অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী এবং তার বাবা-মায়ের ওপর এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত তিনজন বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামে। আহতরা হলেন হান্নান মিয়াজী (৬৫), তার স্ত্রী জোহরা বেগম (৬০) এবং তাদের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে সুরমা আক্তার (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত শাহ আলম মিয়াজির দুই ছেলে সৌরভ, শুভ প্রকাশ নাঈম ও তাদের মা শিরিনা বেগম মিলে এ হামলার ঘটনা ঘটান। তারা হান্নান মিয়াজির আপন ভাতিজা ও ভাবি।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, বিগত ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর হান্নান মিয়াজী তার ভাই শাহ আলম মিয়াজির কাছ থেকে ১৫ শতাংশ জমি সাব-কাবলা দলিলে ক্রয় করেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি নিজ জমিতে হালচাষ ও ধান রোপণ করতে গেলে প্রতিপক্ষ তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। হান্নান মিয়াজি ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে এবং বেদম মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় জমিতে ফেলে রেখে যান তারা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হান্নান মিয়াজির ছেলে মো. নাবিল হোসেন জানান, বাড়িতে থাকেন না তিনি। কিন্তু তারা আমার বাবা, মা ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বোনকে যেভাবে মেরেছে। মানুষ মানুষকে এমনভাবে মারতে পারে না। গুরুতর আহত হয়ে তারা আমার বাবা, মা এবং বোন এখন মৃত্যুশয্যায়। আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান তিনি এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, এর আগেও এ জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। শাহ আলম মিয়াজির ছেলে ও পরিবার হান্নান মিয়াজির কাছে জমি ফেরত চাইতে থাকে। জমি ফেরত না দেওয়ায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর একই পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে একদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’