Author: News Live

  • মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ, ২০ বছর পর ফিরলেন নিজ গ্রামে!

    মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ, ২০ বছর পর ফিরলেন নিজ গ্রামে!

    মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ২০০৫ সালে নিখোঁজ হন সালাউদ্দিন ফরাজি (৬০) নামে এক বৃদ্ধ। এর ২০ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরলেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তার পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    নিখোঁজ হওয়া সালাউদ্দিন ফরাজির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন কলমী ইউনিয়নের নংলাপাতা গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই গ্রামের জয়নাল ফরাজির ছেলে বলে জানা গেছে। তার স্ত্রীসহ ৫ ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ যুগ আগে কাজের উদ্দেশ্য স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান সালাউদ্দিন। সেখানেই তিনি রিকশা চালিয়ে উপার্জন করতেন। বসবাস করতেন মোহাম্মদপুর এলাকায়। ২০০৫ সালে মেঝ মেয়ের বাড়ির বাড়ি ঢাকা গাজীপুরে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। এরপর থেকে আর তার কোনো সন্ধ্যান পায়নি পরিবার। মাঝখানে কেটে যায় প্রায় ২০ বছর। ৪০ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে অর্থাৎ ৬০ বছরের বৃদ্ধ হয়ে ফিরে এলেন নিজ গ্রামে। তবে কিভাবে নিজ গ্রামে ফিরে আসলেন বা এতো বছর কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি তার থেকে।

    সালাউদ্দিন ফরাজির বড় মেয়ে রেখা বেগম বলেন, বাবা ২০০৫ সালে আমাদের মেঝ বোনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে বাবা নিখোঁজ হন। বহু খোঁজাখুঁজির পরও বাবাকে আর ফিরে পাইনি। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম বাবা বেঁচে নেই। কিন্তু অবশেষে বাবাকে ফিরে পেয়েছি। বাবা বর্তমানে কথা বলতে পারছে না। অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন,তবে দীর্ঘ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে আমরা খুশি। বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর ফিরে পাওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। পরে শশিভূষণ থানায় থানায় জিডি করেছি। বাবার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বাবাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি।

    শশিভূষণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকায় সালাউদ্দিন ফরাজি নামে এক ব্যক্তি হারিয়ে গিয়েছিল। তার মেয়ে থানায় জিডি করেছে। সম্প্রতি স্থানীয় মায়া নদী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় লোকটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেলে পরিবারের সদস্যরা উক্ত ব্যক্তিকে নিখোঁজ থাকা সালাউদ্দিন ফরাজি বলে দাবি করেছেন। তার পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গতকাল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট

    পেলে পরিচয় নিশ্চিত হতে পারব।

     

  • বাড়ীর ছাদের টবে ড্রাগন ফল চাষের দুর্দান্ত উপায়, হবে বাম্বার ফলন

    বাড়ীর ছাদের টবে ড্রাগন ফল চাষের দুর্দান্ত উপায়, হবে বাম্বার ফলন

    ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে আমাদের দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। নরম শাঁস ও মিষ্ট গন্ধ যুক্ত গোলাপি বর্ণের এই ফল খেতে অনেক সুস্বাদু আর তার সাথে এই ফল ভিটামিন সি, মিনারেল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং ফাইবারের উৎকৃষ্ট উৎস।

    ড্রাগন ফ্রুট গাছ ক্যাকটাস সদৃশ্য এবং ছোট গোলাকার ফলের ভিতরের অংশ সাধারনত লাল ও সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলের ভিতরের অংশে ছোট ছোট নরম বীজ থাকে। আমাদের দেশের আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযুক্ত এবং এখন পর্য

    ন্ত পরিক্ষামূলক চাষেও ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। আপনি চাইলে বাড়ির ছাদ বাগানে বড় টবে বা ড্রামে ড্রাগন ফল চাষ করে শখ পুরণ ও পুষ্টি আহরণ দুটোই করতে পারেন। নিম্নে ছাদ বাগানে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো।

    কখন ড্রাগন ফল চাষের উত্তম সময় :
    ড্রাগন ফল সাধারণত সারা বছরেই চাষ করা যায়। এটি মোটামুটি শক্ত প্রজাতির গাছ হওয়ায় প্রায় সব ঋতুতেই চারা রোপন করতে পারেন। তবে ছাদে ড্রাগন ফল চাষ করে ভালো ফলন পেতে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে চারা রোপন করলে আপনি অবশ্যই সুফল পাবেন।

    ছাদে চাষের উপযোগী পাত্র কেমন হবে :
    আপনার ছাদ বাগানে ড্রাগন ফল চাষ করতে পারেন মাটির টবে বা ড্রামে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ২০ ইঞ্চি আকারের ড্রাম বেছে নেন। কারণ এই আকারের ড্রামে চারা ভালোভাবে শিকর ছড়াতে পারবে আর তাতে ফলন অনেক ভালো হবে।

    কেমন মাটি প্রয়োজন হবে :
    যদিও প্রায় সব রকমের মাটিতে ড্রাগন ফল সহজেই চাষ করা সম্ভব। কিন্তু ভালো ফলন চাইলে আপনি অবশ্যই উৎকৃষ্ট জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে দোঁআশ মাটিই বাছাই করবেন। শুরুতেই আপনাকে বেলে দোআঁশ মাটি সংগ্রহ করে ভালো ভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে। তারপর পরিমান মত গোবর, ৫০ গ্রাম পটাশ সার ও ৫০ গ্রাম টি,এস,পি, সার সংগ্রহ করা মাটির সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিবেন। সার ও মাটির মিশ্রনে পরিমান মত পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এখন আপনার বাছাই করা ড্রামে সকল উপকরণ গুলো ১০ থেকে ১২ দিন রেখে দিন। তারপর ড্রামের মাটি ভালো করে খুন্তি দিয়ে ঝুরঝুরে করে আরো ৪ থেকে ৫ দিন রেখে দিন। মাটি কিছুটা শুষ্ক হয়ে উঠলে ভালো জাতের কাটিং চারা ড্রামে বা পাত্রে রোপন করুন।

    সেচ ও পরিচর্যা কি করতে হবে :
    ড্রাগন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ফলন ভালো হবেনা। যদিও ড্রাগন ফল গাছে তেমন একটা রোগ বালাইয়ের আক্রমন হয়না তবে পারিপার্শ্বিক অন্যান্য যত্ন নিয়মিত নিতে হয়। চারা লাগানোর পর ড্রাম টি রোদ যুক্ত স্থানে রাখুন। এটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ বলে চাষে খুব বেশি পানি দিতে হয়না। চারায় পানি দেয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন যেন গোড়ায় পানি না জমে। ড্রামের ভিতরের বাড়তি পানি সহজেই বের করে দেবার জন্য ড্রামের নিচের দিকে ৪ থেকে ৫ টি ছিদ্র করে দিন মাটি ভরাট করার পুর্বেই। ড্রাগন গাছের ডালপালা লতার মত হওয়ার কারনে গাছের হালকা বৃদ্ধির সাথে সাথেই খুঁটির সাথে বেঁধে দিবেন এতে করে গাছ সহজেই ঢলে পরবেনা।

    ড্রাগন ফল সংগ্রহ করুন :
    ড্রাগন ফলের কাটিং চারা রোপনের ১ বছর থেকে ১৮ মাস বয়সে ফল সংগ্রহ করা যায়। গাছে ফুল ফোঁটার মাত্র ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়।

  • তিন কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করলে শাস্তি

    তিন কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করলে শাস্তি

    উপজেলা বা থানা পর্যায়ের ইন্টারনেট সেবাদানকারী দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠানের আইএসপি লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই তিন কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

    সম্প্রতি বিটিআরসির লাইসেন্সিং শাখার পরিচালক (প্রশাসন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মো. তৌফিকুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ঢাকার সূত্রাপুরে অবস্থিত র‌্যাবি কমিউনিকেশন, কদমতলির জেজি অনলাইন এবং ধানমন্ডির বেস্ট কমিউনিকেশন লিমিটেড। ২৯৬তম কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব প্রতিষ্ঠান এখন থেকে সংশ্লিষ্ট ক্যাটাগরির অধীনে কোনো টেলিযোগাযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। কেউ এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ, চুক্তি সম্পাদন বা আর্থিক লেনদেন করলে তা আইনবিরোধী হিসেবে গণ্য হবে এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

    এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আবেদন অনুযায়ী সমর্পণযোগ্য লাইসেন্সপত্র চলতি মাসের মধ্যেই কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • রিলিজ হলো রোমান্সে ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন

    রিলিজ হলো রোমান্সে ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন

    বর্তমান সময়ে সিনেমা সিরিয়ালের পাশাপাশি গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুন সংযোজন হয়েছে ওয়েব সিরিজের। আসলে প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে গিয়ে এখন প্রত্যেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ দেখতে পছন্দ করেন।

     

    বাংলা, হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ টেক্কা দেয় বড় বাজেটের সিনেমাকেও। আসলে করোনা পরবর্তী সময় থেকে ডিজিটাল মিডিয়া কদর বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলার জন্য জন্ম নিয়েছে একাধিক প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের।

    তবে এই ডিজিটাল মার্কেটে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বেশ কিছু অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজ। উল্লু, প্রাইম শট, কোকু ইত্যাদি জায়গায় প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো ওয়েব সিরিজ রিলিজ করে। আবার মাঝে মাঝে ওয়েব সিরিজ রিলিজ করে ইউটিউবেও।

    যৌ*তায় ভরা ওয়েব সিরিজগুলোর জনপ্রিয়তা কিন্তু কম নয়। প্রত্যেকটি ওয়েব সিরিজ প্রায় লাখ লাখ মানুষ দেখে থাকেন। এই সমস্ত ওয়েব সিরিজের হট সিন দেখে এই ঠান্ডায় ঘাম দিতে পারে আপনার।

    সম্প্রতি FWF Bengali নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ করেছে একটি বাংলা ওয়েব সিরিজ। এই ওয়েব সিরিজের নাম ‘অপরাধ‘। আর আজকের এই প্রতিবেদনে যেই পর্ব সম্বন্ধে বলা হচ্ছে তার নাম ‘খেলোয়াড়‘। এতে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন সুইটি সিনহা ও রাহুল মেনন।

    ওয়েব সিরিজের গল্প শুরু হয়েছে যে এক মহিলার স্বামী অসুস্থ এবং সে তার সৎ ছেলের সাথে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর অসুস্থতার কারণে ওই মহিলা অনেকদিন চাহিদা মেটাতে পারেননি। এরপর ওই মহিলার দেখা হয় তার সৎ ছেলের এক বন্ধুর সাথে। এরপর তারা একে অপরের খুব কাছে চলে আসে এবং তারপর কি হয়েছে তা জানতে অবশ্যই এই ওয়েব সিরিজটির সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইউটিউবে দেখে নিন।