‘মা হওয়ার জন্য আজকাল বাবা জরুরি নয়, অনেক পদ্ধতি রয়েছে। ঠিকঠাক সঙ্গী না পেলে আমিও সিঙ্গেল মাদার হবার কথা ভাবব।’ এমন ভাবনার কথাই জানালেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।
এই মুহূর্তে অভিনেত্রী কলকাতায় রয়েছেন। সেখান থেকেই ফেসবুকে নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি শবনম ইয়াসমিন বুবলী মা হয়েছেন―এমন খবরে দেশীয় শোবিজ অঙ্গন উত্তপ্ত। মঙ্গলবার দুপুরে বুবলী নিজের ফেসবুকে বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করেন। এরপরই চলচ্চিত্রপাড়া দুইয়ে-দুইয়ে চার মিলিয়ে ফেলে। স্পষ্ট করে তোলে ২০২০ সালে বুবলীর অন্তর্ধান রহস্য।
দেশীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় বুবলী ওই বছর নিউ ইয়র্কে সন্তান জন্মদানের জন্যই গিয়েছিলেন। কেননা সে সময় তিনি মিডিয়াকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলছিলেন। বলা যায় তিনি হয়ে গিয়েছিলেন নিখোঁজ। বলা হচ্ছে শাকিব খান বুবলীকে বিয়ে করেছেন এবং তাদের সন্তান হয় নিউ ইয়র্কে। বিষয়টি নিয়ে দেশীয় শোবিজ অঙ্গন যখন মুখর তখনই মুখ খুললেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।
জ্যোতি কারো নাম না বললেও সময়ের ঘটনার সঙ্গে শতভাগ সাদৃশ্য রয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘মা হয়ে লুকিয়ে রাখাটা নিজেকে যাচ্ছেতাই রকমের ছোট করা, নোংরামি। জানি না এরা কী ধরনের পার্সোনালিটি নিয়ে বাঁচে! জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর গর্বের অধ্যায়টা একজন নারী কী করে গোপন করে বুঝে আসে না!’
জ্যোতি আরো বলেন, ‘আর এসব লুকানো বাবাদের নিয়ে তো কথা বলাই উচিত না, এরা মানুষ হিসেবে গোনার বাইরে। মানুষ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ বিকশিত না হয়ে আরেকটা মানুষ পৃথিবীতে আনার কী দরকার!’
একাধিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, সাধারণত পুরুষদের থেকে নারীদের যৌন চাহিদা অনেক বেশি থাকে। একথা একেবারেই মিথ্যা নয়। কারণ, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মেয়েরাই শারিরীকভাবে অনেক বেশি চাহিদা নিয়ে জীবন কাটায়।
সম্প্রতি টেক্সাস ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সের নারীদের সাধারণত যৌন চাহিদা বেশি থাকে। বিবাহিত হলে, স্বামীর প্রতি অত্যাধিক কামাসক্ত হয়ে পড়ার বিষয়টিও এই সময়েই বেশি দেখা যায়।
পুরুষদের ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টি অন্য। গড়ে দেখা গিয়েছে, একজন পুরুষের যৌন জীবন অনেক তাড়াতাড়ি শুরু হয়, আর একজন নারীর যৌন জীবন শুরু হতে হতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে যা সমাজ ব্যবস্থা সেক্ষেত্রে এই কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তাই পুরুষের চাহিদাও ফুরিয়ে যায় দ্রুত। কিন্তু নারীর চাহিদা অনেকদিন পর্যন্ত থাকে। এতে কিছুটা সমস্যা বাড়ে মেয়েদের।
অনেক ক্ষেত্রে চাহিদা পূরণের স্বার্থে অনেক নারী এই বয়সের পর পরকীয়াতেও জড়িয়ে পড়েন। তবে সবটাই হয় প্রাকৃতিক নিয়মে। নারী প্রকৃতিই এমনভাবে কাজ করে। তবে সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং সঙ্গীকে পরিপূর্ণতা প্রদান করা একে-অপরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
নারী শব্দটির মধ্যেই যেন পৃথিবীর সমস্ত রহস্য লুকিয়ে আছে। নারীরা চপলমতি হন, স্থির বু’দ্ধিসম্পন্ন হন আবার ভাবুক প্রকৃতিরও হন। নারীরা ভিন্ন দে’হ বৈচিত্র্য এবং ভিন্ন রূপ বৈচিত্র্যের অধিকারী হন, ভিন্ন তাঁদের চাওয়া পাওয়া। কিন্তু একটি দিকে তারা সবাই অনেকটা একই রকম হয়ে থাকেন।আর সেটা হলো প্রেমিক পুরুষের ক্ষেত্রে।
যেমন এমন অনেক কথা আছে যেগু’’লো নারীরা পুরুষদের মুখ থেকে শুনতে ভীষণ পছন্দ করেন। তাই নারীকে খুশি করার জন্য একঝাঁক তরুণ গবেষণা করে সর্বশ্রেষ্ঠ কিছু বাক্য খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক নারীকে খুশি করার সর্বশ্রেষ্ঠ কিছু বাক্য। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক –
১.তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে : এটা খুবই সাধারণ একটি কথা যা প্রতিটি নারী তাদের আকাঙ্খিত পুরুষদের কন্ঠ থেকে শুনতে পছন্দ করেন। সেই নারী হোক সুন্দর বা অসুন্দর তবু এই কয়েকটি শব্দ তাদেরকানে লাগে সুমধুর। কোনো পুরুষ যদি মুগ্ধতার বশে বলে নয়ে তোমাকে আজ বেশ সুন্দর লাগছে তাহলে নারীরা খুশি হয়ে যান। এই বাক্যটি তখন তাদের কাছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য মনে হয়।
২.তুমি আমা’র জীবনের প্রথম নারী : প্রতিটি নারীই চানতার পুরুষটি যেন তাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন এবং তাকে ছাড়া যেন দ্বিতীয় কোনো নারীর দিকে তারা না তাকান। আর তিনি হয়ে থাকেন সেই পুরুষের জীবনের প্রথম নারী তাহলে তার জীবনে অ’পূর্ণতার আর কিছুই থাকে না। পুরুষ স’’ঙ্গীটির মুখে একজন নারী শুনতে চান যে ‘তুমি আমা’র জীবনের প্রথমনারী’ এই বাক্যটি। সেটি যদি মিথ্যাও হয়ে থাকে তারপরও তার কাছে সেটি চরম সত্যি কথা।
৩.তুমি অনেক আবেদনময়ী : অন্যান্য কথার সাথে এই কথাটাও অনেক প্রিয় একজন নারীর কাছে।পুরুষস’’ঙ্গীটি বেশি আবেদনময়ী বলে পছন্দ করেন এটি তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সত্য বলে তার মনে হয়।
৪.তুমি কি আমা’র সাথে তোমা’র সারাটি জীবন কা’টাবে : প্রতিটি মানুষের আলাদা কিছু স’ত্ত্বা রয়েছে। এ কারণে আলাদা স’ত্ত্বার মানুষগু’’লো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন স’ত্ত্বার মানুষগু’’লোর জীবন স’’ঙ্গীকে প্রপোজ করার প’দ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। একজন নারী বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে প্রপোজে বেশি খুশি হয়। তার মধ্যে এটি একটি যেমন তুমি কি আমা’র সাথে তোমা’র সারাটিজীবন কা’টাবে?এ ধরনের বাক্যেও একজন নারী অনেক বেশি খুশি হয়ে থাকেন।
৫.তুমি কি মনে ক’রো : কোনো একটা বি’ষয়ে যদি পুরুষ স’’ঙ্গীটিজিজ্ঞাসা করে বা জানতে চায় যে এই বি’ষয়টি স’ম্পর্কে তুমি কি মনে কর বা কোনো একটা বি’ষয় স’ম্পর্কে যদি তার মতামত জিজ্ঞাসা করে তাহলে নারীটি ভীষণ খুশি হয়ে থাকে। তারা ভাবেন যে তাদের মতামতেরওমূল্য দিচ্ছেন তারপুরুষ স’’ঙ্গীটি।
৬. তুমি আমা’র জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ : এমন কথা শুনতে কার না ভালো লাগে। একজনের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ এর চেয়ে বেশি পাওয়ার আর কি হকে পারে। এই ধরনের কথাতেও একজন নারী যার পর নাই খুশি হয়ে থাকেন।
মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণী তমার (ছদ্মনাম) স্বপ্ন ছিলো নায়িকা হবেন। নায়িকা হতে গিয়ে যে তাকে সর্বস্ব দিতে হবে, এমনটি ভাবেননি তমা। ড্যান্স বারে পারফর্ম করে সবাই মিলে যখন আড্ডা দিচ্ছেন তখনই ঘটে ঘটনাটি। আড্ডায় মগ্ন সবাই। বার সংলগ্ন হোটেল কক্ষের সোফায়, খাটে বসেছেন তিন তরুণী ও পাঁচ যুবক। এরমধ্যে অনুষ্ঠান আয়োজক ফরহাদ খানও রয়েছেন।
টেবিলে সাজানো বিয়ার, হুইস্কি, শ্যাম্পাইন। রয়েছে ফ্রাইড চিকেন, সালাত, চিপস ইত্যাদি।কেউ মদ পান করছেন। কেউ সিগারেটে সুখ টান দিচ্ছেন। তমা নিরবে বসে আছেন। বারবার অনুরোধ করার পর বিয়ার হাতে নেন।
কিন্তু বাধা দেন ফরহাদ। বিয়ার নয়, তাকে হুইস্কির গ্লাস এগিয়ে দেন। তমা পান করেন। এক-দুই করে কয়েক প্যাক। পান করতে করতে চোখ টলমল করছে। সোফায় ঢলে পড়বেন যেনো। ফরহাদ তাকে কাছে টেনে নেন। সবার সামনেই পাশে বসিয়ে জড়িয়ে ধরেন। অন্যরা এই দৃশ্য দেখে বেশ মজা নিচ্ছিলো।
তারপর তাকে কোলে তোলে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে যান। মুহূর্তেই দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ভোর হতেই ঘুম ভাঙ্গে তমার। হতভম্ব হয়ে যান। কম্বলের নিচে বস্ত্রহীন তিনি। বুঝতে পারেন সর্বস্ব লুট হয়েছে তার। যেনো নিজের অজান্তেই ঘটেছে সবকিছু। নিঃশব্দে কাঁদছিলেন তমা। পাশে তখনও ঘুমাচ্ছেন ফরহাদ। চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি, পঞ্চাশ বছর বয়সী ফরহাদ। দীর্ঘদিন থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এখানে ব্যবসা রয়েছে তার। এছাড়া ব্যবসা রয়েছে মালয়েশিয়াতেও। হোটেল, বারের ব্যবসা।
নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে নিয়েই নাচ শিখেছেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী তমা। স্বপ্ন ছিলো নায়িকা হলে সারা দেশের মানুষ তাকে চিনবে। তাকে দেখলেই ভীড় করবে দর্শকরা। ছবি তোলবে। তাকে নিয়ে প্রায়ই সংবাদ প্রকাশ হবে গণমাধ্যমে। পাশাপাশি অর্থ উপার্জনও হবে। সেই স্বপ্ন নিয়েই নারায়ণগঞ্জের একটি নাচের স্কুলে ভর্তি হন। অল্প দিনেই নাচে পারদর্শী হয়ে উঠেন কলেজ পড়–য়া এই ছাত্রী।
এরমধ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন আসতে থাকে। পরিচয় ঘটে শোবিজ জগতের তারকাদের সঙ্গে। পারফর্ম করেন দেশের বিভিন্নস্থানে। এরমধ্যেই মুন্না নামের একজনের সঙ্গে পরিচয়। বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে না;চ করার প্রস্তাব দেন তিনি। ফরহাদ তার বড় ভাই হন। প্রতি মাসে বেতন হবে ৭০ হাজার টাকা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তমা। বাবা ক্ষুদে ব্যবসা। দুই বোন, এক ভাই ও মা-বাবা নিয়ে তাদের পরিবার। অ’ভাব লেগেই থাকে। মাসে এতগুলো টাকা পেলে ম’ন্দ হয় না। ভেবেই রাজি হন।
বিদেশে যাওয়ার আগেই তাকে দেওয়া হয়েছিলো ৫০ হাজার টাকা। তারপরই তমাসহ একসঙ্গে আরও চার ত’রুণী দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। এটি কয়েক বছর আগের ঘটনা। ২০১২ সালের আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের পেশাজীবীদের ভিসা দেওয়া বন্ধ । পর্যটক ভিসা পাওয়াও সহজ নয়। কিন্তু এই চক্রের ভিসা পাওয়ার বিষয়ে তেমন প্রতিবন্ধকতা নেই। তিন মাসের পর্যটক ভিসা নিয়ে আরব আমিরাতে যান তারা। শারজায় একটি বারে নাচ করেন তমা। তারপরই ঘটে ঘটনাটি।
অনেক কিছু ভেবে ফরহাদকে মেন নেন তমা। একজন পুরুষ সঙ্গী থাকতেই পারে। কিন্তু তখনও বুঝতে পারেননি তার জন্য আরও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। পরের রাতে এক আরবিয়ানের বাসায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হয় তমাকে। আরব ওই ব্যবসায়ী, বাংলাদেশী ফরহাদসহ সেখানে ছিলো আরও দুজন। বাসাতেই ছিলো নাচের আয়োজন। নাচ শেষে রাত গভীর। তখনই ফরহাদ বুঝিয়ে দেন আজ রাতটা সবার সঙ্গেই কাটাতে হবে তাকে। তমা অনুনয় করেন। ফরহাদ ছাড়া কারও শ;য্যাসঙ্গী হতে চান না তিনি। ফরহাদ জানান, শুধু নাচ করে থাকা-খাওয়ার টাকাও আসবে না। এসবই করতে হবে তাকে।
আরব আমিরাতের বারে ঢুকতে গেলে ৫০ দিরহাম দিয়ে একটি টোকেন ক্রয় করতে হয়। নাচ দেখতে হলে পছন্দের তরুণীকে এই টোকেন দিতে হয়। এই টোকেন তরুণী হয়ে জমা হয় বার কর্তৃপক্ষের কাছে। কোন তরুণী কটা টোকেন জমা দিলো তা লিখে রাখা হয়। মাসে অন্তত তিনশ টোকেন সংগ্রহ হলে টোকেন সংগ্রহকারী তরুণীর বেতন হয় ৫০ হাজার টাকা। টোকেন কম হলে বেতন কমে যায়।
এক পর্যায়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই নিরবে ওই রাতে শ;য্যা সঙ্গী হন একে একে চার জনের। তারপর থেকেই প্রায় প্রতি রাতেই কারও না কারও সঙ্গী হন তমা। তমা জানান, ২০১৯ সালে দুবাই পুলিশ চার জনকে একটি নাইটক্লাব থেকে আটক করেছিলো তাদের বয়স কম ছিলো। ওই ক্লাবে নিয়মিত নাচ করতেন তিনি।সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন ক্লাবে নাচ করেছেন তিনি। তিন মাস পর দেশে ফিরেন, আবার যান। তমা বলেন, মূলত টাকা উপার্জনের জন্যই ছুটে যান সেখানে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবত দেশে রয়েছেন তিনি।