খিদে পাওয়া, ঘুম পাওয়ার মতো যৌনতাও মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। নিঃসন্দেহে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বটে। শারীরিক মিলন দু’টি মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে আরও দৃঢ় করে। সার্বিক ভাবে সুস্থ জীবনের জন্যও অতি প্রয়োজনীয় সুখকর যৌনজীবন। যৌনতা এক বিশেষ অনুভূতি। মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসের সব দিন যৌন চাহিদা সমান হয় না। কোন সময়ে এই চাহিদা তুঙ্গে থাকে জানেন? মাসের এই দিন মেয়েরা সেক্সের জন্য কেমন করে ভিডিওতে দেখুন
আরও পড়ুনঃ ১৪ বছর পর ভারতে আসছেন মেসি, খেলবেন ক্রিকেট ম্যাচ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সময়ে মহিলাদের অভিউলেশন (ডিম্বস্ফোটন) হয়, তখন তাঁদের মধ্যে সঙ্গমের ইচ্ছা প্রবল হয়। মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল সাধারণ ভাবে ২১-৩৫ দিনের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ওভিউলেশনের আগের সময়টি ১৩-২০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত ওভিউলেশনের ১৪-১৬ দিনের মধ্যেই ঋতুস্রাব হয়।
ওভিউলেশনের দিন তিনেক আগে থাকেই শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়ে যায়। তবে এই তাপমাত্রার পরিবর্তন এতটাই সূক্ষ্ম হয়ে যে, সাধারণ থার্মোমিটারে তা ধরা পড়ে না। ০.৪-০.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বাড়ে তাপমাত্রা। এ সময়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা না থাকলে মাসের এই সময়ে গর্ভনিরোধক ছাড়া সঙ্গম না করাই ভাল।
আরও পড়ুনঃ মি’লনের পর যা করলে পু’নরায় মি’লন করার শ’ক্তি পাবেন, অনেকেই জানেন না
কেউ যদি গর্ভধারণ করতে চান, সে ক্ষেত্রে সার্ভাইকাল মিউকাস (শ্বেতস্রাব) খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, কখন আপনার গর্ভধারণের সেরা সময়। যখন শ্বেতস্রাব সবচেয়ে পরিষ্কার, পিচ্ছিল, ডিমের সাদা অংশের মতো হবে, বুঝতে হবে তখন আপনার শরীর সবচেয়ে উর্বর। ওভিউলেশনের পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে মিউকাস আবার ঘোলাটে ও চটচটে হতে শুরু করে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন চাহিদা কেবল এই বিষয়টির উপর নির্ভর করে, তা নয়। মানসিক চাপ, ক্লান্তি, হরমোনের তারতম্য— এই সব বিষয়গুলিও কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
তমা ইসলাম (ছদ্মনাম)। রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা এই শিক্ষার্থী দেশের নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের স্নাতকের ছাত্রী। তিনি বর্তমানে ব্যবসায়ের সাথে জ’ড়িত। নিজের জীবনের নানান ধাপে ধাপে অনেক ধরনের নি-র্যা’তন সয়ে আজ তাকে এ পথে নামতে হয়েছে। আর বাকি পাঁচজনের মতোই ছিলো
তমার জীবন। কিন্তু তার বাবার ব্যবসায়ে ক্ষতি হওয়ার পর উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনো তমার জীবনে নেমে আসে কালো ছায়া। তমার বাবার রাজধানীর মিরপুরে একটি কাপড়ের দোকান ছিলো। কিন্তু তার বাবার ব্যবসায়ীক পার্টনার তাদের সাথে প্র’তারণা করে তমার পরিবারকে নিঃস্ব করে। ওই ব্যক্তি হাতিয়ে নেন
তমা’দের ২৫ লক্ষ টাকা। স্নাতকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার পরেও ভর্তি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিলো না তমার। তার বাবাও তাদের রিবারের জন্য তেমন কিছু করতে পারছিলেন না। অবস্থা ছিলো অনেকটাই বেগতিক। তমার পরিবারের সদস্যদের দিনের পর দিন আধ পেটা, না খেয়ে পার করতে
‘হতো। চার ভাই-বোনের মধ্যে তমাই সবার বড়। তিনি তার পরিবারের অবস্থা আর নিজের পড়াশোনার জন্য চাকরির সি’দ্ধান্ত নেন। কয়েকটি চাকরির ওয়েবসাইট ঘুরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিভি দেন তমা। কিন্তু দিনের পর দিন পার হলেও তিনি কোথাও ডাক পান না। এ অবস্থায় মানসিকভাবে অনেকটাই ভে’ঙে পড়েন সদ্য উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনো এই ছাত্রী। মাসখানেক পর হঠাৎই একটা কল আসে তমার কাছে। একটি প্রতিষ্ঠানে তমাকে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। তমা সময় মতো গু’লশানের ওই অফিসে হাজির হন। তমাকে তখন সাধারণ কিছু প্রশ্নের পর জানানো হয় এটা একটি
বিউটি পার্লারের কাজ। স্পা করাতে হবে না’রীদের।তমা দীর্ঘদিন চাকরি খুঁজেও কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে তাদের প্রস্তাবে রাজি হন। ভাবলেন তাও একটা কাজ তো পেয়েছেন। ওইদিনের মতো তমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরবর্তী তারিখ দিয়ে। জানানো হয় পরবর্তী দিন ওই অফিসের ‘বস’ তমার ইন্টারভিউ নিবেন। তিনি ফাইনাল করলেই তমার চাকরি হবে। পরবর্তী তারিখে তমা
সময় মতো ওই লোকের দেওয়া ঠিকানায় উপস্থিত হন। পরে তাকে ‘হোটেল রেডিসনের’ একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তমা দেখতে পান এক লোক সোফায় বসে আসেন। তমার যেহেতু চাকরির পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো না তাইতিনি তেমন কিছুই আঁচ করতে পারেননি যে, তার সাথে কী ঘটতে যাচ্ছে! এরপর তমা যেই লোকের সাথে হোটেল পর্যন্ত গেলেন তিনি রুমে থাকা লোকের কাছে
তমাকে রেখে ‘কানেকানে’ বলে যান ইনি আমা’দের ‘বস’। তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই চাকরি কনফার্ম। সদ্য উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করা তমা তখনও কিছু বুঝতে পারেননি। এরপররুমে ওই লোক জো’র জ’বরদস্তি করে তমাকে ধ… করেন। শুরু হয় তমার জীবনের নতুন অধ্যায়। তমা তার জীবনের এই অ’নাকাঙিক্ষত ঘটনা কাউকে বলতে
পারেননি। তার পরিবারের লোকের পাশে তখন তার দাঁড়ানো দরকার ছিলো- এর ওপরে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ছোট ছোট তিনটা ভাই-বোনের দিকে তাকিয়ে তমা সেদিন প্র’তিবাদ করতে পারেননি। কিন্তু তমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয় সেখান থেকেই। তমা সেদিনকার মতো বাড়িতে ফিরে আসেন এবং আত্ম চেষ্টা করেন।
কিন্তু পরিবারের কথা ভেবে অন্ধকার জগতের পথ বেছে নেন তমা। তমা বাড়ি ফেরার দুই-একদিন পর ওই লোকেরা তার সাথে আবার যোগাযোগ করেন। জানান, তমা চাইলে তারা প্রতিমাসে তাকে তিনটা কাজ দিবে। এর জন্য তমাকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। তমাও রাজি হয়ে যান তাদের শর্তে। তমার দাবি, তার
সামনে অন্য আর কোনো উপায় ছিলো না! ‘কিছুদিন যাওয়ার পর অন্ধকার জগতে কাজ করে এমন একটা গ্রুপে এ্যাড হলাম। এই গ্রুপের যিনি এ্যাডমিন ছিলেন তিনি কারো কাছ থেকে কোন বিনিময় নেয় না। তিনি কাজ যোগাড় করে দেয়। এভাবেই অন্ধকার জগতে প্রবেশ করি। একসময় আমি বুঝতে পারি কিভাবে যোগাযোগ
করতে হয়। কিভাবে নিজেকে হাইড রাখতে হয়। এ কাজ করতে গেলে কখনো নিজেকে অপ’রাধী মনে হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় মনে হয়,আবার মাঝে মাঝে মনে হয় না। টাকা পয়সা আর প্যাকেজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা পয়সার বিষয় হচ্ছে যারা আসে তাদের অবস্থা বুঝে। যার অর্থনৈতিক অবস্থা একটু ভালো সে হয়তো একটু বেশি দিচ্ছে। কিভাবে যোগাযোগ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন
, গ্রুপে পোস্ট দেই, কন্টাক্টটা ইনবক্সে হয়। তার পর ফোনের মাধ্যমে কন্টাক্ট করা হয়। যায়গাটা কিভাবে নির্ধারণ করা হয় এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমা’দের গ্রুপের অনেকে আছে যারা পরিবার সহ থাকে। ওখানে যাওয়া হয়, কিন্তু যায়গা গু’লো অনেক নিরাপত্তার। কেউ ঝামেলা করবে এমন কোন সমস্যা নেই।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিনব কায়দায় নীল ভিডিও বানিয়ে তা বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে পোস্ট করে টাকা দাবির অভিযোগে এক স্কুলছাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার ওই স্কুলছাত্রীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো।
এদিকে, ওই স্কুলছাত্রীকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে থানায় হাজির হয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। এসময় তারা ওই ছাত্রীসহ তার অভিভাবকদেরও শাস্তি দাবি করেন।
পুলিশ জানায়, উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রী ও বিভিন্ন ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে নীল ভিডিও তৈরি করে একাধিক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ বানিয়ে সেখানে পোস্ট করা হয়। পরে পোস্ট করা ভিডিওর সঙ্গে মোবাইল নম্বর দিয়ে লাখ লাখ টাকা চাওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘দিলরুবা’ ও ‘রাকিবুল ইসলাম’ নামের আইডি থেকে এলাকার অনেকের আইডি যুক্ত করে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করা হয়। পরে সেই গ্রুপে নীল ভিডিও পোস্ট করা হয়।
পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আইডিগুলোর মালিক ও ব্যবহারকারী শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ভূঞাপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জব্দ করা ফোনে এসব পোস্ট ও ভিডিও ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায়।
তবে অভিযুক্ত ওই স্কুলছাত্রী জানান, আমার ছবি ব্যবহার করে নীল ভিডিও বানানো হয়েছে। সেই ভিডিও দিয়ে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ঘটনার জড়িত মির্জাপুরের সীমান্ত ও গোপালপুরের সিফাতকে পুলিশ ডেকে এনেছিল। তারা স্বীকারও করেছে কিন্তু তারপরও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের কাজের সঙ্গে আমি জড়িত না। সেটার প্রমাণ আমার কাছে আছে।
এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়ের ছবি দিয়ে নগ্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা দাবি করা হয়েছিল। যে নম্বরগুলোতে টাকা চাওয়া হয়েছিল তাদের পুলিশ ধরেছিল। তারা স্বীকারও করেছে এই ঘটনায়। সে সময় মেয়ের মোবাইল চেক করে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফেরত দিলেও রোববার রাতে মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। সোমবার প..র্নোগ্রাফি মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ভূঞাপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, জি-মেইল দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বর দিয়ে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই কিছু বলতে চান না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করাসহ গুগল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তদন্তে আইডি ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরই ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাজের জন্য তথবা কোথাও ঘুরতে গেলে রাত যাপনের জন্য আবাসিক হোটেল ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এসব হোটেলগুলো কমদামি বা বেশি দামি হয়ে থাকে। তবে সব হোটেলেই কিছু নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে।
দেখা যায় সেই নিয়মগুলো ঠিকভাবে না বোঝার কারণে এমন কিছু ভুল করে বসেন, যার মাশুল গুনতে হয় বিশাল পরিমাণের। হোটেলে অবস্থানের ক্ষেত্রে এই ভুলগুলো যেন কখনোই না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোন ভুলগুলো সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি-
চট করে দরজা খুলবেন না : দরজায় কড়া নাড়া হলো আর কিছু না বুঝেই বললেন, ‘কাম ইন।’ এই বিশাল ভুলটি কখনোই করতে যাবেন না। হোটেল কিন্তু দিন শেষে কখনোই তেমন নিরাপদ জায়গা নয়। সুতরাং পরিচয় জেনে তার পরে দরজা খুলুন। মনে রাখবেন, অচেনা জায়গায় অচেনা কেউ তো আপনার সঙ্গে দেখা করার কথা নয়। কাজেই সাবধান। আর সব সময় দরজা লাগিয়ে রাখতে ভুলবেন না।
হোটেলের মিনিবারের পানীয় নয় : কোমল কিংবা কঠিন, যেমন পানীয়ই খান না কেন, সেটি হোটেলের মিনিবার থেকে খেতে যাবেন না। কারণ, সাধারণত হোটেলের মিনিবারগুলোতে পাঁচ টাকার খাবারের দাম অন্তত ৫০ টাকা রাখা হয়! শেষে দেখবেন, আপনার রুম ভাড়ার চেয়ে মিনিবারের বিলই গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ-তিন গুণ!
ছারপোকায় সাবধান : যত বিলাসবহুল কক্ষই হোক আর সুসসজ্জিত বিছানা হোক, ছারপোকা ঠিকই জানে কীভাবে নিজের জায়গা করে নিতে হয়। কাজেই এ ব্যাপারে ভালোমতো তল্লাশি চালান, ছারপোকার সামান্য আনাগোনা দেখলেই সবকিছু ঠিকঠাক করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। কারণ, এই ছারপোকা কেবল আপনাকে কামড়াবে তা-ই শুধু নয়, আপনার সঙ্গে সওয়ার হয়ে আপনার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে অবলীলায়।
কলের পানি খাবেন না : এক ব্রিটিশ দম্পতি লস অ্যাঞ্জেলেসে বেড়াতে এসে ট্যাপ বা কল থেকে পানি পান করেন। সেই পানিতে কেমন যেন বিচিত্র স্বাদ, এমন স্বাদের পানি নাকি তারা কখনোই খাননি। পরে অনুসন্ধানে জানা গেল, হোটেলের জলাধারে একটি মৃতদেহ! কার ভাগ্যে কী থাকে, তা তো আর বলা যায় না। সুতরাং ভুলেও কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য হোটেলরুমের কলের পানি খাবেন না। ভরসা রাখুন দোকান থেকে কেনা মিনারেল ওয়াটারের বোতলে।
রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করবেন না : হোটেলটি সুলভ বা বিলাসবহুল যেমনই হোক না কেন, এতে জীবাণুর উপস্থিতির সম্ভাবনা বেশি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব জীবাণুর একটি বড় অংশ থেকে যায় টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোলে। ঘরদোর যতই ঝেড়ে পরিপাটি করা হোক, রিমোট কিন্তু সেভাবে পরিষ্কার করা হয় না। কাজেই এতে জীবাণু বহাল তবিয়তে রয়ে যায়। সুতরাং সাবধান!
মূল্যবান জিনিস রুমে রাখবেন না : মূল্যবান জিনিসপত্র অনেকেই হোটেলরুমের গোপনীয় কোনো একটি জায়গায় রেখে দেন। এটি চরম ভুল। হোটেলরুম থেকে চুরি করতে যারা ওস্তাদ, তারা কিন্তু ওই সব ‘গোপন’ জায়গার হদিস আপনার চেয়ে ভালো জানে! সুতরাং একটু পয়সা খরচ করে কর্তৃপক্ষের লকারে নিজের মূল্যবান জিনিস রেখে দিন। নিরাপদ থাকবেন।
‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন : দরজা লাগিয়ে দিলেই কিন্তু হলো না। যতক্ষণ না ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন বাইরে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন, ততক্ষণ যে কেউ এসে উটকোভাবে আপনার ব্যক্তিগত সময়ে বাদ সাধতে পারে। আবার ঘর পরিষ্কারের চিন্তা থাকলে সেটি সরিয়ে ফেলুন। কারণ, ওই সাইন ঝোলানো থাকলে হোটেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও আপনার ঘরের আশপাশে ঘেঁষবে না।
রুম নম্বর বলবেন না : যেখানে সেখানে বা চেক-ইনের সময় আপনার হোটেলের রুম নম্বরটি নিজে উচ্চারণ করবেন না। দুষ্কৃতকারীরা এসব তথ্যের জন্যই মুখিয়ে থাকে। এ বিষয়টি যতটা পারেন গোপন রাখুন, নতুন পরিচিত কাউকেই রুম নম্বর জানাতে যাবেন না।