে, পরিচিতি পেতে হবে।’

    সাধারণত যারা নৃত্যশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেতে তাদের অনেক সময় লেগে যায়। নোরা বলেন, ‘ড্যান্সারদের কেউ সিরিয়াস চরিত্রে সুযোগ দিতে চান না। তারা মনে করেন, শুধু আইটেম ড্যান্সই করতে পারবে। আমি সবার এ ধারণা বদলাতে চাই।’

    উল্লেখ্য, ‘ক্র্যাক’, ‘মডগাঁও এক্সপ্রেস’-পরপর দুইটি সিনেমাতে পুরোদস্তুর অভিনেত্রী হিসেবে দেখা গেছে নোরাকে।

  • স্ত্রীর এই ছবিটি দেখা মাত্রই ডিভোর্স দেন স্বামী

    স্ত্রীর এই ছবিটি দেখা মাত্রই ডিভোর্স দেন স্বামী

    অন্যান্য একজন স্বামী যখন তার হাসিমুখ ওলা স্ত্রীর ছবি তোলেন, তখন সবাই মনে করে ইন্টারনেটে এটি সবচেয়ে সুন্দর জিনিস। একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য হাসছেন । স্বামী ২০ দিন সময় পর তার প্রেমময় স্ত্রী কাছে বাড়িতে ফিরে আসেন, তাহলে একবার কল্পনা করুন যে সে এতদিন পর স্ব-শরীরে তার স্বামীকে দেখবে!

    কিন্তু সত্য এটা নয় যা মনে করা হচ্ছে সত্য এবং কল্পনা একে অপরের থেকে পোলার বিপরীতে এবং আমরা পাশাপাশি পার্শ্ব তুলনা যখন করবো তখন তাদের পার্থক্য দেখতে পাবেন ।

    কিন্তু এই ক্ষেত্র সবসময় হয় না। কাছ থেকে একবার পরীক্ষা করুন! কাছ থেকে ছবি পরীক্ষা করলে সত্য উদ্ঘাটন হবে। আমরা এই ছবিটির উপর থেকে পর্দা সরানোর আগে, দয়া করে এটির উপর কোনো অযৌক্তিক বিবরণ সন্ধান করবেন না। ঠিক আছে? পরবর্তী দেখুন!

    ছবিটিতে কি দেখছেন আমরা দেখছি একটা সুন্দর মেয়ে তার বিছানায় সাধারন পোশাক পরে এবং বিশ্রাম অবস্থায় বসে আছে । তার চারপাশে ঘিরে চশমা, বালিশ, একটি বড় বিপজ্জনক কাছাকাছি ঘেঁষে আসা ফ্যান এবং তার স্মার্টফোন যা একটি চার্জারের সাথে সংযুক্ত করা আছে। এতদূর পর্যন্ত অস্পষ্ট কিছুই না? মনে হয় মেয়েটি গ্রীষ্মের তাপ দ্বারা ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত হয়েছে এবং ঠান্ডা থাকার জন্য তার মুখের সামনে ফ্যান টা নিয়ে এসেছে, আমরা খুব ভয়ানক কিছু দেখছি না। বিশাল ফ্যানটি মনে হচ্ছে প্রান্তের খুব কাছাকাছি। কিন্তু এটা কি ঠিক? ভুল।

    ঠিক আছে তা আপনি এটা লক্ষ্য করেছেন? ঠিক আছে আমরা আপনার জন্য জিনিসগুলিকে আরও সহজ করে তুলছি । ছবির অর্ধেক ডান দিকটি লক্ষ্য করুন।

    আশ্চর্যজনক ছবিটি দেখায় আপনার চোখে পড়ার মত একজন মানুষ তার পিছনে লুকিয়ে আমরা কখনো দেখেছি সবচেয়ে ভয়ানক, বিরক্তিকর, অক্ষম, বিস্ময়কর জিনিস। একটি নিখুঁত ছবি যা একটি মারাত্মক চমৎকার ছিল আমাদের খুব বিস্মিত করেছে! নীচের ডান দিকের কোণায় একটি মানুষ তার পিছনে লুকিয়ে!

    কেন আপনি তাকে লক্ষ্য করতে পারেননি আমরাও পারব না, স্বামী নিজেই ফেসবুক বন্ধুদের এই কৌতুক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন। কোন এক ছবির সাথে অপ্রীতিকর কিছু যুক্তি যোগ হতে পারে তাই কয়েক দিন পরে তিনি গোপন তথ্যটি নিজেই প্রকাশ করেন।