Category: বিনোদন

বিনোদন

  • কোন জিনিস ঢুকানোর সময় শক্ত থাকে, বের করে দিলে নরম হয়ে যায়

    কোন জিনিস ঢুকানোর সময় শক্ত থাকে, বের করে দিলে নরম হয়ে যায়

    অনেকেই ইন্টারভিউ শব্দটি শুনলেই খুব নার্ভাস হয়ে যান। ছোট রুমের মধ্যে একের পর এক প্রশ্নবান কার্যত মাথা খারাপ করে দেবে। ইন্টারভিউতে যে ধরণের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে আপনারা অবগত আছেন।

    কারণ পুঁথিগত নয় বরং সেই সময় দরকার বিশেষ বুদ্ধির। কেমন প্রশ্ন হবে তা আপনারা নিশ্চয়ই জানতে আগ্রহী থাকেন? সেই কারণেই ইন্টারভিউতে জিজ্ঞেস করা সবথেকে বেশি ১০টি প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা এই প্রতিবেদনে।

    বিছানায় রোমান্স

    ১) সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম কি?
    উত্তর : সিধু ও কানু।

    ২) বলতে পারবেন এমন কোন জিনিস যা মুখের ভিতরে যাওয়ার আগে শক্ত থাকে কিন্তু তারপরে নরম হয়ে যায়?
    উত্তর : চুইংগাম

    ৩) আকাশে ওড়ার রকেটে কি ধরণের জ্বালানি ব্যবহার করা হয়?
    উত্তর : তরল হাইড্রোজেন।

    ৫) কেরালা রাজ্যের একটি বিখ্যাত উৎসবের নাম কি?
    উত্তর : ওনাম

    ৬) রক্ত দান করলে আপনার শরীরে কত সময়ের মধ্যে তা পূরণ হবে?
    উত্তর : ২৪-৪৮ ঘন্টা।

    ৭) ১ সেকেন্ডে বিশ্বে কত শিশু জন্ম নেয়?
    উত্তর : ৪ জন

    ৮) মাইকেল জ্যাকসন মোট কয়টি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন?
    উত্তর : ৪২ টি। তিনি বিশ্বের সবথেকে বেশি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিল্পী।

    ৯) ইংরেজি বর্ণমালায় সবথেকে কম ব্যবহৃত ও বেশি ব্যবহৃত অক্ষর কোনটি জানেন?
    উত্তর : কম ‘Q’ এবং বেশি ‘E’

    ১০) প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কত সালে ‘বেঙ্গল কেমিক্যাল’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
    উত্তর : ১৯০১ সালে বেঙ্গল কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠা করেন।

  • আবাসিক হোটেলে উঠে ভুলেও যেসব কাজ করবেন না

    আবাসিক হোটেলে উঠে ভুলেও যেসব কাজ করবেন না

    কাজের জন্য তথবা কোথাও ঘুরতে গেলে রাত যাপনের জন্য আবাসিক হোটেল ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এসব হোটেলগু’লো কমদামি বা বেশি দামি হয়ে থাকে। তবে সব হোটেলেই কিছু নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে।

    দেখা যায় সেই নিয়মগু’লো ঠিকভাবে না বোঝার কারণে এমন কিছু ভুল করে বসেন, যার মাশুল গু’নতে হয় বিশাল পরিমাণের। হোটেলে অবস্থানের ক্ষেত্রে এই ভুলগু’লো যেন কখনোই না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোন ভুলগু’লো সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি-

    চট করে দরজা খুলবেন না : দরজায় কড়া নাড়া হলো আর কিছু না বুঝেই বললেন, ‘কাম ইন। এই বিশাল ভুলটি কখনোই করতে যাব’েন না। হোটেল কিন্তু দিন শেষে কখনোই তেমন নিরাপদ জায়গা নয়। সুতরাং পরিচয় জেনে তার পরে দরজা খুলুন। মনে রাখবেন, অচেনা জায়গায় অচেনা কেউ তো আপনার স’ঙ্গে দেখা করার কথা নয়। কাজেই সাবধান। আর সব সময় দরজা লাগিয়ে রাখতে ভুলবেন না।

    হোটেলের মিনিবারের পানীয় নয় : কোমল কিংবা কঠিন, যেমন পানীয়ই খান না কেন, সেটি হোটেলের মিনিবার থেকে খেতে যাব’েন না। কারণ, সাধারণত হোটেলের মিনিবারগু’লোতে পাঁচ টাকার খাবারের দাম অন্তত ৫০ টাকা রাখা হয়! শেষে দেখবেন, আপনার রুম ভাড়ার চেয়ে মিনিবারের বিলই গু’নতে হচ্ছে দ্বিগু’ণ-তিন গু’ণ!

    ছারপোকায় সাবধান : যত বিলাসবহুল কক্ষই হোক আর সুসসজ্জিত বিছানা হোক, ছারপোকা ঠিকই জানে কীভাবে নিজের জায়গা করে নিতে হয়। কাজেই এ ব্যাপারে ভালোমতো তল্লাশি চালান, ছারপোকার সামান্য আনাগোনা দেখলেই সবকিছু ঠিকঠাক করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। কারণ, এই ছারপোকা কেবল আপনাকে কামড়াবে তা-ই শুধু নয়, আপনার স’ঙ্গে সওয়ার হয়ে আপনার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে অবলীলায়।

    কলের পানি খাবেন না : এক ব্রিটিশ দম্পতি লস অ্যাঞ্জেলেসে বেড়াতে এসে ট্যাপ বা কল থেকে পানি পান করেন। সেই পানিতে কেমন যেন বিচিত্র স্বাদ, এমন স্বাদের পানি নাকি তারা কখনোই খাননি। পরে অনুসন্ধানে জানা গেল, হোটেলের জলাধারে একটি মৃতদেহ! কার ভাগ্যে কী থাকে, তা তো আর বলা যায় না। সুতরাং ভুলেও কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য হোটেলরুমের কলের পানি খাবেন না। ভরসা রাখুন দোকান থেকে কেনা মিনারেল ওয়াটারের বোতলে।

    রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করবেন না : হোটেলটি সুলভ বা বিলাসবহুল যেমনই হোক না কেন, এতে জীবাণুর উপস্থিতির সম্ভাবনা বেশি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব জীবাণুর একটি বড় অংশ থেকে যায় টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোলে। ঘরদোর যতই ঝেড়ে পরিপাটি করা হোক, রিমোট কিন্তু সেভাবে পরিষ্কার করা হয় না। কাজেই এতে জীবাণু বহাল তবিয়তে রয়ে যায়। সুতরাং সাবধান!

    মূল্যবান জিনিস রুমে রাখবেন না : মূল্যবান জিনিসপত্র অনেকেই হোটেলরুমের গোপনীয় কোনো একটি জায়গায় রেখে দেন। এটি চরম ভুল। হোটেলরুম থেকে চুরি করতে যারা ওস্তাদ, তারা কিন্তু ওই সব ‘গোপন জায়গার হদিস আপনার চেয়ে ভালো জানে! সুতরাং একটু পয়সা খরচ করে কর্তৃপক্ষের লকারে নিজের মূল্যবান জিনিস রেখে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

    ‘ডু নট ডিস্টার্ব সাইন : দরজা লাগিয়ে দিলেই কিন্তু হলো না। যতক্ষণ না ‘ডু নট ডিস্টার্ব সাইন বাইরে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন, ততক্ষণ যে কেউ এসে উটকোভাবে আপনার ব্যক্তিগত সময়ে বাদ সাধতে পারে। আবার ঘর পরিষ্কারের চিন্তা থাকলে সেটি সরিয়ে ফেলুন। কারণ, ওই সাইন ঝোলানো থাকলে হোটেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও আপনার ঘরের আশপাশে ঘেঁষবে না।

    রুম নম্বর বলবেন না : যেখানে সেখানে বা চেক-ইনের সময় আপনার হোটেলের রুম নম্বরটি নিজে উচ্চারণ করবেন না। দুষ্কৃতকারীরা এসব তথ্যের জন্যই মুখিয়ে থাকে। এ বিষয়টি যতটা পারেন গোপন রাখুন, নতুন পরিচিত কাউকেই রুম নম্বর জানাতে যাব’েন না।

  • সহবাসের আগে মাত্র ১ টুকরা সেবন করুন, চলবে ২ ঘন্টা

    সহবাসের আগে মাত্র ১ টুকরা সেবন করুন, চলবে ২ ঘন্টা

    পুরষ- নারীর যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যে যে খাবার খাওয়া উচিত, শরীরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজন সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্য। ওজন কমানো সম্প্রতিককালে নিউ ট্রেন্ডের অন্তর্গত।

    যা করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় খাবারকে দূরে ঠেলে দেয় মানুষ। এতে ওজন হয়ত কমে কিন্তু সুখী দাম্পত্য জীবনে কলহ ডেকে আনে। বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে, প্রথমেই যেটা প্রয়োজন তা হল মানসিক শান্তি ও মনে মিল।

    দ্বিতীয় শারীরিক যৌন চাহিদা যথাযথ পূর্ণ করা। অনেকেই বিয়ের বেশ কিছু বছর পর দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথ ঘামাতে চায় না। ফলে যৌন অক্ষমতা দিন দিন বাড়়তে থাকে।

    কিন্তু এর ফলে সাংসারিক জীবনে ঢুকে পরে অশান্তির কালো ছায়া। তাই আপনি যদি ডায়েট চার্ট সঠিক রাখতে পারেন তাহলে এই ধরের সমস্যা থেকে দূরে সরে থাকতে পারবেন। মনে রাখবেন এরজন্য

    পুষ্টিকর খাবার দাওয়ারই যথেষ্ট। আপেল- প্রতি দিন পুরুষদের একটি করে আপেল খাওয়া উচিত। এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জননাঙ্গে রক্ত সরবরাহ বাড়ায়। যা আপেলের মধ্যে থেকে পাওয়া যায়।

    দুধ- যেসব খাবারে বেশু পরিমাণ প্রাণিজ- ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনা যৌন’জীবনের উন্নতি ঘটাবে। কলা- কলা পুষ্টি বাড়ায় শুধু তাই নয়, যৌন ইচ্ছা তীব্র করে।

    এতের প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পটাশিয়াম। যা যৌন মিলনে শক্তি যোগায়। রসুন- নারী পুরুষ উভয়েরই রসুন খাওয়া প্রয়োজনীয়। রসুন যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজন স্বীকৃত।

    মধু- নারী পুরুষ উভয়কেই যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩য় ৪ দিন ১ গ্রাস গরম জলে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া উচিত। কফি- কফি যৌন ইচ্ছার মুডকে তরাণ্বিত করে। বিট- জননাঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে প্রতিদন বিট খাওয়া উচিত।

    স্যালাডের সঙ্গে নিয়ম করে বিট খেলে, প্রচুর নাইট্রট শরীরে প্রবেশ করবে। বাদাম- বাদামে জিঙ্কক থাকায় শুক্রাণুর পরিমাণ তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি করে

    শুধু ১ টি মাত্র ঔষধ খান টানা ১ ঘণ্টা স’হবাস করুন বী’র্যপাত ব’ন্ধ রেখঃ পুরু’ষ যদি না’রীকে বি’ছানায় তৃ’প্তি দিতে না পারে তাহলে তার পুরু’ষত্বও বৃথা।

    বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ দাম্পত্য ক’লহের অন্যতম কারন না’রীর চা’হিদা সঠিকভাবে পূরন না হওয়া। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ পুরু’ষই এই স’মস্যায় ভুগছে।

    নানা ধ’রনের কারনে বর্তমান পুরু’ষরা তার স্বা’ভাবিক যৌ’ন ক্ষ’মতা হারাচ্ছে। ধূমপান, ম’দ্যপান, অতিরি’ক্ত হস্থমৌথুন ইত্যাদি এসবের প্রধান কারন। যাইহোক আর চিন্তার কোন কারন নেই।

    মাত্র একটি ও’ষুধ সেবনেই আপনি টানা এক ঘন্টা স’হবাস ক’রতে পারবেন কোন ধ’রনের পতন ছাড়া। কি ও’ষুধ আর কীভাবে খাবেন বি’স্তারিত দেখু’ন ভিডিওতে।

    ভিডিওটি ইউটিউব এ দেয়া আছে। ভিডিওটি দে’খতে স্ক্রল করে পোষ্টের নিচে চলে যান।

    আরো পড়ুনঃ জে’নে নিন মৃ’ত্যুর পর শেষ গোসল কেন বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করান হয়! থিবীতে সবকিছুর যেমন শুরু আছে, তেমনি তার শেষও আছে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ যখন অনেককিছু পেয়ে বসে তখন শেষ নামক শব্দটাকে ভু’লে যায়।

    আর তখনি মানুষে-মানুষে হা’নাহানি আর কোন্দলের সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি শব্দটার সাথে শুরু শব্দটার যেমন মিল আছে, তেমনি শেষ শব্দটার সাথেও মৃ’ত্যু শব্দটার অনেক মিল।

    এই মৃ’ত্যুর পরও রীতির অভাব নেই। ক’বরে নিয়ে দা’ফন সম্পন্ন করার আগে শেষ গোসলের রীতি অবশ্যই পা’লন ক’রতে হয়। তবে এর মাঝেও পা’লন করার মত অনেক কিছু রয়েছে।

    মৃ’তের গোসলের পানিতে বড়ই বা কুলপাতা দেয়া শরীয়ত সম্মত। অনেকে অবশ্য

    এটাকে ওয়াজিব বলে থাকে তবে এটা ওয়াজিব নয়। আলেমগণ হাদিসের নির্দে’শকে মুস্তাহাব বলেছেন। কারণ কুলপাতা পরি’ষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য খুব কা’র্যকরী।

    কুলপাতা না পাওয়া গেলে সাবান বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করাই যথেষ্ট। ইসমাঈল ইবনে আবদুল্লাহ (রহ) উম্মে আতিয়্যা আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কন্যা যায়নাব রা.-এর ইন্তিকাল হলে তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন : তোম’রা তাকে তিন, পাঁচ প্রয়োজন মনে করলে তার চাইতে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও।

    শেষবার কর্পূর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পূর ব্যবহার করবে। তোম’রা শেষ করে আমাকে জা’নাও। আম’রা শেষ করার পর তাকে জা’নালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানা আমাদের দিয়ে বললেন: এটি তাঁর গায়ের সাথে জড়িয়ে দাও।

  • নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    সিনেমার শীর্ষ নায়িকা হবেন বলে ছোটবেলায় চট্টগ্রামের আনোয়ার এলাকার বাড়ি ছেড়েছিলেন সুলতানা রোজ নিপা। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, নায়িকা হয়েই ঘরে ফিরবেন। গত ১৫ বছর ধরে নায়িকা হওয়ার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

    ‘টাকা বড় না শিক্ষা বড়’, ‘বাবার প্রতিশোধ’, ‘আমাদের বাউল’, ‘টাইটানিক’সহ বেশ কটি ছবিতে অভিনয় করলেও সেইসব আলোর মুখ দেখেনি। হতাশা কাটাতে নিপা তার পৈতৃক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করেন। এদিক সেদিক থেকে ম্যানেজ করে ৮৬ লাখ টাকা খরচ করে নিজেই প্রযোজক হয়ে ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

    আসছে ঈদে নিপার নায়িকা হওয়ার সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তিনি জানালেন, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে নায়িকা হয়েছেন। তার অভিনীত সেই সিনেমার নাম ‘বড্ড ভালোবাসি’, পরিচালনা করেছেন জুয়েল ফারসি।

    তিনি জানান, নায়িকা হওয়ার জেদ করেছিলেন। সেই জেদ পূরণ করছেন। ১৫ বছর পর ঈদে বাড়ি ফিরতে যাচ্ছেন সুলতানা রোজ নিপা। সোমবার দুপুরে নিপার সঙ্গে যখন মুঠোফোনে আলাপ হচ্ছিল তার কথাগুলো শুনে কোনো সিনেমার গল্প মনে হচ্ছিল! আলাপকালে তিনি অনেক কথাই না লিখতে অনুরোধ করেন।

    চ্যানেল আই অনলাইনকে সুলতানা রোজ নিপা বলেন, নায়িকা হওয়ার জন্য কত শ্রম দিয়েছি সেগুলো ‘অন রেকর্ড’ বলা সম্ভব না। কোনো কিছুতেই লাভ হয়নি। পরে নিজেই প্রযোজনা করে ‘বড্ড ভালোবাসি’ নির্মাণ করেছি। ছবির মালিকানা পুরোটা আমার।

    এই নবাগতা জানান, আগামীতে তার প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে আছে। সে কারণে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন। আরও জানান, তার ‘বড্ড ভালোবাসি’র বেশীরভাগ শিল্পী কলকাতার। নিপার ইচ্ছে ছিল, আগে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি দেবেন।

    বললেন, আমার আব্বু মা.রা যাওয়ার পর আর কলকাতায় মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে করোনা চলে আসে। এবার ঈদে মুক্তি দিচ্ছি। গলুই, বিদ্রোহী এসবের আগেই আমার এই ছবি মুক্তি দেব সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু মুক্তি দিতে গিয়েও ‘ফিল্ম পলিটিক্সি’-এ পড়ি।

    ঈদের দিন সাতেক বাকি থাকলেও নিপা জানেন না তার প্রযোজিত ‘বড্ড ভালোবাসি’ কত সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। বললেন, মানুষগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাই না, তবে এরা কাকরাইলের গ্রুপ। আমাকে প্রলোভনে ফেলে পলিটিক্স করছে। তারা সিনেমারই মানুষ। শুরুতে বলছিল আমার ছবির সুন্দর পরিবেশনা করবে।

    কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে যাতে মুক্তি না দেই সেই চেষ্টা করছে। তারা বলছে, ঈদের পর ডিসট্রিবিউট করে কোটি টাকা তুলে দেবে! আমাকে অন্য ছবিতে কাজের সুযোগ দেবে। আমি তাদের প্রলোভনে পড়তে চাই না আমি ছবি মুক্তি দেবই! ঈদে ছবি মুক্তি দেয়ার জন্য গত তিন বছর এই ছবি নিয়ে অপেক্ষা করছি। দুই-চারটি সিনেমা হল পেলেও আমি মুক্তি দেব।

    ‘বড্ড ভালোবাসি’রর প্রসঙ্গ টেনে এই নবাগতা বলেন, ৯০ দশকের ধাঁচে ছবি বানানো হয়েছে। কারণ ওই সময়ের ছবিগুলো মানুষ বেশি দেখতো। আমিও তখনকার ছবি দেখে নায়িকা হতে আগ্রহী হই। ৯০ দশকে যেসব দর্শক ছবি দেখতে পছন্দ করতেন আমার বিশ্বাস তারা হলে গিয়ে আমার এই ছবিটা দেখবে।

    আমি এখানে ডাবল ক্যারেক্টার করেছি। রিস্ক নিয়ে কাজ করেছি। শারীরিক মানসিক আর্থিক সবদিক থেকে ‘বড্ড ভালোবাসি’ বানাতে গিয়ে কষ্ট করেছি। তাই আমার কাছে এই ছবিটা সবচেয়ে দামি। এর জন্য আমি ৮৬ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখনও পর্যন্ত একটি টাকা তুলতে পারিনি বা কোনো স্পন্সর পাইনি। সুলতানা রোজ নিপা বলেন, কয়েকটি হলে কথা বলা ছিল তাও মৌখিক। হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে জানতে পারব হল ক’টি পাচ্ছি।

    নিপার কাছে প্রশ্ন ছিল ছবির জন্য লগ্নী করা এই ৮৬ লাখ টাকা কোথায় পেলেন? উত্তরে নিপার স্বরল স্বীকারোক্তি, ‘আমার বিউটি পার্লারের ব্যবসা আছে, গার্মেন্টস এর টুকটাক ব্যবসা করি। পারিবারিক কিছু জমি ছিল সেখান থেকে বিক্রি করে ছবি বানিয়েছি। এই ছবিটি বানাতে গিয়ে আমাকে অনেকেই ঠকিয়েছে।

    বাধ্য হয়ে তাদের নামও বলতে পারছি না। যারা আমাকে ঠকিয়েছে তাদের বিচার উপরওয়ালার কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আর নিজের টাকা দিয়ে ছবি বানাবো না। এতদিন রীতিমত যুদ্ধ করেও মনের শান্তি মত কাজ করতে পারিনি। তবে যদি আমাকে কেউ ভালো কাজে নেয় তাহলে করবো।’