Category: বিনোদন

বিনোদন

  • আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি’ — সম্পর্ক নিয়ে জয়া আহসান

    আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি’ — সম্পর্ক নিয়ে জয়া আহসান

    দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সম্প্রতি জুলাই ও আগস্টে কলকাতায় মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমা। এবার সেই সিনেমার প্রচারণা উপলক্ষে কলকাতাভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল ইনডালজ এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিনেমা ছাড়াও ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বললেন তিনি। সাক্ষাৎকারেই প্রথমবারের মতো সম্পর্কে থাকার কথা জানিয়েছেন জয়া আহসান।

    সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়―জীবনে বিশেষ কেউ আছেন কিনা। জবাবে জয়া আহসান বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। মানুষ তো একা থাকতে পারে না। অবশ্যই আছে। তবে সেই মানুষটির নাম জানাননি তিনি।

    জয়া আহসান জানান, তার সেই বিশেষ মানুষটি শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির কেউ নয়। সিনেমা সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন না, এটি তার সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল না। হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    এ তারকা বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি, বহু বছর… । যেকোনো সম্পর্কে ভালো সঙ্গী হওয়ার আগে ভালো বন্ধু যেন হতে পারি, বন্ধু হয়ে যেন থাকতে পারি, সেটি একটি বড় বিষয়; তা আমরা অবশ্যই। আমার অনেক অত্যাচার সহ্য করে সে। আমি একজন অভিনয়শিল্পী। এই যে আমি এত এত ভ্রমণ করি, এখানে (কলকাতা) এসে পড়ে আছি, কাজ করছি; এ সব কিছুই মনে করে না সে। কাজ করতে দিচ্ছে আমায়। এসব একটা বিষয়। কেননা, সবার তো একসঙ্গে থাকার দরকার আছে। আমাদের সেই সুযোগ হয়ে উঠছে না। আমি খুবই প্রাইভেট পারসন, তেমনই তিনিও একই ধরনের। আমরা নিজেদের মতো করে থাকার জন্য চেষ্টা করি।

    সঙ্গীর কোন বিষয়টি পছন্দ, এ প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, অনেক শান্ত সে। এরপরই তাকে সঞ্চালক বলেন, আপনিও তো অনেক শান্ত। তখন জবাবে জয়া আহসান বলেন, হ্যাঁ, এ কারণেই হয়তো তাকে পছন্দ করেছি আমি।

    এছাড়া সাক্ষাৎকারে জয়া আহসানের কাছে সেই বিশেষ মানুষকে বিয়ে করার ব্যাপারেও প্রশ্ন করেন সঞ্চালক। এতে অভিনেত্রী বলেন, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না। সেটা (বিয়ে) করার জন্য যে খুব তাড়াতাড়ি ইচ্ছা হবে বা আদৌ হবে কিনা, তা জানি না আমি। কিন্তু হ্যাঁ, বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার এই ধারণাকে শ্রদ্ধা করি। তবে আমি সিদ্ধান্ত নেইনি (বিয়ে নিয়ে)।

    এরপরই অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, তবে কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত নন আপনি? জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রস্তুত হওয়ার বিষয় নয়। আমার একটা ভীতি রয়েছে, একটা ভয় কাজ করে। আর অতীত সম্পর্কের তিক্ততার কথাও বলেন জয়া আহসান। বলেন, হ্যাঁ, হতেই পারে। সেটাই মনে হয় আমার।

  • আর দেখা যাবে না খুদে শিল্পী লুবাবাকে

    আর দেখা যাবে না খুদে শিল্পী লুবাবাকে

    শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা। খুব অল্প সময়েই দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি প্রয়াত অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি। সম্প্রতি এই খুদে শিল্পী ভীষণভাবে ট্রলের শিকার হয়েছেন। এবার আইনগত পদক্ষেপের পাশাপাশি বিনোদন অঙ্গন থেকে লুবাবাকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার।

    লুবাবা গান, মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়েও মনোনিবেশ করেছিলেন। এমনকী সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে একাধিক সিনেমার কাজ। এর মধ্যে তার পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লুবাবাকে আর মিডিয়ায় কাজ করতে দেবেন না।

    বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তেব্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের ট্রলের শিকার হচ্ছেন লুবাবা। আর সেই বিসয়টি নিয়েই এবার সরব হলেন তার মা জাহিদা ইসলাম।

    এ বিষয়ে লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম জেমি সময় সংবাদকে বলেন, ‘লুবাবা বাচ্চা একটা মেয়ে। ওর নামে ফেক আইডি খোলা হচ্ছে, লুবাবা টিকটক ব্যবহার করে না। অথচ ওর নামে আইডি খুলে টিকটক করছে অনেকে। আর এসব ফেক আইডি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করা হচ্ছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রচারিত বক্তব্য কেটে কেটে ভাইরাল করা হয়। ট্রল করা হয়। লুবাবা এখন আর মিডিয়ার সামনে আসতে চায় না। বাসায় কান্নাকাটি করে। ওর দাদিও কান্নাকাটি করে। এগুলো কি ঠিক? আমি অসুস্থ। হাসপাতালে। আমার ডেঙ্গু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেই আমি ডিবিতে এসব কিছুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো। আইনি ব্যবস্থা নেব। কেউ ছাড় পাবে না।’

    মূলত কয়েক দিন আগে সংবাদকর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে লুবাবা বলেন ‘কেন্দে দিয়েছি’। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ওই ভিডিও। তারপর থেকেই ট্রল করা হচ্ছে তাকে নিয়ে। যা এখনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান রয়েছে।

  • বিয়ের পর মেয়েদের কোমর চওড়া হয়ে যায় কেন

    বিয়ের পর মেয়েদের কোমর চওড়া হয়ে যায় কেন

    অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা ৩৫০ জন বিবাহিতা মহিলার ওপর গবেষণা করে তথ্য বের করেন, বিয়ের পর কেন মেয়েদের স্তন ও কোমর মোটা হয়। দেখা যায়, বিয়ের পর প্রথম ছয় মাসে কনেরা প্রায় পাঁচ পাউন্ডের মতো ওজন বাড়িয়ে ফেলেন।

    পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, যারা বিয়ের সময়ে সুন্দর দেখাতে নিজের ওজন অনেক দ্রুত কমিয়ে ফেলে ন, বিয়ের পর তাদের ওজন দ্রুত বেড়েও যায়।এটা প্রায়শই দেখা যায় যে, মেয়েরা চায় বিয়ের সময়ে তাদের দেখতে ছিপছিপে এবং কমবয়সী লাগুক।

    এ কারণে তারা বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকেই কঠোর ডায়েটে চলে যান। এতে যদিও তাঁদের কোনও দোষ নেই কারণ, পরিবারের মানুষ এমনকি তাদের বাগদত্ত পুরুষেরাই তাদেরকে বলেন ওজন কমাতে। বিয়ের পরে মেয়েরা মনে করে, সামনে তো আর কোনো বড় উপলক্ষ নেই আর তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের দিকে তেমন লক্ষ্য থাকে না। তারপর খাওয়া দাওয়া এবং ব্যায়ামের ব্যাপারে নিয়মকানুন অনুসরণ করা বন্ধ করে দেন,

    যার ফলে ওজন বেড়ে যায় দ্রুত। অনেকে আবার মনে করেন, বিয়ের পরে তাদের আকর্ষণীয় ফিগার বজায় রাখার দরকার নেই, এ কারনেও তাদের ওজন এভাবে বাড়তে দেখা যায়।

    বিয়ের পর মোটা হয়ে যাওয়া রোধে কেবল মেয়েদের জন্য নয়, নারী-পুরুষ উভয়েই এই টিপস মেনে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ওজন। যেমন হানিমুনে গেলে খুব বেশি জাঙ্ক ফুড না খেয়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

    পোলাও, বিরিয়ানি না খেয়ে গ্রিল করা চিকেন বা মাছ খেতে পারেন। সাথে খাবেন প্রচুর পরিমানে স্যালাড। আর মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি খাওয়ার বদলে ফ্রুট স্যালাড আর ফলের রস খেতে পারেন। ভ্রমনে গেলে রিচ ফুড এমনিতেও এড়িয়ে চলা উচিত।

  • ৮টি কারণে বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়

    ৮টি কারণে বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়

    রেহনুমার নতুন বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে সে ভালোই স্লিম ছিল। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যে দেখছে সেই বলছে সে হঠাৎ করে মুটিয়ে যাচ্ছে সে। এছাড়া খুবই দ্রুত। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরে রেহনুমা। টেনশনে পরে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন রেহনুমা। কিন্তু তাতে হিতে-বিপরীত হতে থাকে। কারণ না খেয়ে, টেনশনে না ঘুমিয়ে রেহনুমা দিন দিন আরো মোটা হতে শুরু করে।

    এই ঘটনা শুধু রেহনুমার ক্ষেত্রে সব নারীরাই বিয়ের পরপরই মোটা হতে থাকেন। কেন, কিভাবে মোটা হচ্ছে না বুঝেই অনিয়ম করে শরীর আরো ভারি করে ফেলেন। আসুন কারণগুলো জেনে নেই এবং মেনে চলার চেষ্টা করে শরীরকে ফিট রাখি।

    ১.সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা:
    বিয়ের আগে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে অনেক মেয়ে কঠিন ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে। চর্বিযুক্ত খাবার, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড সব কিছুতেই তখন তাদের ‘না’ থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সব সময়ই একটা তাগিদ থাকে। তবে অনেকেই বিয়ের পর এই খাদ্যাভ্যাস আর ঠিকমতো মেনে চলতে পারে না।

    ২.ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবার:
    বিয়ের পর বিভিন্ন দাওয়াতে গিয়ে বা বাড়িতে অতিথি এলে ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবারগুলোই বেশি খাওয়া হয়। এ কারণে ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। আবার অনেক মেয়েই নতুন নতুন রেসিপি রান্না করে পরিবারের লোকজনকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। এটিও ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পরিবারের সবাইকে ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে ভালোই লাগে, তবে এর মানে এই নয় যে, আপনাকেও সে সব খাবার চেখে দেখতে হবে!

    ৩.নিজের জন্য সময় নেই:
    বিয়ের পর নতুন সম্পর্ক, নতুন মানুষজন, সব কিছুর ভিড়ে নিজের জন্য সময় বের করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তখন গুরুত্ব বদলে যায় বা অগ্রাধিকার বদলে যায়, ফলে নিজের প্রতি আর নজর দেওয়া হয় না, ব্যায়াম তো দূরের বিষয়। বিয়ের পর মুটিয়ে যাওয়া এটি একটি বড় কারণ। আগে হয়তো ব্যায়ামের জন্য বা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পালনের জন্য সময় বের করতেন, তবে বিয়ের পর এগুলো আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে গিয়ে বা সংসারের কাজের ঝামেলায় নিজের জন্য আর সময়ই পাওয়া যায় না। মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির কথা ভেবে তাই নিজের জন্য সময় বের করুন। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করুন।

    ৪. বাইরের খাবার:
    বিয়ের পর মেয়েদের ওজন বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ রান্না এড়িয়ে যাওয়া এবং বাইরের খাবার খাওয়া। অনেকেই বিয়ের পর রান্নার ক্ষেত্রে অতটা পটু থাকেন না, তখন বাইরের খাবার হয় ভরসা। বাইরের খাবার বা হোটেলের খাবারে প্রচুর তেল দেওয়া হয়। এই অস্বাস্থ্যকর খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।

    ৫.গর্ভধারণের জন্য:
    গর্ভধারণের কারণে অধিকাংশ নারী ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন এই সময়টায় বেড়ে যায়।

    ৬. জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি:
    জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি গ্রহণ যেমন পিল বা ইনজেকশন এসব গ্রহণের কারণেও বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়।

    ৭.নিজেদের কাছে বেশি সময় থাকতে চাওয়া:
    অনেক স্বামীই রয়েছেন, যারা বেশি সময় ধরে স্ত্রীর সঙ্গ পছন্দ করেন। যার জন্য হয়তো স্ত্রীর আর ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে না। পরস্পরের বোঝাপড়ার জন্য এটি অবশ্যই ভালো। তবে স্বাস্থ্যকেও তো গুরুত্ব দিতে হবে। তাই স্বামীকেও উদ্বুদ্ধ করুন আপনার সঙ্গে ব্যায়াম করতে। অথবা দুজনে একত্রে কোনো জিমে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।

    ৮. আলস্য
    অলস লোকেরা শুধু খায় আর ঘুমায়। শরীরকে ফিট এবং কর্মক্ষম রাখার জন্য আর কোনো কাজ করে না। বিয়ের পর অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আবার অনেকে নিজের প্রতি এতই অবহেলা দেখায় যে শরীরের যত্ন নেয় না। বিয়ের পর ওজন বাড়ার বড় কারণ এই আলস্য।