Author: News Live

  • চেক লেখার সময় এই কাজটি করলে সর্বস্বান্ত হতে পারেন

    চেক লেখার সময় এই কাজটি করলে সর্বস্বান্ত হতে পারেন

    টাকার লেনদেনের জন্য যে জিনিসটি সব থেকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং নিরাপদ বলে মনে করা হয়, সেটি হল চেক। যতই নিরাপদ হোক, চেক সই করে কাউকে দেওয়ার সময়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। না হলে সেই চেক বাতিল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

    • যাকে টাকা দেবেন তার নাম চেক-এ লিখতে হয়। কিন্তু সেই নাম লেখার সময়েও খুব সাবধানতা বজায় রাখা উচিত। ধরুন অমিত রায় নামক কারোর নাম লিখলেন। নাম ও পদবীর মধ্যে বুঝে ফাঁকা জায়গা রাখুন। না হলে অমিতকে অমিতা বানিয়ে ফেলতে খুব একটা সমস্যা হবে না। এই ধরনের জালিয়াতি থেকে বাঁচতে, যাকে টাকা দিচ্ছেন তার নামের পাশে তার অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও যুক্ত করে দিন।

    • যাকে টাকা দেবেন তার নাম লেখা হলে, তার নামের পাশে একটি লাইন টেনে দিন।

    • ‘বেয়ারার চেক’ কাউকে দিলে অবশ্যই ‘বেয়ারার’ অপশনে টিক দিয়ে দিন। ধরুন আপনি কারোকে ‘বেয়ারার চেক’ দিচ্ছেন, যদি সেই চেক-এ যদি ‘বেয়ারার’ অপশনে টিক না দেন তা হলে ওই চেক থেকে যে কেউ টাকা তুলে নিতে পারবেন।

    • চেকের উপরে লিখে দিন এসি-পেয়ি। তা হলে যাকে চেক দিচ্ছেন, শুধু তার অ্যাকাউন্ট থেকেই ওই চেক ভাঙানো যাবে।

    • চেক-এর অ্যামাউন্ট বসানোর পরে অবশ্যই ‘/-‘ এই চিহ্ন দেবেন। তাতে কোনও ভাবেই অতিরিক্ত কোনও সংখ্যা বসিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারবেন না। প্রতিটি সংখ্যার মধ্যে যেন কোনও ফাঁকা জায়গা না থাকে।

    • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে যে স্বাক্ষর করছেন, সেই স্বাক্ষরটিই চেক দেওয়ার সময়ে করবেন। আপনি যদি কোনও কোম্পানির হয়ে টাকা দেন, তাহলে কোম্পানির সিলের ছাপ দিয়ে দিন।

    • চেক-এ যদি ভুল কিছু লিখে থাকেন, তাহলে সেই ভুল লেখার উপরে বা নিচে স্বাক্ষর করে দিন।

    • অনেক সময়েই অনেক চেক বাতিল হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে চেকটি ছিঁড়ে ফেলুন। আর না হলে চেকটিতে ‘ক্যানসেলড’ লিখে দিন।

  • এক রাত খুশি করে দিব বিনিময়ে ১০ কোটি দিয়েন : ঐশ্বরিয়া

    এক রাত খুশি করে দিব বিনিময়ে ১০ কোটি দিয়েন : ঐশ্বরিয়া

    সৌন্দর্যের অন্যতম এক অভিনেত্রীর আরেক নাম ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। বরাবরই যার সৌন্দর্যের কাছে ঘায়েল হয়েছে বহু পুরুষ । যার নজরকারা রুপ দেখে তাকে কাছে পেতে চেয়েছে অনেকেই। কিন্ত তাকে কাছে পাওয়া তো এতো সোজা নয়। তাকে কাছে পেতে হলে খরচা করতে হবে কাড়ি কাড়ি টাকা।

    প্রেম বিয়ে ব্যক্তিগত জীবন থেকে ক্যারিয়ার বারবার বিতর্কের মুখে পড়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ থেকে ‘যোধা আকবর’, ‘গুরু’ তার জনপ্রিয় ছবির সংখ্যা প্রচুর। অভিনয়ের থেকেও বেশি তার রূপে মুগ্ধ গোটা দুনিয়া।

    বলিউড থেকে হলিউড সারা পৃথিবী জুড়ে রয়েছে অনুরাগীরা। তার রূপে গুণে মুগ্ধ সেরকমই এক অনুরাগী ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর,২০০৮ সালে সেই সময়কার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির আমন্ত্রণে পাকিস্তান রাষ্ট্রপতি ভবনে পারফর্ম করেছিলেন ঐশ্বরিয়া।

    তবে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে একটি শর্ত জুরে দেন এই নামীদামী অভিনেত্রী। গোপন সুত্রে জানা যায় আমন্ত্রন রক্ষা করতে তাকে দিতে হবে ১০ কোটি রুপি। এই রুপির বিনিময়েই তার আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারবে।

    পাকিস্তানের নামীদামী ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। যেখানে ছবি তোলা বা ভিডিও করা নিষেধ ছিল। ফলে ঐ অনুষ্ঠানের কোনো ভিডিও ক্লিপ বা ছবি পাওয়া যায় না। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ মাসুদ এই পারফরমেন্সের কথা ফাঁস করেন সংবাদমাধ্যমে। তা শুনে নাকি বেজায় রেগে গিয়েছিলেন বচ্চন বহু।

     

  • মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় যেভাবে দোতলা বাড়ি বানাবেন

    মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় যেভাবে দোতলা বাড়ি বানাবেন

    স্বল্প খরচে নতুন বাড়ি : ঘরে যেন এসির ঠাণ্ডা- কোথা থেকে ইট আসবে, কোথা থেকে পাথর, কোন কোম্পানির রড ভালো, কোন সিমেন্টে অ্যাশ কম— নতুন বাড়ি তৈরির আগে এমন হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন হয় বাড়ির মালিকেরা।

    পাশাপাশি প্রকৌশলীদের ডিজাইনিং নিয়ে ঠিকাদারের কারচুপি, ১০ লাখ টাকার খরচ পৌঁছায় ১৪ লাখ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি অর্ধেক নির্মাণের পর কাজ বন্ধ রাখতে হয় মালিকপক্ষকে।

    এমন ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মতে বাংলাদেশে নতুন প্রযুক্তির বাড়ি নির্মাণ উপকরণ নিয়ে এসেছে অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড। তাপ নিরোধক, পরিবেশবান্ধব, হাল্কা, দ্রুত স্থাপনযোগ্য এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টিরিন স্যান্ডউইচ (ইপিএস) প্যানেল ব্যবহার করে বানানো যাবে ঘর। যার মাধ্যমে ৪ জন শ্রমিক ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পরিশ্রমেই একতলা বাড়ি নির্মাণ করতে পারে।

    প্রকারভেদে খরচ পড়বে আয়তন অনুযায়ী ২ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা থেকে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত। জানা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় তাপ নিরোধক এই ইপিএস শিট দিয়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টায় একটি বাড়ি নির্মাণ করা যাবে। এ ছাড়া এটি খুব সহজেই স্থানান্তরও করা যায়। উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন এ ধরনের প্যানেল বিভিন্ন ধরনের শিল্পস্থাপনা, অবকাঠামো, ওয়ার্ক স্টেশন এনক্লোজার এবং শেড, ওষুধ কোম্পানি, পোশাক শিল্প ইন্ডাস্ট্রিজ, কোল্ড স্টোরেজ,

    শব্দনিরোধী মিলনায়তন, থিয়েটার হাউস, উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র, ভাসমান আবাসনসহ তাপ সহনীয় এবং শব্দহীন দেয়ালের জন্য পরিবেশগতভাবে আদর্শ ও উপযোগী। অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জে ৫৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে কারখানা স্থাপন করেছে। এতে প্রতিবছর প্রায় ৬০ লাখ এসএফটি শিট ও ৫ লাখ বর্গফুট এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টিরিন স্যান্ডউইচ (ইপিএস) প্যানেল তৈরি করে।

    ২০১৩ সাল থেকে কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের শিল্পস্থাপনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ করছে। এর মধ্যে কোম্পানিটি প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড, নাটোর এগ্রো লিমিটেড, প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড,

    নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইউনাইটেড গ্রুপ ডিইপিজেড অ্যান্ড সিইপিজেড, এনার্জি প্যাক লিমিটেড, ইং ওয়াং গ্যামেন্ট এক্সেসরিজ লিমিটেড, ঢাকা সাউথ পাওয়ার জেনারেশন (ডোরিন পাওয়ার), ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি (প্রধান শাখা), এমবাসি অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকাসহ প্রায় ২০০টি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের কারখানা, গুদামঘর, অফিস তৈরি করেছে।

    অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিসের কর্মকর্তা আশিকুল আলম জানান, এই পদ্ধতিতে বাড়ি তৈরি করলে ইটের চেয়ে অল্প খরচ হবে। ভবন তৈরির সময় প্যানেল টু প্যানেল হুকিং সিস্টেমে লাগানো হয়। ফলে এটি সহজে প্রতিস্থাপনযোগ্য। ইউরোপ থেকে আমদানিকৃত কাঁচামালের মাধ্যমে ইপিএস প্যানেল তৈরি করা হয়।

    ইপিএস প্যানেল টিনের বিকল্প হওয়া এতে জং ধরার কোনো শঙ্কা নেই। কোম্পানিটি ইপিএস শিটের জন্য ৪০ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ও এর কালারের স্থায়ীত্বের জন্য ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে।তিনি আরো বলেন, ইপিএস প্যানেল তাপ ও শব্দ নিরোধক হওয়ায় দিনের বেলায় ঘরের বাইরের তাপমাত্রার তুলনায় ভেতরের তাপ মাত্র ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি কম হবে।

    এ প্রসঙ্গে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এস এম রিফাত রেজা হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, টিনের পরিপূরক হিসাবে আমরা দেশে এসএফটি ইপিএস প্যানেল নিয়ে এসেছি। এ উপকরণটি ব্যবহারের ফলে বাইরে থেকে ঘরে তাপ প্রবেশ করতে পারে না, একইভাবে ঘর থেকেও তা বের হতে পারে না। যেহেতু ঘর তাপ প্রবেশ করতে পারে না।

    ফলে ঘর থাকবে এসির মতো ঠাণ্ডা। বাংলাদেশে এখন বছরের ৯ মাসেই গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে এ প্রযুক্তিটি দেশের প্রত্যেক শ্রেণীপেশার মানুষের উপকারে আসবে।

    তিনি বলেন, ২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে আমরা ইপিএস প্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করি। এরই মধ্যে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে আমরা আবাসিক ভবন তৈরির কাজ শুরু করব। রিফাত রেজা বলেন, আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বহুতল বিল্ডিং তৈরি সম্ভব।

    যেহেতু ইপিএস শিটের ওজন ৭৫০ গ্রাম (প্রতি বর্গফুট)। ফলে বাড়ি মালিক ইচ্ছে করলেই বাড়িটি খুলে নতুন জায়গায় পুনঃনির্মাণ করতে পারবে।এদিকে কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, বন্যাকবলিত আমাদের এ দেশে ইপিএস প্যানেলের মাধ্যমে ভাসমান বাড়ি ও জমি তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। এতে করে কৃষক তার ঘর ও ফসলি জমি উভয় নিরাপদ রাখতে পারবে।

  • কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব এএসপির, অতঃপর…

    কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব এএসপির, অতঃপর…

    বরিশাল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) কর্মরত এক কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাবসহ প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আফজাল হোসেন। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

    বুধবার (৩০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তাকে বরখাস্তের এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।

    এতে বলা হয়, পারিবারিক বিরোধের কারণে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মৌখিক অভিযোগ দিতে যান বরিশাল আরআরএফের কমান্ড্যান্টের কাছে। সেখানে দেখা হয় এএসপি আফজাল হোসেনের সঙ্গে। পরে বিভিন্ন সময় কনস্টেবলের স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তা ও মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করেন এএসপি আফজাল। এ ছাড়া অনৈতিক প্রস্তাবসহ প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

    প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এএসপি আফজাল ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল ও মামলার কু-পরামর্শ দেওয়াসহ সংসার ভাঙার চেষ্টা করেন, যা নৈতিকস্থলনজনিত আচরণ ও অকর্মকর্তাসূলভ কর্মকাণ্ড হিসেবে পরিগণিত। এ ছাড়া কনস্টেবলের তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়েও মামলাসহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন অফিসে অভিযোগ দাখিলের কু-পরামর্শ দেন এএসপি আফজাল।

    সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে এএসপি আফজাল হোসেনের এমন অপেশাদার আচরণ জনসম্মুখে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তার এমন আচরণ ‘অসদাচরণের শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ’। এজন্য ২১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরি থেকে এএসপি আফজালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

    সবশেষে বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালে আফজাল হোসেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং খোরপোষ ভাতা পাবেন।