Category: বিনোদন

বিনোদন

  • মি’লনের পর যা করলে পু’নরায় মি’লন করার শ’ক্তি পাবেন, অনেকেই জানেন না

    মি’লনের পর যা করলে পু’নরায় মি’লন করার শ’ক্তি পাবেন, অনেকেই জানেন না

    স”হবা”সের পরে দু’জনেরই উচিত কমপক্ষে এক পোয়া গরম দুধ, একরতি কেশন ও দুই তোলা মিশ্রি সংযোগে সেবন করা। সহবাসে কিছু শক্তির হ্রাস হ’তে পারে। এতে করে কিঞ্চিৎ পূরণ হয়।

    অন্যথায় স”হবা”স করা উচিত নহে। এই কারণেই মনীষীরা মাসানে- একবার রতিক্রিয়া ব্যবস্থা করে দেন। যাতে উপরোক্ত সামগ্রীর যোগাড় করতে গরীব বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের পক্ষেও কষ্টকর না হয়।

    পুষ্টিকর খাদ্য না খেলে পুরুষ অচিরেই শক্তিহীন হ’য়ে পড়ে ও তার কর্মশক্তি লোপ পায়। অত্যধিক মৈ”থুনের জন্য হজমশক্তি লোপ পায়। ফলে অম্ল, অজীর্ণ প্রভৃতি নানা প্রকার রোগ দেখা দেয়।

    প্রত্যেক মানুষের কিছু গোপন ইচ্ছা, চাওয়া – পাওয়া থাকে। তবে এগুলো অনেকে প্রকাশ করে আবার অনেকেই প্রকাশ করে না। বিশেষ করে মেয়েরা । কিছু কিছু জিনিস আছে, যেগুলো একজন নারী সবার অগোচরে চাহিদা করেন কিন্তু মুখে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলেন।

    চলুন জেনে নেওয়া যাক নারীদের এমন ১০টি গোপন আকাঙ্ক্ষা কথা যা মনে মনে খুব চান কিন্তু কাউকে তা জানতে দেন না:

    ১) প্রত্যেক মেয়েই চায় তার স্বামী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হোক। লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেকে প্রেম করে কিন্তু বিয়ে করার কথা বললে প্রেমিকাকে বলে আগে একটা ভালো চাকরি কর তরাপর। অধিকাংশ নরীদের চাওয়া এটাই।

    ২) ছেলেদের থেকে মেয়েরা সব সময় একটা সাজালো গোছালো সংসার চায়। যা সম্ভব শুধু ছোট পরিবারে, বড় পরিবারে ও সম্ভব তবে কষ্টকর। এ কারণে অধিকাংশ মেয়েরা চায় একক পরিবার , যৌথ পরিবার আদৌ বর্তমান মেয়েরা পছন্দ করে না।

    ৩) বাহ্যিকভাবে একটা মেয়েকে ভালো ভাবে চেনা যায় না।প্রত্যেক নারী নিজেকে তার বন্ধুদের মাঝে আকর্ষণীয় এবং যৌবনময়ী হয়ে উঠতে চায় কিন্তু এই বিষযটা সে প্রকাশ করে না। মনে মনে রাখে।

    ৪) প্রত্যেক নারী চায় সে ফর্সা হতে। সে ফর্সা থাকুক আর না থাকুক ফর্সা হওয়ার চেষ্টা সে করবেই। ৫) মেয়েরা কখনই তার স্বামীর মুখে অন্য নারীর গুনকীর্তন শুনতে পছন্দ করে না।সে চাইবে তার স্বামী যেন একমাত্র তাকেই চাক।

    ৬) মেয়েরা মুখে মুখে বলতে পারে সে নিজের দেহের ওজন নিয়ে সে কখনোই চিন্তা করে না কিন্তু অাসলে সে চায় নিজেকে চান স্লিম ও যৌবনময়ী শরীরের অধিকারী করতে।

    ৭) মেয়েদের ভিতর অনেক ঈর্ষা। একজন মেয়ে অন্য একজন মেয়ের সাফল্য কখনোই দেখতে পারে না। ৮) সকল নারী চায় তার প্রিয় মানুষটি তার কথা সবসময় মেনে চলুক, তার কথা সবসময় পালন করুক, সে মনে করে তার অনেক দ্বায়িত্ব।

    ৯) একজন ছেলে তার বয়স এবং চেহারা নিয়ে ততোটা না ভাবলেও একজন নারী চায় তার চেহারায় যেন বয়সের কালো ছাপ না পড়ে।

    ১০) একটি মেয়ে তার বুকের স্তন অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। নারীরা স্ত’নের ব্যাপরে খুবই সজাগ, খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। কারণ পুরুষকে আকর্ষণ করার মেইন অঙ্গ এটা। এজন্য নারী চায় স্ত’ন থাকুক সবসময় আকর্ষণীয় ও যৌ’বনদীপ্ত।

  • কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা প্রতিদিন করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা

    কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা প্রতিদিন করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা

    দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার জন্য বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনা ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স গুলোর সম্পর্কে জানা উচিত। কিন্তু ইন্টারভিউতে এর বাইরেও কিছু প্রশ্ন করা হয় প্রার্থীদের উপস্থিত বুদ্ধি যাচাইয়ের জন্য। যদিও অনেকেই ঘাবড়ে যান কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে সহজেই উত্তর দেওয়া যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক..

    ১) প্রশ্নঃ ভারতের কোন রাজ্য অধিকাংশ রাজ্যের সীমানা ছুঁয়েছে?
    উত্তরঃ উত্তর প্রদেশ।

    ২) প্রশ্নঃ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে আসে?
    উত্তরঃ ৭৮ ধারায়।

    ৩) প্রশ্নঃ ভারতের কোন রাজ্যে করোনা ভাইরাসের প্রথম কেস পাওয়া যায়?
    উত্তরঃ কেরালা।

    ৪) প্রশ্নঃ ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অবস্থিত দ্বীপের নাম কি?
    উত্তরঃ কাচাথিভু।

    ৫) প্রশ্নঃ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)-এর প্রথম ভারতীয় গভর্নর কে?
    উত্তরঃ সিডি দেশমুখ।

    ৬) প্রশ্নঃ ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে অঞ্চল কোনটি?
    উত্তরঃ উত্তর রেলওয়ে।

    ৭) প্রশ্নঃ খেলাধুলায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কোন পুরস্কার দেওয়া হয়?
    উত্তরঃ অর্জুন পুরস্কার।

    ৮) প্রশ্নঃ পৃথিবীর বয়স নির্ণয়ের জন্য কোন মৌলের আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়?
    উত্তরঃ কার্বন।

    ৯) প্রশ্নঃ কোন ভাইসরয়কে “ভারতীয় রেলের জনক” বলা হয়?
    উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি।

    ১০) প্রশ্নঃ ইতালির রাজধানী রোম নিচের কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
    উত্তরঃ টাইবার।

    ১১) প্রশ্নঃ ভারতের কোন রাজ্যে সূর্য প্রথম উদিত হয়?
    উত্তরঃ অরুণাচল প্রদেশ (দোং গ্রাম)।

    ১২) প্রশ্নঃ বুলেটপ্রুফ জানালায় কোন ফাইবার ব্যবহার করা হয়?
    উত্তরঃ পলিকার্বোনেট।

    ১৩) প্রশ্নঃ ভারতের কোন রাজ্যের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে?
    উত্তরঃ গুজরাট।

    ১৪) প্রশ্নঃ কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছিলেন?
    উত্তরঃ আশা পূর্ণা দেবী।

    ১৫) প্রশ্নঃ এমন কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা রোজ করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা?
    উত্তরঃ সিঁদুর লাগানো।

  • জামার ভেতরে সব তো দেখা যাচ্ছে— ছাত্রীকে রাবি শিক্ষক

    জামার ভেতরে সব তো দেখা যাচ্ছে— ছাত্রীকে রাবি শিক্ষক

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, যৌন হেনস্তা, রেজাল্ট সিন্ডিকেট, শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর ভয় দেখানোসহ মানসিক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া গভীর রাতে ছাত্রীদের ভিডিও কল ও মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করা এবং অশালীন ভিডিও পাঠানোর কিছু ডকুমেন্টস এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ওই শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

    অভিযোগে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, কারুশিল্প ডিসিপ্লিনে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে প্রত্যেকটা ব্যাচের সকল ব্যবহারিক ক্লাস ও মার্কিংয়ের দায়িত্ব একাই পালন করেন তিনি। ফলে বিভাগে তিনি একনায়কতন্ত্র কায়েম করে শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর হুমকি দিয়ে থাকেন। তিনি ক্লাসের সবার সামনে একাধিক ছাত্রীর গায়ে আপত্তিকর স্থানে হাত দেন এবং অপ্রয়োজনে রাত বিরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কল ও যৌন ঈঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে মেসেজ দেন। এছাড়া শারীরিক গঠন নিয়ে বিভিন্ন অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করে থাকেন এবং মেয়েদের তার কোলে বসার প্রস্তাবও দেন। তিনি নারীদের গোপনাঙ্গকে মাছের পেটির সাথে তুলনা, বিবাহিত শিক্ষার্থীদের সাথে ব্যক্তিগত জীবনের আলাপ, স্বামীর সাথে সম্পর্কের বিস্তারিত জানতে চেয়ে অশ্লীল বিভিন্ন বিষয় টেনে নিয়ে আসতেন।

    কোনো বিষয় নিয়ে তাকে রিকোয়েস্ট করতে গেলে তিনি বলতেন, আমার তিন নম্বর পা ধরে রিকোয়েস্ট করলে রাজি হতে পারি। অ্যাটেনডেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি নারী শিক্ষার্থীদের ডেস্কের ভেতরে গিয়ে তার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সাইন দিতে বাধ্য করতেন। নারী শিক্ষার্থীদের আন্ডার গার্মেন্টস নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। এছাড়া পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি একাধিক শিক্ষার্থীকে সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব জানান বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।

    ভুক্তভোগী ছাত্রী শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো মেসেজ ও ভিডিও কল দেওয়ার ডকুমেন্টস থেকে বেরিয়ে আসে ড. মনিরের আসল চেহারা।

    সেখানে দেখা যায়, গত ২০ জানুয়ারি তিনি এক ছাত্রীকে মেসেঞ্জারে একটি অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে লিখেছেন, ‘এক্সট্রা ক্লাস চলিতাছে, বালা না?’ ২০২০ সালের ৯ জুলাইয়ে আরেক ছাত্রীকে লিখেছিলেন, ‘রাত কিন্তু ৩টা ৫৪ বাজে, আমি করি চৌকিদার, আপনি কই?’ আরেক ছাত্রীকে লিখেছেন, ‘ঘুম নেই, একদম ফেইল করাই দিমু।’ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রাতে আরেক ছাত্রীকে একটি বাজে ছবি পাঠিয়ে বলেন, ‘এটা কি তুমি?’

    রাত ২টা ৪৮ মিনিটে ‘লুচ্চা মেয়েদের নাম’ শিরোনামে একটা অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে ভিডিওতে থাকা নামের সাথে মিল আছে এমন এক ছাত্রীকে লিখেছেন, ‘আমি বলি নাই, দুনিয়া বলিতেছে, আমি কী করুম?’ আরেক ছাত্রীকে একটি নীল জগতের ভিডিও পাঠিয়ে লিখেছেন, ‘সুন্দর না? অনেকদিন পর দেখলাম।’ মেয়েটি কোনো সাড়া না দিলে তিনি আবার লিখেছেন, ‘কিছুই কি বলবা না?’ আরেকজনকে লিখেছেন, ‘আমার লগে তুমি কইরা দাহাও, কী যেন ঘষে দিতে চাইছিলা।’আরেক ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে লিখেন, ‘ওই তোমার ফোনে ভিডিও কল দিলে ধরো না কেন? একবারে ফেল করাই দিমু।’

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, আমি যখন প্রথম বর্ষে ভর্তি হই তখন তার (মনির উদ্দিন) টার্গেটে পড়ি। তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে ফোন করে ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন। তিনি আমার ইনার গার্মেন্টস নিয়ে প্রতিদিন কথা বলতেন। জ্বর দেখার নাম করে হাতে, কপালে, মুখে, গলায় হাত দিতেন। উরু দেখিয়ে ঈশারা ইঙ্গিতে সেখানে বসতে বলতেন। একদিন পেন্সিল খুঁজতেছি বলায় বাজে কথা বলেন। প্রায়ই হাত দেখতে চাওয়া, হাতের আঙুল ধরে ধরে নখ দেখা এবং জিজ্ঞেস করতেন আঙুল দিয়ে কিছু করি কিনা। আমি কারোর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছি কিনা জানতে চেয়ে বিরক্ত করতেন। আমি এই বাজে মানুষটার কঠিন শাস্তি চাই।

    আরেক ছাত্রী বলেন, তিনি (মনির উদ্দিন) প্রায়ই মেয়েদের জামার ভেতরের পোশাক নিয়ে আজেবাজে কথা বলতেন। তিনি একদিন আমাকে বলেন, ‘জামার ভিতরে কী পরেছো, সব তো দেখাই যাচ্ছে। কালার বলব, কালার?’ এই বলে উনি হাহা করে হাসতে থাকেন। উনি ক্লাসে প্রায়ই ডাবল মিনিং কথাবার্তা বলতেন। ক্লাসে এসে তিনি বলেন, ‘মেয়েরা কলা বেশি করে খাবে, ছেলেরা কলা খাবে না। মেয়েদের তরমুজ ভালো আর ছেলেদের সাগর কলা ভালো।’ আমার এক সহপাঠীকে বলেন, ‘তুমি বেগুন বেশি বেশি করে খাবা, বেগুন খেতে অনেক মজা। বেগুন খেয়েছো কখনো?’এছাড়াও তিনি বলতেন, ‘আমার তিনটা পা আছে। আমার তিন নম্বর পা ধরে রিকোয়েস্ট করলে তোমার রিকুয়েস্ট শুনব।’

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড. মনির উদ্দিনকে একাধিকবার তার কয়েকটা নম্বর থেকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছি। হয়তো ভিসি স্যারও পত্রটি পেয়েছেন। তবে কয়েকদিন ধরে ভিসি স্যার এতই ব্যস্ত যে এ বিষয়ে কথা বলার সময় পাইনি। স্যারের থেকে কোনো নির্দেশনাও আমি পাইনি। স্যার এখন বাইরে আছেন। আগামী সপ্তাহে আমরা এ বিষয়ে একটা আপডেট জানাব।

  • আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি’ — সম্পর্ক নিয়ে জয়া আহসান

    আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি’ — সম্পর্ক নিয়ে জয়া আহসান

    দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সম্প্রতি জুলাই ও আগস্টে কলকাতায় মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমা। এবার সেই সিনেমার প্রচারণা উপলক্ষে কলকাতাভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল ইনডালজ এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিনেমা ছাড়াও ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বললেন তিনি। সাক্ষাৎকারেই প্রথমবারের মতো সম্পর্কে থাকার কথা জানিয়েছেন জয়া আহসান।

    সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়―জীবনে বিশেষ কেউ আছেন কিনা। জবাবে জয়া আহসান বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। মানুষ তো একা থাকতে পারে না। অবশ্যই আছে। তবে সেই মানুষটির নাম জানাননি তিনি।

    জয়া আহসান জানান, তার সেই বিশেষ মানুষটি শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির কেউ নয়। সিনেমা সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন না, এটি তার সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল না। হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    এ তারকা বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি, বহু বছর… । যেকোনো সম্পর্কে ভালো সঙ্গী হওয়ার আগে ভালো বন্ধু যেন হতে পারি, বন্ধু হয়ে যেন থাকতে পারি, সেটি একটি বড় বিষয়; তা আমরা অবশ্যই। আমার অনেক অত্যাচার সহ্য করে সে। আমি একজন অভিনয়শিল্পী। এই যে আমি এত এত ভ্রমণ করি, এখানে (কলকাতা) এসে পড়ে আছি, কাজ করছি; এ সব কিছুই মনে করে না সে। কাজ করতে দিচ্ছে আমায়। এসব একটা বিষয়। কেননা, সবার তো একসঙ্গে থাকার দরকার আছে। আমাদের সেই সুযোগ হয়ে উঠছে না। আমি খুবই প্রাইভেট পারসন, তেমনই তিনিও একই ধরনের। আমরা নিজেদের মতো করে থাকার জন্য চেষ্টা করি।

    সঙ্গীর কোন বিষয়টি পছন্দ, এ প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, অনেক শান্ত সে। এরপরই তাকে সঞ্চালক বলেন, আপনিও তো অনেক শান্ত। তখন জবাবে জয়া আহসান বলেন, হ্যাঁ, এ কারণেই হয়তো তাকে পছন্দ করেছি আমি।

    এছাড়া সাক্ষাৎকারে জয়া আহসানের কাছে সেই বিশেষ মানুষকে বিয়ে করার ব্যাপারেও প্রশ্ন করেন সঞ্চালক। এতে অভিনেত্রী বলেন, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না। সেটা (বিয়ে) করার জন্য যে খুব তাড়াতাড়ি ইচ্ছা হবে বা আদৌ হবে কিনা, তা জানি না আমি। কিন্তু হ্যাঁ, বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার এই ধারণাকে শ্রদ্ধা করি। তবে আমি সিদ্ধান্ত নেইনি (বিয়ে নিয়ে)।

    এরপরই অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, তবে কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত নন আপনি? জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রস্তুত হওয়ার বিষয় নয়। আমার একটা ভীতি রয়েছে, একটা ভয় কাজ করে। আর অতীত সম্পর্কের তিক্ততার কথাও বলেন জয়া আহসান। বলেন, হ্যাঁ, হতেই পারে। সেটাই মনে হয় আমার।