যৌ*তা ছন্দের খেলা। এ কথা সবাই জানেন যে, ভালোবাসার উদযাপনে ঠিকভাবে আদর করতে পারাও একটা কলা। সে কলায় সবাই পারদর্শী হন না। কিন্তু তার সঙ্গে উচ্চতার কোনো সম্পর্ক আছে কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থাকতেও পারে আবার না-ও থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা নরম ভাবে আদর করতে পছন্দ করেন, তাদের ক্ষেত্রে উচ্চতার পার্থক্য একটু অসুবিধাজনক। কারণ এই ধরণের মিলনের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক মানসিক যোগাযোগও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই মিলনের সময় ইন্দ্রিয়ের যোগাযোগ জরুরি। উচ্চতার তারতম্য বেশি হলে সেটা অসুবিধাজনক হয়।
অন্যদিকে যারা রোমাঞ্চকর মিলন বেশি পছন্দ করেন, তাদের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হতে পারে উচ্চতার পার্থক্য। এক্ষেত্রে যারা মিলনের সময় নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে চান, সঙ্গীর উচ্চতা কম হলে তাদের সুবিধা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিশেষ ভঙ্গিমায় আদর করার জন্যেও উচ্চতার তারতম্য বেশ উপযোগী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সব মিলিয়ে উচ্চতার তারতম্য মিলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা মানুষ ভেদে ভিন্ন। তাই সবার ক্ষেত্রেই যে বিষয়টি একই রকম হবে, এমন নয়।
সারারাত ঘুম হয়নি।নতুন বিয়ে হয়েছে। বিয়েটা পরিবার থেকেই হয়েছে।দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে আর সেদিন থেকেই ঘুমাতে পারিনা। অথচ এই বিয়ে নিয়ে কত্ত স্বপ্ন দেখতাম!! ছিমছাম, সুঠাম দেহের হ্যান্ডসাম রাজপুত্রের মতো দেখতে একটা ছেলের সাথে আমার বিয়ে হবে। কত রোমান্টিক কথা বলবে, একসাথে কত্ত মধুর স্মৃতি, কত্ত জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাবে!! তার সাথে রাত জাগারও প্ল্যান ছিল।
কিন্তু সেই রাত জাগা আর এখনকার রাত জাগার মধ্যে অনেক তফাৎ। ইচ্ছে ছিল আমরা একসাথে রাতের বেলা বেলকনিতে বসে কফি খাবো আর জোৎস্না দেখবো, কোন কোন দিন রাতে ছাদে শুয়ে শুয়ে চাঁদের আলো গায়ে মাখবো, হয়তোবা কখনো কখনো তারা গুনবো। একটা সিনেমা সিনেমা ফিলিংস থাকবে।কিন্তু কি পেলাম আমি?? পেলাম তো এক ভুড়িওয়ালা কালো চামড়ার বিরক্তিকর লোককে,
যে সারারাত নাক ডেকে ডেকে ঘুমোয়।ঘুমের ঘোরে সে অনবরত হাত পা ছুঁড়তে থাকে। আমাকে সে মাঝে মাঝে এমন ভাবে কোলবালিস বানিয়ে ঘুমোয় যে আমার নিঃশ্বাস আটকে যেতে চায়।।। আর আমাকে জেগে থাকতে হয়। প্রথম প্রথম খুব মেজাজ খারাপ হতো, রাগ লাগতো নিজের ভাগ্যের উপর।কিন্তু এখন আরএকটুও খারাপ লাগেনা। দিন যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে এই বিষয়টা আমি ইনজয় করছি। দিনকে দিন আমার ধারণা, ভালো লাগা- খারাপ লাগার ধরণ চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। আমার বরের নাম সোহানুর রহমান। আমি এখনও সামনাসামনি নাম ধরে ডেকে উঠতে পারিনি। ২০-২১ বছরের একটা মেয়ের পক্ষে ৩২-৩৩বছরের একটা ভুড়িওয়ালা লোকের নাম ধরে ডাকা কি সম্ভব?? আমি সোহানকে এখনো আপনি করেই ডাকি।। তুমি বলতে অস্বস্তি লাগে। সোহান একটা প্রাইভেট জব করে।
সোহানকে স্পেশালি আমার বাবার খুব পছন্দ। বাবার পছন্দের কারণেই আমার বিয়েটা করা। বয়সের এত্ত গ্যাপ থাকার কারণে এবং প্রথম অবস্থায় সোহানকে পছন্দ না হওয়াতে আমি অনেক আপত্তি করেছিলাম বিয়েতে। কিন্তু ওই যে কপালের লিখন না যায় খন্ডন।বিয়েটা হয়েইগেলো।
সোহান অফিস যাওয়ার পর শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। এমন সময়ে দরজায় কলিং বেল বাজলো ২ বার। চোখ খুলে দেখলাম ১১.২৫ বাজে।এই সময় আবার কে আসবে ভাবতে ভাবতে গেট খুলে দেখি সোহান। একি আপনি?? এই সময়? কিছু হয়েছে কি?? আপনি তো এই সময় আসেননা।দাঁড়াও দাঁড়াও এত প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দেবো কি করে?? এক গ্লাস পানি দাও আগে।। আর হ্যাঁ শোন পানিতে বরফ দিও একটু। আমি পানি নিতে এগুতে এগুতে বললাম দরজাটা লাগিয়ে দিন।। তারপর একগ্লাস নরমাল পানি দিলাম তাকে।একি পানিতে বরফ দাওনি? পানিটা তো গরম হয়ে আছে।। ওইটা খেয়ে তৃপ্তি হবেনা।না হলে না হবে। ভুলে গেলেন কয়েকদিন আগে ঠান্ডা পানি খেয়ে কি অবস্থা হয়েছিল?? আজব যেটা খেলে সমস্যা হয় সেটা খান কেন?? ওরে বাবা! ঠিকআছে ঠান্ডা পানি আর খাবোনা যাও। কিন্তু আমার বৌ-টা রাগ করলে তো আরো সুন্দর লাগে?? দেখি একটু কাছে আসো তো!আহ্ কি করছেন কি বলুন তো? ভীমরতি ধরেছে নাকি??
যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। আমি চা বানাচ্ছি।।ঠিক আছে! যাচ্ছি। ইয়ে মানে বলছিলাম কি চায়ে একটু চিনি বেশী দিও কেমন??এই লোকটাকে প্রথম প্রথম খুব বেশি বিরক্ত লাগতো, যদিও মুখে প্রকাশ করিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে মনে হয় একটু একটু ভালো ও লাগছে। নাহ একটু না, অনেক বেশী ভালো লাগছে। প্রথম প্রথম যেগুলা অসহ্য লাগতো এখন সেগুলাই ভালো লাগছে। আচ্ছা আমি কি ওনার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি নাকি??এই যে নিন আপনার চা।।আদা চা করেছি আর হ্যাঁ, চিনি ছাড়া। এটাই খেয়ে নিন। আপনার এখন থেকে কিছু কিছু জিনিস কন্ট্রোল করতে হবে। এ নিয়ে আর কোন কথা বলা যাবেনা। ইয়ে এক চামুচ তো দিতে পারো তাইনা?এক চিমটি ও না। ওটাই খেয়ে নিন। এখন বলুন তো এত্ত আগে কেন আসলেন আজকে?? কিছু হয়েছে??আজ একটা কাহিনী ঘটেছে। আমার এক কলিগের বড় বোনের জন্য রক্তের দরকার ছিল। কোথাও পাচ্ছিলনা,আর আমার সাথে মিলে গেলো তাই আমি ডোনেট করলাম।
এই জন্য আজ বস ছুটি দিয়ে দিল।মানে কি? আপনি ব্লা;ড ডোনেট করে এসেছেন? আর আমি কিছুই জানিনা? আমাকে বলার প্রয়োজন মনে করেননি??না, তা না। আসলে ভাবলাম তুমি যদি টেনশন করো! বয়েই গেছে আমার টেনশন করতে। আচ্ছা স্যালাইন খেয়েছেন? আর ডাব খেয়েছেন কি? বাসায় তো কোনটাই নেই। আচ্ছা এতো অস্থির হচ্ছো কেন?? স্যালাইন খাইনি তবে জুস দিয়েছিল জুস খেয়েছি। আর আসার সময় একটা ডাব খেয়েছি।। ধুর! জুস খেয়ে কি হবে? সব কেমিক্যাল।ডাব টা কাজে লাগবে। দাড়ান এককাজ করি! পানি, চিনি আর লবণ দিয়ে স্যালাইন বানিয়ে আনি। আর একটা ডিম সেদ্ধ আনি।এই শোন শোন, এখন দরকার নেই। আসো, আমার পাশে একটু বসো, গল্প করি।।বসতে পারবোনা। আপনি ওয়েট করুন, আমি আসছি এখনি। ডিম সেদ্ধ, আর স্যালাইন বানিয়ে এনে দেখি “ও” ঘুমিয়ে পড়েছে। ওকে জাগাতে ইচ্ছা করছেনা।
কেন জানিনা ওর ঘুমানো দেখতে ভালো লাগছে। মানুষটার উপর কেন জানিনা মায়া পড়ে গেছে। কালো একটা মানুষ যে এত্ত সুন্দর হতে পারে আগে বুঝিনি।কালো অনেক মানুষ আছে যারা অনেক সুন্দর হয়। কিন্তু তারা কেউ আমার বরের মতো সুন্দর না। কি আজব যেই মানুষটাকেই কয়েকদিন আগে কুৎসিত মনে হতো তাকেই আজ সবচেয়ে সুন্দর পুরুষ মনে হয়। তাকে কেউ খারাপ বললে সহ্য করতে পারিনা। আচ্ছা এটাই কি প্রেম?প্রেমে পড়েছি আমি?? কেন জানিনা ইচ্ছা করছে ওর কোলবালিশ হয়ে যাই।ও ঘুমোবে আর আমি দেখবো।।কখন যেন ঘুমিয়ে গেছিলাম নিজেও জানিনা। উঠে দেখি ২.৩৮ বাজে। কয়েক সেকেন্ড মনে হলো সব ভূলে গেছি। তারপর মনে হলো সোহান তো বাড়িতে আছে। একি! দুপুরেতো রান্নাই করিনি আজকে। ও খাবে কি?? আমি কখন কি করবো?
যৌনমিলন। নারী-পুরুষের এই জৈবিক চাহিদা চিরন্তন। এ নিয়ে নানা গবেষণা হচ্ছে এবং অভিষ্যতেও হবে।
তবে নারী-পুরুষের এই যৌন মিলন নিয়ে নানা বাগাড়ম্বরও রয়েছে সমাজে, রয়েছে নানা কুসংস্কারও। মিলনে পারদর্শীতা নিয়ে অনেক পুরুষের মধ্যে একটা দাম্ভিকতাও কাজ করলেও অনেকের মধ্যে এ নিয়ে নানা দ্বিধাদ্বন্ধ কাজ করে।
তবে নারী-পুরুষের যৌনমিলনের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, মিলনের স্থায়িত্বটা নিজের (পুরুষের) ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে না। এটি মূলত নির্ভর করে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতার উপর।
গবেষণায় দেখা গেছে, খবরটি বিস্ময়কর হলেও সত্য য়ে যৌনমিলনের সময় ৪৫ শতাংশ পুরুষই স্ত্রীকে পুরোপুরি যৌনসুখ দিতে পারছে না। এই শ্রেণির পুরুষরা যৌন মিলনে দুই মিনিটের বেশি স্থায়ী হতে পারে না। এর ফলে অনেক দাম্পত্য জীবনে অশান্তি নেমে আসে। সুখের সন্ধানে নারীরা অনেক সময় পরপুরুষের দিকে আসক্ত হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি বিখ্যাত লেখক হ্যারি রিস্ক “দ্য নিউ ন্যাকেড; দ্য আল্টিমেট সেক্স এজুকেশন ফর গ্রোন-আপস” শিরোনামে একটি বই বের করেছেন। তিনি তাঁর বইয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেছেন, নারী-পুরুষ গড়ে ৭.৩ মিনিট সময় ধরে সেক্স করেন এবং এটাই স্বাভাবিক। তবে এর সময়সীমা ৪ মিনিটের কম হলে সেটি কোনোভাবেই আদর্শিক সময় বলা চলে না।
শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা। খুব অল্প সময়েই দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি প্রয়াত অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি। সম্প্রতি এই খুদে শিল্পী ভীষণভাবে ট্রলের শিকার হয়েছেন। এবার আইনগত পদক্ষেপের পাশাপাশি বিনোদন অঙ্গন থেকে লুবাবাকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার।
লুবাবা গান, মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়েও মনোনিবেশ করেছিলেন। এমনকী সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে একাধিক সিনেমার কাজ। এর মধ্যে তার পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লুবাবাকে আর মিডিয়ায় কাজ করতে দেবেন না।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তেব্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের ট্রলের শিকার হচ্ছেন লুবাবা। আর সেই বিসয়টি নিয়েই এবার সরব হলেন তার মা জাহিদা ইসলাম।
এ বিষয়ে লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম জেমি সময় সংবাদকে বলেন, ‘লুবাবা বাচ্চা একটা মেয়ে। ওর নামে ফেক আইডি খোলা হচ্ছে, লুবাবা টিকটক ব্যবহার করে না। অথচ ওর নামে আইডি খুলে টিকটক করছে অনেকে। আর এসব ফেক আইডি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রচারিত বক্তব্য কেটে কেটে ভাইরাল করা হয়। ট্রল করা হয়। লুবাবা এখন আর মিডিয়ার সামনে আসতে চায় না। বাসায় কান্নাকাটি করে। ওর দাদিও কান্নাকাটি করে। এগুলো কি ঠিক? আমি অসুস্থ। হাসপাতালে। আমার ডেঙ্গু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেই আমি ডিবিতে এসব কিছুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো। আইনি ব্যবস্থা নেব। কেউ ছাড় পাবে না।’
মূলত কয়েক দিন আগে সংবাদকর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে লুবাবা বলেন ‘কেন্দে দিয়েছি’। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ওই ভিডিও। তারপর থেকেই ট্রল করা হচ্ছে তাকে নিয়ে। যা এখনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান রয়েছে।