Category: বিনোদন

বিনোদন

  • এক ফোঁটা বী.র্য তৈরিতে কত ফোঁটা র.ক্ত লাগে? জানলে চমকে যাবেন

    এক ফোঁটা বী.র্য তৈরিতে কত ফোঁটা র.ক্ত লাগে? জানলে চমকে যাবেন

    এক ফোঁটা বী.র্য তৈরিতে কত ফোঁটা র.ক্ত লাগে? জানলে চমকে যাবেন

    যখন আমরা চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিই তখন সবার প্রথমে যে বিষয়টা মনে আসে তা হল সাধারণ জ্ঞান। লিখিত পরীক্ষা হোক বা ইন্টারভিউ যেকোনো পর্যায়ে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নগুলি বেশির ভাগ করা হয়। তাই মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা তাদের পাঠ্য বিষয় পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও সাধারণ জ্ঞানের তথ্যগুলি জানার চেষ্টা করে। এই প্রতিবেদনে তেমনি কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসা হয়েছে।

    ১) প্রশ্নঃ মানুষের শরীরে থাকা রক্তের মধ্যে কোন ধাতু পাওয়া যায়?

    উত্তরঃ আয়রন (লোহা) ধাতু।

    ২) প্রশ্নঃ ভারতের জাতীয় সবজিটির নাম কী?

    উত্তরঃ কুমড়ো।

    ৩) প্রশ্নঃ মোনালিসার ঠোঁট আঁকতে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির কত বছর সময় লেগেছিল?

    উত্তরঃ ১২ বছর।

    ৪) প্রশ্নঃ পৃথিবীর কোন দেশ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে?

    উত্তরঃ অসলো আর নরওয়ে।

    ৫) প্রশ্নঃ কোন নদীর জল সবসময় ফুটন্ত অবস্থায় থাকে?

    উত্তরঃ শানে টিম্পিশকা (Shanay Timpishka), আমাজনের গভীর জঙ্গলে রয়েছে।

    ৬) প্রশ্নঃ কোন প্রাণী চোখ বন্ধ রেখে শিকার করে?

    উত্তরঃ প্লাটিপাস।

    ৭) প্রশ্নঃ কোন নদীটি ব্রহ্মা গঙ্গা নামে পরিচিত?

    উত্তরঃ গোদাবরী নদী।

    ৮) প্রশ্নঃ ভারতের সবচেয়ে দামি ট্রেনের নাম কী?

    উত্তরঃ মহারাজা এক্সপ্রেস (Maharaja Express)।

    ৯) প্রশ্নঃ মহাকাশে দূরত্ব মাপার সঠিক একক কোনটি?

    উত্তরঃ আলোকবর্ষ।

    ১০) প্রশ্নঃ চাঁদে পৌঁছানো প্রথম ব্যক্তি কে ছিলেন?

    উত্তরঃ নীল আমস্ট্রং (Neil Armstrong)।

    ১১) প্রশ্নঃ অশোক কোন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?

    উত্তরঃ বৌদ্ধধর্ম।

    ১২) প্রশ্নঃ বেলুন ভর্তি করতে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?

    উত্তরঃ হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম উভয় গ্যাসই ব্যবহৃত হয়।

    ১৩) প্রশ্নঃ ভারতের কোন কোন রাজ্যে হীরার খনি আছে?

    উত্তরঃ অন্ধ্রপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় রাজ্যে।

    ১৪) প্রশ্নঃ কোন ভারতীয় মহাপুরুষ সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন?

    উত্তরঃ রাজা রামমোহন রায় (Raja Rammohan Roy)।

    ১৫) প্রশ্নঃ এক ফোঁটা বী*র্য তৈরিতে কত ফোঁটা রক্তের প্রয়োজন হয় জানেন?

    উত্তরঃ প্রায় ৬০ থেকে ১০০ ফোঁটা রক্তের প্রয়োজন হয়।

  • স’হবাসের আগে মাত্র ১ টুকরা সেবন করুন, চলবে টানা ২ ঘন্টা

    স’হবাসের আগে মাত্র ১ টুকরা সেবন করুন, চলবে টানা ২ ঘন্টা

    পুরষ- নারীর যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যে যে খাবার খাওয়া উচিত, শরীরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজন সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্য। ওজন কমানো সম্প্রতিককালে নিউ ট্রেন্ডের অন্তর্গত।

     

    যা করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় খাবারকে দূরে ঠেলে দেয় মানুষ। এতে ওজন হয়ত কমে কিন্তু সুখী দাম্পত্য জীবনে কলহ ডেকে আনে। বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে, প্রথমেই যেটা প্রয়োজন তা হল মানসিক শান্তি ও মনে মিল।

    দ্বিতীয় শারীরিক যৌন চাহিদা যথাযথ পূর্ণ করা। অনেকেই বিয়ের বেশ কিছু বছর পর দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথ ঘামাতে চায় না। ফলে যৌন অক্ষমতা দিন দিন বাড়়তে থাকে।

    কিন্তু এর ফলে সাংসারিক জীবনে ঢুকে পরে অশান্তির কালো ছায়া। তাই আপনি যদি ডায়েট চার্ট সঠিক রাখতে পারেন তাহলে এই ধরের সমস্যা থেকে দূরে সরে থাকতে পারবেন। মনে রাখবেন এরজন্য

    পুষ্টিকর খাবার দাওয়ারই যথেষ্ট। আপেল- প্রতি দিন পুরুষদের একটি করে আপেল খাওয়া উচিত। এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জননাঙ্গে রক্ত সরবরাহ বাড়ায়। যা আপেলের মধ্যে থেকে পাওয়া যায়।

    দুধ- যেসব খাবারে বেশু পরিমাণ প্রাণিজ- ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনা যৌন’জীবনের উন্নতি ঘটাবে। কলা- কলা পুষ্টি বাড়ায় শুধু তাই নয়, যৌন ইচ্ছা তীব্র করে।

    এতের প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পটাশিয়াম। যা যৌন মিলনে শক্তি যোগায়। রসুন- নারী পুরুষ উভয়েরই রসুন খাওয়া প্রয়োজনীয়। রসুন যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজন স্বীকৃত।

    মধু- নারী পুরুষ উভয়কেই যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩য় ৪ দিন ১ গ্রাস গরম জলে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া উচিত। কফি- কফি যৌন ইচ্ছার মুডকে তরাণ্বিত করে। বিট- জননাঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে প্রতিদন বিট খাওয়া উচিত।

    স্যালাডের সঙ্গে নিয়ম করে বিট খেলে, প্রচুর নাইট্রট শরীরে প্রবেশ করবে। বাদাম- বাদামে জিঙ্কক থাকায় শুক্রাণুর পরিমাণ তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি করে

    শুধু ১ টি মাত্র ঔষধ খান টানা ১ ঘণ্টা স’হবাস করুন বী’র্যপাত ব’ন্ধ রেখঃ পুরু’ষ যদি না’রীকে বি’ছানায় তৃ’প্তি দিতে না পারে তাহলে তার পুরু’ষত্বও বৃথা।

    বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ দাম্পত্য ক’লহের অন্যতম কারন না’রীর চা’হিদা সঠিকভাবে পূরন না হওয়া। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ পুরু’ষই এই স’মস্যায় ভুগছে।

    নানা ধ’রনের কারনে বর্তমান পুরু’ষরা তার স্বা’ভাবিক যৌ’ন ক্ষ’মতা হারাচ্ছে। ধূমপান, ম’দ্যপান, অতিরি’ক্ত হস্থমৌথুন ইত্যাদি এসবের প্রধান কারন। যাইহোক আর চিন্তার কোন কারন নেই।

    মাত্র একটি ও’ষুধ সেবনেই আপনি টানা এক ঘন্টা স’হবাস ক’রতে পারবেন কোন ধ’রনের পতন ছাড়া। কি ও’ষুধ আর কীভাবে খাবেন বি’স্তারিত দেখু’ন ভিডিওতে।

    ভিডিওটি ইউটিউব এ দেয়া আছে। ভিডিওটি দে’খতে স্ক্রল করে পোষ্টের নিচে চলে যান।

    আরো পড়ুনঃ জে’নে নিন মৃ’ত্যুর পর শেষ গোসল কেন বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করান হয়! থিবীতে সবকিছুর যেমন শুরু আছে, তেমনি তার শেষও আছে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ যখন অনেককিছু পেয়ে বসে তখন শেষ নামক শব্দটাকে ভু’লে যায়।

    আর তখনি মানুষে-মানুষে হা’নাহানি আর কোন্দলের সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি শব্দটার সাথে শুরু শব্দটার যেমন মিল আছে, তেমনি শেষ শব্দটার সাথেও মৃ’ত্যু শব্দটার অনেক মিল।

    এই মৃ’ত্যুর পরও রীতির অভাব নেই। ক’বরে নিয়ে দা’ফন সম্পন্ন করার আগে শেষ গোসলের রীতি অবশ্যই পা’লন ক’রতে হয়। তবে এর মাঝেও পা’লন করার মত অনেক কিছু রয়েছে।

    মৃ’তের গোসলের পানিতে বড়ই বা কুলপাতা দেয়া শরীয়ত সম্মত। অনেকে অবশ্য এটাকে ওয়াজিব বলে থাকে তবে এটা ওয়াজিব নয়। আলেমগণ হাদিসের নির্দে’শকে মুস্তাহাব বলেছেন। কারণ কুলপাতা পরি’ষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য খুব কা’র্যকরী।

    কুলপাতা না পাওয়া গেলে সাবান বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করাই যথেষ্ট। ইসমাঈল ইবনে আবদুল্লাহ (রহ) উম্মে আতিয়্যা আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কন্যা যায়নাব রা.-এর ইন্তিকাল হলে তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন : তোম’রা তাকে তিন, পাঁচ প্রয়োজন মনে করলে তার চাইতে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও।

    শেষবার কর্পূর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পূর ব্যবহার করবে। তোম’রা শেষ করে আমাকে জা’নাও। আম’রা শেষ করার পর তাকে জা’নালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানা আমাদের দিয়ে বললেন: এটি তাঁর গায়ের সাথে জড়িয়ে দাও।

  • ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চুমুও খেতেন

    ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চুমুও খেতেন

    মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে নাটক শিখতে কলকাতার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজা ভট্টাচার্যের কাছে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মঞ্জুরী কর নামে এক ছাত্রী। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে নাটকের ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন সে স্বপ্ন তার অচিরেই ভেঙে যায়। সরলতার সুযোগ নিয়ে ভট্টাচার্য নিয়মিত যৌন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেন মঞ্জুরী কর। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

    ২০১৭ সালে ‘ব্ল্যাক ভার্স’ নামে এক নাটকের দলে অভিনয় শেখার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে মঞ্জুরী করের বয়স ১৮। ৬ বছর আগে যে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি এবার সেই বিষয়ে মুখ খুলেন ফেসবুকে।

    গত রোববার ফেসবুকে তিনি জানান ২০১৭ সালে ১২ বছর বয়সে ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্স’ নামক নাটকের দলে ভর্তি হন রাজা ভট্টাচার্যের কাজে নাটক শিখবেন বলে। কিন্তু গিয়ে মুখোমুখি হন সম্পূর্ণ অন্য ঘটনার। এই যুবতীর কথায়, ‘ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে গিয়ে আমায় নিয়মিত জড়িয়ে ধরতেন, চুমু খেতেন। বাবা মায়েদের সামনে আমাদের বলতেন ওর মাথা টিপে দিতে। মাথা টিপতে গেলে আমাদের বুকে পেটে ওর মাথা ঘষতেন। তখন বুঝতাম না। আর বাড়ির লোকের সামনে এমন ভান করতেন যেন আমাদের কত স্নেহ করেন।’

    এরপর তিনি আরও বড় এবং বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি শনিবার ক্লাসের আধাঘণ্টা আগে আমাকে ক্লাসে ডাকতেন। এরপর আমার সারা গায়ে বিশ্রীভাবে হাত দিতেন। কখনও কখনও নিজের ঠোঁট আমার মুখে …। পুরো বিষয় নিয়ে কখনও তার মুখে কোনও অপরাধবোধ দেখিনি। এমন ভাব করতেন যেন আমি সম্মতি জানিয়েছি এসবের জন্য।’

    তিনি একইসঙ্গে তার পোস্টে লিখেন, ‘প্রথমদিন বাবা আমায় ক্লাসে দিতে গিয়েছিল। তারপর থেকে উনি আমায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। আমি প্রথম না বুঝেই রাজি হই। রাস্তার অন্ধকার জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে অসভ্যতা করতেন। পরে বুঝতে শুরু করি যখন বিরক্ত লাগত। ঘেন্না করতে শুরু করি তাকে। কিন্তু কখনও সাহস করে বলতে পারিনি। ওর কলকাতায় অনেক জানা শোনা। ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আর নয়। টানা ৪ বছর তারপর থেকে অনেক অত্যাচার সয়েছি। ২০২০ সালে আমি ক্লাস ছেড়ে দিই। এবার মুখ খুললাম।’

    ওই ছাত্রী জানান তারা প্রথম ক্লাসে গিয়ে রাজা ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হন। জানান এবার তার আসল মুখ সবার সামনে নিয়ে আসবেন মুখোশ খুলে। তখন তিনি হাতে পায়ে ধরেন যাতে এই ঘটনা না ঘটান সেই যুবতী। যদিও তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি। নিজে যে আতঙ্ক, বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে গেছেন যাতে আর কাউকে সেটার শিকার না হতে হয় তার জন্য সমস্ত স্ক্রিনশট সহ ফেসবুকে পোস্ট করেন।

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ছি.. ছি.. পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। সাধারণ নাগরিকরা তো বটেই নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং সিনেমা, সিরিয়ালের অভিনেতারাও সরব হয়েছেন ঘটনার প্রতিবাদে। মেয়েবেলা ধারাবাহিকে মৌয়ের মশাই ওরফে অভিজিৎ সরকার লেখেন, ‘শাস্তি হবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন। দুদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাক্তাল্লা চলবে। তারপর বঙ্গ রঙ্গসমাজ গলায় মালা দিয়ে বরণ করে নেবে। এর আগের তিনজনের ক্ষেত্রে তাই-ই হয়েছে।’ এছাড়া অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এ বিষয়ে সরব হয়েছেন।

  • অনলাইনে মাছ বিক্রি করে এসএসসি পরীক্ষা আগেই লাখপতি সুহা

    অনলাইনে মাছ বিক্রি করে এসএসসি পরীক্ষা আগেই লাখপতি সুহা

    নাটোরের মেয়ে তাহসিন বারি সুহা। বয়স মাত্র ১৫ বছর। এরই মধ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাছ-ফলসহ দেশীয় বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে লাখপতি বনে গেছে। সারা দিন ব্যবসা আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ততা। সামনে সুহার এসএসসি পরীক্ষা।

    সুহার উদ্যোগের নাম ‘ফলের ঝুড়ি’। তার ব্যবসা মূলত Facebook গ্রুপ ও পেজভিত্তিক। উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (WE) ফেসবুক গ্রুপ, নিজের গ্রুপ ‘সুহার ঝুড়ি’ ও পেজ ‘ফলের ঝুড়ি’র মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে সুহা। নাটোরের বাসিন্দা সুহা WE-এ যোগ দেয় গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ১২ মাসে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে তার ONLINE ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।

    উদ্যোক্তা তাহসিন বারি সুহা বলেন, ‘উদ্যোক্তা হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। যখন থেকে বুঝতে শুরু করেছি, তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু একটা করব। আমার পরিবারের প্রায় সবাই ব্যবসায়ী হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই বিজনেসের প্রতি একটা আলাদা টান আছে। WE গ্রুপে এসে সেই আগ্রহটাই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

    আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে অনুপ্রেরণা ও সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট এই দুইটাই পেয়েছি আমার আম্মু রত্না বানু থেকে। তিনি নিজে একজন সফল মাছ চাষি। তাঁর সফলতা দেখে আমার ইচ্ছেও তীব্র হতে থাকে

    আমি যেহেতু নিজে থেকে কিছু করতে চাইতাম এবং এটাতে মার পূর্ণ সমর্থন থাকায় তিনি আমাকে WE গ্রুপে যুক্ত করেছিলেন। আমি যখন তাঁকে আমার Plan’র কথা বলি, তিনি সেটাতে সমর্থন করেন ও শুরু করার সাহস জোগান। এর পর থেকেই আমার উদ্যোক্তা-জীবনের পথচলা শুরু।’

    সুহার উদ্যোগের নাম “ফলের ঝুড়ি” হওয়ায় প্রথমে শুধু মৌসুমি ফল দিয়ে শুরু করেছিল। তবে এখন মৌসুমি ফলের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকারের মধু, ঘানিতে ভাঙা সরিষার তেল, সবজি ও মাছ, আখ ও খেজুরের গুড়, মসলাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ পণ্য তার এই উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। গত ১০ মাসে সুহার ব্যবসায় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

    সুহার এই সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ফেসবুক গ্রু WE এর। তার ভাষ্যে, ‘নাসিমা আক্তার নিশা আপু ও ও তাঁর টিমের নেতৃত্বে রাজিব আহমেদ স্যারের দিক-নির্দেশনায় উই এখন দেশের অন্যতম সেরা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।

    যদি ই-কমার্স এডুকেশনের কথা বলেন, তাহলে উই এবং Digital Skills for Bangladesh এর বিকল্প আর নেই। WE-এর FACEBOOK গ্রুপে ছেলেমেয়ে সবাই থাকলেও মেয়েদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই যেকোনো মেয়ে সহজেই তার উদ্যোগের কথা নির্দ্বিধায় তুলে ধরতে পারে। মেয়েদের জন্য নিরাপদ হওয়ায় অসংখ্য মেয়ে তাদের উদ্যোগ WE-এর মাধ্যমে শুরু করেছে।’

    সুহা আরও বলে, ‘অনেকের মতো আমারও ধারণা ছিল FACEBOOK শুধু আড্ডা ও মজার জায়গা। WE গ্রুপে এসে আমার ভুল ভেঙেছে। ফেসবুকেও যে পড়ালেখা করা যায়, সেটা অনুধাবন হয়েছে WE-তে জয়েন করার পর।

    দুই মাস আগে উই থেকে জয়ী অ্যাওয়ার্ড (রাইজিং স্টার) পেয়েছে সুহা। তার মতে উদ্যোক্তার আবশ্যকীয় গুণ, ‘একজন উদ্যোক্তাকে সফল হতে হলে অনেক গুণের অধিকারী হতে হয়। মোটামুটি অলরাউন্ডার টাইপের।

    কারণ, প্রতিনিয়ত সময়, পরিস্থিতি, পরিবেশ, সামাজিকতাসহ নানা দিকের বিষয়গুলোকে নিয়ে তার কাজ করতে হয়। সততা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মানসিকতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের

    ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়া, যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মানসিকতা, নতুনত্ব খোঁজার ঝোঁক—এসব বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

    মাত্র ১৫ বছর বয়সে অনেক দক্ষতা অর্জন করেছে তাহসিন বারি সুহা। পড়াশোনার পাশাপাশি internet security ও Internet Browsing য়ে ভালো দক্ষতা তার। তাছাড়া Painting’য়ের কাজও অনেক ভালো লাগে তার। বোর্ডের ওপর পুরোনো পাটের বস্তা দিয়ে সেটার ওপর পেইন্টিংয়েও দক্ষ।

    সুহার উদ্যোক্তা জীবন মাত্র ১০ মাসের। এখনই তার নিয়মিত কর্মী চার জন কর্মী কাজ করে। আমার বিক্রি ১৫ লাখ টাকা। অনেক আগেই আমি লাখপতি হয়ে গেছি।’

    সুহার মতে, ব্যবসায় নেমে প্রথমেই অধিক লাভের আশা করা উচিত নয়। তবে লসও যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর লস হলে সেটার কারণ খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করতে হবে। পণ্যের মান ভালো হলে ক্রেতা বাড়বেই।