Category: বিনোদন

বিনোদন

  • নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    সিনেমার শীর্ষ নায়িকা হবেন বলে ছোটবেলায় চট্টগ্রামের আনোয়ার এলাকার বাড়ি ছেড়েছিলেন সুলতানা রোজ নিপা। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, নায়িকা হয়েই ঘরে ফিরবেন। গত ১৫ বছর ধরে নায়িকা হওয়ার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

    ‘টাকা বড় না শিক্ষা বড়’, ‘বাবার প্রতিশোধ’, ‘আমাদের বাউল’, ‘টাইটানিক’সহ বেশ কটি ছবিতে অভিনয় করলেও সেইসব আলোর মুখ দেখেনি। হতাশা কাটাতে নিপা তার পৈতৃক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করেন। এদিক সেদিক থেকে ম্যানেজ করে ৮৬ লাখ টাকা খরচ করে নিজেই প্রযোজক হয়ে ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

    আসছে ঈদে নিপার নায়িকা হওয়ার সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তিনি জানালেন, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে নায়িকা হয়েছেন। তার অভিনীত সেই সিনেমার নাম ‘বড্ড ভালোবাসি’, পরিচালনা করেছেন জুয়েল ফারসি।

    তিনি জানান, নায়িকা হওয়ার জেদ করেছিলেন। সেই জেদ পূরণ করছেন। ১৫ বছর পর ঈদে বাড়ি ফিরতে যাচ্ছেন সুলতানা রোজ নিপা। সোমবার দুপুরে নিপার সঙ্গে যখন মুঠোফোনে আলাপ হচ্ছিল তার কথাগুলো শুনে কোনো সিনেমার গল্প মনে হচ্ছিল! আলাপকালে তিনি অনেক কথাই না লিখতে অনুরোধ করেন।

    চ্যানেল আই অনলাইনকে সুলতানা রোজ নিপা বলেন, নায়িকা হওয়ার জন্য কত শ্রম দিয়েছি সেগুলো ‘অন রেকর্ড’ বলা সম্ভব না। কোনো কিছুতেই লাভ হয়নি। পরে নিজেই প্রযোজনা করে ‘বড্ড ভালোবাসি’ নির্মাণ করেছি। ছবির মালিকানা পুরোটা আমার।

    এই নবাগতা জানান, আগামীতে তার প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে আছে। সে কারণে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন। আরও জানান, তার ‘বড্ড ভালোবাসি’র বেশীরভাগ শিল্পী কলকাতার। নিপার ইচ্ছে ছিল, আগে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি দেবেন।

    বললেন, আমার আব্বু মা.রা যাওয়ার পর আর কলকাতায় মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে করোনা চলে আসে। এবার ঈদে মুক্তি দিচ্ছি। গলুই, বিদ্রোহী এসবের আগেই আমার এই ছবি মুক্তি দেব সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু মুক্তি দিতে গিয়েও ‘ফিল্ম পলিটিক্সি’-এ পড়ি।

    ঈদের দিন সাতেক বাকি থাকলেও নিপা জানেন না তার প্রযোজিত ‘বড্ড ভালোবাসি’ কত সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। বললেন, মানুষগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাই না, তবে এরা কাকরাইলের গ্রুপ। আমাকে প্রলোভনে ফেলে পলিটিক্স করছে। তারা সিনেমারই মানুষ। শুরুতে বলছিল আমার ছবির সুন্দর পরিবেশনা করবে।

    কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে যাতে মুক্তি না দেই সেই চেষ্টা করছে। তারা বলছে, ঈদের পর ডিসট্রিবিউট করে কোটি টাকা তুলে দেবে! আমাকে অন্য ছবিতে কাজের সুযোগ দেবে। আমি তাদের প্রলোভনে পড়তে চাই না আমি ছবি মুক্তি দেবই! ঈদে ছবি মুক্তি দেয়ার জন্য গত তিন বছর এই ছবি নিয়ে অপেক্ষা করছি। দুই-চারটি সিনেমা হল পেলেও আমি মুক্তি দেব।

    ‘বড্ড ভালোবাসি’রর প্রসঙ্গ টেনে এই নবাগতা বলেন, ৯০ দশকের ধাঁচে ছবি বানানো হয়েছে। কারণ ওই সময়ের ছবিগুলো মানুষ বেশি দেখতো। আমিও তখনকার ছবি দেখে নায়িকা হতে আগ্রহী হই। ৯০ দশকে যেসব দর্শক ছবি দেখতে পছন্দ করতেন আমার বিশ্বাস তারা হলে গিয়ে আমার এই ছবিটা দেখবে।

    আমি এখানে ডাবল ক্যারেক্টার করেছি। রিস্ক নিয়ে কাজ করেছি। শারীরিক মানসিক আর্থিক সবদিক থেকে ‘বড্ড ভালোবাসি’ বানাতে গিয়ে কষ্ট করেছি। তাই আমার কাছে এই ছবিটা সবচেয়ে দামি। এর জন্য আমি ৮৬ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখনও পর্যন্ত একটি টাকা তুলতে পারিনি বা কোনো স্পন্সর পাইনি। সুলতানা রোজ নিপা বলেন, কয়েকটি হলে কথা বলা ছিল তাও মৌখিক। হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে জানতে পারব হল ক’টি পাচ্ছি।

    নিপার কাছে প্রশ্ন ছিল ছবির জন্য লগ্নী করা এই ৮৬ লাখ টাকা কোথায় পেলেন? উত্তরে নিপার স্বরল স্বীকারোক্তি, ‘আমার বিউটি পার্লারের ব্যবসা আছে, গার্মেন্টস এর টুকটাক ব্যবসা করি। পারিবারিক কিছু জমি ছিল সেখান থেকে বিক্রি করে ছবি বানিয়েছি। এই ছবিটি বানাতে গিয়ে আমাকে অনেকেই ঠকিয়েছে।

    বাধ্য হয়ে তাদের নামও বলতে পারছি না। যারা আমাকে ঠকিয়েছে তাদের বিচার উপরওয়ালার কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আর নিজের টাকা দিয়ে ছবি বানাবো না। এতদিন রীতিমত যুদ্ধ করেও মনের শান্তি মত কাজ করতে পারিনি। তবে যদি আমাকে কেউ ভালো কাজে নেয় তাহলে করবো।’

  • অভিনেতা নিলয়ের টানে বাংলাদেশে স্প্যানিশ সুন্দরী

    অভিনেতা নিলয়ের টানে বাংলাদেশে স্প্যানিশ সুন্দরী

    সম্প্রতি প্রেমের টানে প্রেমিক-প্রেমিকাদের বাংলাদেশে চলে আসার খবর অহরহ শোনা যাচ্ছে। এবার এমনই ঘটনাকে উপজীব্য করে নির্মিত হলো নাটক। যার নাম ‘প্রেমের টানে প্রেমিকা দেশে’। অনামিকা মণ্ডলের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন আনিসুর রহমান রাজীব।

    রম-কম ঘরানার নাটকটিতে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর, হিমি, আজান, আফি প্রমুখ।

    নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নিলয় এবং হিমির প্রেমের সম্পর্ক কোনো কারণে ভেঙে যায়। কিন্তু নিলয় তা মেনে নিতে পারে না। প্রেমিকা হিমিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ফন্দি আঁটে।

    সে অনুযায়ী, স্প্যানিশ এক মেয়েকে নিয়ে ঢোকে হিমিদের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে হিমির বাবা মাকে বলে এই মেয়েটির নাম ওটিলা। সে আপনার ছেলের হবু বউ, সুদূর স্পেন থেকে আপনার ছেলের প্রেমের টানে ছুটে এসেছে। অথচ ছেলে বেচারা এর কিছুই জানে না। শুরু হয় নানা জটিলতা।

    এদিকে, স্পেনের মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ের আয়োজন করেন বাবা মা। মেয়ে তো বিয়ে করতে নারাজ। নানা হাস্যকর ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে নাটকের গল্প।

    নাটকটির রচয়িতা অনামিকা মণ্ডল বলেন, ‘ সামাজিক যোগাযোগের ইতিবাচক-নেতিবাচক যে দিক রয়েছে তারই একটি অংশ এই নাটকের গল্পে উঠে এসেছে।’

  • জানিনা কার সন্তান আমার পেটে, স্বামী নাকি দেবরের

    জানিনা কার সন্তান আমার পেটে, স্বামী নাকি দেবরের

    আমার নাম লিমা। সারাদিন একা একা থাকি আর এসব ভাবি। আমি আসলেই কার সন্তান পেটে নিয়ে চলাফেরা করছি। দয়া করে আমার পরিচয় সকলের সামনে তুলে ধরবেন না। কারন, আমি আমার সংসারকে অনেক ভালোবাসি।আমার বিয়ে হয়েছে আড়াই বছর আগে। তখন আমি মাত্র এস এস সি পাশ করি। শশুর বাড়ির লোকজন খুব ভালো। তারা সকলেই আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমার শশুর বাড়ির কারো ইচ্ছে নেই আমি আরও বেশী লেখাপড়া করি।

    আমি সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। আমার স্বামী ছিল অশিক্ষিত। আমি বেশিদুর লেখাপড়া করলে হয়তো তাকে ছাড়তে পারি এই ভয়ে আর একটি কারন হলো তারা কখনই আমাকে চাকুরী করতে দেবে না আর কলেজটিও ছিল আমার শশুর বাড়ি থেকে অনেক দুরে।যাই হোক মূল কথায় আসা যাক। বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ির সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে, আদর করে। আমার দুটি দেবর আছে তারা একজন আমার সমবয়সী এবং অন্যজন ১০ম শ্রেণীতে পড়ে। একজনের নাম সুমন আর অন্য জনের নাম সুজা।

    সুমন শহরে থেকে লেখাপড়া করে আর সুজা বাড়িতেই থাকে। সুমন বাড়িতে আসলে একসাথে লুডু খেলা হয়। অনেক মজা হয়। এভাবে বছর খানেক কাটে। এদিকে, সুমন এইচ এসসি পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে এসেছে। সবাই মিলে সব সময় হাসাহাসিতেই কাটে।

    একদিন আমাদের এক দুর আত্মীয়ের কেউ পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। সেখানে সবাই চলে যায়। বাড়িতে শুধু আমি থাকি। এদিকে, সুমন তার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল। সে কারনে সবাই যাওয়ার কিছু পরেই সুমন বাসায় চলে আসে। আসার পর বাড়িতে কেউ নেই শুনে যেন তার ঈদ লাগে। তখন বুঝতে পারিনি বাসায় একা শুনে তার এতো আনন্দ কেন? রুমে গিয়ে লুডু খেলতে বসেছি দুজনে।

    সুমন শুধু মিথ্যে করে নিচ্ছিল, আমি তাই তার গালে একটা চিমটি কাটলে সে আমাকে জাপটে ধরে। আমি তখনও মনে করেছি এটা ইয়ার্কি; করছে। কিন্তু সে আমার উপর থেকে এক চুলও নড়ছে না। মেয়ে মানুষ আর কতক্ষন একটি ছেলের কাছে টিকতে পারবো?

    সে খুব পরিচিত হওয়ায় এক পর্যায়ে আমিও সায় দিলাম। আমার দেবর সুমনের সাথে আমার শা;রীরি;ক সম্পর্ক হয়ে গেল। এরপর দুপুরের খাবারের পর সে আবারও একবার এসব করল আমার সাথে। আমি আর তাকে বাধা দিইনি। আমাকেও অনেক ভলো লেগেছিল।

    এরপর থেকে সে যখনই সুযোগ পেত তখনই এসব করত আমার সাথে। এভাবে চলে প্রায় দুই মাস। এরপর সুমনের রেজাল্ট হয় এবং সে আবার শহরে চলে যায়। তারপর ২-৩মাস পর বুঝতে পারি যে আমি প্রেগনেন্স হয়ে পড়িছি। এখন আমার ছয় মাস চলছে। সেই মূহুর্ত গুলো আমার এখন সারাক্ষন মনে পড়ে। আসলে আমার পেটের এই বাচ্চাটি কার?

    আমি মানসিকভাবে খুবই সমস্যায় রয়েছি। এসব কথা কখনও কারো সাথে শেয়ার করার আস্থা আমি পাই না। কথাগুলো বলার আমার একটাই উদ্দেশ্য আমার মতো খেলার ছলে এসব যেন আর কেউ না করে। এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিন।পরামর্শ: আপু আপনার জীবনে যা ঘটেছে তা যেন আর কারো জীবনে না ঘটে এটাই আমাদের কাম্য।

    তবে এখন আপনি নিজেকে এই সন্তানের বাবা হিসেবে আপনার স্বামীকেই প্রাধান্য দিন। তবেই আপনি মানসিকভাবে শান্তি পাবেন। হয়তো এসব ঘটনা অনেকের জীবনে ঘটে। আপনি আপনার সংসারের সকলকে নিয়ে সর্বদায় শান্তিতে থাকেন এটাই আমাদের চাওয়া। আর আপনার দেবরকে এসবে পরবর্তীতে পাত্তা দেবেননা এটাই আমরা আপনার কাছ থেকে আশা করব। ধন্যবাদ

  • স্যার আমি আস্তে করি, চেষ্টা করি যেন বেশি ব্যথা না পায়

    স্যার আমি আস্তে করি, চেষ্টা করি যেন বেশি ব্যথা না পায়

    ক্লাস রুটিন আর পরীক্ষার রুটিনের বাইরে ভিন্ন রকম এক রুটিন চালু করেছে রাঙ্গুনিয়ার এক কওমি মাদরাসাশিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (নাছির হুজুর)। কোন রাতে কোন ছাত্রকে বলা’ৎকার করা হবে তা রীতিমতো রুটিনের মতো করে ঠিক করে রেখেছিলেন এই শিক্ষক।

    উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শাহ আহমদীয়া আজিজুল উলুম মাদরাসার এই শিক্ষক ছোট ছেলেশিশুদের প্রতি প্রবলভাবে আসক্ত। এই কাম’না চরি’তার্থ করতে তিনি প্রতি রাতে নতুন নতুন শিশু ব্যবহার করে আসছেন। নিউজটি সম্পন্ন পড়ুন দেশের জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা কালেরকণ্ঠ থেকে । ক্লিক করুন।

    আরও পড়ুন : প্রাত্যহিক জীবনে নানা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে ক্ষুদ্র ব্লেডও একটি। কিন্তু খেয়াল করে দেখেছেন কি, ব্লেডের যে নকশা তা আজও অপরিবর্তিত!

    কেন ব্লেডের এই নকশার বদল ঘটেনি, আর কেনই বা এই নকশা করা হয়েছে? যুগের পর যুগ একই স্টাইল ধরে রাখার রহস্য কি তা নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ব্লেডের এই নকশা ও তা অপরিবর্তিত থাকার রহস্য-

    ১৯০১ সালে জিলেট কর্মসংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কিং ক্যাম্প জিলেট এবং সহকর্মী উইলিয়াম নিক্সারসন একটি ব্লেডের ডিজাইন করে আমেরিকায় ব্যবসা শুরু করেন। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হবার ৩ বছর পর প্রথমে ১৬৫ টি ব্লেড প্রস্তুত করেন।

    এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। যাবতীয় চিন্তাভাবনা করেই ব্লেডের সঙ্গে রেজারের হাতল আটকানোর জন্য স্ক্রু ও নাট-বল্টু ব্যবহৃত হত। কেন অন্যান্য সংস্থাও এই স্টাইল ও নকশা অনুকরণ করল? কারণ হিসেবে জানা যায়, সে সময় একমাত্র জিলেটই রেজার তৈরি করত। তাই অন্যান্য সংস্থাও একই পথে হাঁটা শুরু করেছিল।

    বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরণের ব্লেড বের হলেও, যদি কেউ হঠাৎ ব্লেড কথাটা উচ্চারণ করে তাহলে কিন্তু সেই একই নকশার চেহারা চোখের সামনে ভেসে আসবে। এমনকি বিবিধ প্রশ্নও মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আসতে পারে। তাই চিন্তা মুক্ত থাকাটাই শ্রেয়।