Category: বিনোদন

বিনোদন

  • ছেলেদের ৮ ইঞ্চি জিনিস থাকলে করার জন্য ভাড়া করছেন শ্রীলেখা

    ছেলেদের ৮ ইঞ্চি জিনিস থাকলে করার জন্য ভাড়া করছেন শ্রীলেখা

    টালিউডের বহুল সমালোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। যিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথাবলার চাইতে সোজা কথা বলতে ভালোবাসেন। তাইতো তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে ঠোঁট কাটা বলে পরিচিত।

    সবার সামনে বারবার ধরা পড়েছে তার সাহসী রূপ। এবার নতুন করে মুখ খুলে সমালোচনায় এসেছেন তিনি।শ্রীলেখার দাবি, ৪০ পেরিয়ে গেলেও তিনি আগের মতোই রোমান্টিক।

    তবে তিনি হতাশ, এক পুরুষের মধ্যে ভালোবাসার সব গুণ আর খুঁজে পাচ্ছেন না! তার ভাষ্য,কারো খাওয়ার ভঙ্গি ভালো লাগে। কারো রোমান্টিক হাসি। কেউ হয়তো খুবই বুদ্ধিদীপ্ত।

    ফলে, এক এক করে ভালোবাসার পুরুষের সংখ্যা বাড়ছেই। এটা ভালো লাগছে না। তার মতে, একমাত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে পুরুষের যাবতীয় গুণ খুঁজে পেয়েছিলেন।

    তিনি বলেন, সৌমিত্র কাকুর পর এমন একজনকেও দেখলাম না যার সঙ্গে উদ্দাম প্রেম সম্ভব।শ্রীলেখা আরো বলেন, আমার কাছে পুরুষের বয়স, ধর্ম কোনও বিষয় না

  • রাতে একসঙ্গে ৪ জনকে দিতে হতো ছাত্রীকে, রইল ভিডিওর লিংকসহ

    রাতে একসঙ্গে ৪ জনকে দিতে হতো ছাত্রীকে, রইল ভিডিওর লিংকসহ

    তমা ইসলাম (ছদ্মনাম)। রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা এই শিক্ষার্থী দেশের নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের স্নাতকের ছাত্রী। তিনি বর্তমানে ব্যবসায়ের সাথে জ’ড়িত। নিজের জীবনের নানান ধাপে ধাপে অনেক ধরনের নি-র্যা’তন সয়ে আজ তাকে এ পথে নামতে হয়েছে। আর বাকি পাঁচজনের মতোই ছিলো

    তমার জীবন। কিন্তু তার বাবার ব্যবসায়ে ক্ষতি হওয়ার পর উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনো তমার জীবনে নেমে আসে কালো ছায়া। তমার বাবার রাজধানীর মিরপুরে একটি কাপড়ের দোকান ছিলো। কিন্তু তার বাবার ব্যবসায়ীক পার্টনার তাদের সাথে প্র’তারণা করে তমার পরিবারকে নিঃস্ব করে। ওই ব্যক্তি হাতিয়ে নেন

    তমা’দের ২৫ লক্ষ টাকা। স্নাতকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার পরেও ভর্তি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিলো না তমার। তার বাবাও তাদের রিবারের জন্য তেমন কিছু করতে পারছিলেন না। অবস্থা ছিলো অনেকটাই বেগতিক। তমার পরিবারের সদস্যদের দিনের পর দিন আধ পেটা, না খেয়ে পার করতে

    ‘হতো। চার ভাই-বোনের মধ্যে তমাই সবার বড়। তিনি তার পরিবারের অবস্থা আর নিজের পড়াশোনার জন্য চাকরির সি’দ্ধান্ত নেন। কয়েকটি চাকরির ওয়েবসাইট ঘুরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিভি দেন তমা। কিন্তু দিনের পর দিন পার হলেও তিনি কোথাও ডাক পান না। এ অবস্থায় মানসিকভাবে অনেকটাই ভে’ঙে পড়েন সদ্য উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনো এই ছাত্রী। মাসখানেক পর হঠাৎই একটা কল আসে তমার কাছে। একটি প্রতিষ্ঠানে তমাকে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। তমা সময় মতো গু’লশানের ওই অফিসে হাজির হন। তমাকে তখন সাধারণ কিছু প্রশ্নের পর জানানো হয় এটা একটি

    বিউটি পার্লারের কাজ। স্পা করাতে হবে না’রীদের।তমা দীর্ঘদিন চাকরি খুঁজেও কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে তাদের প্রস্তাবে রাজি হন। ভাবলেন তাও একটা কাজ তো পেয়েছেন। ওইদিনের মতো তমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরবর্তী তারিখ দিয়ে। জানানো হয় পরবর্তী দিন ওই অফিসের ‘বস’ তমার ইন্টারভিউ নিবেন। তিনি ফাইনাল করলেই তমার চাকরি হবে। পরবর্তী তারিখে তমা

    সময় মতো ওই লোকের দেওয়া ঠিকানায় উপস্থিত হন। পরে তাকে ‘হোটেল রেডিসনের’ একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তমা দেখতে পান এক লোক সোফায় বসে আসেন। তমার যেহেতু চাকরির পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো না তাইতিনি তেমন কিছুই আঁচ করতে পারেননি যে, তার সাথে কী ঘটতে যাচ্ছে! এরপর তমা যেই লোকের সাথে হোটেল পর্যন্ত গেলেন তিনি রুমে থাকা লোকের কাছে

    তমাকে রেখে ‘কানেকানে’ বলে যান ইনি আমা’দের ‘বস’। তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই চাকরি কনফার্ম। সদ্য উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করা তমা তখনও কিছু বুঝতে পারেননি। এরপররুমে ওই লোক জো’র জ’বরদস্তি করে তমাকে ধ… করেন। শুরু হয় তমার জীবনের নতুন অধ্যায়। তমা তার জীবনের এই অ’নাকাঙিক্ষত ঘটনা কাউকে বলতে

    পারেননি। তার পরিবারের লোকের পাশে তখন তার দাঁড়ানো দরকার ছিলো- এর ওপরে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ছোট ছোট তিনটা ভাই-বোনের দিকে তাকিয়ে তমা সেদিন প্র’তিবাদ করতে পারেননি। কিন্তু তমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয় সেখান থেকেই। তমা সেদিনকার মতো বাড়িতে ফিরে আসেন এবং আত্ম চেষ্টা করেন।

    কিন্তু পরিবারের কথা ভেবে অন্ধকার জগতের পথ বেছে নেন তমা। তমা বাড়ি ফেরার দুই-একদিন পর ওই লোকেরা তার সাথে আবার যোগাযোগ করেন। জানান, তমা চাইলে তারা প্রতিমাসে তাকে তিনটা কাজ দিবে। এর জন্য তমাকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। তমাও রাজি হয়ে যান তাদের শর্তে। তমার দাবি, তার

    সামনে অন্য আর কোনো উপায় ছিলো না! ‘কিছুদিন যাওয়ার পর অন্ধকার জগতে কাজ করে এমন একটা গ্রুপে এ্যাড হলাম। এই গ্রুপের যিনি এ্যাডমিন ছিলেন তিনি কারো কাছ থেকে কোন বিনিময় নেয় না। তিনি কাজ যোগাড় করে দেয়। এভাবেই অন্ধকার জগতে প্রবেশ করি। একসময় আমি বুঝতে পারি কিভাবে যোগাযোগ

    করতে হয়। কিভাবে নিজেকে হাইড রাখতে হয়। এ কাজ করতে গেলে কখনো নিজেকে অপ’রাধী মনে হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় মনে হয়,আবার মাঝে মাঝে মনে হয় না। টাকা পয়সা আর প্যাকেজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা পয়সার বিষয় হচ্ছে যারা আসে তাদের অবস্থা বুঝে। যার অর্থনৈতিক অবস্থা একটু ভালো সে হয়তো একটু বেশি দিচ্ছে। কিভাবে যোগাযোগ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন

    , গ্রুপে পোস্ট দেই, কন্টাক্টটা ইনবক্সে হয়। তার পর ফোনের মাধ্যমে কন্টাক্ট করা হয়। যায়গাটা কিভাবে নির্ধারণ করা হয় এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমা’দের গ্রুপের অনেকে আছে যারা পরিবার সহ থাকে। ওখানে যাওয়া হয়, কিন্তু যায়গা গু’লো অনেক নিরাপত্তার। কেউ ঝামেলা করবে এমন কোন সমস্যা নেই।

  • পুরুষের কোন অঙ্গ মেয়েরা দেখে স”হ”বা”স করতে রাজি হয়

    পুরুষের কোন অঙ্গ মেয়েরা দেখে স”হ”বা”স করতে রাজি হয়

    পুরুষের কোন অঙ্গ মেয়েরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন
    প্রত্যেক পুরুষেরই জানতে ইচ্ছা করে তাদের শরীরের কোন কোন অ;ঙ্গ নারী বেশি পছন্দ। এই বিষয়ে এক গবেষণায় প্রায় ১০০ জন নারীকে প্রশ্নটি করা হয় যে, পুরুষদের কোন অ;ঙ্গগুলো তাদের সবচেয়ে বেশি পছন্দের।

    তাদের মধ্যে কেউ বলবেন হাসি, কারও কাছে চুল, কারও আবার মনে হবে পুরুষের পটলচেরা চোখই নারীদের বেশি পছন্দ। তবে অনেকের ভাবনাতেই আসবে না হাতের কথা। অথচ এটা প্রমাণিত যে, পুরুষের হাত নারীর কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় অঙ্গ বলে বিবেচিত। তবে হাতটিকে কিছু যোগ্যতায় পাস করতে হবে অবশ্যই।

    পুরুষের হাত বিষয়টি আবারো আলোচনায় আনল টুইটার-জগতে সাম্প্রতিক এক পোস্ট। ‘ডিইই’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে একটি হাতের ছবি পোস্ট করে বলা হয়েছিল, ‘নারীদের জন্য, যাদের হাত পছন্দ।’ পুরুষ চোখে হাতটিতে তেমন বিশেষত্ব চোখে পড়বে না। হালকা আঁ;চ;ড়ের দাগ আছে তাতে। এ ছাড়া বিশেষত্ব কিছু নেই। অথচ সেই হাতের ছবিটাই প্রচুর ‘লাইক’ এবং ‘রি-টুইট’ হয়।

    শুধু নারী নয়, এই হাতের মাজেজা বুঝতে তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন অনেক পুরুষও। নিজেদের হাতের ছবি তুলে তারা সেখানে ‘রি-টুইট’ করছেন। উদ্দেশ্য একটাই, আমাদের হাতই-বা কী দোষ করল!

    অনেকে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছেন। তাদের প্রশ্ন, এক হাত নিয়ে এমন হাতাহাতি হওয়ার জোগাড় কেন? কী আছে পুরুষদের হাতে। সেখানেই অনেকে উত্তর দিয়েছেন, ওরা (নারী) ছেলেদের শিরা-উপশিরা বোঝা যায়- এমন হাত পছন্দ করে। এক নারীর আবার একটু কাটাছেঁড়া হাত বেশি পছন্দ। তার মন্তব্য, ঠিক জানি না কেন, তবে কাটার দাগটায় আমি শিহরিত। তবে নারীদের এই হাত প্রেমের গল্পে নারীদের পাশাপাশি নানা রকম কমেন্ট করেন পুরুষরাও।

    সেখানে একজন লেখেন-যেসব ছেলেদের হাতের শিরা উপশিরা দেখা যায় তারা অলস হয় না, পরিশ্রমী ও শক্তিশালী হয়। তুলনামূলকভাবে উত্তম বংশধর জন্মদানের সম্ভাবনা বেশী থাকার কারণে পরিশ্রমী ও শক্তিশালী পুরুষের যে কোনো বৈশিষ্ট্য প্রাকৃতিকভাবে নারীদের বেশি আকৃষ্ট করে।

    আরেক জন লেখেন, বুঝা যাচ্ছে গাজা খোরদের হাত মেয়েদের বেশি পছন্দ। অন্য একজন লেখেন-অসম্পূর্ন হেডিং, আসলে বলা উচিত ছিল- মেয়েদের সবচেয়ে পছন্দ হচ্ছে ছেলেদের টাকা ভর্তি হাত। এবার দেখে নেয়া যাক বিজ্ঞান কী বলছে? বিজ্ঞানও বলছে, পুরুষদের হাতের প্রতি নারীর দুর্বলতা আছে। বিশেষ করে শিরা-উপশিরা দৃশ্যমান হয়, এমন হাত সত্যিই নারীদের ‌‌‌‌শিহরিত করে।

    পুরুষের হাতের প্রতি নারীদের আসক্তি নিয়ে কিন্তু কম গবেষণা হয়নি। হাতের আঙুলগুলোর কথাই ধরুন, ডান হাতের অনামিকা আর তর্জনীর মধ্যে উচ্চতার পার্থক্য নিয়ে গবেষণা করেছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, তর্জনী থেকে অনামিকার উচ্চতা বড় হলে সেই পুরুষ তুলনামূলক বেশি সন্তান প্র;জন;নে সক্ষম হন। তার আইকিউও অন্যদের তুলনা বেশি হয়ে থাকে। এমন সঙ্গীকেই তো নারীরা চাইবেন!

    আবার জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি না হলেও নারীরা পুরুষকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে হাতকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আরো কিছু অ;ঙ্গপ্র;ত্য;ঙ্গের ব্যাপারে আড়চোখে নারীরা ঠিকই পরখ করে নেন পুরুষদের। সেসবের কথা আরেক দিন হবে।

  • বাসর রাত তাই চিৎকার করেনি ফুলি, র”ক্তক্ষরণেই মৃ”ত্যু

    বাসর রাত তাই চিৎকার করেনি ফুলি, র”ক্তক্ষরণেই মৃ”ত্যু

    সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রাম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা। মহিলা রোগী, পরনের চাদর রক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে।

    রোগীর নাম ফুলি (ছদ্দ নাম)। হিস্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে? রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে।

    ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো। ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবাই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়।
    কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স। বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে। মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি। মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।

    বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কোথায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে। যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত।

    পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন। মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধর্ষণ না বলে উপায় নেই। ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি। হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চেষ্টা।
    সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাসস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি রক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত রক্ত যাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে সাদা ফাক্যাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ! ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অচেতন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর। তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যাঙ্গাত্তক হাসি তামাশা করছিল।

    যেন সব দোষ ফুলির। লজ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভয় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচন্ড শব্দ। আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই। ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন। ভয়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌনাঙ্গ ও তার আশ পাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও রক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিক্তিতে রোগীকে রক্ত দেয়া দরকার। জরুরি অবস্থায় অপারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে। এই ভয়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা কর্তব্যরত ডাক্তারের। ম্যাডামকে ফোন করা হল…
    সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, রক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন রক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।

    রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষুধ কেনার খরচ কিছুটা বাচবে। কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে। রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল।

    আরও বেশি অসুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ। এই সমাজের প্রতি ঘৃনায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে। ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মারা গেছে।

    ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না। শ্বশুরবাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ মরলে দশটা বউ পাওয়া যায়!

    ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়।

    এই ঘটনা গুলো চক্ষু লজ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।