• চলচ্চিত্রে কাজ না থাকায় মঞ্চে ও সার্কাসেও পারফর্ম করতাম: নাসরিন

    চলচ্চিত্রে কাজ না থাকায় মঞ্চে ও সার্কাসেও পারফর্ম করতাম: নাসরিন

    ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নার্গিস। নাসরিন নামেই অধিক পরিচিত। তিন দশকের ৫০০-এর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। কৌতুক অভিনেতা হিসেবেও তার দর্শকপ্রিয়তা রয়েছে। অনেক আইটেম গানেও পারফর্ম করেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এখন আর তাকে চলচ্চিত্রে ডাকা হয় না।

    নাসরিনের ভাষ্য, গত চার বছর ধরে তিনি কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করেননি। এর কারণ হিসেবে অবশ্য তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ কমে যাওয়াকেই দায়ী করছেন।

     

    ১৯৯২ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘লাভ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে তার যাত্রা শুরু করেন। প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি নিয়ে তথ্যগত বিভ্রান্তি রয়েছে। লাভ সিনেমার পাশাপাশি ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অগ্নিশপথ’ ছবিও তার প্রথম ছবি হিসেবে বলা হয়। তবে দিলদারের সঙ্গে অভিনয় করে দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি পান এই অভিনেত্রী।

    নাসরিন বলছেন, আমি ২০১৯ সালের দিকে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলাম। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সেটা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেই ছবি বাকি কাজ হয়েছে ২০২১ সালে। ওটাই আমার শেষ কাজ এরপর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে আমি কাজ করিনি, আমাকে আসলে ডাকা হয়নি।

    কেন নতুন চলচ্চিত্রে কাজ পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে নাসরিন বলেন, এখন তো আমাদের দেশে চলচ্চিত্রই কম হচ্ছে। আর যেসব হচ্ছে সেসব ছবিতে ডিরেক্টর তাদের পছন্দের মানুষদের নিয়ে কাজ করছেন। যদি চলচ্চিত্রের কাজ বেশি হতো, বেশি সিনেমা বানানো হতো তাহলে হয়তো সুযোগ পেতাম। সেটা তো হচ্ছে না।

    নাসরিন বলেন, দেখেন আমরা যখন চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, কিছু সঞ্চয় করেছি। সেই সঞ্চয় দিয়ে আমি কিছু জমি কিনেছি। সেই জমি এমন জায়গায় যেটা সে অর্থে কাজে লাগছে না। তাই কমমূল্যে কিছু কোম্পানিকে ভাড়া দিয়েছি। আমার স্বামী সেসব দেখাশোনা করছে। সেই ভাড়া থেকে যা আসে, তাতে করে কোনো রকম সংসার চলে যাচ্ছে। আমার বাচ্চা দুইটা, তাদের স্কুল, পড়াশোনা এসব কোনো রকম সমান সমান মেটাতে পারছি। জানি না সামনে কী হবে। তবে চলচ্চিত্রের একটা বড় অংশ হচ্ছে জুনিয়র শিল্পী। যারা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারাও গেছেন।

    নাসরিন একসময় জুনিয়র শিল্পীদের সহায়তাও করতেন জানালেন। চলচ্চিত্রে কাজ না থাকলেও সার্কাস কিংবা মঞ্চে পারফর্ম করে মোটামুটি একটা আয় করা যেত। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে সেসবও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানালেন।

    নাসরিন বললেন, আমি মাসে মাসে কিছু শিল্পীকে সামান কিছু করে টাকা দিতে পারতাম। কিন্তু কাজ না থাকায় সেটাও পারছি না। চলচ্চিত্রে কাজ না থাকায় মঞ্চে ও সার্কাসেও পারফর্ম করতাম। কিন্তু দেশের যা অবস্থা সেটাও থামকে গেছে।

    আপনার সঙ্গে আলাপের কয়েকদিন আগেও সিরাজগঞ্জে একটা মঞ্চ প্রোগ্রামের জন্য ডাকা হলো, পরে জানানো হলো সেটার জন্য অনুমতি পাওয়া যায়নি। দেশের এই অবস্থায় কোনো আয়োজনের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না।

    নাসরিনের ভাষ্য, দেশের চলচ্চিত্র এখন যে অবস্থায় গেছে, মনে হয় না এটার আর কোনো সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এখন এই শিল্পে অন্ধকার দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

    জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদারের সহশিল্পী হিসেবে যার নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় তিনি অভিনেত্রী নাসরিন। এ দেশের চলচ্চিত্রে নায়ক-নায়িকা জুটির বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মতো আলোচিত জুটি হয়েছিলেন দিলদার-নাসরিন জুটি। এই জুটি সিনেমাপ্রেমীদের নিকট যেমন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল, তেমনই বেশ বিনোদিত করেছিল।

     

  • বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে কি না, নিজেই যেভাবে যাচাই করবেন

    বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে কি না, নিজেই যেভাবে যাচাই করবেন

    বর্তমানে অনেকেই অভিযোগ করছেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার স্বাভাবিক থাকলেও মাস শেষে বিল আসছে অতিরিক্ত। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে, তার সহজ সমাধান অনেকেই জানেন না। মাত্র ১ মিনিটেই আপনি নিজেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার মিটারে সমস্যা আছে কি না।

    কিভাবে বুঝবেন মিটার ঠিক আছে কি না?
    আপনার বিদ্যুৎ মিটারে একটি ছোট বাতি থাকে, যেটাকে বলা হয় “পালস বাতি”।

    এই বাতিটি শুধুমাত্র তখনই জ্বলে-নিভে, যখন আপনার ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে।
    যদি বিদ্যুৎ ব্যবহার না হয় বা আপনার সার্কিট বন্ধ থাকে, তাহলে এই বাতি জ্বলার কথা নয়।
    যাচাই করার সহজ পদ্ধতি:
    ১. বাড়ির মূল মেইন সুইচ (MCB) বন্ধ করে দিন – অর্থাৎ ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবহার একেবারে বন্ধ করুন।
    ২. এরপর মিটারের সামনে গিয়ে লক্ষ করুন পালস বাতিটি জ্বলে-নিভে কিনা।
    ৩. যদি কারেন্ট বন্ধ থাকার পরেও পালস বাতি জ্বলে-নিভে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার মিটার নষ্ট হয়ে গেছে, এবং এটি অটো পালস দিয়ে বেশি ইউনিট দেখাচ্ছে।

    এখন করণীয় কী?
    এক মিনিটের একটি ভিডিও করে নিন যেখানে দেখা যাচ্ছে মিটার চলছে অথচ কারেন্ট বন্ধ।
    আপনার সর্বশেষ বিদ্যুৎ বিলের কপি সংগ্রহ করুন।
    উভয়টি নিয়ে নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করুন এবং মিটার পরিবর্তনের অনুরোধ করুন।

     

    মিটার ঠিক থাকলে আর বিল বেশি কেন?

    বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে কি না, সেটা যাচাই করতে এখন আর অফিসে ছুটতে হবে না। মাত্র ১ মিনিটের একটি সহজ পরীক্ষায় আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার মিটার ঠিক আছে কি না। আর সমস্যার উৎস বুঝে নিলেই সহজে সমাধানও মিলবে।

    যদি আপনি দেখতে পান যে কারেন্ট না থাকলে পালস বাতি একদমই জ্বলে না, তাহলে বুঝতে হবে মিটারে কোনও সমস্যা নেই।
    সেক্ষেত্রে, বিল বেশি আসার কারণ হতে পারে—

    • ঘরের ভিতরের ওয়্যারিংয়ে লিকেজ বা শর্টসার্কিট,
    • অথবা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার।

    এক্ষেত্রে একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে পুরো ঘরের লাইন চেক করিয়ে নিন। ভুল জায়গায় লোড পড়ে থাকলে সেটিই অজান্তে বেশি বিলের কারণ হতে পারে।

  • যেসব অভ্যাস বদলালেই কমতে পারে ৬০ শতাংশ লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি

    যেসব অভ্যাস বদলালেই কমতে পারে ৬০ শতাংশ লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি

    বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যানসারের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস বি এবং সি। লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ করা এবং কিছু ক্ষতিকর অভ্যাস বর্জন করা জরুরি। এর মধ্যে প্রধান হলো মদ্যপান পরিহার করা এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

    এছাড়াও, হেপাটাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যেতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করেছে ‘দি ল্যানসেট কমিশন’।

    গবেষকেরা জানিয়েছেন, লিভার ক্যান্সারের একটি বড় কারণ ফ্যাটি লিভার, যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় ‘মেটাবলিক ডিসফাংশন অ্যাসোসিয়েটেড স্টিয়েটোহেপাটাইটিস’ (এমএএসএইচ) বলা হয়।

    তারা জানিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে এমএএসএইচ প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এ তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে যে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২ থেকে ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা হলে আগামী ২৫ বছরে ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে আটকানো সম্ভব।

    গবেষণাপত্রটির বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের অধ্যাপক স্টিফেন লাম চ্যান জানান, যারা ডায়াবেটিস এবং স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আরও বেশি করে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত। অর্থাৎ ওজন নিয়ন্ত্রণ বা অতিরিক্ত মদ্যপান না করার মাধ্যমে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমতে পারে।

    অধ্যাপক স্টিফেন লাম চ্যান বলেন, ৫টির মধ্যে ৩টি লিভার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনোভাবে হেপাটাইটিস, স্থূলত্ব বা মদ্যপান জড়িত। তাই এই দিকগুলি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্যান্সারের দূরে রাখা সম্ভব।

    ‘জার্নাল অফ হেপাটোলজি’র ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর বিশ্বের ৪৬টি দেশে প্রথম তিনটি ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে একটি লিভার ক্যান্সার। এই গবেষণায় জানানো হয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে লিভার ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

    গবেষণায় জানানো হয়েছে, আগামী দিনে লিভার ক্যান্সারের মোকাবিলায় শিশুদের আরও বেশি করে হেপাটাইটিস বি এবং সি-এর টিকার আওতায় নিয়ে আসা উচিত। এতে আরও জানানো হয়েছে, মদ্যপান, ফ্যাটি লিভার এবং হেপাটাইটিসকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

    লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে যে অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন। সেগুলো নিচে দেওয়া হলো—

    মদ্যপান পরিহার করা :

    অতিরিক্ত মদ্যপান লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা উচিত।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা :

    অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

    হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধ :

    হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস লিভার ক্যানসারের প্রধান কারণ। তাই, হেপাটাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য টিকা নেওয়া এবং সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

    সুষম খাদ্য গ্রহণ :

    ফল, সবজি, এবং শস্য জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। ফাস্ট ফুড, অধিক চিনিযুক্ত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন করা উচিত।

    নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা :

    লিভার ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।

    এসব পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।

     

  • বেশিরভাগ স্বামী–স্ত্রীর চেহারা ভাই-বোনের মতো লাগে কেন

    বেশিরভাগ স্বামী–স্ত্রীর চেহারা ভাই-বোনের মতো লাগে কেন

    একটা জিনিস হয়তো সবার চোখেই পড়ে। অনেকে বলে ফেলেন আবার অনেকে বুঝেও বিষয়টি পাত্তা দেন না। পৃথিবীতে অনেক দম্পতিই আছেন যাদের চেহারায় এতো মিল; দেখতে ভাইবোনের মতো লাগে। আবার অনেকের চেহারা বিয়ের শুরুতে একরকম ছিল না কিন্তু সংসারের বহু বছর পেরিয়ে গেলে তাদের চেহারায় দারুণ মিল পাওয়া যায়।

    তবে এই বিষয়টা নিয়ে যে বিশ্বজুড়ে চর্চা চলে তা বোঝা গেল অনায়াসে। কারণ ইনস্টাগ্রামে একটা অ্যাকাউন্টও আছে ‘সিবলিংস অর ডেটিং’ নামে। এই অ্যাকাউন্টের অনুসারী কত জানেন? ১২ লাখ! তারা সবাই তাদের ছবি পোস্ট করেন এখানে।

    সারা দুনিয়ার প্রচুর যুগলের ছবি পোস্ট করা হয় অ্যাকাউন্ট থেকে। আর জানতে চাওয়া হয়, তারা কাপল নাকি ভাই–বোন? এই বিষয় নিয়ে চলে ভোটাভুটি। ভোট গননা শেষে জানিয়ে দেয়া হয় সঠিক উত্তর। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভাই–বোনে বেশি ভোট পড়লেও তারা আসলে জুটি!

    বিষয়টি নিয়ে এতো তোড়জোড় তা এই পেজে ঢুকলে বোঝা যাবে। শুধু আপনার কাছের লোকদেরই যে চেহারায় মিল তা কিন্তু নয়; বরং হাজার হাজার যুগলের চেহারায় এক অদ্ভুত মিল। কেউ বলে না দিলে হয়তো আপনি তাদের ভাই–বোন ভেবেই ভুল করে বসতেন।

    তবে কী জানেন চেহারা এক হওয়ার পেছনেও রয়েছে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কিছু কারণের সমন্বয়েই এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটে। টাইম ম্যাগাজিন এরকম কিছু তথ্য দিয়েছে-

    ১. যারা বিয়ের সময় দেখতে পুরোপুরি আলাদা হলেও বেশ কিছু বছর একসঙ্গে থাকার পর চেহারায় একটা মিল চলে আসে। এ ব্যাপারটাকেই বলা হয় এমপ্যাথেটিক মিমিক্রি বা ভালোবাসার অনুকরণ। গভীর ভালোবাসা আর তীব্র মায়া থেকেই মানুষ সঙ্গীর অনেক কিছুই অনুকরণ করতে শুরু করে। এমনকি মুখের অঙ্গভঙ্গি পর্যন্ত।
    ২. এটা দীর্ঘদিন একসঙ্গে সংসার করা লোকজনের জন্য প্রযোজ্য। সাধারণত আপনার ও আপনার সঙ্গীর খাওয়াদাওয়া, চলাফেরা, ঘুমানো—সবকিছু একই রুটিন অনুযায়ী চলে। এর ফলে শুধু চেহারা নয়, বরং শারীরিক গঠনেও যুগলদের মধ্যে একটা মিল চলেই আসে।

    ৩. নিজের পরিচিত সামাজিক বলয় থেকেই আমরা আমাদের সঙ্গী বাছাই করি। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের চলাফেরা, জীবনাচরণসহ অনেক কিছুতেই অনেক মিল আগে থেকেই থেকে যায়
    তবে ঠিক কতটা সময় একসঙ্গে থাকলে এই প্রভাব কাজ করে, সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত নেই।