Category: বিনোদন

বিনোদন

  • বাসর রাতে সে এমন ভাবে করবে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না

    বাসর রাতে সে এমন ভাবে করবে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না

    বাসর রাত। সবার জীবনে এই রাতটি নাকি অনেক স্বপ্নের, অনেক আশার। ওসব ভাবনার নিকুচি করে ‘বাসরীয়’ বাসনা নিয়ে সাজানো বাসর ঘরে ঢুকলাম। আহা! নতুন বউ কত না প্রশান্তি নিয়ে আমা’র জন্য অ’পেক্ষা করছে। দরজা খোলাই ছিল। ভেতরে প্রবেশের পরই লাগিয়ে দিলাম। মনে অন্যরকম অনুভূ’তি। নিজের ঘরটা নিজেই চিনতে পারছি না। যা সুন্দর করে সাজানো! ওরা পারে বটে- গাঁদাফুল দিয়ে সাজালেও গো’লাপের সংখ্যা কম নয়, রজনীগন্ধাও আছে। তবে গো’লাপের ঘ্রাণটাই প্রকট।

    ভ্রমর’ আসতে পারে বৈকি! মনে মনে হাসলাম- নিজেইতো ভ্রমর’। মন থেকে কিছুতেই এই ছটফটানি ভাবটা দূর করতে পারছি না। একবার ভাবলাম বাতিটা নিভিয়েই বিছানায় যাই! পরে চিন্তা করে দেখলাম- নাহ, দরকার নেই। মন বললো- ভদ্রতাই বংশের পরিচয়। পরিণয় বা প্রেমঘটিত বিয়ে হলে বোধকরি এতটা উত্তেজনা থাকতো না। বিছানাটার দিকে তাকিয়ে আরো বেশি অবাক হলাম। পুরোটা ফুল দিয়ে ঢেকেছে ওরা। এমনকি বিছানায় প্রবেশের জন্যই ফুল দিয়ে আরেকটা দরজা বানিয়েছে।

    ভেতরে কে আছে বোঝার উপায় নেই। বিছানার পাশে গিয়ে নতুন বউকে মধুর সুরে ডাকলাম- জেসমিন, জেসমিন। কোন সাড়া নেই। ভাবছি ঝট করে নির্লজ্জের মতো বিছানায় উঠে পড়া ঠিক হবে না। দুলাভাই যা শিখিয়ে দিয়েছেন সেই টিপস অনুযায়ী জেনেছি- বাসর ঘরে নববধূ স্বামীকে সালাম করে। তাই আর বিছানায় ওঠা সমীচীন মনে করলাম না। ও নেমে এসে সালাম করবেই। আর আমিও থাক, থাক বলে ওর শরীর স্পর্শ করবো। বাকি কাজের প্রস্তুতি ওভাবেই নেব। নাহ, তবুও বের হয় না।

    আর কত প্রতীক্ষা- সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বোধকরি বউ আমা’র বাসর ঘরেই ঘু’মিয়ে পড়েছে। আশাভ’ঙ্গ হয়ে বিছানায় উঠলাম। ওমা একি! আমা’র বউ গেল কই? বিছানায় কেউ নেই। এক্কেবারে ফাঁ’কা। হায় হায়রে পালাবিতো বিয়ের আগে পালা। কবুল বলে আমায় কুরবানি করে পালালি কেন? এ মুখ আমি কোথায় দেখাব? এখন কি করব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। বিছানায় একটু হেলান দিয়ে মায়ের উপর মেজাজটা ভীষণ বিগড়ে গেল। সব দোষ মায়ের। মা আমাকে বাড়িতে ডেকে আনলো ছোট

    চাচার বিয়ের কথা বলে। বাড়ি এসে সকল আ’ত্মীয়-স্বজনকে দেখে খুশি হলাম। রাতে লম্বা সফর করে এসেছি তাই একটা টানা ঘু’ম দিয়েছিলাম। বাড়িতে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার খোঁজ রাখিনি। দুপুরে ঘু’ম থেকে উঠে সে কি খেলাম। পরে যখন সবাই এসে বললো- চল গায়ে হলুদ দিতে হবে। দুপুরে গায়ে হলুদ, রাতেই বিয়ের পর্ব শেষ। বললাম- যাও তোমর’া আমি যাব’ না। যার বিয়ে সেই চাচা কই? আসার পরে তো দেখলাম না। চাচীর ছবিটাও দেখালো না। সবাই হাসতে শুরু করলো- কারণটা বুঝলাম

    না। পরে বুঝলাম বিয়ে আর কারো নয়, আমা’রই! প্রেমপ্রস্তাবে বহুবার ব্যর্থ হয়ে পণ করেছিলাম- কোনদিন বিয়ে করবো না। মা আমা’র সেই পণ রক্ষা করতে দিল না। সর্বনাশটা করেই ছাড়লো। বউয়ের ছবিটা পর্যন্ত দেখিনি। কেবল নামটা জেনেছি- জেসমিন। বিয়ের পর্বেও দেখা হয়নি। সেই অদেখা জেসমিন বাসর রাতে আমাকে ছেড়ে পালালো। কি অ’পরাধ ছিলো আমা’র? এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম। নিজে যে দরজা লাগিয়েছিলাম- সেই দরজা খুলছে কিভাবে বুঝলাম না। ওহ, ভুলেই

    গিয়েছিলাম- বিভীষণের মত ঘু’মাই বলে মা আমা’র দরজার লক নষ্ট করে দিয়েছে। শব্দ শুনে ধরপর করে বিছানা থেকে উঠলাম। নামতে গিয়ে পায়ের সাথে কাপড়ের মত কি যেন লাগলো- তা লাথি মেরে ফেলে দিলাম। দরজায় যাওয়ার আগে দেখি মা দরজা খুলে দাঁড়িয়েছে। মায়ের মুখে হাসি। আমা’র পিত্তি জ্বলে গেলো। নিজেও উপহাসের হাসি হেসে বললাম- দিয়েছতো বিয়ে, এবার সামলাও। কত বার বললাম- কয়েকটা বছর দেরি করে বিয়ে করি। মা রেগে বললো, ত্রিশতো পার করেছিস।

    চল্লিশও পার করবি নাকি। মা জেসমিন- একে কিভাবে শায়েস্তা করতে হবে তার সবইতো তোমায় বুঝিয়েছি। যেমনি বুনো ওল তেমনি বাঘা তেঁতুল ‘হতে হবে। এসো এদিকে এসো। পেছন থেকে সামনে এলো জেসমিন। মায়ের গালিতেও মনটা ভরে গেলো। যাক, বউ আমা’র পালায়নি। সে আছে, সে আছে। জেসমিনকে দেখে আরো মুগ্ধ হলাম। মায়ের পছন্দে বহুগু’নে জিতেছি। ভালো আঁচলেই মা আমাকে বেঁধে দিয়েছে। দু’চোখ ভরে দেখার মত বউ জেসমিন। অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়েছিলাম।

    মা’ই ঘোমটাটা সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু একি, বউ আমা’র রাগছে কেন? মনে হয় যেনো ফোঁস ফোঁস করছে। মাকে উদ্দেশ্য করে সে বললো- মা ঠিকই বলেছেন, আপনার ছেলের কোন কাণ্ডজ্ঞান নেই। দেখু’ন অবস্থা।মা ওর কথা শুনে খেয়াল করলো এবং ভীষণ চটে গেল। মা আর বউয়ের রাগের কারণটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না। মা বললো- তুই বেখেয়ালি কাণ্ডজ্ঞানহীন এটা জানি কিন্তু বেহায়া এটা আজ বুঝলাম। বউয়ের সামনে বিনা কাপড়ে দাঁড়া। তাই বলে মায়ের সামনে এলি

    পাজামা ছাড়া! বেশরম। এতক্ষণে খেয়াল করলাম। পড়নে পাজামা নেই। উপরে শেরওয়ানি ভেতরে অন্তর্বাস! আসলে বিছানা থেকে নামা’র সময় উটকো কাপড় ভেবে যেটা লাথি মেরে ফেলেছি সেটা পাজামাই ছিল! এটা পড়ার অভ্যাস নেই। বিয়ের কারণেই পড়া। যাহোক কিছুক্ষণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। চেতনা আসতেই যেদিকে তা ফেলেছিলাম সেদিকে দিলাম ছুট। তাড়াহুড়ো করে পড়তে গিয়ে পাজামা’র ফিতের খেই হারিয়েছি। এক অংশ বাইরে অ’পর অংশটি একেবারে ভেতরে চলে

    গেছে।তাই হাত দিয়ে পাজামা আঁকড়ে ধরে আলনার দিকে হাঁটা দিলাম। সেখানে রাখা নতুন একটা লু’ঙ্গি হাতে নিলাম। পড়তে গিয়ে দেখি- সেলাইবিহীন! সব কাজ মায়ের- নতুন বউ এনে দিয়েছে, ঘরটা নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে, পুরনো কিছুই রাখেনি। একটা পুরনো ছেঁড়া লু’ঙ্গিও যদি পেতাম বাসর ঘরে ইজ্জতটা রক্ষা ‘হতো! যাহোক শেরওয়ানির নিচে ওটাই পড়ে নিলাম। মন্দ লাগছে না! ওদিকে মা আর বউ’র সে কি আনন্দ! মনে হয় কোনো কৌতুক অ’ভিনেতার অ’ভিনয় দেখছে আর

    হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। হাসির শব্দে পুরো বাড়ির লোকজন আসতে শুরু করেছে। মা বি’ষয়টা খেয়াল করে জেসমিনকে বললো- সামলাও মা আমা’র এ পাগল ছেলেটাকে। দরজা লাগিয়ে দাও বলে মা চলে গেল। জেসমিন ছিটকিনি দিয়ে ঠিক-ঠাক মতই দরজা লাগালো। বন্ধ দরজা, সে আর আমি অনুভূ’তি চরমে। সে আমা’র দিকে এগিয়ে এলো- আমি স্থির দাঁড়িয়ে আছি। কোন নড়াচড়া নেই। ও কাছে আসতেই বললাম- না, থাক থাক।ও বললো- থাকবে কেন? দিন মোবাইল দিন। যেন

    ধমকালো। ঠিকই বুঝেছি এ মেয়ে সুবিধার না! যে কিনা বাসর রাতে স্বামীকে একা ফেলে শাশুড়ির স’ঙ্গে শলাপরামর’্শ করতে যায়- সে আর যাই হোক ভালো নয়। এত ভাবার সময় দিল না। নিয়ে নিল। এরপর আমা’র হাত ধরে বিছানার দিকে টেনে নিল, আমি ওতেই মহাখুশি। মনটা কেমন যেন দোল দিয়ে উঠলো।

    বিছানায় ও আর আমি পাশাপাশি। তারপরও আমা’র দিকে তার মনোযোগ নেই। মোবাইলে কি যেন খুঁজছে। পেলোও বটে- এক নারীর মেসেজ।লেখা- ‘ভাই চলে আসেন। কোনো সমস্যা নেই’। সেটা আমায় দেখালো। আমি বুঝিয়ে বললাম- আমা’র কলিগ।

    অফিসে একদিন দেরি করেছিলাম তাই ওকে ফোন দিয়ে বলেছিলাম- বস যখন অন্যদিকে মন দেবে তখন জানাবে। ও সময়-সুযোগ মত এটা জানিয়েছিল।

  • রাতে ৯ বার, সকালে না দেওয়ায় যুবকের কাণ্ড

    রাতে ৯ বার, সকালে না দেওয়ায় যুবকের কাণ্ড

    সারা রাতভর অ’বৈধ মেলামেশার পর প’র’কীয়া প্রে’মিক দুই শেষ ফেলার উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশে ফে’লে দিয়ে গেছে শিল্পী আক্তার (৩২) নামে এক সৌদী প্রবাসীর স্ত্রী’কে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজে’লার ফতেহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে পু’লিশ অবস্থায় যুবতীকে উ’দ্ধার করেছে।

    আরও পড়ুন : পরিচয় মিললো ভাইরাল সেই জুটির, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় টম ইমাম ও মিষ্টি ইমাম নামের এক যুগলের বিবাহবার্ষিকীর ছবি। স্বামীর সাথে স্ত্রীর বয়সের পার্থ

    ক্য কিছুটা বেশি হওয়ায় আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় এ জুটিকে। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক টম ইমাম। নিজের ও তার স্ত্রীর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় বিরক্ত প্রকাশ করেছেন তিনি।

    শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে নিষেধ করেছেন। ফেসবুকে টম ইমাম লিখেছেন, কয়েকদিন যাবত লক্ষ্য করছি, অনেক লোকজন আমাকে এবং আমার স্ত্রীর ফেসবুক আইডি থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে অনেক ছবি ভাইরাল করছেন।

    সাথে অনেক খারাপ মন্তব্যও করেছেন। এগুলো কি আপনাদের ঠিক হলো? তিনি আরও লিখেছেন, অনেকেই জানতে চাচ্ছেন-কে টম ইমাম? তাহলে বলি-আমি একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। আমার আগের স্ত্রী আমেরিকান নাগরিক ছিলেন

    এবং সে ১০ বছর ধরে অসুস্থ থাকার পর ২০১১ সালের মারা যায়। এরপর আমি আমার সন্তানদের মানুষ করার জন্য আর বিয়ে করিনি। সব মিলিয়ে ২০ বছর আমি ত্যাগ করেছি। তারপর আমি বাংলাদেশি একজনকে বিয়ে করি।

    টম আরও লিখেছেন, আমি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসি এবং সেও আমাকে ভালোবাসে। ভালোবাসার কোন বয়স নেই। ভালোবাসা অন্ধ হয় যদি আপনি কাউকে হৃদয় থেকে ভালোবাসেন। দয়া করে আমি যেমন আপনার পরিবারকে শ্রদ্ধা করি তেমন আমার পরিবারকে শ্রদ্ধা করুন।

    জানা যায়, টম ইমাম ও স্ত্রী মিষ্টি ইমাম দুজনই বাংলাদেশি নাগরিক। টম বাংলাদেশেই শিক্ষা জীবন শেষ করে আমেরিকা পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি সেখানকার নাগরিক এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

    টম ইমাম এইচএসসি পাস করেন পটুয়াখালী জুবেলী হাইস্কুল থেকে। এরপর ১৯৭৮-১৯৮২ শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন।

  • দামাদামি করে বিক্রি হচ্ছে বিয়ের পাত্রী, রয়েছে নানা অফার

    দামাদামি করে বিক্রি হচ্ছে বিয়ের পাত্রী, রয়েছে নানা অফার

    বাংলাদেশে বউ বাজারে নামের একটা বাজার আছে কিন্তু সেখানে বউ পাওয়া যায়না। তেমনই বুলগেরিয়াতেও রয়েছে একটি বউ বাজার, সেখানে সত্যি সত্যিই অর্থের বিনিময়ে বউ কেনা যায়। পাত্রের পরিবারের সদস্যরা এই বাজার থেকে পছন্দমতো একটি মেয়ে বেছে কিনে নেন এবং তাকে পুত্রবধূ হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যান।

    সেদেশের ‘বউ-বাজার’টি রয়েছে স্তার জাগোর নামের এক স্থানে। পুরুষরা এই বাজারে তাদের পরিবার নিয়ে যান এবং নিজের পছন্দমতো মেয়ে বেছে টাকা দিয়ে কিনে নেন। পছন্দের মেয়েকে কেনা হয়: যে মেয়েটিকে পছন্দ করা হয় তার সঙ্গে দর কষাকষি করা হয়। তারপর যখন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা প্রদত্ত মূল্যে খুশি হন, তখন সেই মূল্যে ছেলেটির পরিবারকে সেই মেয়ে দেওয়া হয়। তারপর ছেলেটি মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং মেয়েটি তার স্ত্রীর মর্যাদা পায়।

    এই বাজারটি স্থাপিত হয়েছে গরীবদের জন্য। এই কনের বাজারটি মূলত গরিব পরিবারের মেয়েদের জন্য। যেসব মেয়ের পরিবার অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না, তারা তাদের মেয়েকে নিয়ে যায় এই বাজারে যায়। এর পর ছেলেরা মেয়ে বেছে ঘরে নিয়ে যায়। এই প্রথা চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। বুলগেরিয়ায় বহু যুগ ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। এই বাজার স্থাপনের অনুমতি মিলেছে সরকারের পক্ষ থেকেও। বাজারে মেয়েদের দাম ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়।

    মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে রয়েছে অনেক নিয়ম : মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রথমত মেয়েটিকে কুমারী হতে হবে। তবেই তার দর বেশি হবে। শুধুমাত্র কালাইদঝি সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাদের মেয়েদের এই বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পরিবারটির দরিদ্র হওয়া আবশ্যক। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী বা ধনী পরিবারের মেয়েদের বিক্রি করার নিয়ম নেই। এ ছাড়াও বাজারে কেনা মেয়েটিকে পুত্রবধূর মর্যাদা দেওয়া আবশ্যক।

  • নাম জড়িয়েছিল একাধিক যুবকের সঙ্গে, এমএমএস ভিডিওতে ক্যারিয়ার শেষ

    নাম জড়িয়েছিল একাধিক যুবকের সঙ্গে, এমএমএস ভিডিওতে ক্যারিয়ার শেষ

    ভালই চলছিল তাঁর কর্মজীবন। সিনেমায় অভিনয়, আইটেম গান, সম্পর্কের গুঞ্জন… বেশ রসেবশেই ছিলেন ভোজপুরী অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা পণ্ডিত। কিন্তু ২০২১ সালে আচমকাই ফাঁস হয়ে যায় প্রিয়ঙ্কার ব্যক্তিগত ভিডিয়ো। এমএমএসকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে।

    ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেত্রী। সেই ঘটনার এক বছর পার হওয়ার পর সম্প্রতি মুখ খোলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার দাবি ছিল, তাঁর কেরিয়ার এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কেউ উঠেপড়ে লেগেছে এবং সেই কারণেই এই ভিডিয়োতে তাঁর নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।

    এই ভিডিওর কারণে তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রিয়াঙ্কা। ইতিমধ্যেই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি। যদিও তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, কেন এক বছর পর এই ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্তের পথে গেলেন অভিনেত্রী? কেন ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তিনি এই পদক্ষেপ করেননি? কিন্তু কী ভাবে উত্থান হল অভিনেত্রীর? কী ভাবেই বা এমএমএসকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লেন?

    ১৯৯১-এর ৩০ জুন উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে প্রিয়াঙ্কার জন্ম। প্রিয়াঙ্কার ছোটবেলাতেই তাঁর ভাইকে নিয়ে গুজরাতের আমদাবাদে চলে আসেন তাঁদের বাবা-মা। বাবা-মার কী পেশার সঙ্গে যুক্ত তা কোনও দিন প্রকাশ্যে আনেননি প্রিয়াঙ্কা। তবে মাঝেমধ্যেই সমাজমাধ্যমে নিজের পরিবারের সঙ্গে ছবি শেয়ার করতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কাকে।

    ছোট থেকেই নিজেকে পর্দার সামনে দেখার ইচ্ছা জাগে প্রিয়াঙ্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের দিকেও তাঁর আকর্ষণ তৈরি হয়। ছোটবেলায় নাচের তালিমও নিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার পড়াশোনা আমদাবাদেই। স্কুলের গণ্ডি টপকানোর পর তিনি আমদাবাদের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন।

    হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেশ কিছু দিন মুম্বইয়ের চক্কর কাটার পরও কোনও সুবিধা করতে পারেননি প্রিয়াঙ্কা। এর পর নিজের ভাগ্যপরীক্ষা করতে ভোজপুরি সিনেমার জগতে প্রবেশের চেষ্টা করেন প্রিয়ঙ্কা। কিছু দিন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে সেই সুযোগ আসে।

    ২০১৩ সালে ভোজপুরি সিনেমা ‘জিনা তেরি গালি মে বাবু’র মাধ্যমে ভোজপুরি ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন প্রিায়ঙ্কা। প্রথম ছবির পরই ছবির দর্শকদের কাছ থেকে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বাড়তে শুরু করে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও।

    প্রথম সিনেমাতেই সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসাবেও পুরস্কার পেয়েছিলেন। তার পর থেকে, তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শীঘ্রই ভোজপুরি সিনেমার শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসাবে বিবেচিত হতে শুরু করেন প্রিয়ঙ্কা। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সমস্ত বড় অভিনেতাদের সঙ্গে তিনি অভিনয় করেছেন। অভিনয় ছাড়াও প্রিয়ঙ্কা মডেল হিসাবে কাজ করেছেন। অনেক বিজ্ঞাপনের মুখ হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। অভিনেতা প্রদীপ পাণ্ডে এবং পবন সিংহের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রীর।

    প্রিয়াঙ্কা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল ‘মাত দেন মেরি সওতান কো’, ‘বেহনোই জি’, ‘মেরে পেয়ার কো তুম ভুলা তো না দোগে’ এবং ‘পুলিশগিরি’। কিন্তু এর মধ্যেই ২০২১ সালে তাঁর এমএমএসকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। মুখ থুবড়ে পড়ে তাঁর অভিনয় জীবন। সুত্র: আনন্দবাজার।