৩২ হাজার থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ধরে বেতন কাঠামো দাবি সরকারি কর্মচারীদের
1 min read

৩২ হাজার থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ধরে বেতন কাঠামো দাবি সরকারি কর্মচারীদের

১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীরা ন্যায্যতা ও বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। তারা প্রস্তাব করেছেন সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ধরে ১৩ গ্রেডের নতুন বেতন কাঠামো।

আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সদস্যরা। ফোরামের পক্ষ থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৮০ শতাংশ, অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ৬০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটি আরও প্রস্তাব করেছে: চিকিৎসা ভাতা ৬ হাজার, শিক্ষা ভাতা (প্রতি সন্তান) ৩ হাজার, যাতায়াত ভাতা ঢাকায় ৩ হাজার ও অন্যান্য এলাকায় ২ হাজার, ইউটিলিটি ভাতা ২ হাজার, টিফিন ভাতা দৈনিক ১০০ টাকা (মাসে ২২০০), বৈশাখী ভাতা ৫০ শতাংশ, ঝুঁকি ভাতা ২ হাজার এবং পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের কর্মচারীদের জন্য অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ ভাতা। এছাড়া, পেনশন সুবিধা বিদ্যমান ৯০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করার এবং আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়।

ফোরামের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন না হলে কর্মচারীরা আবার রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন।

গণমাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, নবম পে কমিশন গঠন করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এবার পে কমিশন যেন একটি বৈষম্যমুক্ত, বাস্তবসম্মত ও ন্যায্য বেতন কাঠামো প্রস্তাব করে, এটাই কর্মচারীদের প্রত্যাশা।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের পে স্কেলে ব্যাপক বৈষম্য ছিল এবং গত ১০ বছরে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা দুটি পে স্কেল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই বর্তমান বাজারদর ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন কাঠামো প্রণয়ন জরুরি। আমরা সর্বনিম্ন ৩২ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ধরে ১৩ গ্রেডের নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব করছি।