Category: বিনোদন

বিনোদন

  • তাবিজ আনতে মাজারে গিয়ে গর্ভবতী হয়ে গেলেন প্রবাসীর স্ত্রী

    তাবিজ আনতে মাজারে গিয়ে গর্ভবতী হয়ে গেলেন প্রবাসীর স্ত্রী

    ছেলের মঙ্গলের জন্য খানকা শ’রীফের তা’বিজ আনতে যান এক প্র’বাসীর স্ত্রী। কিন্তু খা’নকা শরীফের তত্ত্বাবধায়কের লা’লসার শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে প’ড়েছেন তিনি।

    এ নিয়ে চা’ঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। ব্রা’হ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উ’পজেলায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার স’ন্ধ্যায় অভিযুক্ত মাওলানা সি’রাজুল ইসলামকে (৪৮) আটক করেছে পু’লিশ।

    তিনি হবিগঞ্জ জেলার মা’ধবপুর উপজেলার বড়গাঁ গ্রামের মৃ’ত আ’শিকুল ইসলামের ছেলে। জানা যায়, খা’নকায়ে শরীফ মা’জারের তত্ত্বাবধায়ক সি’রাজুল ইসলাম মা’নুষজনকে বিভিন্ন রো’গের জন্য তা’বিজ দেন।

    এছাড়া ঝা’ড়ফুঁকও দেন সা’লামির বিনিময়ে। তা’বিজের জন্য ওই প্র’বাসীর স্ত্রীর খানকা শ’রীফে আসা-যাওয়া ছিল। মাঝে ম’ধ্যেই ওই নারী ত’ত্ত্বাবধায়কের লা’লসার শি’কার হতেন।

    ন’বীনগর থানা পু’লিশের ভা’রপ্রাপ্ত ক’র্মকর্তা (ওসি) আ’মিনুর রশিদ জানান, ভোলাচং গ্রামের বা’সিন্দা ওই প্র’বাসীর স্ত্রী তার ছেলের জন্য তা’বিজ আনতে শ্রী’রামপুর গ্রামের আবু উলাইয়া খা’নকা শরীফ যান।

    প্র’বাসীর স্ত্রী অ’ন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন, স্থা’নীয়রা এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে পু’লিশ সিরাজুল ই’সলামকে আটক করে। প্রা’থমিকভাবে ঘ’টনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জা’নিয়েছে পু’লিশ।

  • রাতে হঠাৎ প্রবাসীর স্ত্রীর চিৎকার, আশপাশের মানুষ দেখলেন ভ.য়ং.কর দৃশ্য

    রাতে হঠাৎ প্রবাসীর স্ত্রীর চিৎকার, আশপাশের মানুষ দেখলেন ভ.য়ং.কর দৃশ্য

    রাত ৮টা, দিনের ব্যস্ততা শেষ করে মাত্র সবাই ঘরে ঢুকলো। কিছুক্ষণ পর ভয়াবহ চিৎকার। আশপাশ থেকে ছুটে গেলেন মানুষজন।

    কিন্তু গিয়ে দেখলেন ভয়ংকর এক দৃশ্য-রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মা ও মেয়ে পড়ে আছেন।

    ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের নিজ ঘরে এ হামলার শিকার হন তারা। তবে কি কারণে এ হামলা হয়েছে জানাতে পারেনি কেউ।

    এ ঘটনায় মুমূর্ষবস্থায় মা-মেয়ে দুজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন।

    আহতরা হলেন সৌদি প্রবাসী নবী উল্যার স্ত্রী মরিয়ম আক্তার ও তার মেয়ে ৮ বছরের শিশু সাদিয়া। তাদের দুই হাত ও মাথায় দারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    এলাকাবাসী জানান, রাতে প্রবাসী নবী উল্যার বাড়ি থেকে তার স্ত্রী মরিয়মের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে যায়। এসময় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মা ও মেয়েকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। এ সময় জাহিদ নামে এক বখাটে হামলা করে তাদের জখম করে বলে জানান আহত প্রবাসীর স্ত্রী।

    এক পর্যায়ে মুমূর্ষবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন।

    লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. আসিফ মাহমুদ জানান, আহত মরিয়ম আক্তারের দুই হাতের কব্জি কাটা ও মাথায় জখম নিয়ে মা ও মেয়েকে জরুরী বিভাগে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    আশঙ্কামুক্ত না হওয়ায় মাকে পঙ্গু হাসপাতাল ও মেয়েকে নিওরো সাইন্স মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রয়েছেন। জাহিদ নামে একটি ছেলে তাদের কুপিয়ে আহত করেছে বলে স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • স্ত্রী ভেবে ভুল বিছানায় যুবক, গর্ভবতী শাশুড়ি

    স্ত্রী ভেবে ভুল বিছানায় যুবক, গর্ভবতী শাশুড়ি

    নতুন বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে যাব’ে যুবক। সব ঠিকঠাক। কিন্তু শ্বশুর নেই। একা থাকেন শাশুড়ি। তাই তাকে নিয়ে রওনা হানিমুনে হলেন দম্পতি। তারপর ঘটে এই অঘটন। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনে।স্ত্রী নিয়ে হানিমুনে রওনা দিয়েছিলেন।

    তবে বউ লরেনের মা একা হওয়ায় জামাই পল শাশুড়ি জুলিকেও স’ঙ্গে করে নিয়ে গেলেন হানিমুনে৷ মধুচন্দ্রিমায় পৌঁছেই তুমুল পার্টিতে মেতে উঠলেন পল, লরেন এবং জুলি৷ এরপর লরেন এবং জুলি ম’দ্যপ অবস্থায় মাঝরাতে যে যার রুমে ঢুকে পড়লেও পল একাই রয়ে

    গিয়েছিলেন হোটেলের পানশালায়৷ আরও বেশি রাতে একেবারে চূড়ান্ত ম’দ্যপ অবস্থায় নিজের ঘরে ঢুকতে গিয়ে, ভুল করে ঢুকে পড়লেন শাশুড়ির ঘরে৷ ঘর অন্ধকার থাকায় কিছুই নাকি দেখতে পাননি পল! তারপর অন্ধকারেই বুঝতে না পেরে শাশুড়ির স’ঙ্গে যৌ’নতায় মেতে ওঠেন জামাই পল।

    পরের দিন হুশ ফেরায় সবার চক্ষু তো চড়ক গাছ৷ এই ঘটনার এক মাস পেরোতেই, সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লেন পলের শাশুড়ি জুলি৷ জানা গিয়েছে, লোকল’জ্জা থেকে বাঁচতে শাশুড়িকেও বিয়ে করে ফেললেন জামাই পল।

    নতুন বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে যাব’ে যুবক। সব ঠিকঠাক। কিন্তু শ্বশুর নেই। একা থাকেন শাশুড়ি। তাই তাকে নিয়ে রওনা হানিমুনে হলেন দম্পতি। তারপর ঘটে এই অঘটন। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনে।স্ত্রী নিয়ে হানিমুনে রওনা দিয়েছিলেন।

    তবে বউ লরেনের মা একা হওয়ায় জামাই পল শাশুড়ি জুলিকেও স’ঙ্গে করে নিয়ে গেলেন হানিমুনে৷ মধুচন্দ্রিমায় পৌঁছেই তুমুল পার্টিতে মেতে উঠলেন পল, লরেন এবং জুলি৷ এরপর লরেন এবং জুলি ম’দ্যপ অবস্থায় মাঝরাতে যে যার রুমে ঢুকে পড়লেও পল একাই রয়ে

    গিয়েছিলেন হোটেলের পানশালায়৷ আরও বেশি রাতে একেবারে চূড়ান্ত ম’দ্যপ অবস্থায় নিজের ঘরে ঢুকতে গিয়ে, ভুল করে ঢুকে পড়লেন শাশুড়ির ঘরে৷ ঘর অন্ধকার থাকায় কিছুই নাকি দেখতে পাননি পল! তারপর অন্ধকারেই বুঝতে না পেরে শাশুড়ির স’ঙ্গে যৌ’নতায় মেতে ওঠেন জামাই পল।

    পরের দিন হুশ ফেরায় সবার চক্ষু তো চড়ক গাছ৷ এই ঘটনার এক মাস পেরোতেই, সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লেন পলের শাশুড়ি জুলি৷ জানা গিয়েছে, লোকল’জ্জা থেকে বাঁচতে শাশুড়িকেও বিয়ে করে ফেললেন জামাই পল।

    নতুন বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে যাব’ে যুবক। সব ঠিকঠাক। কিন্তু শ্বশুর নেই। একা থাকেন শাশুড়ি। তাই তাকে নিয়ে রওনা হানিমুনে হলেন দম্পতি। তারপর ঘটে এই অঘটন। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনে।স্ত্রী নিয়ে হানিমুনে রওনা দিয়েছিলেন।

    তবে বউ লরেনের মা একা হওয়ায় জামাই পল শাশুড়ি জুলিকেও স’ঙ্গে করে নিয়ে গেলেন হানিমুনে৷ মধুচন্দ্রিমায় পৌঁছেই তুমুল পার্টিতে মেতে উঠলেন পল, লরেন এবং জুলি৷ এরপর লরেন এবং জুলি ম’দ্যপ অবস্থায় মাঝরাতে যে যার রুমে ঢুকে পড়লেও পল একাই রয়ে

    গিয়েছিলেন হোটেলের পানশালায়৷ আরও বেশি রাতে একেবারে চূড়ান্ত ম’দ্যপ অবস্থায় নিজের ঘরে ঢুকতে গিয়ে, ভুল করে ঢুকে পড়লেন শাশুড়ির ঘরে৷ ঘর অন্ধকার থাকায় কিছুই নাকি দেখতে পাননি পল! তারপর অন্ধকারেই বুঝতে না পেরে শাশুড়ির স’ঙ্গে যৌ’নতায় মেতে ওঠেন জামাই পল।

    পরের দিন হুশ ফেরায় সবার চক্ষু তো চড়ক গাছ৷ এই ঘটনার এক মাস পেরোতেই, সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লেন পলের শাশুড়ি জুলি৷ জানা গিয়েছে, লোকল’জ্জা থেকে বাঁচতে শাশুড়িকেও বিয়ে করে ফেললেন জামাই পল।

    নতুন বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে যাব’ে যুবক। সব ঠিকঠাক। কিন্তু শ্বশুর নেই। একা থাকেন শাশুড়ি। তাই তাকে নিয়ে রওনা হানিমুনে হলেন দম্পতি। তারপর ঘটে এই অঘটন। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনে।স্ত্রী নিয়ে হানিমুনে রওনা দিয়েছিলেন।

    তবে বউ লরেনের মা একা হওয়ায় জামাই পল শাশুড়ি জুলিকেও স’ঙ্গে করে নিয়ে গেলেন হানিমুনে৷ মধুচন্দ্রিমায় পৌঁছেই তুমুল পার্টিতে মেতে উঠলেন পল, লরেন এবং জুলি৷ এরপর লরেন এবং জুলি ম’দ্যপ অবস্থায় মাঝরাতে যে যার রুমে ঢুকে পড়লেও পল একাই রয়ে

    গিয়েছিলেন হোটেলের পানশালায়৷ আরও বেশি রাতে একেবারে চূড়ান্ত ম’দ্যপ অবস্থায় নিজের ঘরে ঢুকতে গিয়ে, ভুল করে ঢুকে পড়লেন শাশুড়ির ঘরে৷ ঘর অন্ধকার থাকায় কিছুই নাকি দেখতে পাননি পল! তারপর অন্ধকারেই বুঝতে না পেরে শাশুড়ির স’ঙ্গে যৌ’নতায় মেতে ওঠেন জামাই পল।

    পরের দিন হুশ ফেরায় সবার চক্ষু তো চড়ক গাছ৷ এই ঘটনার এক মাস পেরোতেই, সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লেন পলের শাশুড়ি জুলি৷ জানা গিয়েছে, লোকল’জ্জা থেকে বাঁচতে শাশুড়িকেও বিয়ে করে ফেললেন জামাই পল।

  • ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না, সব বলতে হইবো

    ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না, সব বলতে হইবো

    সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রাম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা। মহিলা রোগী, পরনের চাদর র’ক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে।

    রোগীর নাম ফুলি (ছদ্ম নাম)। হি’ষ্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে? রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে। ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো!’

    ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবাই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অ’ভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চে’ষ্টায় ব্যস্ত। দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌ’তুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়। কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স।

    বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে। মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি। মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।

    বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কোথায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাব’ে।’ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে।

    যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত। পু’রুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন।

    মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধ’র্ষণ না বলে উপায় নেই। ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি। হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চে’ষ্টা।

    সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি র’ক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত র’ক্ত যাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে সাদা ফ্যা’কাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ! ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অ’চেতন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর।

    তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যঙ্গাত্মক হাসি তামাশা করছিল। যেন সব দোষ ফুলির। ল’জ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভ’য় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচণ্ড শব্দ।আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই।

    ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন। ভ’য়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌ’’নাঙ্গ ও তার আশপাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও র’ক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে র’ক্ত দেয়া দরকার। জরুরি অবস্থায় অ’পারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে।

    এই ভ’য়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা ক’র্তব্যরত ডাক্তারের। ম্যাডামকে ফোন করা হল… প্রাথমিক ভাবে ম্যানেজ করার জন্য র’ক্ত দরকার… রোগীর সাথে যারা এসেছে এতক্ষণ ইমা’রজেন্সি রুমের সামনে চিল্লা পাল্লা করছিল। ডাক্তার এসে জানালো জরুরি ভিত্তিতে র’ক্ত দরকার।

    তখন সবাই চুপ। কেউ কেউ কে’টে পড়ার জন্য পাশে সরে গেল। কিছুক্ষণ পর রোগীর লোক জানালো, তারা র’ক্ত জোগাড় করতে পারবে না। যা হয় হবে! ডাক্তার তাদের বুঝানোর চে’ষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না… রাত সাড়ে তিনটায় ম্যাডাম আসলেন। তার ধমকে শেষ পর্যন্ত তারা র’ক্ত জোগাড় করতে রাজি হল।

    কিন্তু র’ক্ত আর সেই রাতে জোগাড় হল না। অ’পারেশন থিয়েটারে ফুলিকে নিয়ে গিয়ে টিয়ার রিপেয়ার করা হল। সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, র’ক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন র’ক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।

    রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর’্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষধ কেনার খরচ কিছুটা বাঁচবে। কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে। রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল।

    আরও বেশি অ’সুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ। এই সমাজের প্রতি ঘৃ’ণায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে! ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মা’রা গেছে।

    ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না। শ্বশুরবাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ ম’রলে দশটা বউ পাওয়া যায়! ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই ঘটনা গু’লো চক্ষু ল’জ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি। লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।