Author: News Live

  • নাতনি বিয়ে ছাড়া সন্তান নিলে আপত্তি নেই জয়া বচ্চনের

    নাতনি বিয়ে ছাড়া সন্তান নিলে আপত্তি নেই জয়া বচ্চনের

    মা শ্বেতা নন্দা করে দিয়েছেন আয়োজন, তাতে নাতনি নভ্যা নাভেলি নন্দার প্রশ্নে বিয়ে ও যৌনতা নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন নানি জয়া বচ্চন।

    নভ্যা বিয়ে না করে সন্তান নিলেও তা স্বাভাবিকভাবেই নেওয়ার কথা বচ্চনপত্নীর মুখ থেকে শোনা গেল বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

    তারকা দম্পতি অমিতাভ-জয়ার এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বড় শ্বেতার বিয়ে হয় রাজকাপুরের ভাগ্নে নিখিল নন্দার সঙ্গে। তাদের দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে নভ্যা সিনেমায় এখনও না এলেও প্রচারের আলোয় থাকেন বরাবরই।

    সম্প্রতি নভ্যার পডকাস্ট ‘হোয়াট দ্য হেল নভ্যা’তে ‘মডার্ন লাভ : রোমান্স অ্যান্ড রেগ্রেটস’ নিয়ে আলোচনায় আসেন জয়া। শারী;রিক আকর্ষণ এবং বোঝাপড়ার গুরুত্ব নিয়ে নাতনি নভ্যাকে নানা পরামর্শ দেন তিনি।

    তিনি বলেন, “অনেকেই আমার ভাবনাকে আপত্তিকর মনে করতে পারে কিন্তু যে কোনো সম্পর্কে শারী;রিক আকর্ষণ এবং বোঝাপড়া থাকাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সময়ে ততটা পরখ করে নিইনি আমরা, কিন্তু এখনকার প্রজন্ম করছে এবং কেন সেটা করবে না তারা?

    “দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য এটি বেশ জরুরি। যৌনতা ছাড়া বেশিদিন স্থায়ী হয় না সম্পর্ক। প্রেম, সতেজতা ও সামঞ্জস্য ধরে রাখতে শারী;রিক সম্পর্ক বেশ জরুরি।”

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের অর্থ পাল্টে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বললেন, “দুঃখজনক হচ্ছে, আমরা ভিন্নভাবে ভাবতে পারি না। এখন সময় বদলেছে। নতুন প্রজন্ম সেকেলে ধারণা পোষণ করে নিজেদের অপরাধী ভাবলে সেটা ঠিক হবে না।”

    নাতনি নভ্যাকে সবচেয়ে ভালো বন্ধুকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন জয়।

    সেই সঙ্গে বলেন, “আমি তোমাকে পছন্দ করি, তাই হয়ত চাইব, তোমার সন্তান হোক। তাই তুমি বিয়ে করতে পার, যা সমাজ চায়। তবে বিয়ে না করেও তুমি সন্তান নাও যদি, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই, সত্যিই কোনো আপত্তি নেই।”

  • ৩০ বছরের নারীরা দিনে কতবার নিতে পারেন, অনেকেই জানেন না

    ৩০ বছরের নারীরা দিনে কতবার নিতে পারেন, অনেকেই জানেন না

    তিরিশ বছর একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। পেছনে সুখ-দুঃখের স্মৃতি যেমন থাকে আবার সামনেও থাকে স্বপ্নের গল্প। বর্তমান যুগে পুরুষদের থেকে কোনো অংশেই কম নয় নারীরা। পেশা থেকে শুরু করে জীবন চর্চা সব কিছুতেই স্বাধীন চিন্তা ও মননের স্বাক্ষর রাখে একটি মেয়ে। কাজের জগতে যেমন পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে এগিয়ে চলে সে তেমনই বাড়িতেও যে কোনো কাজেই আজ সে সমান স্বচ্ছন্দ।

    কিন্তু কথায় আছে মেয়েদের মন দায়! কারণ তারা রেগে থাকলেও অনেকসময় ব্যবহারে ও মনের দিক থেকে কোমল হয়ে থাকে। আবার এর অন্যথায় যে হয় না তা নয়। পুরুষের তুলনায় মেয়েরা অনেকক্ষেত্রেই বেশি অনুভূতিপ্রবণ হন।

    তবে বিভিন্ন বয়সে নারী পুরুষ উভয়েরই আচার আচরণে ও জীবন ধারায় যথেষ্ট পরিবর্তন চোখে পরে। যেমন ১৮ থেকে ২০ বছরের মেয়েরা একটি লাজুক হয়ে থাকে। যদিও এর ব্যতিক্রম কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়।

    সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, ২০ বছর একটি মেয়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বয়স। কিন্তু একটি মেয়ের ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

    ২০ বছরের মেয়েরা মানসিকভাবে অভিজ্ঞ হয় না। সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারে না কিন্তু ২০ বছরের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অনেক কিছু বুঝতে সক্ষম হয়। ৩০ বছরে যা অনেকটাই পূর্ণ হয়ে আসে। বেশ কয়েকটি কারণে মেয়েদের ৩০ বছর বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বয়স। এই বয়সে তারা সবার খেয়াল রাখতে পারেন। দায়িত্ব পালন করতে পারেন এবং তিরিশ বছর বয়সের কিছু বিশেষত্ব উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়, যে তথ্যগুলো আপনাকে চমকে দিতে পারে। কিন্তু এগুলো সত্যি।

    তিরিশ বছরকে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক অবাক করা কারণ। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সেই সব কারণগুলি জানাবো। আসলে ৩০ বছর বয়সে মেয়েদের মধ্যে তাদের ছোটবেলা ফুটে উঠে। এই বয়সে এসেই মেয়েদের বেড়াতে ভালো লাগে, নিজেদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে ভাবতেও ভালোবাসেন তারা। তারা এই বয়সে বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন। আবার কিছুটা হলেও সঞ্চয়ে মন দেন। খরচের মাত্রা কমিয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে শুরু করেন তারা।

    এই বয়সে মেয়েরা বেশীর ভাগ সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে ভালোভাবে নিতে পারে। আর এই বয়সে তারা সব কিছু সামলে নিতে পারে। পাশাপাশি সমীক্ষায় দাবি, এই বয়সে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস সব থেকে বেশি বেড়ে যায়।

    একইসঙ্গে এই বয়সে নারীরা অনেক ছোটো ছোটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া করার অভ্যাস ত্যাগ করেন। শুধু তাই নয়, এই বয়সে তারা তাদের ভুলগুলো বুঝে সেগুলোকে ঠিক করার কথাও ভাবেন।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত তিরিশের নিচে মেয়েরা নিজেদের সব ভুল লুকিয়ে রাখেন। তাদের মধ্যে ভুল এড়িয়ে চলার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। অথচ ৩০ বছর বয়সের পরে তাদের সব কিছু বদলে যায়। আর এই বয়সে তাদের পোশাক-আশাকেও অনেক পরিবর্তন আসে, তারা সব কিছু একদম সঠিকভাবে বুঝতে থাকে কোনটি তাদের জন্য উপযুক্ত।

    তিরিশ বছরে পৌঁছে মেয়েরা একধাক্কায় অনেকটাই অভিজ্ঞ, সহনশীল ও বুদ্ধিদ্বীপ্ত হয়ে ওঠে যা পূর্বে তাদের মধ্যে দেখা যায় না সেভাবে।
    সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮

  • রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে পাওয়া স্বর্ণমুদ্রা ৮ কোটি ৭০ লাখে বিক্রি!

    রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে পাওয়া স্বর্ণমুদ্রা ৮ কোটি ৭০ লাখে বিক্রি!

    যুক্তরাজ্যের নর্থ ইয়র্কশায়ারের এলারবি গ্রামের বাড়িতে সংস্কারকাজের সময় রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে ২৬৪টি স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছিলেন এক দম্পতি। সে সোনার মুদ্রার ভাণ্ডার এবার নিলামে বিক্রি হয়েছে। নিলামে মুদ্রাগুলোর চূড়ান্ত মূল্য উঠেছে সাত লাখ ৫৪ হাজার পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা আট কোটি ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৬২ টাকা।

    ব্রিটিশ এক দম্পতি ২০১৯ সালে নিজেদের বাড়ি সংস্কারের সময় এ গুপ্তধন পেয়েছিলেন।

    বিজ্ঞাপন

    রান্নাঘরের মেঝের কংক্রিটের মাত্র ছয় ইঞ্চি খুঁড়তেই পাওয়া গিয়েছিল এগুলো। একটি মুখ বন্ধ ধাতব পাত্রে রাখা ছিল এসব স্বর্ণমুদ্রা। খোদাই করা তারিখ থেকে ধারণা করা যায়, ১৬১০ থেকে ১৭২৭ সালের মধ্যে মুদ্রাগুলো তৈরি করা হয়েছিল।
    ওই দম্পতি মেঝে খোঁড়ার সময় ভেবেছিলেন তারা কোনো বৈদ্যুতিক তারে আঘাত করেছেন। কিন্তু মেঝে তুলে ফেলার পর তারা একটি সোডার ক্যানের সমান পাত্র দেখতে পান। যার মধ্যে মুদ্রাগুলো রাখা ছিল।

    এসব মুদ্রা তৎকালীন যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হাল পরিবারের সম্পত্তি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে বাড়ির রান্নাঘরের মেঝেতে এসব মুদ্রা পাওয়া গেছে সেটি ১৮ শতকে নির্মিত। ওই দম্পতি বাড়িটিতে ১০ বছর ধরে থাকছেন।

    ২০১৯ সালে মুদ্রাগুলো পাওয়া গেলেও তারা এটি গোপন রেখেছিলেন। ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রে নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন রেখেই এসব মুদ্রা নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে গত মাসে এ খবর সবার সামনে আসে। তাদের পক্ষ থেকে স্পিংক অ্যান্ড সন নামের একটি নিলাম সংস্থা এই নিলাম পরিচালনা করেছে।

    স্পিংক অ্যান্ড সনের মুখপাত্র গ্রেগরি অ্যাডমুন্ড মুদ্রাগুলোর বিক্রয়মূল্যকে ‘একেবারে অসাধারণ’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের নিলাম আমি আর কখনো দেখব না। ‘

    যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপানসহ সারা বিশ্বের সংগ্রাহকরা মুদ্রাগুলো কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। সবগুলো মুদ্রার দাম উঠেছে ছয় লাখ ২৮ হাজার পাউন্ড। নিলামের ফিসহ চূড়ান্ত মূল্য দাঁড়ায় সাত লাখ ৫৪ হাজার পাউন্ডে।

  • চায়ের দোকান চালাতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের চাকরি ছাড়লেন তরুণী

    চায়ের দোকান চালাতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের চাকরি ছাড়লেন তরুণী

    শর্মিষ্ঠা ঘোষ। ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের চাকরি করতেন। চায়ের দোকান চালাবেন বলে এমন চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা একটু অবিশ্বাস্য বলেই মনে হবে। কিন্তু, এমন ঘটনাই বাস্তবে ঘটেছে। শর্মিষ্ঠা ঘোষ বড় ব্যবসায় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

    তিনি স্বপ্ন দেখেন চায়ের বিখ্যাত চেইন শপ “চায়স”-এর মতো বড় কিছু করার। ভারতজুড়ে এই চেইন শপের শাখা রয়েছে। শর্মিষ্ঠার চায়ের দোকানের গল্পটি লিংকডিনে পোস্ট করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খান্না । এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, শর্মিষ্ঠার বান্ধবী ভাবনা রাও বিমান সংস্থা লুফথানসায় চাকরি করেন। তিনিও চায়ের দোকান পরিচালনায় যুক্ত। শর্মিষ্ঠার পরিবারও সন্ধ্যায় তাৎকে সহযোগিতা করে।

    শর্মিষ্ঠার একটি ছবি দিয়ে সঞ্জয় লিংকডিনে লিখেন, “আমি কৌতূহলী হয়ে তার কাছে এটা করার কারণ জানতে চাইলাম। তিনি জানালেন, ‘চায়স’–এর মতো বড় প্রতিষ্ঠান গড়তে চান। চেইন শপটির সারা দেশে শাখা আছে।”

    পোস্টে সঞ্জয় লেখেন, “আমি অনুমতি নিয়েই এই পোস্ট লিখছি এবং তার সঙ্গে তোলা ছবিটি পোস্ট করছি। আমি মনে করি, নিচু ও ছোট কাজ বলে কিছু নেই। অন্যদের উৎসাহ দিতে এ ধরনের মানুষকে সামনে আনা উচিত।’

    তিনি আরও লেখেন, “নিজের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে এবং সেটা বাস্তবায়ন করতে যেকোনো ব্যক্তির অবশ্যই প্রবল আগ্রহ ও নিষ্ঠা থাকতে হবে। অনেক উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণকে দেখেছি, যারা হতাশাগ্রস্ত।

    পেশাদার মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি উপযুক্ত চাকরির সন্ধানে রয়েছেন তারা। তাদের জন্য এই বার্তা।”

    তিনি আরও বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, কেউ যেন উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার ও বড় চাকরির ভাবনায় পড়ে না থাকে। বরং দীর্ঘমেয়াদি অর্জন ও উন্নতির জন্য ছোট উদ্যোগ ও উপায়গুলো নিয়ে ভাবে।”

    পোস্টটি শেয়ার হওয়ার পর সেটি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। শর্মিষ্ঠা ও তার বান্ধবী ভাবনার এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।