Author: News Live

  • গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো খেলে শিশুর গায়ের রং হবে ফর্সা!

    গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো খেলে শিশুর গায়ের রং হবে ফর্সা!

    আমাদের দেশে অনেক মা–বাবাই চান তাঁদের অনাগত সন্তানের গায়ের রং যেন উজ্জ্বল হয়। এই ধারণা থেকেই গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের খাবার গ্রহণের বিষয়ে আগ্রহ দেখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তানের ত্বকের রং মূলত নির্ভর করে বাবা–মায়ের কাছ থেকে পাওয়া জিনের উপর। কেবল খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শিশুর গায়ের রং নির্ধারিত হয়— এমন ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

    চিকিৎসকদের মতে, কেবল ত্বকের সৌন্দর্য নয়— গর্ভবতী মায়েদের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি সুস্থ, মেধাবী ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম নিশ্চিত করা। এজন্য সঠিক পুষ্টি গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত জরুরি।

    গর্ভাবস্থায় নারীদের স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধা বেড়ে যায়। এ সময়ে সুষম খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ে, কারণ এসব খাবার একদিকে মায়ের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করে, অন্যদিকে গর্ভের শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    বিশেষজ্ঞরা গর্ভবস্থায় অ্যালকোহল গ্রহণ সম্পূর্ণ বর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ওজন প্রি–ম্যাচিউর শিশুর জন্মের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং শিশুর মেধা বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করলে গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কসহ অন্যান্য অঙ্গের বিকাশে সহায়তা হয়।

    গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভের শিশু বাইরের শব্দ শুনতে পায় এবং সে অনুযায়ী প্রতিক্রিয়াও দেখায়। তাই বিশেষজ্ঞরা মায়েদের শিশুর সঙ্গে কথা বলা, গান শোনানো, ধর্মীয় গ্রন্থ ও মনীষীদের জীবনী পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এসব অভ্যাস শিশুর মানসিক প্রশান্তিতে সহায়ক বলে মনে করা হয়।

    এদিকে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী কয়েকটি খাবারের বিষয়ে মা–বাবাদের আগ্রহ বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে—

    • জাফরান মেশানো দুধ: অনেকের বিশ্বাস, এটি শিশুর ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়ক।
    • নারিকেল: সাদা শাঁসের কারণে বর্ণ ফর্সা হওয়ার ধারণা রয়েছে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
    • দুধ: গর্ভাবস্থায় অপরিহার্য খাদ্য, শিশুর শারীরিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
    • ডিম: পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে কুসুম বাদ দেওয়া ঠিক নয়।
    • চেরি ও বেরি জাতীয় ফল: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
    • টমেটো: এতে থাকা লাইকোপেন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
    • কমলা: ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    তবে চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন— এসব খাবার শিশুর ত্বক ফর্সা করবে এমন দাবির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এগুলো গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মা ও শিশুর সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্মের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।

  • সম্পর্কের পর থেকে প্রতিবার দেবার সময় ভিডিও করতো প্রেমিক

    সম্পর্কের পর থেকে প্রতিবার দেবার সময় ভিডিও করতো প্রেমিক

    বান্দরবান থেকে আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
    সিআইডি সূত্রে ওই নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে পাওয়া যায় আলোচিত ওই নারী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা।
    ‎এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে হরিরামপুরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হরিরামপুর উপজেলার বয়রা ইউনিয়নের জনৈক এক ব্যক্তির সঙ্গে। ওই ‎স্বামী মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
    বিয়ের প্রায় দুই বছর পরে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। পরে ১ লাখ টাকা নিয়ে অন্য আরেকটি ছেলের সঙ্গে চট্টগ্রাম চলে যায়। তারপর ওই নারী ফরিদপুরে নানির কাছে আসেন। সেখানে কিছুদিন থাকার পরেই সে আবার লাপাত্তা হয়ে যায়। আর কোনো দিন এ অঞ্চলে তাকে দেখতে পায়নি এলাকাবাসী।
    ‎উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের ট্রলার চালক হাশেম মাঝি জানান, আজ থেকে আট বছর আগে এ নারীর ডির্ভোস হয়। ওই সময় কাবিনের বাবদ ১ লাখ টাকা নিয়ে গেলেও তার স্বামীর প্রায় ৫ লাখ টাকা নষ্ট করে। ওই নারীর কারণে প্রথম স্বামী নিঃস্ব হয়ে যায়। তারপর থেকে আমরা আর ওই মেয়ে এলাকায় দেখিনি। সোমবার সংবাদ প্রকাশের পর তাকে চিনতে পারি।
    ‎তবে স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর বাবা এখনো দুর্গম চরাঞ্চল লেছড়াগঞ্জে বসবাস করেন। তিনি পেশায় একজন জেলে।
    দুর্গম এলাকায় বসবাস করায় ওই নারীর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
    এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বসেই আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকার অভিযোগ ওঠে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ‘মডেল’ বলে পরিচয় দিতেন। তারা বিশ্বের অন্যতম বড় ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন।
    গবেষণামূলক অনুসন্ধানভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাস থেকে অনলাইনে সক্রিয় হন। এক বছরের মধ্যে তারা শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে বিপুল দর্শক ও অনুসারী অর্জন করেন।
    প্রতিবেদনে বলা হয়, যুগলটি শুধু একটি ওয়েবসাইটেই নয়, কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও কনটেন্ট প্রকাশ করছেন। সেসঙ্গে টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও নিজেদের কার্যক্রম প্রচার করছেন। ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলা হয়, যেখানে কয়েক হাজার সদস্য রয়েছেন। সেখানে নতুন ভিডিওর লিংক ও তাদের আয়ের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়।
    অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, তরুণদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখানো হতো। কিছু অনলাইন পোস্টে দেখা গেছে, ‘নতুন ক্রিয়েটর যুক্ত করুন, অর্থ উপার্জনের সুযোগ পান’— এমন বার্তা দেওয়া হচ্ছে

  • মে’য়েদের কোম’রে ২টি টোল থাকে কেন, জানলে অবাক হবেন

    মে’য়েদের কোম’রে ২টি টোল থাকে কেন, জানলে অবাক হবেন

    মে’য়েদের কোম’রে ২টি টোল থাকে কেন, জানলে অবাক হবেন

    আপনি যখন হাসেন তখন কি আপনার গালে ছোট দুটি টোল পড়ে? যদি পড়ে তাহলে আপনি নিশ্চই অনেকবার শুনেছেন যে, আপনি অনেক মিষ্টি। আপনার হাসি অনেক মিষ্টি।

    কিন্তু অনেকের এই গালের মিষ্টি টোল শ’রীরের আরো একটি জায়গায় পড়ে সেটা হচ্ছে আপনার কোমর। হ্যাঁ বন্ধুগন কোম’রে যদি আপনার টোল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনি খুব ভাগ্যবান একজন মানুষ। এবং এটা কেন তা নিয়েই নিচে আলোচনা করা হল –

    হ্যাঁ আপনার কোম’রে যদি টোল পড়ে তাহলে আপনি বুঝে নেবেন আপনি খুব ভাগ্যবান। কোম’রের এই স্বর্গীয় টোলের রয়েছে অনেক সুবিধা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোম’রে টোল পড়ে এমন মানুষের জীবন হয় খুব আ’নন্দদায়ক। পরিপূর্ণ অ’ভিজ্ঞতা কেবল এমন মানুষদেরই থাকে।

  • জনপ্রিয় সবজির চাষে এখন লাভ হবে বহুগুন

    জনপ্রিয় সবজির চাষে এখন লাভ হবে বহুগুন

    বাংলাদেশে অনেক ধরনের সবজি চাষ করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ কৃষক বলছেন, সবজি চাষে আশানুরূপ লাভ হচ্ছে না। এ বিষয়ে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকরা লাভজনক চাষাবাদ ছেড়ে বাজারে সহজে কম দামে পাওয়া যায় এমন ফসলের চাষ শুরু করে। এ ক্ষেত্রে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

    কৃষকদের উচিত তাদের জমিতে এমন সবজি রোপণ করা, যার চাহিদা সারা বছরই বাজারে থাকে। আমরা এখানে সেই সব দামি সবজির কথা বলছি, যেগুলো চাষ করে প্রতি মাসে চাষিরা ভালো লাভ করতে পারেন।

    চেরি টমেটো চাষ এই সবজিটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। চেরি টমেটো ঝোপে আরোহণ দ্বারা জন্মায়। দামের কথা বললে বাজারে প্রায় দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা বিক্রি হয়।

    জুচিনি চাষে ওজন কমানোর জন্য জুচিনি সবজি খাওয়া হয়। বাজারেও এই সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাজারে এর ভালো চাহিদা রয়েছে।

    মাশরুম চাষ মাশরুম চাষ করতে খামার নয়, ঘর দরকার। এটি একটি অন্ধকার ঘরে চাষ করা হয়। বাজারে এর দাম ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি।

    Bok Choy এর চাষ বিদেশে উৎপন্ন একটি সবজি কিন্তু এখন ধীরে ধীরে ভারতেও এর চাষ হচ্ছে। বিদেশি সবজি হওয়ায় ভারতে এর চাষ কম হয়, তাই ভারতের বাজারে এর দাম বেশি থাকে।

    অ্যাসপারাগাস চাষ ভারতের বাজারে সবচেয়ে দামি সবজি অ্যাসপারাগাস বিক্রি হয়। এটি ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। এর দাম সম্পর্কে কথা বললে, এটি প্রতি কেজি ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। দেড় বছর বপনের ১৮ মাসের মধ্যে শতবরী ফসল কাটার জন্য প্রস্তুত।