Author: News Live

  • পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে স্বামীর বিয়ে দিলেন স্ত্রী

    পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে স্বামীর বিয়ে দিলেন স্ত্রী

    প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে রুপ নেয়। সুখেই সংসার করছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু ইউটিউবে তারকা হয়ে ওঠা স্বামীর চালচলনের একসময় পরিবর্তন হতে শুরু করে। আর তাতেই খটকা লাগে স্ত্রীর।

    পরবর্তীতে ওই নারী জানতে পারেন, তার স্বামী অন্য এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে পড়েছেন। এরপর একসময় স্বামীর সেই প্রেমিকা বাড়িতে হাজির হন। ওই তরুণী স্ত্রীর সামনেই তার স্বামীকে বিয়ে করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।

    এমন পরিস্থিতিতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। বরং, স্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্বামীর সঙ্গে তার প্রেমিকার বিয়ে দিলেন। এরপর থেকে ওই তিন জন এক ছাদের নিচেই থাকছেন।

    সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতিতে। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতির দাক্কিলির আম্বেদকর নগরের বাসিন্দা কল্যাণ নামের এক যুবক। ইউটিউবে তার জনপ্রিয়তা তুমুল। ইউটিউব এবং শেয়ারচ্যাটে তার অনুসারীর তালিকাও বেশ লম্বা।

    কল্যাণের সঙ্গেই বছর কয়েক আগে কাডাপার বাসিন্দা বিমলার পরিচয় হয়। এরপর তারা একে অপরের প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করেন। একসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ভিডিও বানিয়েছেন তারা। জনপ্রিয়ও হয়েছে সেসব ভিডিও।

    কিন্তু সম্প্রতি বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা নিত্যশ্রী নামের এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কল্যাণের। বিশাখাপত্তনম থেকে নিত্যশ্রী চলে আসে কল্যাণের বাড়ি। নিত্যশ্রীও সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। আম্বেদকর নগরে এসে নিত্যশ্রী জানতে পারে কল্যাণ বিবাহিত।

    তখন তিনি কল্যাণের স্ত্রী বিমলাকে অনুরোধ করেন, কল্যাণকে বিয়ে করার অনুমতি দিতে। তারা ঠিক করেন নিত্যশ্রীকে বিয়ে করে এক সঙ্গেই থাকবেন তিন জন। স্বামীও নিত্যশ্রীকে ভালোবাসেন জেনে বিমলা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান।

    সেই মতো সম্প্রতি মন্দিরে গিয়ে কল্যাণের সঙ্গে তার প্রেমিকা নিত্যশ্রীর বিয়ে দেন বিমলা। এক সঙ্গে ছবিও তুলেছেন তিন জন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। দুই স্ত্রী বিমলা এবং নিত্যশ্রীকে নিয়ে একই বাড়িতে থাকছেন কল্যাণ।

  • কোন জিনিস যা শুধু শালীরা দেয়, বৌ কিংবা বৌদিরা দিতে পারে না

    কোন জিনিস যা শুধু শালীরা দেয়, বৌ কিংবা বৌদিরা দিতে পারে না

    ইন্টারভিউ এর প্রশ্নগুলি সব সময় শিরোনামে থাকে। এখানে পাঠ্য বইয়ের সিলেবাসের পাশাপাশি জীবন সম্পর্কিত এমন অনেক উদ্ভট প্রশ্ন করা হয় যা শুনে অনেকেই ঘাবড়ে যান। প্রশ্নগুলি শুনে যতটা কঠিন মনে হয় একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলেই সহজেই উত্তর বেরিয়ে আসবে। এবার দেখে নেওয়া যাক তেমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর..

    ১) প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় পশু কোনটি?
    উত্তরঃ মেছো বিড়াল।

    ২) প্রশ্নঃ কোন সভ্যতার অধিবাসীরা প্রথম নিকাশি ব্যবস্থার প্রচলন করেন?
    উত্তরঃ সিন্ধু সভ্যতা।

    ৩) প্রশ্নঃ সুপার সাইক্লোন ‘আমফান’ নামটি কোন দেশ দিয়েছিল?
    উত্তরঃ থাইল্যান্ড।

    ৪) প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক নগরায়ন সম্পন্ন জেলা কোনটি?
    উত্তরঃ কলকাতা।

    ৫) প্রশ্নঃ ভারতীয় সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন?
    উত্তরঃ ডঃ বি আর আম্বেদকর।

    ৬) প্রশ্নঃ কোন নদীর বর্ধমান ও বীরভূমের মাঝে সীমানা নির্দেশ করেছে?
    উত্তরঃ অজয় নদী।

    ৭) প্রশ্নঃ ভারতীয় সংবিধানে মোট কয়টি মৌলিক অধিকার রয়েছে?
    উত্তরঃ ছটি। যথা- সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার এবং সাংবিধানিক প্রতি বিধানের অধিকার।

    ৮) প্রশ্নঃ পৃথিবীর সর্বোচ্চ নদী কোনটি?
    উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র।

    ৯) প্রশ্নঃ বিশ্বের একমাত্র ভাষার দেশ কোনটি?
    উত্তরঃ উত্তর কোরিয়া।

    ১০) প্রশ্নঃ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চা উৎপন্ন হয় কোন দেশে?
    উত্তরঃ ভারতে।

    ১১) প্রশ্নঃ পৃথিবীর কোন দুটি দেশ দুটি মহাদেশ অবস্থিত?
    উত্তরঃ রাশিয়া ও তুরস্ক (ইউরেশিয়ার অন্তর্গত)।

    ১২) প্রশ্নঃ পৃথিবীর কোন মহাদেশে একটিও দেশ নেই?
    উত্তরঃ আন্টার্টিকা।

    ১৩) প্রশ্নঃ কোন প্রাণীকে ‘মরুভূমির জাহাজ’ বলা হয়?
    উত্তরঃ উট।

    ১৪) প্রশ্নঃ আয়তনে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম প্রতিবেশী রাজ্য কোনটি?
    উত্তরঃ ওড়িশা।

    ১৫) প্রশ্নঃ কী সেই জিনিস যা শুধু শালীরা দেয়, বৌ কিংবা বৌদিরা দিতে পারে না?
    উত্তরঃ বউ কিংবা বৌদিরা ‘জামাইবাবু’ বলে ডাক দিতে পারবে না, যেটা শুধুমাত্র শালিরাই পারবে।

  • ক্যামেরা পেয়ে এক রাতেই ৪০০ সেলফি তুলল ভালুক

    ক্যামেরা পেয়ে এক রাতেই ৪০০ সেলফি তুলল ভালুক

    মানুষের সেলফি আসক্তি নিয়ে কত না কথা বলা হয়। এ নিয়ে গবেষণাও হয়েছে ও হচ্ছে। কিন্তু নিজের ছবি নিয়ে অন্য প্রাণীরও মোহ কম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বোল্ডারের বনের এক ভালুক এক রাতে ৪০০ সেলফিতে হাজির হয়ে অন্তত তাই প্রমাণ করেছে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সম্প্রতি কলোরাডোর ওপেন স্পেস অ্যান্ড মাউন্টেইন পার্কসে (ওএসএমপি) এমন ঘটনা ঘটেছে। ৪৬ হাজার একরের ওই উদ্যানে নয়টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা স্থাপন করেছিলেন বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষকেরা। এর মধ্যে একটি ক্যামেরায় এক রাতে ৫৮০টি ছবি ধারণ হয়, যার ৪০০টিই একটি ভালুকের।

    না ভালুকটি সেলফি তুলতে পারেনি। তবে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরার সামনে তার উৎসুক উপস্থিতি ও নড়াচড়া এতটাই ছিল যে, ৪০০ বার সে ওই ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

    ওএসএমপি কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের স্থাপন করা নয়টি ক্যামেরা তখনই সক্রিয় হয়, যখন এর সামনে দিয়ে কোনো বন্যপ্রাণী চলাফেরা করে। মূলত মানুষের উপস্থিতি না থাকলে বন্যপ্রাণীরা কী করে, তা পর্যবেক্ষণের জন্যই এই ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

    এগুলোর সামনে দিয়ে কোনো প্রাণী চলাফেরা করলে ওই প্রাণীর একটি ছবি তুলে রাখে ক্যামেরাগুলো। এমনকি ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ধারণেও সক্ষম এগুলো। রাতে ইনফ্রারেড আলোক তরঙ্গের মাধ্যমেও ছবি ধারণ করে ক্যামেরাগুলো।

    সম্প্রতি এমনই এক রাতে এক ভালুকের ৪০০টি ছবি তুলেছে একটি ক্যামেরা। ভালুকটি ক্যামেরাটি সম্ভবত দেখতে পেয়েছিল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। এনডিটিভি জানাচ্ছে, ভালুকটির নানা ভঙ্গির অজস্র ছবি ধরা পড়ে ওই রাতে। এক রাতেই ৪০০টি ছবি একটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

     

  • আ.লীগ ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া কে এই মেজর সাদেক?

    আ.লীগ ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া কে এই মেজর সাদেক?

    ‘দেশজুড়ে নাশকতার ছক আওয়ামী লীগের’ শিরোনামে গত ২৮ জুলাই দৈনিক আমার দেশে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাশকতা চালানোর জন্য কর্মশালার নামে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৪০০ ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্বে ছিলেন মেজর সাদেকুল হক সাদেক। ইতোমধ্যে মেজর সাদেকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সম্পৃক্ততার সত্যতা পেয়েছে আইএসপিআর।

    শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই ওই কর্মকর্তাকে তার নিজ বাসস্থান রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের লক্ষ্যে একটি আদালত গঠন করা হয়েছে এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত সমাপ্তি সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে। এছাড়াও তার কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থাকা সংক্রান্ত বিষয়ে আরেকটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতের সুপারিশক্রমে সেনা

    আইন অনুযায়ী দায় নিরূপণে (Command Responsibility) প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত রয়েছেন মেজর সাদেক। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মেজর সাদেকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন তার স্ত্রী সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিন। সাদেক ও সুমাইয়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সময় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।

    আর সরকার উৎখাতের এ পরিকল্পনার বিষয়টি কলকাতায় বসে সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাকে সহযোগিতায় সেখানে রয়েছেন ডিএমপির সাবেক

    কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা।

    এ ছাড়া সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনায় কৌশলগত সহযোগিতা করছেন দিল্লিতে অবস্থান করা পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান পলাতক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান।