Author: News Live

  • ভাড়ায় পাওয়া যাবে প্রেমিকা, খরচও অনেক কম

    ভাড়ায় পাওয়া যাবে প্রেমিকা, খরচও অনেক কম

    অনেকে অবসর সময়ে পার্কে ঘুরতে যায়। তবে এখনকার সময়ে পার্কে ঘুরতে যাওয়াদের অনেকে সঙ্গি নিয়ে বের হন। এক্ষেত্রে বিপাকে পড়েন ব্যাচেলররা। তখন মনে হয় ইস, যদি একটা ‘গার্ল ফ্রেন্ড’ থাকত।

    অনলাইন পোর্টালে গিয়ে তরুণদের নিজেরদের সম্পর্কে সব তথ্য জানাতে হবে। তার পরেই তরুণের কাছে ফোন আসবে এক মহিলার। তাকে জানানো হবে ১০০০ ইউয়ান (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ হাজার টাকা) দিলেই এক দিনের জন্য তারা প্রেমিকা ভাড়া করতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, সেই প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরতে যেতে চাইলে দিতে হবে বাড়তি ৩৫০ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ হাজার টাকা)। যদি ছবি দেখে বাছাই করে প্রেমিকা ভাড়া করতে চান কেউ, তার জন্য দিতে হবে বাড়তি টাকা।

    সাউথ চায়না মোর্নিং পোস্টের খবর অনুযায়ী, তরুণীরা অতিরিক্ত উপার্জনের আসায় এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এক চিনা সাংবাদিক একটি ওয়েবসাইটে নিজের পরিচয় গোপন রেখে অ্যাকাউন্ট খোলেন। মাম্মু নামে এক তরুণীকে পাঠানো হয় সংস্থার তরফ থেকে সাংবাদিকের এক দিনের প্রেমিকা হওয়ার জন্য।

    মাম্মু তাকে বলেন, ‘‘আমি ভাল চাকরি করি। ৫০০০ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৬ হাজার টাকা) আয়ও করি। আমার প্রেমিক নেই। ছুটির দিনে নতুন লোকেদের সঙ্গে পরিচয় করতে বেশ ভালই লাগে। ঘুরতে যেতে পারি, অতিরিক্ত উপার্জনও হয়ে যায়। নতুন বছরের শুরুতে আমি প্রায় ৪০,০০০ ইউয়ান বা ৬ লাখ ১২ হাজার হাজার টাকা আয় করেছি।’’

    প্রেমিকা হয়ে তাকে ঠিক কী কী করতে হয়? উত্তরে মাম্মু বলেন, কেউ নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে হবু বৌ হিসাবে আলাপ করান, কেউ আবার বন্ধুবান্ধবের সামনে আসল প্রেমিকা হিসাবে পরিচয় দেন। একবার একজন মিথ্যে বিয়েও করেছিলেন আমার সঙ্গে। বিয়ের পোশাকে ছবিও তুলতে হয়েছিল। অতিরিক্ত টাকা দিলে আমি অন্য কাজও করতে পারি।’’

  • এক মিনিটের ভিডিওতে নেটপাড়ায় ঝড় তুললেন নুসরাত ফারিয়া

    এক মিনিটের ভিডিওতে নেটপাড়ায় ঝড় তুললেন নুসরাত ফারিয়া

    ঢাকাই সিনে ইন্ডাস্ট্রির এখন অন্যতম দাপুটে নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। চলতি বছরের রোজার ঈদে ফারিয়ার ছবি ‘জিন ৩’ তেমন সাড়া না ফেললেও, সেই ছবির আইটেম গান ‘কন্যা’-তে তার উপস্থিতি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল।

    এরপর গত বছরের জুলাই আন্দোলন ঘিরে সম্প্রতি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে জেলেও যান; যদিও দ্রুত জামিন পেয়ে যান; আর আগের মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন ফারিয়া।

    ফারিয়াকে এখন নিয়মিত বিভিন্ন ইভেন্ট, সাক্ষাৎকার, ফটোশুট এবং প্রোমোশনাল ভিডিওতে দেখা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একটি মেকওভার ভিডিও দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুললেন নায়িকা। এক মিনিটের সেই ভিডিওটি প্রকাশের সঙ্গেই ভাইরাল।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে নুসরাত ফারিয়াকে দুটি ভিন্ন লুকে দেখা গেছে। প্রথম লুকে নুসরাত ফারিয়াকে একটি জমকালো লাল শাড়িতে দেখা গেছে, যা তাকে ফুটিয়ে তুলেছে ব্যাপক। সঙ্গে ভারি গয়নায় সেজে উঠেছেন। কপালে টিকলি, কানে ঝুমকো ধরনের ভারী দুল এবং গলায় একটি চওড়া নেকলেস। নাকে ছোট একটি নোজ রিং, হাতে মানানসই চুড়ি ও বালা- সব মিলিয়ে তার সাজে ছিল রাজকীয় এক আভিজাত্যের ছাপ।

    এরপর নুসরাত ফারিয়াকে একটি সাদা পোশাকে ভিন্ন ধরনের গয়নায় দেখা গেছে। এই লুকে তিনি আগের চেয়ে কিছুটা স্নিগ্ধতা ফুটে উঠেছে তার রূপে। কানে ঝোলা দুল রয়েছে, তবে তা প্রথম লুকের দুলের চেয়ে ভিন্ন ধাঁচের। তার গলায় একটি চিকন চোকার এবং হাতে ব্রেসলেট ও আংটি দেখা যাচ্ছে। এই লুকে ফারিয়ার চুলে বেনি করা এবং মুখে মিষ্টি হাসি, যা তার স্নিগ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

    ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে তা সময় নেয়নি। অসংখ্য নেটিজেন ফারিয়ার রূপের প্রশংসা করে মন্তব্য করতে থাকেন।

  • চলচ্চিত্রে কাজ না থাকায় মঞ্চে ও সার্কাসেও পারফর্ম করতাম: নাসরিন

    চলচ্চিত্রে কাজ না থাকায় মঞ্চে ও সার্কাসেও পারফর্ম করতাম: নাসরিন

    ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নার্গিস। নাসরিন নামেই অধিক পরিচিত। তিন দশকের ৫০০-এর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। কৌতুক অভিনেতা হিসেবেও তার দর্শকপ্রিয়তা রয়েছে। অনেক আইটেম গানেও পারফর্ম করেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এখন আর তাকে চলচ্চিত্রে ডাকা হয় না।

    নাসরিনের ভাষ্য, গত চার বছর ধরে তিনি কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করেননি। এর কারণ হিসেবে অবশ্য তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ কমে যাওয়াকেই দায়ী করছেন।

     

    ১৯৯২ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘লাভ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে তার যাত্রা শুরু করেন। প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি নিয়ে তথ্যগত বিভ্রান্তি রয়েছে। লাভ সিনেমার পাশাপাশি ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অগ্নিশপথ’ ছবিও তার প্রথম ছবি হিসেবে বলা হয়। তবে দিলদারের সঙ্গে অভিনয় করে দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি পান এই অভিনেত্রী।

    নাসরিন বলছেন, আমি ২০১৯ সালের দিকে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলাম। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সেটা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেই ছবি বাকি কাজ হয়েছে ২০২১ সালে। ওটাই আমার শেষ কাজ এরপর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে আমি কাজ করিনি, আমাকে আসলে ডাকা হয়নি।

    কেন নতুন চলচ্চিত্রে কাজ পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে নাসরিন বলেন, এখন তো আমাদের দেশে চলচ্চিত্রই কম হচ্ছে। আর যেসব হচ্ছে সেসব ছবিতে ডিরেক্টর তাদের পছন্দের মানুষদের নিয়ে কাজ করছেন। যদি চলচ্চিত্রের কাজ বেশি হতো, বেশি সিনেমা বানানো হতো তাহলে হয়তো সুযোগ পেতাম। সেটা তো হচ্ছে না।

    নাসরিন বলেন, দেখেন আমরা যখন চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, কিছু সঞ্চয় করেছি। সেই সঞ্চয় দিয়ে আমি কিছু জমি কিনেছি। সেই জমি এমন জায়গায় যেটা সে অর্থে কাজে লাগছে না। তাই কমমূল্যে কিছু কোম্পানিকে ভাড়া দিয়েছি। আমার স্বামী সেসব দেখাশোনা করছে। সেই ভাড়া থেকে যা আসে, তাতে করে কোনো রকম সংসার চলে যাচ্ছে। আমার বাচ্চা দুইটা, তাদের স্কুল, পড়াশোনা এসব কোনো রকম সমান সমান মেটাতে পারছি। জানি না সামনে কী হবে। তবে চলচ্চিত্রের একটা বড় অংশ হচ্ছে জুনিয়র শিল্পী। যারা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারাও গেছেন।

    নাসরিন একসময় জুনিয়র শিল্পীদের সহায়তাও করতেন জানালেন। চলচ্চিত্রে কাজ না থাকলেও সার্কাস কিংবা মঞ্চে পারফর্ম করে মোটামুটি একটা আয় করা যেত। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে সেসবও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানালেন।

    নাসরিন বললেন, আমি মাসে মাসে কিছু শিল্পীকে সামান কিছু করে টাকা দিতে পারতাম। কিন্তু কাজ না থাকায় সেটাও পারছি না। চলচ্চিত্রে কাজ না থাকায় মঞ্চে ও সার্কাসেও পারফর্ম করতাম। কিন্তু দেশের যা অবস্থা সেটাও থামকে গেছে।

    আপনার সঙ্গে আলাপের কয়েকদিন আগেও সিরাজগঞ্জে একটা মঞ্চ প্রোগ্রামের জন্য ডাকা হলো, পরে জানানো হলো সেটার জন্য অনুমতি পাওয়া যায়নি। দেশের এই অবস্থায় কোনো আয়োজনের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না।

    নাসরিনের ভাষ্য, দেশের চলচ্চিত্র এখন যে অবস্থায় গেছে, মনে হয় না এটার আর কোনো সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এখন এই শিল্পে অন্ধকার দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

    জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদারের সহশিল্পী হিসেবে যার নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় তিনি অভিনেত্রী নাসরিন। এ দেশের চলচ্চিত্রে নায়ক-নায়িকা জুটির বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মতো আলোচিত জুটি হয়েছিলেন দিলদার-নাসরিন জুটি। এই জুটি সিনেমাপ্রেমীদের নিকট যেমন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল, তেমনই বেশ বিনোদিত করেছিল।

     

  • বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে কি না, নিজেই যেভাবে যাচাই করবেন

    বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে কি না, নিজেই যেভাবে যাচাই করবেন

    বর্তমানে অনেকেই অভিযোগ করছেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার স্বাভাবিক থাকলেও মাস শেষে বিল আসছে অতিরিক্ত। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে, তার সহজ সমাধান অনেকেই জানেন না। মাত্র ১ মিনিটেই আপনি নিজেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার মিটারে সমস্যা আছে কি না।

    কিভাবে বুঝবেন মিটার ঠিক আছে কি না?
    আপনার বিদ্যুৎ মিটারে একটি ছোট বাতি থাকে, যেটাকে বলা হয় “পালস বাতি”।

    এই বাতিটি শুধুমাত্র তখনই জ্বলে-নিভে, যখন আপনার ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে।
    যদি বিদ্যুৎ ব্যবহার না হয় বা আপনার সার্কিট বন্ধ থাকে, তাহলে এই বাতি জ্বলার কথা নয়।
    যাচাই করার সহজ পদ্ধতি:
    ১. বাড়ির মূল মেইন সুইচ (MCB) বন্ধ করে দিন – অর্থাৎ ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবহার একেবারে বন্ধ করুন।
    ২. এরপর মিটারের সামনে গিয়ে লক্ষ করুন পালস বাতিটি জ্বলে-নিভে কিনা।
    ৩. যদি কারেন্ট বন্ধ থাকার পরেও পালস বাতি জ্বলে-নিভে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার মিটার নষ্ট হয়ে গেছে, এবং এটি অটো পালস দিয়ে বেশি ইউনিট দেখাচ্ছে।

    এখন করণীয় কী?
    এক মিনিটের একটি ভিডিও করে নিন যেখানে দেখা যাচ্ছে মিটার চলছে অথচ কারেন্ট বন্ধ।
    আপনার সর্বশেষ বিদ্যুৎ বিলের কপি সংগ্রহ করুন।
    উভয়টি নিয়ে নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করুন এবং মিটার পরিবর্তনের অনুরোধ করুন।

     

    মিটার ঠিক থাকলে আর বিল বেশি কেন?

    বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে কি না, সেটা যাচাই করতে এখন আর অফিসে ছুটতে হবে না। মাত্র ১ মিনিটের একটি সহজ পরীক্ষায় আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার মিটার ঠিক আছে কি না। আর সমস্যার উৎস বুঝে নিলেই সহজে সমাধানও মিলবে।

    যদি আপনি দেখতে পান যে কারেন্ট না থাকলে পালস বাতি একদমই জ্বলে না, তাহলে বুঝতে হবে মিটারে কোনও সমস্যা নেই।
    সেক্ষেত্রে, বিল বেশি আসার কারণ হতে পারে—

    • ঘরের ভিতরের ওয়্যারিংয়ে লিকেজ বা শর্টসার্কিট,
    • অথবা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার।

    এক্ষেত্রে একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে পুরো ঘরের লাইন চেক করিয়ে নিন। ভুল জায়গায় লোড পড়ে থাকলে সেটিই অজান্তে বেশি বিলের কারণ হতে পারে।