Category: বিনোদন

বিনোদন

  • ছেলেরা বেশির ভাগ সময় গাড়িতেই কাজ করতে বাধ্য করে

    ছেলেরা বেশির ভাগ সময় গাড়িতেই কাজ করতে বাধ্য করে

    ছেলেরা বেশির ভাগ সময় গাড়িতেই কাজ করতে বাধ্য করে

    রাজধা’নীর অন্য,তম ব্যস্ত’তম এলাকার ম,ধ্যে ফা’র্মগেট অন্ন’তম। দিনের বেলায় মানুষের পদ’চারণায় মুখরিত থাকে লাকা তাই দেখে হয়তো অনেক কি,ছুই বো,ঝা যায় না। কি,ন্তু রাতের নিরব,তা যত বাড়ে, ততই এই এলাকায় আনা,গোনা বাড়ে দে’হ ব্যব’সায়ীদের।খ’দ্দেরের

    খোঁ’জে বো’রকা প’ড়ে অ’পেক্ষা ক’রতে দে’খা যায় তাদের রা,স্তার ধারে। গত,শনিবার এ,বং রবিবার মধ্য’রাতে সরে’জমিনে ফা’র্মগেটে গিয়ে দেখা যায়, খ’দ্দেরের খোঁ’জে বোরকা প’ড়ে এখানে-সেখানে অ’পেক্ষা করছেন প’তিতারা।তাদের পাশেই সারি-সারি সিএনজি দাঁ,ড়িয়ে আছে। খ’দ্দের এসে প্রথ,মে দামা’দামি করে।

    এরপর চূ’ড়ান্ত হলে নিয়ে যায় সিএ,নজি করে।তাদের ম,ধ্যে অনে,কেই সাধা,রণ মানু,ষকেও বির’ক্ত করে।নিবি,লাগবে বলে বিভি,ন্ন ইশা’রা দেয় তারা।এতে অনেক পথ,চারীও বিড়ম্ব,নার ম,ধ্যে প’ড়েন।সোহেল হাসান নামের একজন পথ,চারী বলেন, ওরা সু,যোগ বুঝে ই,শারা

    দেয়,নানান রকম অ’’শ্লী’ল কথাও বলে। সাংবা’দিক পরিচয় গো’পন রেখে কথা হয়নিতু নামের একপতি’তার স’’ঙ্গে। স,দ্য এ পথে পা বাড়িয়েছে বলে দা’বিতার। কি’শো’রগঞ্জ জে’লার ভৈরবে,বাড়ি বলে জা’নান নিতু। আরও পড়ুন : লেপ কেন লাল কাপড়েই বানানো হয়। শীতের পরশ লাগতেই লেপ-তোষক বানানোর ধুম পড়ে। লেপ তোষকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ও তোরজোর থাকায় ব্যবসায়ীদেরও পোয়াবারো। তারা মৌসুমী লাভের এই সুযোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না।

    শীতের আসার আগেই লেপ ও তোষকের দোকান ছেয়ে যায় লাল আভায়! কারণ লেপ মানেই যেন তুলায় মোড়ানো লাল কাপড়! প্রশ্ন তো জাগতেই পারে, বেশিরভাগ লেপে কেন লাল কাপড় ব্যবহার করা হয়?

    এক সময় মুর্শিদাবাদের একেবারে নিজস্ব এই শিল্পের নাম ছিল সর্বত্র। লম্বা আঁশের কার্পাস তুলাকে বীজ ছাড়িয়ে লাল রঙ্গে চুবিয়ে শুকিয়ে ভরা হতো মোলায়েম সিল্ক এবং মখমলের মাঝখানে। সেই মখমলের রঙ ছিল লাল। সুগন্ধের জন্যে দেওয়া হতো আতর। এখন অবশ্য উচ্চমূল্যের কারণে মখমলের কাপড় ব্যবহার হয় না।

    বাংলা, বিহার, ওড়িশাসহ অভিবক্ত বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদ কুলি খানের আমল থেকেই রীতি অনুযায়ী লাল মখমলের কাপড় ব্যবহার করে লেপ সেলাই করা হতো। এরপর মুর্শিদ কুলি খানের মেয়ের জামাই নবাব সুজাউদ্দিন মখমলের পরিবর্তে সিল্ক কাপড় ব্যবহার শুরু করেন। তবে রঙের কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে মখমল ও সিল্কের কাপড়ের মূল্য জনসাধারণের হাতের নাগালে না থাকার কারণে, পরবর্তীতে সাধারণ কাপড় ব্যবহারের চল শুরু হয়। তবে তখনও কাপড়ের রঙ লালই থেকে যায়।

    এদিকে পুরান ঢাকার লেপ ব্যবসায়ীরা জানান, লেপে এই রীতি ও রঙের ব্যবহার নবাবরাও অনুসরণ করতেন। সেই থেকে লাল কাপড়ে লেপ বানানোর রীতি চলে আসছে। এছাড়া আরো কিছু কারণ রয়েছে; এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, লেপ কখনো ধোয়া যায় না। আর লাল কাপড় ব্যবহারের ফলে ময়লা কম দেখা যায়।

    তবে এ ক্ষেত্রেও মতান্তর রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ইতিহাস বা ঐতিহ্যের রীতি মেনে নয়, ব্যবসার খাতিরে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই লাল কাপড়ে মুড়ে রাখা হয়। ফলে দূর থেকেই তা ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

  • সুন্দরী বলে অনেক সময় সিএনজিতেই কাজ সারে খদ্দের

    সুন্দরী বলে অনেক সময় সিএনজিতেই কাজ সারে খদ্দের

    রাজধা’নীর অন্যতম ব্যস্ত’তম এলাকার মধ্যে ফা’র্মগেট অন্ন’তম। দিনের বেলায় মানুষের পদ’চারণায় মুখরিত থাকে এ এলাকা তাই দেখে হয়তো অনেক কিছুই বোঝা যায় না।কিন্তু রাতের নিরবতা যত বাড়ে, ততই এই এলাকায় আনাগোনা বাড়ে দেহ ব্যব’সায়ীদের।খ’দ্দেরের খোঁ’জে বো’রকা পড়ে অ’পেক্ষা করতে দে’খা যায় তাদের রাস্তার ধারে।

    গত শনিবার এবং রবিবার মধ্যরাতে সরেজমিনে ফা’র্মগেটে গিয়ে দেখা যায়, খ’দ্দেরের খোঁ’জে বোরকা পড়ে এখানে-সেখানে অ’পেক্ষা করছেন প’তিতারা।তাদের পাশেই সারি-সারি সিএনজি দাঁড়িয়ে আছে। খ’দ্দের এসে প্রথমে দামা’দামি করে। এরপর চূ’ড়ান্ত হলে নিয়ে যায় সিএনজি করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ মানুষকেও বির’ক্ত করে। নিবি,লাগবে বলে বিভিন্ন ইশা’রা দেয় তারা।

    এতে অনেক পথচারীও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।সোহেল হাসান নামের একজন পথচারী বলেন, ওরা সুযোগ বুঝে ইশারা দেয়, নানান রকম অ’শ্লীল কথাও বলে।
    সাংবা’দিক পরিচয় গো’পন রেখে কথা হয় নিতু নামের একপতি’তার সঙ্গে। সদ্য এ পথে পা বাড়িয়েছে বলে দাবি তার।

    কি’শো’রগঞ্জ জে’লার ভৈরবেবাড়ি বলে জানান নিতু।তিনি বলেন, আমি যে এ পেশায় আছি তা আমা’র পরিবারের কেউই জানে না। টাকার অভাবেই এ পেশাই আসছি। এত পেশা থাকতে এ পেশায়আসলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তরই দেননি তিনি। নিতু জানায়,আধাঘন্টার জন্য নিয়ে গেলে ৫০০ টাকা আর পুরো রাতের জন্য নিয়ে গেলে ১ হাজার

    টাকা নেই। আমি রাতেই ফা’র্মগেটে আসি। হোটেলে বা খ’দ্দেরের বাসায় যেয়ে কাজকরি। তার দাবি, খ’দ্দের অনেকসময় ৫০০ টাকার কথা বলে নিয়ে যায় কাজ শেষে ২০০ বা৩০০ টাকা দেয়। প্রতিবাদ করলেও লাভ হয়না। আবার

    মাঝেমধ্যে অনেকে আরও কমটাকাও দেয়। নিতুর সাথে কথা বলে সামনে এগুতেই দেখা যায়, আরও চার প’তিতা এক’সঙ্গেই বসে আছেন। বিভিন্ন সিএনজি তাদের সামনেই থামে, মাঝে-মধ্যে সিএনজি চালকদের সাথেও খোশগল্পে মাতে তারা। জানা যায়, ফার্মগেটে সাধারণত প’তিতারা বিকেল থেকে সন্ধ্যা বা রাতেই

    আসে। কেউ কেউ আবার মধ্যরাতেও বের হয়। সকালহলেই ফেরে ঘরে।শাহীন নামের একজন ভ্যনচালক বলেন, আমি এই জায়গাতে ভ্যানচালাই গত চার বছর ধরে। এদেরকে (পতিতা) প্রতি রাতেই দেখি। ভোরে আবার চলে যায়তারা।তিনি বলেন, এদের সিএনজি চালকও ঠিক করা থাকে। খ’দ্দের ঠিক হলেই সিএনজি করেচলে যায়। অনেকসময় সিএনজিতেই তারা এ কাজ করে।

    নাম প্রকাশ্যে অ’নিচ্ছুক আরেক ভ্যা’নচালক বলেন, এদের মধ্যে কিছু প্র’তারকও থাকে। তারা সিএনজিতে নিয়ে খ’দ্দেরকে প্র’তারণা করে, টাকা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। মান-সম্মানের ভ’য়ে অনেকেই তা প্রকাশ করে না।এ

    বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও থা’নার ওসি বলেন, আমাদের কাছে এরকমঅ’ভিযোগ আসেনি। অ’ভিযোগ পেলে আম’রা ব্যবস্থা নেব। প’তিতাদের অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে অনেক অ’ভিযান চালানো হয়েছিল, এরপর আর তাদের দেখা যা’য়নি। মধ্যখানে তারা আ’বার হয়তো এসেছে, আজ রাতেই আ’বার অ’ভিযান চা’লাবো।

  • পোশাকের সাইজ XL বা XXL এর মধ্যে ‘X’—র অর্থ কী? ৯০% মানুষের অজানা

    পোশাকের সাইজ XL বা XXL এর মধ্যে ‘X’—র অর্থ কী? ৯০% মানুষের অজানা

    লিখিত পরীক্ষা হোক বা ইন্টারভিউ যেকোন ক্ষেত্রেই সাধারণ জ্ঞান ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করা হয়। তাই আপনিও যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাহলে এই ধরনের তথ্যগুলি নিয়মিত জেনে রাখা উচিত। এই প্রতিবেদনে তেমনি কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসা হল যা আপনার সহায়ক হতে পারে।

    পোশাকের সাইজ

    ১) প্রশ্নঃ ৭৫ দিনব্যাপী ভারতীয় ভাষা উৎসব কোথায় শুরু হলো?

    উত্তরঃ লখনৌতে ৭৫ দিনব্যাপী ভারতীয় ভাষা উৎসব শুরু হলো।

    আরও পড়ুনঃ ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী মো. সহিদুল ইসলাম আদালতে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিথ্যা মামলায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জড়ানো হয়েছে। আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আমরা আরো বলেছি এই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মূলত তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান ব্যারিস্টার সুমনের ২ দিনের রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেন।
    ২) প্রশ্নঃ হর্ষবর্ধন (Harshavardhana) কোন রাজবংশের রাজা ছিলেন?

    উত্তরঃ পুষ্যভূতি রাজবংশের রাজা ছিলেন হর্ষবর্ধন।

    ৩) প্রশ্নঃ কার স্মৃতিতে কুতুব মিনার (Qutub Minar) নির্মিত হয়েছিল?

    উত্তরঃ কুতুবউদ্দীন বক্তিয়ার কাকির স্মরণে কুতুবউদ্দিন আইবক কুতুব মিনার নির্মাণ শুরু করেন, যা দিল্লিতে অবস্থিত।

    ৪) প্রশ্নঃ কোন প্রণালী সুমেরু মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে?

    উত্তরঃ সুমেরু ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে বোরিং প্রণালী (The Boring Strait)।

    ৫) প্রশ্নঃ কোন বছরে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্যে পরিণত হয়?

    আরও পড়ুনঃ আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন’ দুর্নীতির প্রমাণ নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক সচিব
    উত্তরঃ ১৯৮৭ সালে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্যে পরিণত হয়।

    ৬) প্রশ্নঃ সংবিধানের কত ধারায় কারখানাতে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে?

    উত্তরঃ ১৪ বছরের নিচের শিশুদের কাজে লাগানো আইনত অপরাধ, যা সংবিধানের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে।

    ৭) প্রশ্নঃ ভারতে পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থায় কতগুলি স্তর রয়েছে?

    উত্তরঃ তিনটি স্তর রয়েছে — গ্রাম পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক পর্যায়ে পঞ্চায়েত সমিতি আর জেলা পর্যায়ে জেলা পরিষদ।
    ৮) প্রশ্নঃ ইনফোসিস (Infosys) কে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন?

  • বাসর রাত তাই চিৎকার করেনি ফুলি, র’ক্তক্ষরণেরই মৃ”ত্যু

    বাসর রাত তাই চিৎকার করেনি ফুলি, র’ক্তক্ষরণেরই মৃ”ত্যু

    সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রাম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা। মহিলা রোগী, পরনের চাদর রক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে।
    রোগীর নাম ফুলি (ছদ্দ নাম)। হিষ্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে? রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে।

    ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো। ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবাই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়।

    কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স। বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে। মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি। মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।

    বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কোথায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে। যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত।

    পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন। মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধর্ষণ না বলে উপায় নেই। ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি। হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চেষ্টা।

    সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাসস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি রক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত রক্ত যাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে সাদা ফাক্যাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ! ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অচেতন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর। তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যাঙ্গাত্তক হাসি তামাশা করছিল।

    যেন সব দোষ ফুলির। লজ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভয় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচন্ড শব্দ। আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই। ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন। ভয়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌনাঙ্গ ও তার আশ পাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও রক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিক্তিতে রোগীকে রক্ত দেয়া দরকার। জরুরি অবস্থায় অপারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে। এই ভয়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা কর্তব্যরত ডাক্তারের। ম্যাডামকে ফোন করা হল…

    প্রাথমিক ভাবে ম্যানেজ করার জন্য রক্ত দরকার…
    রোগীর সাথে যারা এসেছে এতক্ষণ ইমারজেন্সি রুমের সামনে চিল্লা পাল্লা করছিল। ডাক্তার এসে জানালো জরুরি ভিক্তিতে রক্ত দরকার। তখন সবাই চুপ। কেউ কেউ কেটে পড়ার জন্য পাশে সরে গেল। কিছুক্ষণ পর রোগীর লোক জানালো, তারা রক্ত জোগাড় করতে পারবে না। যা হয় হবে। ডাক্তার তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না। রাত সাড়ে তিনটায় ম্যাডাম আসলেন। তার ধমকে শেষ পর্যন্ত তারা রক্ত জোগাড় করতে রাজি হল। কিন্তু রক্ত আর সেই রাতে জোগাড় হল না। অপারেশন থিয়েটারে ফুলিকে নিয়ে গিয়ে টিয়ার রিপেয়ার করা হল।

    সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, রক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন রক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।
    রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষুধ কেনার খরচ কিছুটা বাচবে। কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে। রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল।

    আরও বেশি অসুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ। এই সমাজের প্রতি ঘৃনায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে। ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মারা গেছে।

    ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না। শ্বশুরবাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ মরলে দশটা বউ পাওয়া যায়!
    ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়।

    এই ঘটনা গুলো চক্ষু লজ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।

    লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত