Category: বিনোদন

বিনোদন

  • ছাত্রীকে ভালোবেসে লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন শিক্ষিকা, পেতেছেন সংসার

    ছাত্রীকে ভালোবেসে লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন শিক্ষিকা, পেতেছেন সংসার

    ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পেতে কত কিছুই করে মানুষ। সম্প্রতি ভারতের রাজস্থান রাজ্যের এক নারী শিক্ষিকার ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার অভিনব এক গল্প সামনে এলো।

    রাজস্থান টিচার চেঞ্জেস জেন্ডার টু ম্যারি: ”এভরিথিংক’স ফেয়ার ইন লাভ” শীর্ষক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানায়, ছাত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন রাজস্থানের ভরতপুরের ওই শিক্ষিকা। প্রেমের সম্পর্ক এতটাই গভীর হয়ে যায় যে, ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন তিনি। অনেক বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে এখন জুটি বেঁধেছেন শিক্ষিকা-ছাত্রী। তবে ঘটনাটি অন্যরকম।

    পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সরকারি স্কুলের শারীরবিদ্যার শিক্ষিকা মীরা। কল্পনা ছিল সেই স্কুলেরই ছাত্রী। খুব ভাল বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মীরা ও কল্পনার মাঝে। বছর দুয়েক বন্ধুত্বের পর কল্পনাকে ভালবাসতে শুরু করেন মীরা। শেষমেশ কল্পনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন তিনি। কল্পনারও সেই সম্পর্কে কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু দুজনের পরিবার এতে মোটেও রাজি ছিল না। সামাজিক রীতি অনুযায়ী, রাজি হওয়ার কথাও নয়।

    ডিএনএ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেমের কারণে মীরা এখন আরভ। কল্পনাকে বিয়ে করার জন্য মীরা অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন। এক সাক্ষাৎকারে কল্পনা বলেন, ‘আমি ওকে প্রথম থেকেই ভালবাসতাম। অ;স্ত্রোপচার না করলেও আমি আরভকে বিয়ে করতাম। আরভের অস্ত্রোপচারের সময়ও ওর পাশে ছিলাম।’

    ইন্ডিয়া ডটকম জানায়, ২০১৯ সালে মীরা স্থির করেন, তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করবেন। ওই বছর তার প্রথম অস্ত্রোপচার হয়। অবশেষে গত ৪ নভেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আরভ-কল্পনা। পরে আরভ বলেন, ‘নিজের ইচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছি। ভালবাসার জন্য এই কাজ আমার কাছে তুচ্ছ।’

  • ফিরিয়ে আনা তরুণী বললো আবারো যাবো দৌলতদিয়া পল্লীতে

    ফিরিয়ে আনা তরুণী বললো আবারো যাবো দৌলতদিয়া পল্লীতে

    দারিদ্র্যতা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দিল না ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে। দৌলতদিয়ার পল্লী হতে উদ্ধার হওয়ার পর তিনি আবারো ফিরে গেলেন তার অন্ধকার জগতে। ঘটনাটি গত বছরের।

    ওই তরুণী রাজবাড়ী সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে।

    ৬ বছর আগে এই অন্ধগলিতে পা রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি মিডিয়া নিউজের পক্ষ থেকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, মেয়েটিকে পল্লীতে জোর করে রেখে ব্যবসা করানো হচ্ছিল এমন অভিযোগে করে তাকে উদ্ধারের জন্য রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেছিলেন ওই তরুণীর মা।

    যার প্রেক্ষিতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তাকে দৌলতদিয়া পল্লীর বেবী বাড়িয়ালীর বাড়ি হতে উদ্ধার করে। এরপর খবর দেওয়া হয় তার পরিবারের লোকজনকে। থানায় ছুটে আসেন অসহায় বৃদ্ধ বাবা ও ছোট ভাই। থানায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে উদ্ধার হওয়া তরুণী বলেছিলেন, ‘আমাকে কেউ পল্লী;তে জোর করে রাখেনি। আমি সেখানে ভালোই ছিলাম। আবারো সেখানে ফিরে যাব।’

    কেন ফিরে যাবেন জানতে চাইলে ওই তরুণী বলেন, ‘বাড়িতে আমার ৬ বছর বয়সী একটা প্রতিবন্ধী ছেলে রয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাই আমার উপর নির্ভরশীল। আমি বাড়িতে গেলে সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে।’

    তরুণী আরো বলেন, ‘অল্প বয়সে বাবা-মা একটা খারাপ মানুষের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দিয়েছিল। সে আমাকে খুব বাজে ভাবে ব্যবহার করতো। খুবই মানসিক অশান্তির মধ্যে ছিলাম।

    ভেবেছিলাম বাচ্চা হলে সে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু প্রতিবন্ধী বাচ্চা হওয়ার পর সে আমার উপর খারাপ ব্যবহার আরও বাড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে বেঁচে থাকার তাগিদে নিজেই পল্লীতে গিয়ে নাম লেখাই। গত ৬ বছরে একে একে উম্বার, হালিমুন, সুমি, লালমিয়া ও বেবির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলাম।’

  • মা হওয়ার জন্য বাবা লাগে না : জ্যোতি

    মা হওয়ার জন্য বাবা লাগে না : জ্যোতি

    ‘মা হওয়ার জন্য আজকাল বাবা জরুরি নয়, অনেক পদ্ধতি রয়েছে। ঠিকঠাক সঙ্গী না পেলে আমিও সিঙ্গেল মাদার হবার কথা ভাবব।’ এমন ভাবনার কথাই জানালেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।

    এই মুহূর্তে অভিনেত্রী কলকাতায় রয়েছেন। সেখান থেকেই ফেসবুকে নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন।

    সম্প্রতি শবনম ইয়াসমিন বুবলী মা হয়েছেন―এমন খবরে দেশীয় শোবিজ অঙ্গন উত্তপ্ত। মঙ্গলবার দুপুরে বুবলী নিজের ফেসবুকে বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করেন। এরপরই চলচ্চিত্রপাড়া দুইয়ে-দুইয়ে চার মিলিয়ে ফেলে। স্পষ্ট করে তোলে ২০২০ সালে বুবলীর অন্তর্ধান রহস্য।

    দেশীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় বুবলী ওই বছর নিউ ইয়র্কে সন্তান জন্মদানের জন্যই গিয়েছিলেন। কেননা সে সময় তিনি মিডিয়াকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলছিলেন। বলা যায় তিনি হয়ে গিয়েছিলেন নিখোঁজ। বলা হচ্ছে শাকিব খান বুবলীকে বিয়ে করেছেন এবং তাদের সন্তান হয় নিউ ইয়র্কে। বিষয়টি নিয়ে দেশীয় শোবিজ অঙ্গন যখন মুখর তখনই মুখ খুললেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।

    জ্যোতি কারো নাম না বললেও সময়ের ঘটনার সঙ্গে শতভাগ সাদৃশ্য রয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘মা হয়ে লুকিয়ে রাখাটা নিজেকে যাচ্ছেতাই রকমের ছোট করা, নোংরামি। জানি না এরা কী ধরনের পার্সোনালিটি নিয়ে বাঁচে! জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর গর্বের অধ্যায়টা একজন নারী কী করে গোপন করে বুঝে আসে না!’

    জ্যোতি আরো বলেন, ‘আর এসব লুকানো বাবাদের নিয়ে তো কথা বলাই উচিত না, এরা মানুষ হিসেবে গোনার বাইরে। মানুষ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ বিকশিত না হয়ে আরেকটা মানুষ পৃথিবীতে আনার কী দরকার!’

  • কোন বয়সী মেয়েদের শারীরিক চাহিদা বেশি, জানালেন গবেষকরা

    কোন বয়সী মেয়েদের শারীরিক চাহিদা বেশি, জানালেন গবেষকরা

    একাধিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, সাধারণত পুরুষদের থেকে নারীদের যৌন চাহিদা অনেক বেশি থাকে। একথা একেবারেই মিথ্যা নয়। কারণ, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মেয়েরাই শারিরীকভাবে অনেক বেশি চাহিদা নিয়ে জীবন কাটায়।

    সম্প্রতি টেক্সাস ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সের নারীদের সাধারণত যৌন চাহিদা বেশি থাকে। বিবাহিত হলে, স্বামীর প্রতি অত্যাধিক কামাসক্ত হয়ে পড়ার বিষয়টিও এই সময়েই বেশি দেখা যায়।

    পুরুষদের ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টি অন্য। গড়ে দেখা গিয়েছে, একজন পুরুষের যৌন জীবন অনেক তাড়াতাড়ি শুরু হয়, আর একজন নারীর যৌন জীবন শুরু হতে হতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে যা সমাজ ব্যবস্থা সেক্ষেত্রে এই কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তাই পুরুষের চাহিদাও ফুরিয়ে যায় দ্রুত। কিন্তু নারীর চাহিদা অনেকদিন পর্যন্ত থাকে। এতে কিছুটা সমস্যা বাড়ে মেয়েদের।

    অনেক ক্ষেত্রে চাহিদা পূরণের স্বার্থে অনেক নারী এই বয়সের পর পরকীয়াতেও জড়িয়ে পড়েন। তবে সবটাই হয় প্রাকৃতিক নিয়মে। নারী প্রকৃতিই এমনভাবে কাজ করে। তবে সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং সঙ্গীকে পরিপূর্ণতা প্রদান করা একে-অপরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।