Author: News Live

  • এবার বাংলাদেশের বড় যে সিদ্ধান্তে বিপাকে ভারত!

    এবার বাংলাদেশের বড় যে সিদ্ধান্তে বিপাকে ভারত!

    রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র আমদানির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে এবার বড় ধরনের চাপে পড়েছে ভারত। ওয়াশিংটন নতুন করে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। ট্রাম্প ঘোষিত এই অতিরিক্ত শুল্ক আগামী ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

    এই কঠোর সিদ্ধান্তে ভারত এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি করযুক্ত বাণিজ্য অংশীদারে পরিণত হবে, যা কার্যত যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞার সমান। এর ফলে ভারতের রপ্তানিমুখী শিল্পে বড় ধাক্কা লাগতে চলেছে এবং দেশটির প্রবৃদ্ধি অর্ধ শতাংশের বেশি কমে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

    ইতিমধ্যে এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা ভারতীয় কারখানাগুলোতে দেওয়া অর্ডার বাতিল বা স্থগিত করতে শুরু করেছেন। ভারতের তৈরি পোশাক, চামড়া ও বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলেও অতিরিক্ত শুল্কের কারণে সেসব পণ্য এখন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।

    এক ভারতীয় ব্যবসায়ী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আর প্রতিযোগিতা করতে পারছি না। যেখানে বাংলাদেশের শুল্ক ২০ শতাংশ, সেখানে আমাদের দিতে হচ্ছে ৫০ শতাংশ। ফলে ক্রেতারা বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকছেন।”

    এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক মাত্র ২০ শতাংশ, যা ভারতের তুলনায় অনেক কম। ফলে ভারতের বাতিল হওয়া বিপুল সংখ্যক অর্ডার সরাসরি বাংলাদেশে চলে আসছে।

    মার্কিন সংস্থাগুলো বাংলাদেশের কারখানায় নতুন করে অর্ডার দিচ্ছে। পাশাপাশি, ভারতীয় বড় ব্যবসায়ীরাও এখন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং অনেকে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।

    ভারতীয় উদ্যোক্তারা দীর্ঘ মেয়াদে মার্কিন বাজার ধরে রাখতে বাংলাদেশকে ‘মধ্যবর্তী সেতু’ হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন। অর্থাৎ, ভারতীয় কোম্পানিগুলো সরাসরি নয়, বরং বাংলাদেশের কারখানাগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠাতে চাইছে।

    এদিকে, বাংলাদেশি পোশাক কারখানাগুলো হঠাৎ করে অতিরিক্ত অর্ডার পাওয়ায় চাপের মুখে পড়েছে। মালিকরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের এই সময়ে তাদের অর্ডার কয়েক গুণ বেড়েছে। এর ফলে উৎপাদন ব্যস্ততায় কারখানাগুলো দিনরাত চলছে। এক শীর্ষ রপ্তানিকারক বলেন, “আমাদের যেসব ক্রেতা আগে ভারতে অর্ডার দিতেন, তারাই এখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। অর্ডার এত বেড়েছে যে, সময়মতো ডেলিভারি দিতে আমরা সংগ্রাম করছি।”

    বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি ভারতের জন্য মারাত্মক সংকট ডেকে আনলেও, বাংলাদেশের জন্য এটি এক বিরাট সুযোগ—নতুন বাজার দখল করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রবাহ আরও বাড়ানোর।

  • যে কারনে দে’হ ব্যবসায় নামছে ভার্সিটির ছাত্রীরা

    যে কারনে দে’হ ব্যবসায় নামছে ভার্সিটির ছাত্রীরা

    যে কারনে দে’হ ব্যবসায় নামছে ভার্সিটির ছাত্রীরাতানভিরের নতুন নতুন কৌশেলের ফাঁদে পরে কলেজ-ইউনিভার্সিটির অসহায় নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা সর্বস্ব হরিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এই চক্রে তানভিরের সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইবরাহিম ও সবুজসহ আরো কয়েকজন সদস্য। এই অসহায় মেয়েদের দিয়েই তানভির তার স্পা সেন্টারে ইবরাহিম ও সবুজের সহযোগীতায় চালাচ্ছে অবৈধ্য দেহ ও মাদক ব্যবসা। কোনো ভাবেই থামছে না তানভিরের এই দেহ ও মাদক ব্যবসা।

    তরভিরের রয়েছে গুলশান ৫৫ নম্বর বাড়ীতে হোটেলের আদলে করা স্পা সেন্টার। যেখানে চলে সুন্দরি রমনিদের দিয়ে দেহ ব্যবসা ও অবাদে চলে মাদক সেবন।

    গুলশান সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল, বিউটি পার্লার ও ম্যাস্যাজ সেন্টার গুলোতে নামে হোটেল-বিউটি পার্লার হলেও এর আড়ালে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা। আর এইসব হোটেল, বিউটি পার্লার ও ম্যাস্যাজ সেন্টার গুলোতে বেশিরভাগই কাজ করে নারীকর্মী। তারা পুরুষদের শরীর ম্যাসাজ, দেহ ও মদসহ অনৈতিক কাজে জড়িত বলে যানা যায়। গুলশান দুই এর ৫৫ নম্বর বাড়িতে হোটেলের নাম উল্লেখ থাকলেও যেখানে অনৈতিক কাজ হয়ে থাকে। সেখানে থাইল্যান্ড এর নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশ-বিদেশের নাগরিকরাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে বহুদিনের।

    যেহেতু ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ বিল-২০১৪ সংশোধিত আকারে পাস হয়। সেখানে বলা হয়েছে অনৈতিক কোনো কাজ করা যাবে না।

    তানভির সম্পর্কে খুজ নিয়ে জানাযায়, তিনি দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে তার উঠাবসা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মনরঞ্জণ করার জন্য তিনি তার প্রতিষ্ঠানের রমনিদের ব্যবহার করতেন। তিনি গোপালগঞ্জের প্রভাব খাটিয়ে প্রসাশন ম্যানেজ করে দীর্ঘ দিন এই অবৈধ্য ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে।

    অন্যদিকে তার এই ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে আরো ৫-৭ জনের নাম। তাদের মধ্যে সহযোগী ইবরাহিম সম্পর্কে জানাযায়, তিনি আড়ালে থেকে এই অবৈধ্য ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। তার ছত্রছায়ায় এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তানভির। এই তানভিরের আরেক সহযোগী সবুজ তাকে নারী সাপ্লাই দিয়ে সহযোগীতা করে আসছেন। আমাদের অনুসন্ধানে তানভিরের আরো কয়েকজন সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তাদের খুব শীগ্রই মুখশ উন্মচন করা হবে।

    ভবনগুলোর নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, সকালে প্রতিষ্ঠান খোলা হলেই সুন্দরী মেয়েরা ভিতরে প্রবেশ করে। আরা সারাদিন এইসব প্রতিষ্ঠানে পুরুষ আসা-যাওয়া করে। ভিতরে তাদের কি কাজ হয় তা আমরা জানি না।

    অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকতার জানান, আমরা এই প্রতিষ্ঠান চালাই পুলিশের সহযোগিতায়। আমরা পুলিশ-সিটি কর্পোরেশনের কর্তাদের মাসিক টাকা দিয়ে ব্যবসা করি। আমাদের কিছু করতে পারবে না।

    এই বিষয়ে তানভিরের সাথে মোঠফোন বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।

    এই বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা আমাদের কাছে থেকে হোটেল এর ট্রেড লাইন্সেস নিয়েছে। আমরা তাদের লিমিটেড কম্পানি দেখি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করি। তারা বৈধ্য লাইসেন্স নিয়ে অপরাধ মূলক কাজ করে আসছে। আমরা এই বিষয়ে জানতাম না। এখন জেনেছি আমরা কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবো।

    এই বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিওয়া হবে।

  • সিজারে বা’চ্চা নেওয়ার অপর নাম নীরব মৃ”ত্যু (মিস করবেন না স্বা’মী স্ত্রী দুজনেই পড়ুন)

    সিজারে বা’চ্চা নেওয়ার অপর নাম নীরব মৃ”ত্যু (মিস করবেন না স্বা’মী স্ত্রী দুজনেই পড়ুন)

    এক নার্স (সেবীকা)হলি ক্র’স মেডিক্যালএর চি’কিৎসক হিসেবে কাজ করছেন ! গত মাসে তার ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয় ।আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম সিজারে অনেক বা’চ্চা ই তো পৃথিবীতে নিয়ে আসলি অ’পা’রেশন করে, এখন তোর সিজার কোন চি’কিৎসক করবে ?

    উত্তরে জানায়, নরমাল ডে’লিভা’রির জন্য প্রিপারেসন নেওয়া হয়েছে । কারন ! সি’জারে বাচ্চা হলে একজন না’রী ২য় ,৩য় বার পুনরায় মা ‘’হতে গেলে ঝুকি থাকে ৯০.৭ % ।অনেক সময়েই বাচ্চার শরীর ছু’রি , কাচি লেগে শরীরের বিভিন্ন অ’’ঙ্গ ক্ষ’তি হয় যা আমা’দের দেশের চিকিৎসক গন কাউকেই বলেন না !অর্থের লো’ভে প্রত্যেক গ’র্ভ’বতী মা কে মেডিক্যাল চেকাপ এর আগে থেকে ই বলে রাখা হয় সি’জারে বাচ্চা নিতে হবে অন্যথায় !

    মৃ’’ত্যু ঝুঁকির ভয় দেখানো হয়। জাতিসং’ঘের স্বাস্থ্য বিসয়ক সংস্থা WHO জানিয়েছে একটি দেশের ১৫% মেয়ে যদি একান্তে ই না পারে স্বাভা’বিক প্রক্রিয়া তে বাচ্চা নিতে, সে ক্ষেত্রে সিজার করাতে হবে। আমার দেশে বর্তমান সিজা’রে বাচ্চা হচ্ছে সে অনুপাতে ৯৭.৩% যা না’রী স্বাস্থ্যর জন্য ঝুঁ’কিপূর্ণ । এই সিজারে বাচ্চা নিতে গেলে যেমন মা মা’রা যায় বেশীরভাগ সময় তেমনি ক্ষতি হয় নব জ’ন্ম নেওয়া শি’শুটির ।

    সিজারে হওয়া বাচ্চা অনেক বেশী অ’সুস্থ থাকে একটু খেয়াল করে দেখবেন,যা নরমালে হওয়া বা’চ্চাদের হয় না খুব একটা । প্রতি বছর সিজা’রে বাচ্চা হতে গিয়ে মা’রা যায় আমাদের দেশে ২৭.৯% মা ,শিশু ।এই ছারাও সিজার অ’পা’রেশনে রোগীর জন্য রক্ত চাওয়া হয় অনেক সময় ই ১০-১৫ ব্যাগ , যার মধ্যে বড় জোর ২ ব্যাগ র’ক্ত কাজে লাগিয়ে অন্যগুলো বিক্রি করা হয় ।সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে গেছে এখন সি’জারে বাচ্চা নেওয়া!

    যা বর্তমান নারী দেহ কে ধ্বং’স করে দিচ্ছে নীরবে, চিকিৎসকরা সবই জানেন , বুঝেন কিন্তু হাঁসপাতালের মালিক দের খুশী রাখতে এবং নিজেদের অর্থনীতি কে শক্তিশালী করতে তারা করেন না’রীর পেট কাঁটা বিজনেস। এক লোকের চারজন স্ত্রী’ ছিল। একদিন লোকটা অসুস্থ হয়ে পড়লো এবং জানতে পারলো যে সে আর বেশী দিন বাঁ’চবেনা। লোকটা ইচ্ছা করলো যে… এক লোকের চারজন স্ত্রী ছিল।

    লোকটা তার ৪র্থ স্ত্রী’কেই বেশী ভালোবাসতো এবং যত্ন করতো। সে তার ৩য় স্ত্রী’কেও অনেক ভালোবাসতো এবং বন্ধু বান্ধবদের সামনে স্ত্রী’র প্রশংসা করতো। তার ভয় ছিলো যে এই স্ত্রী হয়তো কোনদিন অন্য কারো সাথে পালিয়ে যেতে পারে.! সে তার ২য় স্ত্রী’কেও ভালোবাসতো। লোকটা যখনি কোন বিপদে পড়তো, তখনি সে তার এই স্ত্রী’র কাছে সমাধান চাইতো এবং তার স্ত্রী’ তাকে সমাধান দিয়ে সাহায্য করতো। কিন্তু, লোকটা তার ১ম স্ত্রী’কে একদম ভালোবাসতো না এবং

    যত্নও করতোনা। এই স্ত্রী’ লোকটাকে অত্যন্ত ভালোবাসতো, তার অনুগত থাকতো এবং তার যত্ন নিতে চাইতো। লোকটা তা পছন্দ করতোনা। একদিন লোকটা অসুস্থ হয়ে পড়লো এবং জানতে পারলো যে সে আর বেশী দিন বাঁচবেনা।লোকটা ইচ্ছা করলো যে সে যখন মারা যাব’’ে, তার কোন একটা স্ত্রী’কেও নিয়ে যাব’ে তার সাথে করে, যাতে করে সে পেতে পারে এই ভেবে যে মৃ’’ত্যুর পর সে একা নয়, তার একজন স’ঙ্গীও সাথে আছে।

    লোকটা তিনজন স্ত্রী’কে ডেকে এনে তার সাথে মৃ’’ত্যুবরণ করার ইচ্ছাটা বললো এবং কে যেতে চায় তা জিজ্ঞেস করলো।“এটা ‘’হতেই পারেনা”, বলেই তার ৪র্থ স্ত্রী’ সাথে সাথে ঐ জায়গা থেকে চলে গেলো লোকটার ইচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান করে।৩য় স্ত্রী বললো, “জীবন এখানে খুবই সুন্দর। তোমার মৃ’’ত্যুর পর আমি অন্য কাউকে বিয়ে করে নেবো.!” বলে সেও চলে গেল। ২য় স্ত্রী’ বললো, “তুমি আমার কাছে সমাধান চাইতে। কিন্তু এই ব্যাপারে আমা’র কোন সমাধান নেই।

    দুঃখিত তোমাকে সাহায্য করতে না পেরে। তবে তোমার মৃ’’ত্যুর আগে পর্যন্ত আমি তোমার পাশে সর্বদা আছি.! স্ত্রীদের কথা শুনে লোকটা অত্যন্ত কষ্ট পেলো এবং বি’ম’র’্ষ হয়ে পড়লো……: “আমি তোমা’র সাথে যাব’’, তুমি যেখানেই যাওনা কেন,আমি তোমাকে অনুসরণ করবো.!” হঠাৎ একটা কন্ঠ বলে উঠলো.! লোকটা তাকিয়ে দেখলো যে কন্ঠটা তার ১ম স্ত্রী’র।ভালোবাসা এবং যত্নের অভাবে তার এই স্ত্রী’র চেহারা মলিন, দেহ ক’ঙ্কালসার, অপুষ্টির চিহ্ন সারা শরীরে।

    লোকটা অশ্রুসিক্ত নয়নে বললো, “হায় কি আফসোস.! তোমাকে কখনো ভালোবাসিনি, যত্ন করিনি। আজ তুমি আমার সাথে যেতে চাইছে। এতদিন কি ভুলটাই না করেছি তোমার কথা না ভেবে.! আজ শেষ সময়ে ভুলটা বুঝতে পারলাম.!”আসলে, আমা’দের প্রত্যেকের জীবনে এই চারজন স্ত্রীর মত ব্যাপারটি আছে।

    ১) ”৪র্থ স্ত্রী’ হচ্ছে আমা’দের শরীর।” > জীবনের বেশীর ভাগ সময় এবং অর্থ আমর’া এটির পিছনে ব্যয় করি।কিন্তু মৃ’ত্যু এলেই এটি আমাদেরকে ফেলে চলে যায়। ২) ”৩য় স্ত্রী’ হচ্ছে আমা’দের ধন সম্পত্তি।” টাকা পয়সা, সুনাম এবং মালিকানা, যা আম’র’া অন্যদের দেখিয়ে বেড়াই। মৃ’’ত্যুর পর এগুলো অন্যদের কাছে চলে যায়।৩) ”২য় স্ত্রী’ হচ্ছে আমা’দের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব।” এরা আমা’দেরকে নানা বিপদে আপদে সাহায্য করে এবং

    মৃ’’ত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের পাশে থাকে।৪) ”আর ১ম স্ত্রী’ হচ্ছে আমাদের আত্না।” পার্থিব সুখ শান্তি আনন্দ এবং সম্পদের পিছে ছুটতে ছুটতে আমর’া আত্নার কথা ভুলে যাই। আত্নার খোরাক মেটাতে পারিনা। যত্ন নিতে পারিনা, ভালোবাসিনা।কিন্তু এটিই একমাত্র জিনিস যা আমাদের প্রত্যেকটা কাজে আমাদের অনুসরণ করে। যেখানেই যাই আমাদের পাশে থাকে এবং মৃ’’ত্যুর পরেও পারলৌকিক জীবনে আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে…!!!

  • ক্যান্সার হওয়ার এক বছর আগেই শরীর যে সংকেত দেয়

    ক্যান্সার হওয়ার এক বছর আগেই শরীর যে সংকেত দেয়

    নিজস্ব প্রতিবেদন: বুক জ্বালা বা হেয়ার্টবার্নকে আমরা প্রায়ই সাধারণ হজমের সমস্যা মনে করি। তবে চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন—এই উপসর্গকে অবহেলা করা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে চলা বুক জ্বালা হতে পারে একটি মারাত্মক ও দুর্লভ ক্যানসারের পূর্বাভাস, যার নাম ইসোফ্যাজিয়াল ক্যানসার।

    এই ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধার এক বছর আগেই কিছু পূর্ব লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যা শরীরের আচরণ বা পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কিন্তু আমরা অনেকেই এসব সংকেতকে গুরুত্ব দিই না।

    যে লক্ষণগুলো আগেভাগেই দেখা দেয়:

    * শরীরের যেকোনো জায়গায় চাকা বা গাঁট অনুভব হওয়া

    * অস্বাভাবিক রক্তপাত

    * দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা

    * ওজন হঠাৎ কমে যাওয়া

    * অতিরিক্ত ক্লান্তি

    * ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তন

    * হজমে সমস্যা বা বুক জ্বালা

    উপরের লক্ষণগুলোর কোনোটি যদি দীর্ঘ সময় থাকে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

    ইসোফ্যাজিয়াল ক্যানসার কী?

    এটি খাদ্যনালীর দেয়ালের কোষে তৈরি হওয়া এক ধরনের ক্যানসার। এটি বিশ্বজুড়ে দশম সর্বাধিক দেখা ক্যানসার হলেও এর প্রাথমিক লক্ষণ অনেক সময় অস্পষ্ট থাকে, ফলে রোগ ধরা পড়ে দেরিতে এবং চিকিৎসাও জটিল হয়ে ওঠে।

    এই ক্যানসারের দুইটি সাধারণ ধরন রয়েছে:

    * স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা: খাদ্যনালীর সমতল কোষে তৈরি হয়

    * অ্যাডেনোকার্সিনোমা: মিউকাস নিঃসরণকারী কোষে তৈরি হয়

    যেসব উপসর্গ দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে:

    * বুকের মাঝখানে বা পিঠে ব্যথা অনুভব হওয়া

    * গলা ব্যথা বা খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া

    * হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, যদিও খাওয়ার অভ্যাস বদলায়নি

    * রক্ত বমি হওয়া বা কাশির সঙ্গে রক্ত আসা

    * নিয়মিত বা দীর্ঘমেয়াদি হেয়ার্টবার্ন

    * কণ্ঠস্বর ভারী বা ভেঙে যাওয়া

    জিইআরডি এবং ব্যারেটস ইসোফ্যাগাস

    যখন পাকস্থলীর অ্যাসিড বারবার খাদ্যনালীতে উঠে আসে, তখন সেটাকে বলা হয় জিইআরডি বা গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ। দীর্ঘমেয়াদি জিইআরডি থাকলে ব্যারেটস ইসোফ্যাগাস নামে একটি অবস্থা তৈরি হতে পারে, যেখানে খাদ্যনালীর কোষের গঠন পরিবর্তিত হয়ে তা ক্যানসারে রূপ নিতে পারে।

    ঝুঁকিতে কারা?

    বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত এমন কয়েকটি গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে:

    * ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ

    * যারা ধূমপান বা নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন

    * যারা অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় ভোগেন

    * যাদের পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস রয়েছে

    ইসোফ্যাজিয়াল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব কারণ:

    * ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণ

    * অতিরিক্ত ওজন

    * দীর্ঘমেয়াদি অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা ব্যারেটস ইসোফ্যাগাস

    * কিছু বিরল রোগ যেমন আকালেশিয়া ও টাইলোসিস

    * এইচপিভি ভাইরাস সংক্রমণ

    * পারিবারিকভাবে ক্যানসারের ইতিহাস থাকা

    * কিছু রাসায়নিক পদার্থের দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শ

    সতর্কতা এবং সচেতনতা

    পেটের জ্বালা বা হেয়ার্টবার্নের মতো সাধারণ মনে হওয়া উপসর্গকেও অবহেলা করা উচিত নয়। শরীরের দেওয়া সংকেতগুলো গুরুত্ব সহকারে বুঝে নেওয়া এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করাই পারে জীবন রক্ষা করতে।